![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শরৎ, হেমন্ত বলে কথা নয়,
নয় বর্ষা অথবা গ্রীষ্মের ঐশ্বর্য ক্ষয়,
এখানে অতৃপ্ত জীবনবোধ
বার বার ফিরে আসে-
নতুন জন্ম লয়-মূলে ।
পৌষের স্তব্দ রাতে, নিরবে
কুয়াশার আত্মদানের আকুতি,
শিশিরস্নাত ভোরের গোলাপ,
চোখের কোণে প্রশ্ন-ঈষৎ অভিমান,
¬বিমূর্ত জেগে ওঠে-বিমুগ্ধ নয়ন।
ফাল্গুনে ফাগুন-দাহ হৃৎপিন্ড,
অসংখ্য ভ্রমরের গুঞ্জন,
অমৃত বিষের কাহিনী রচে।
পাঁজরে আগ্নেয় জ্বালা,
সমুদ্রের তরঙ্গ ইশারা,
নদীর বেগে প্রেরণার কাব্য-
কে এক অচেনা অতিথি-
হাতে হাত ধরে
জলের অতলে নিয়ে চলে-ডুব সাঁতারে।
শতাব্দী, শতাব্দী ধরে- এখানে
বেহুলার ভেলায় পাল ওঠে ফোলে!
ক্লান্ত পাখির পাখা- নিঝুম ঘুম,
বিশ্ব চড়াচড়ে শান্ত প্রকৃতি,
আকাশ-জমিনে জোৎস্নার হাট,
তারার আলো ঝুলন্ত লণ্ঠন,
চাঁদের ঠোঁটে স্মিত হাসি-কাছে ডাকে
কল্পলোকের পরীর মতন।
মৌন বিলাসে-এসো বন্ধুরা
স্নিগ্ধ আলোর স্নেহ-নিমন্ত্রণে;
চিরকাল ভোর-বিকেল-দুপুর
চিরকাল-চেনা শ্যামলী আমার
জলার ধারে হাটে খালি পায়ে।
কলমীলতা, শাপলার ঝিলে
ভাসমান হাঁসের ডানায়,
সোনালী রোদ্দুরে ছবি আঁকে।
-জলছবি তার দোলে ঊর্মীর কোলে;
কচুরী ফুলের পাপড়ী রংয়ের চোখ
চিরকাল কাঁপে মৃদু হিল্লোলে।
©somewhere in net ltd.