![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
আগামী ২৯ ডিসেম্বর বিরোধী জোটের গনতন্ত্র রক্ষার জন্যে ঢাকা অভিমুখী
পদযাত্রা নিয়ে জনমনে যে সংশয় ও উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে তা সরকারের
গোচরে এসেছে ।আওয়ামী লীগ সরকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সকল
নিয়ম তান্ত্রিক কর্মসুচীর প্রতি দায়বদ্ধ । বিরোধী জোটের পদযাত্রা কর্মসূচী
যেন শান্তিপূর্ণ ও সফলভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে তার জন্য দল বদ্ধ পরিকর।
বিগত দিন গুলিতে এর কিছুটা ব্যাত্যয় পরিলক্ষিত হওয়ায় আমরা বেশ কিছু
পদক্ষেপ নিয়েছি । সে সম্পর্কে সরকারের পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা দেশবাসী
কে অবগত করার নির্দেশ প্রদান করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। একজন প্রাক্তন
প্রধান বিচারপতিকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী শ্রমিক নেতা বাস মালিক, আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য , মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব, আওয়ামী লীগের সকল
স্তরের নেতাকর্মী , সরকারী কর্মকর্তা যেই জড়িত থাকুক তাদেরকে
আইনের আওতায় আনা হবে । অতিউৎসাহী যারা সমাবেশের সরাসরি
সম্প্রচার বন্ধ করার মত গর্হিত ও ন্যাক্কার জনক কাজে জড়িত ছিল
তাদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করেছে প্রশাসন ।
খুন ,জখম ও গুমের মত ঘৃণ্য কাজে যদি বিশেষ কোন বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা
প্রমানিত হয় তাদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া
হয়েছে । হত্যা ও জখম কারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে অস্ত্র ও
হত্যা মামলার বিচারের মুখোমুখি করা হবে। বিরোধী জোটের ক্ষতিগ্রস্ত
আহত,নিহত নিখোঁজ সদস্যের পরিবারকে ক্ষতি পুরন প্রদানের লক্ষ্যে অর্থ
মন্ত্রনালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে ।
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও গনতান্ত্রিক চেতনা সরকারের প্রতিটি সেক্টরেপরিপূর্ণ
ভাবে বিকশিত হতে পারে তারও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে । গণতন্ত্রের
প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ,গণতন্ত্রের ভাষা ও গনতান্ত্রিক আচরনের মৌলিক পরি
বর্তনের ঘোষণা দেওয়া হল এই বিবৃতির মাধ্যমে !!!!!!!!
এই পর্যন্ত পড়েই প্রধানমন্ত্রীর ঘুম ভেঙ্গে গেল , তিনি হাপাচ্ছেন , সারা শরীর
বেয়ে দরদর করে ঘাম বেরোচ্ছে । ঘড়ি দেখলেন ভোর ৫ টা, তিনি আবার
লম্বা করে শুয়ে পড়লেন এসি ছেড়ে । চোখ বুজে আজকের পত্রিকায় স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রনালয়ের যে বিজ্ঞপ্তি যাবে তা আবারও মনে করার চেষ্টা করলেন । তিনি
এ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে তার দলের প্রেসিডিয়ামের কাউকে কিছু জানান নি, এমন
কি পিএস কেও না। কাউকে তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না । তার গাড়ী
চালকের ছেলেটা আগে থেকেই বিশ্বস্ত , তাই তাকে ইনস্ট্রাকশান দিয়ে এ
বিজ্ঞপ্তি সাজানো হয়েছে । আজকের মধ্যেই সব কাজ সেরে ফেলতে হবে ।
দেশের এই পরিস্থিতির জন্যে নিজেকে বহুলাংশে দায়ী বলে মানেন তিনি, আর
কোন জানমালের ক্ষতি যেন না হতে এ ব্যাপারে তিনি ড্যাম সিরিয়াস ।
পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় , সব একার মাথা থেকে ।তিনিতো
এযাবত সব নিজের মর্জিতে চালিয়েছেন । তাই শেষ কাজগুলোও একাই
করতে চান । গতকাল শুধু প্রেসিডেন্টের সাথে হাসতে হাসতে এ বিষয়টি
বলে প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়া দেখতে চেয়েছিলেন , কিন্তু বলতে পারেন নি ।
সকাল ১০ টায় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সবাইকে এই পরিকল্পনার কথা জানাবেন ।
তারপর পত্রিকা অফিসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি পাঠাবেন । সমাবেশ সমাপ্ত
হলে তিনি নিজে যাবেন বিরোধী জোটের মঞ্চে , ৫ তারিখের নির্বাচন বাতিলের
ঘোষণা দেবেন সেখানেই। যুক্তভাবে পরবর্তী রূপরেখার প্রনয়নের ঘোষণাও সেখানে
থাকছে । একে একে বিশ্বের বাঘা বাঘা সব ব্যক্তিকে অস্বীকার করার ব্যাপারটা
অনুচিত হয়েছে ভেবে গ্লানিবোধ করেন। ব্যক্তিগত ভাবে ক্ষমা চাওয়ার জন্যে
কাল রাতটাকে রেখেছেন ।সাম্প্রতিক সময়ের ঘটে যাওয়া নৈরাজ্য ও হত্যা
ধ্বংস হানাহানির জন্যে তার প্রাণ কেঁদে ওঠে, চোখ ভিজে যায় । কিন্তু কেউ
যদি তাকে একবার বলে ফেলত যে এসব অন্যায় ! তিনি বোঝেন মুখের উপর
কথা বলা পছন্দ করেন না বলেই তার আশেপাশের লোক গুলো চুপ মেরে
থাকে, কেননা অতীতে এসব বলে বলে অনেক বড় বড় নেতাকেও অপবাদ
দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । তিনি এখন বুঝতে পারছেন নিজের একগুয়েমীর
মুল্য এই দেশ কত ভাবে চুকিয়ে যাচ্ছে । শেষ ভাল যার সব ভাল তার,
দেরীতে হলেও তিনি সব স্পষ্ট বুঝতে পারছেন , সেই ডাক্তার ছেলেটিকে
মনে মনে ধন্যবাদ জানালেন । আ আদ্যক্ষরের ডাক্তার ছেলেটির একটি
ই-মেইল তার চোখ খুলে দেয় । গত পরশু মেইল খুলে প্রথমেই এটি চোখে
পড়ে , সিদ্ধান্ত নিতে একটুও দেরী করেন নি । না আর ভাবা যাচ্ছেনা ,একটা
লেক্সোটানিল খেয়ে বাতি বন্ধ করে শুয়ে পড়লেন । প্রধানমন্ত্রী আবারও স্বপ্নে
দেখতে লাগলেন যে তিনি প্রেসিডেন্টকে তার পরিকল্পনার কথা জানাচ্ছেন ,
এসব শুনে প্রেসিডেন্টের চেহারাটা যা হয়েছে দেখে তিনি ঘুমের মধ্যেই হো হো
করে হাসতে লাগলেন । ঘুম ভেঙ্গে গেল হাসির দমকে , তেই তিনি আর হাসি
থামাতে পারছেন না । তিনি হেসেই চলেছেন , মাটিতে গড়িয়ে , বিছানায় শুয়ে ,
দাঁড়িয়ে , বসে , হেটে টানা হেসেই যাচ্ছেন । প্রধানমন্ত্রী একসময় ক্লান্ত হয়ে হাসি
থামাতে বাধ্য হলেন । এর মধ্যেই হতচকিত বাড়ীর লোকেরা তার পি এস কে
জানায় , পি এস সব প্রেসিডিয়াম সদস্যকে বাড়ীতে ডেকে আনেন ।তারপর একে
একে প্রেসিডেন্ট , তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশের ডি আই জি , বিজিবি মহাপরিচালক,
এন এস আই , ডিজি এফ আই , ডিবি , এস বি প্রধানগণ প্রধানমন্ত্রীর বাড়ীতে
উপস্থিত । তিনি সবাইকে দুপুরের খাবার খেয়ে যেতে বললেন । নিজের কিছু সমস্যার
কথা নিয়ে সবার সাথে এখনও কথা বলতে চান । ঘড়িতে তখন সকাল প্রায় ৮ টা। ১৫
মিনিট সময় নিয়ে তিনি তার ছেলে ও মেয়ের সাথে খুব সংক্ষেপে কথা সেরে সবার
মাঝে ফেরত আসলেন । একটু বলে নেয়া ভাল যে রাত হলে তিনি যা যা ভাবেন দিন
হলেই সেগুলো তেমন ভাবে ভাবতে পারছেন না । তবে আজকে আর সে সমস্যা হচ্ছে
না বলেই মনে হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত । সবাইকে নিয়ে ড্রইং রুমে গাদাগাদি করে বসলেন ।
তারপর খুব শান্ত অথচ দৃঢ় কণ্ঠে তার পরিকল্পনার কথা জানালেন । পড়তে শুরু করলেন
প্রেসবিজ্ঞপ্তি । দু লাইন পড়েই প্রধানমন্ত্রী স্ক্রিপ্টটা সামনে বাড়িয়ে দিতে দিতে বললেন –
আমি ঠিক বুঝতে পারছিনা , এখানে যা লেখা আছে এগুলো আমার নিজের চিন্তা
প্রসুত কিন্তু আমি এভাবে কেন ভাবছি ? আমার পক্ষে এরকম ভাবা সম্ভব ? সবাই
হুমড়ী খেয়ে পড়লেন কি লেখা আছে দেখার জন্যে । দঃ বঙ্গের এক বর্ষীয়ান নেতা
অল্প দেখেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলেন । দ্রুত এ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে
হাসপাতাল পাঠানো হলেও তিনি যে আর বেঁচে নেই বোঝা গেল । কয়েকজন তো
রিতিমত দৌড়ে পালালেন । একটা হট্টগোলের মত পরিস্থিতি তৈরি হলে তিনি সবার
দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন । বলতে লাগলেন – এখানে যা যা লেখা আছে এ মুহূর্তে এর
চেয়ে ভাল কোন সল্যুশান নেই , এটা আপনারা অবশ্যই মানবেন । কিন্তু যেভাবে
এখানে একজন বিষয়টা সইতে পারলেন না , এভাবে দেশব্যাপী প্রতিক্রিয়া শুরু হলে
তো ভারী চিন্তার কথা । সত্যি কথা কি আমি নিজেও আমাকে নিয়ে সন্দিহান । আমার
পক্ষে এরকম ভাবা আসলেই অসম্ভব । আমার সাথে কোন ভাবেই মানানসই না ।
কিন্তু ঔচিত্যবোধ নিয়ে ভাবলে এ কথাগুলো আপনারা কেউ ফেলেও দিতে পারবেন না ।
এই ফ্যালাসী ও প্যারাডক্স আমার আত্মায় ঢুকে আছে , আমি বুঝতে পারছি আমি
আমার সত্তা হারিয়ে ফেলছি । আমার সত্তা আমার অস্তিত্ব , অস্তিত্ব হারিয়ে আদর্শে
অটল থাকা যায়না । অন্যদিকে যতই ভাল কাজই হোক না কেন আমার খোলসে অন্য
একজন ঢুকে আমাকে পরিচালনা করবে এটা মেনে নেয়া আমার পক্ষে সম্ভব হবেনা ।
প্রধানমন্ত্রী খুব আশায় ছিলেন অন্ততঃ এই দিনটাতে কেউ না কেউ তাকে দুটো কথা
বলে দুর্ভাবনা লাঘব করবে। কিন্তু রুমে পিনপতন নিস্তব্ধতা , সবাই বোবা যেন ।
এইবার শেখ হাসিনা হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন- সব হিজড়ারা আমার প্রেসিডিয়াম সদস্য ,
সব কাপুরুষেরা আমার যুদ্ধবাহিনির প্রধান , সব খোজা আর লিঙ্গহীন আমার চারপাশে
‘’’’’ বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন ।
পরের দিন পত্রিকা খুলে লোকজনের যে প্রেসবিজ্ঞপ্তিটি দেখার কথা ছিল সেটি ছাপাই
হলনা । পত্রিকার শিরোনাম – প্রধানমন্ত্রীর শারিরীক ক্লান্তি ও মানসিক অবসাদে আক্রান্ত,
উন্নত চিকিৎসার জন্যে সিঙ্গাপুর প্রেরন , প্রেসিডেন্ট সংসদ ভেঙ্গে দিয়েছেন , জরুরী অবস্থা
জারী , ৫ তারিখের নির্বাচন বাতিল , জোটের মহাসমাবেশ স্থগিত । কেউ কেউ ফিস
ফিস করে বলতে লাগল --কইছিলাম না তিনি সুস্থ মানুষ না ‘’’’’’’’’ গত দুইটা মাস যা করলেন ‘’’’’
পাশ থেকে ধমক লাগায় – তোমার ডাক্তারি বাইরাইব দেহনা মিলিটারি আব্বারা নাইমা গেছে ।
২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন:
৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
Adil বলেছেন: মোঃ আনারুল ইসলাম , একসাথে এত ইমো!!!
৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৫
Adil বলেছেন: েফরারী এই মনটা আমার , সে আপনার কথায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি, মনে হয় নিজে রাজনীতিবিদদের অপছন্দ করে । অথবা সম্প্রতি রাজনীতির ক্কারনে অপদস্থ হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১২
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: গতকাল আমি যখন আমার এক বন্ধুকে "তুই ব্যটা একনম্বর Politisian ...."বলতেই সে খুব খেপে গেল।
কারনটা কারো জানা থাকলে দয়া করে বলবেন কি ?
Click This Link