![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অতীতের ধারাবাহিকতা মাত্র । রাজনৈতিক দলগুলো গত ৪২ বছর আমাদের যা দিয়েছে , তা শুধুই লজ্জার । প্রতিবার নির্বাচনের আগে আমরা স্বপ্ন দেখেছি , স্বপ্নে বিভোর থেকে অধীর হয়েছি , প্রতিবার প্রতারিত হয়েছি। সামরিক শাসন নিয়ে আমাদের কোন স্বপ্ন ছিলনা , ভয় , আতংক , ক্যু , পাল্টা ক্যু আর একটি করে ফরমান জারী হওয়াই ছিল আমাদের জীবদ্দশার মিলিটারি অভিজ্ঞতা । একের পর এক ব্রেকিং পিরিয়ড । স্বাধীনতা , তার চার বছরের মাথায় বাকশাল গঠন , বঙ্গবন্ধু হত্যা ,তারপর জিয়াউর রহমান , খালেদ মোশাররফ , কর্নেল তাহের,খঃ মোস্তাক, জেল হত্যা, প্রেসিডেন্ট জিয়া , জিয়া হত্যাকাণ্ড, এরশাদ , তার ৯ বছরের জগদ্দল পাথর সময় , ৯০ এর গণ অভ্যুত্থান -- এক নিঃশ্বাসে বললে , এর মধ্যবর্তী কালে কোন সুস্থির সময় নেই। আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনার বিকাশ হয়েছিল এরশাদ কুশাসনের ৯ বছরে। তাকে ঝেটিয়ে বিদায় করে আমরা স্বপ্ন বাস্তবায়নের বাস্তব ভিত্তি পেলাম । সেই থেকে স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় ব্যথিত হওয়ার শুরু। গত ২২ বছরের চার চারটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার আমাদের চিন্তা , চেতনা , অনুভুতি, বিবেক , বিবেচনাবোধ ইত্যাদি সব হৃদয়জাত বৃত্তি গুলোকে দুমড়ে মুচড়ে শেষ করে দিয়েছে। কোন আদর্শে , কোন দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনায়, কোন টার্গেট নিয়ে কোন সরকারই দেশ চালায়নি। আর হাঁ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশপ্রেম ,স্বাধীনতা , সার্বভৌমত্য কে পদে পদে লঙ্ঘন করে সংঘবদ্ধ দুরব্রত্তচক্রের স্বার্থ রক্ষায় লিপ্ত থেকেছে। নেতাদের গালভরা বুলি নতুনদের কাছে রোম্যান্টিক মনে হলেও , আমাদের কাছে তা হাস্যকর প্রবঞ্চনার । গণতান্ত্রিক আচরণ নয়, তার ভানটুকুও আমাদের নেত্রী বৃন্দ করতে পারেন না , কেননা বিগত ২০-২৫ বছরে পার্টির প্রেসিডেন্ট বা দেশের প্রধানমন্ত্রীর নতুন কোন নাম আমরা শুনিনি, আর শুনবো বলে মনেও হয়না, অন্ততঃ যদ্দিন তারা জীবিত থাকবেন। আমরা স্মরণ করতে পারি বাকশাল গঠনের সময় সংবিধানে যে সংশোধনী আনা হয়েছিল , তাতে বঙ্গবন্ধুকে যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল , প্রয়াত প্রঃ হুমায়ুন আযাদের ভাষায় , তা ছাড়িয়ে গিয়েছিল জুলিয়াস সিজারের ক্ষমতাকেও । তাইতো দেখা যায়, সংশোধিত আইন অনুসারে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের আজীবন প্রেসিডেন্ট, আর যদ্দিন তিনি জীবিত থাকবেন –প্রতিবার মেয়াদ শেষে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন । আসাধারন আত্তীকরণ ! দেশ , পার্টি এগুলো তাদের তালুকের চেয়ে বেশি কিছু নয় বাস্তবে। ফেমিলি ডাইন্যাসটি চারপাশে সুবিধাভোগী দের স্তরে স্তরে উপস্থিতিই হল আজকের দেশ ও দলের আদর্শিক কাঠামো । চাটুকারিতা ও প্রশ্নহীন আনুগত্য দেশ ও দলের কর্মীদের পদোন্নতির মাপকাঠি , তা ই যোগ্যতা। এই যখন বাস্তবতা তখন জুদ্ধপরাধী ও মৌলবাদী রাজনৈতিক গোষ্ঠী পেখম মেলবে , আর তার নিচে বিভ্রান্ত জনগোষ্ঠী আশ্রয় নেবে এটাই স্বাভাবিক। তাই গণতান্ত্রিক রীতিনীতির মৌলিক পরিবর্তন না এনে , গণতন্ত্রের আড়ালে অপরাধীদের পালন, পোষণ , তোষণ অব্যহত রেখে যুদ্ধপরাধিদের বিচার ও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা ও একধরনের তৃতীয় শ্রেণীর হাস্যকর প্রহসন । এতো মৃত্যু , এতো ধ্বংস , জ্বালাও , পোড়াও আর এই অচলাবস্থা কোন ভাবেই জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট হতে পারেনা । বিত্তে বৈভবে স্ফীত নেতৃত্ব এলাকা ভিত্তিক ডাইনেসটি ই তৈরি করছে বাস্তবে । তাই এই প্রহসনে নিজেকে জড়িত করে দায় নিতে চাইনা।
আমি আমার আদর্শিক অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন জনের ভিন্ন ভিন্ন ধারনা কাজ করে। উত্তরটা গুছিয়ে দিতে পারছিলামনা । ডাঃ আলী মাহমেদ তার থেকে আমাকে মুক্তি দিয়েছেন । তাঁর কিছু কথা তাঁর অনুমতি ছাড়াই , ক্ষমা চেয়ে নিয়ে কোট করছি-
" আমার লেখালেখি নিয়ে অনেকে আমার সম্বন্ধে বিভ্রান্তির মধ্যে থাকেন। আওয়ামীলীগের লোক জনের ধারনা , এ বি এন পি ঘরানার। বি এন পির লোকজনের মত , এ নিশ্চিত আওয়ামিলিগার। জামায়াতের মতে, একজন বিপজ্জনক মানুষ। এরশাদ পন্থীর স্পষ্ট বক্তব্য, আমাদের ন্যাতাকে দেখতে পারেনা। আস্তিকদের হাহাকার, আরে এ তো নাস্তিক ! আর নাস্তিকদের তাচ্ছিল্য , এ ছুপা ছাগু। তাহলে আমি কে? আসলে আমি কেউনা, আমি কিচ্ছু না''''''''''''''''"
©somewhere in net ltd.