![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কে আমি? কোথায় থেকে এসেছি? কোথায় যাবো? আমি কি জন্য এসেছি? আর কি করছি??
হ্যাঁ,আমি চৈদ্দশ বছর আগের কথা বলছি।অমানিশা,গাঢ় অমানিশা,চাপ চাপ সূচিভেদ্য অন্ধকারে নিমজ্জিত গোটা মানব সমাজ অত্যাচার আর অবিচার অনাচার,পাপাচার আর ব্যাভিচার এর বিষবাষ্পে গোটা দুনিয়ার মানব সমাজ।
সেই চরম বর্বরতা,নৃশংসতা,অজ্ঞতা আর মূর্খতার যুগ।যখন নারী জাতিকে শুধুমাত্র পুরুষের বিছানার সঙ্গী,ভোগ্য পন্যে,নারীকে মনে করা হতো বংশের কলংক,যখন কন্যা ছিল সন্তান ছিলো কবরস্ত করা হতো জ্যান্ত অবস্থায়।
এমনি শ্বাসরুদ্ধ কর অবস্থায় গুমরে উঠা আর্তনাদ বলে ওঠলো:মনুষত্ব কি এভাবেই ধ্বংস হয়ে যাবে এভাবেই কি মানবতার দাফন সম্পন্ন হবে?মায়ের জাতি নারীরা কি এভাবেই অবহেলা-ঘৃণা আর তিরষ্কারের পাত্রীতে পরিণত হয়ে থাকবে?
আসবেনা কি কেউ নারী জাতীর মাতৃত্বের গর্বিত অধিকার উচিয়ে ধরার জন্য?
হ্যাঁ,গুমরে উঠা এ আকুতি পূরনের জন্যই প্রেরিত হলেন বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব,নালী মুক্তির অগ্রদূত মহানবীহযরত মোহাম্মদ (স আর ঘোষনা করলেন প্রত্যয়দৃপ্ত কন্ঠে উচ্চারন করলেন নারীত্বের অধিকারের কথা,বুলন্দ করলেন নরী জাতির মাতৃত্বের মর্যদা,উচু করে ধরলেন বিশ্বের মাঝে তাদের মর্যাদার ঝান্ডা কে......
ফলশ্রুতিতে যে নারী ছিল শুধুমাত্র ভোগের সামগ্রী আর বিছানার সঙ্গী সে নারী পেল সামাজিক সুমহান মহান মহান মর্যাদা।যে নারী ছির চির অবজ্ঞা আর উপেক্ষার নির্মম শিকার,ভৎসনা আর তিরস্কারের করুণ পাত্রী;সেই নারী পেল মাতৃত্বের গর্বিত অধিকার।
বাস্তবিক পক্ষে ইসলাম তথা আমাদের নবী (সাঃ) নারী জাতিকে যে সম্মান-মর্যাদা অধিকার দিয়েছে বিশ্বের অন্যকোন মানবরচিত আধুনিক ও নবীন মতবাদ প্রবীন মতবাদ তা সে অধিকার-মর্যাদা দেয় নি ও দিতে পারেনি…..
হিন্দু ধর্মে তাকাই দেখুন,সেখানে নারীর অধিকার বলতে কি আছে?
প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্রে বলা আছে:মৃত্যু,নরক,অগ্নি,বিষও সর্পের কোন অংশে কম নয়!
কী জঘন্য,বিভৎস উক্তি!!
এইতো সামান্য্ কিছুকাল আগে হিন্দু ধর্মানুযায়ী দেবতার সন্তুষ্টির জন্য্ নারীকে মন্দিরের বেদীতে নির্মম ভাবে বলি করা হতো।
স্বামীর মৃত্যুর হলে স্ত্রীকে জ্লন্ত চিতায় জীবন্তা দগ্ধ্ হতে করে সতীদাহ প্রথা পালন করতো,এখনো ভারতর কিছু কিছু জায়গায় চালু আছে।
কি মর্ান্তদ প্রথা,বর্বর নিয়ম!যা ভাবলে গা শিহরে উঠে।
এমনি ভাবে খ্রিষ্ট ধর্মেও একি অবস্থা নারী এখনেও চরম লাঞ্চনা আর গন্জনার অতল গহ্বরে নিমজ্জিত।জনেক পাদ্রীর মতে,নারীই হলো শয়তানের প্রবেশস্থল!!নারীই সমস্থ অন্যায়ের মূল!!!এমনকি নারী দেহ সর্বস্ব;নাকি তার প্রাণ বলতে কিছু আছে?এমন প্রশ্নের জবাব খোজার জন্য আন্তর্জাতিক কনফারেন্স পর্ন্ত করতে হয়েছে।অপরদিকে ইহুদি সমাজের অবস্থা আরও মারাত্নক ও শোচনীয় অবস্থা।
ইহুদি নারীদের ঋতু স্রাবের সময় ঘর থেকে বের করে দেয়,রান্না বান্না,বিছানায় থাকা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ…
সুতরাং ইসলাম নারীকে অধিকার দিয়েছে,দিয়েছে ব্যাক্তি স্বাধীনতা,মৌলিক অধিকার পুরনের পাশাপাশি তাদের অধিষ্ঠিত করেছে সামাজিক ও মানবিক সু উচ্চ আসনে।
রাসুল স: বলেছেন মাযের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত...
পৃথিবির সব সম্পদ. আর উত্তম সম্পদ হলো সতী নারী..
আমার দেশেও যার বলে ইসলাম নারীকে অধিকার দেয়নাই আমরা তাদেকে চিনি,তারা কারা?কোথায় থাকে কি করে তাও জানি…তারা আর কেউ নয় তারা হলো দেহ ব্যবসায়ী,পতিতালয়ে থাকে,মোটা অংকের টাকার জন্য সবার হাত ধরে ঘুরতে এবং রাত্রি যাপন করতে পারে।স্বামী বাবামার সাথে থাকতে রাজী না,যৌন আবেদনময়ী কাপড় পড়ে হাট বাজার মার্কেটে পুরুষের চক্ষু নষ্ট করা,টাকার বিনিময়ে তারা বৃদ্ধার সাথে থাকতে রাজী…মডেল মানেইতো ভোগের বস্তু,পরিচালকদের সাথে অশ্লিলতা পনা করে নেটে ছাড়ে ।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬
এবিএম বাকী বলেছেন: ঠিক..।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫০
হতাশার অন্তরালে বলেছেন: