![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কে আমি? কোথায় থেকে এসেছি? কোথায় যাবো? আমি কি জন্য এসেছি? আর কি করছি??
কোরআন শরীফে সুরা “আল ফজর” এর ৭ নম্বর আয়াতে “ইরাম” নামক একটি গোত্র কিংবা শহরের কথা বলা হয়েছে।“তুমি কি দেখনি,তোমার প্রতিপালক কি করেছিলেন আদ বংশের ইরাম গোত্রের প্রতি ? যারা ছিল সুউচ্চ প্রাসাদে,যার সমতুল্য কোন দেশে নির্মিত হয়নি।”(আল-কুরআন,৮৯ঃ৬-৮)।
কিন্তু “ইরাম” এর নাম কোন ইতিহাসে পাওয়া যায় না। তাই কোরআন শরীফের তাফসীরকারকরাও সুস্পষ্টভাবে এ শব্দটির অর্থ বলতে সক্ষম হননি। ১৯৭৩ সালে সিরিয়ার “এরলূস” নামক একটি পুরনো শহরে খনন কার্যের সময় কিছু পুরনো লিখন পাওয়া যায়। এ সমস্ত লিখন পরীক্ষা করে সেখানে চার হাজার বছরের একটি পুরনো সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে। এ লিখনগুলোর ভেতর “ইরাম” শহরের উল্লেখ আছে। একসময় এরলুস অঞ্চলের লোকজন “ইরাম” শহরের লোকজনের সংগে ব্যবসা-বানিজ্য করতো। এ সত্যটা আবিষ্কৃত হলো মাত্র সেদিন অর্থাৎ ১৯৭৩ সালে। প্রশ্ন হচ্ছে, দেড় হাজার বছর আগে নাযিল করা কোরআন শরীফে এই শহরের নাম এলো কি করে? আসলে কোরআন শরীফ হচ্ছে আল্লাহর বাণী, আর আল্লাহ তাআলা এখানে “ইরাম” শহরের উদাহরণ দিয়েছেন।
হাজার বছর আগের এই শিলা-লিপি সমূহে কুরআন এবং বাইবেলে বর্ণিত অনেক ভৈাগলিক এলাকার নাম রয়েছে এবং বিশেষ করে ইরাম শহরের নাম উল্লেখ আছে , যা একমাত্র কুরআনে এ শহরের নাম দেয়া আছে, বাইবেলে নাই ।
প্রায় ২৫০০ খ্রীঃ পূর্ব অব্দে ইবলা ছিলো একটা রাজ্য যা সিরিয়ার দামেস্ক এবং তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকা নিয়ে গঠিত ছিল। এ রাজ্য অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে শীর্ষে অবস্হান করছিলো কিন্তু পরে অন্যান্য বড় বড় প্রাচীন সভ্যতার মতো হঠাৎ ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে যায় । শিলা লিপি সমূহ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে ইহা তখনকার সময়ে ছিল অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্র । ইবলা সভ্যতার লোকেরা তথ্য সমূহ সংরক্ষণ করে রাখত , লাইব্রেরী তৈরী করেছিলো এবং বাণিজ্যিক চুক্তিসমূহ লিখিত আকারে রাখতো । তাদের নিজস্ব ভাষাও ছিলো--ইবলেইত ।
ইবলা শিলা-লিপি সমূহের গুরুত্ব হলো যা প্রত্নতত্ত্ববিদ্যার সত্যিকারের বিরাট সফলতা তা হলো ১৫,০০০ এর মতো লিখিত শিলা-লিপির উদ্ধার । এই প্রাপ্তি ছিলো গত চার বছরে খোড়াখুড়ির মাধ্যমে যা পাওয়া গেছে তার চার গুন ।
যেসব নবীদের নাম সেখানে পাওয়া গেল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আব্রাহামো (ইব্রাহীম -আঃ), ডেউডাম (দাউদ-আঃ), তালুত এবং ঈস-মা-ঈল (ঈসমাঈল -আঃ) এর নাম সমূহ ।
©somewhere in net ltd.