এক কাহানি....................

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩০

এই বড় মেয়েটার জন্মের আগে বাবা মা কত কি চিন্তা করে রাখছিল, মেয়েটার চেহারা কার মত হবে,নরম নরম গাল মায়ের মত হলেও হাত পা কিন্তু পুলিশ বাবার মতই হতে হবে। ছোট ছোট জামাগুলা কেনার সময় মেয়ের মুখটা বার বার চোখের সামনে ভেসে উঠছিল।



প্রথমদিনে স্কুলে যাওয়ার স্মৃতিটুকু মেয়ের মনে নাই। সকালে টিফিনের বাটিটা রেডি করে স্কুল ব্যাগটা কাধে চাপিয়ে মা হাত নাড়ল, বাবার হাতের মধ্যের আঙ্গুলটা ধরে হাটি হাটি পা পা করে মেয়েটা যখন সিঁড়ি ভেঙ্গে নামছিল, বাবার চোখেমুখে কেন জানি একটা উজ্জলতা ফুতে উঠল।



মেয়েকে ইংলিশ মিডিয়াম এ পড়াল, আধুনিক যুগের মেয়ে তো। জামা কাপড়ে,খাবার দাবার থেকে শুরু করে কোথাও কোন ঘাটতি রাখেনি বাবা মা।যা চেয়েছে তাই পেয়েছে। গতবার যখন বন্ধুদের সঙ্গে কক্সবাজার যেতে চাইল, বাবা মা মানা করতে পারেনি। এত আদরের মেয়ে, না যেতে পারলে কষ্ট পাবে।

সেবার যখন মেয়ের জ্বর আসল, পুলিশ বাবা নিজের ডিউটি ফেলে সারারাত মেয়ের ডিউটি পালন করল। মা এর কথা কি আলাদা করে বলতে হবে??? সারারাতে গুনে সাড়ে তিন মিনিটের জন্য চোখের পাতা একসাথে করছিল।



চোখের সামনে বেড়ে উঠা মেয়েটা আজ কত বড়!!! বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে সেই বাবা মাকেই খুন করে ফেলল। সাবাশ, ঐশী সাবাশ!!!!!!!!!



ইশ, খুব জানতে ইচ্ছা করে, মরার আগে সেই বাবা মা নিজের মেয়ের মুখটা দেখে কি ভাবতেছিল??? "আহারে, এই আমার মেয়ে, এই তো সামনে দাড়িয়ে আমাদের গলায় চুরি চালাচ্ছে। কি যত্ন করে চুরি দিয়ে কোপাচ্ছে"

নিজের সন্তানের হাতে কয়জন মরতে পারে,এর জন্য কপাল লাগেন,কপাল।

০ টি +০/-০