![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অরুনাস্তের সন্ধিক্ষণে ম্লান মুখো চাঁদ
ক্রমশ তীব্র হয়ে ওঠে অতপ্ত তেজে।
আজন্ম তার অন্ধকারে ভয়Ñ
লয়-বিলয়ের দ্বৈরথের তরী ঠেলে
প্রসূতির কোলের শিশুর মতো তিলে তিলে
বেড়ে ওঠে সময়ের হাত ধরে।
চঞ্চল সর্তকতায়, ছমছমে পদক্ষেপ তার
ধীরে ধীরে ধেয়ে আসে
পূর্ণিমার মঞ্চে, সংগ্রামী সাফলতায়।
অরুনাস্তের সন্ধিক্ষণে,
ছাই রংয়ের আকাশের তলে
জাগতিক জগত পেয়ে যায় এক প্রেরণার পাঠ।
কবেকার এই ইতিহাস!
ঘটনার কালস্রোত দূর্যোগ ঘটায় হঠাৎ
ক্ষয়িঞ্চু চাঁদে- শীতল রক্তের প্রাণির আদলে
বুকে ভর করে তেড়ে আসে শ্বাপদের ছোবল।
ধবল হৃদয় তার লোপে নেয় অমাবশ্যার খাঁদ!
আবার অরুনের নরক চিতায় জ্বলে
উত্তাপ নয়, করে আলো আহরণ।
এ যেন জন্ম জন্মান্তরের সাধÑ
আধাঁরে আলো জ্বালাবার পণ
সেই অরুনাস্তের সন্ধিক্ষণ
চেনা সেই ম্লান মুখো চাঁদ
ক্রমশ তীব্র হয়ে ওঠে অতপ্ত তেজে।
কি যে এক জীবন বোধ কাজ করে,
ছাই রংয়ের আকাশ আর চাঁদের অন্তরে!
অরুনাস্তে একাকী একবার, ম্লান মুখো চাঁদ,
আমাকেও দিল অমৃত জীবন সুধার কাব্য উপহার।
©somewhere in net ltd.