নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এমএম মিন্টু ব্লগার

আমার সোনার বাংলা , আমি তোমাই ভালবাসি । চিরদিন তোমার আকাশ, চিরদিন তোমার আকাশ, চিরদিন তোমার বাতাস, আমার প্রাণে ও মা, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি, আমার সোনার বাংলা , আমি তোমায় ভালবাসি ।। ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রানে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে,,,,, ও মা,

এমএম মিন্টু

সাধারন লেখক জাতীয় সংঙ্গীত আমার সোনার বাংলা , আমি তোমাই ভালবাসি । চিরদিন তোমার আকাশ, চিরদিন তোমার আকাশ, চিরদিন তোমার বাতাস, আমার প্রাণে ও মা, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি, আমার সোনার বাংলা , আমি তোমায় ভালবাসি ।। ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রানে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে,,,,, ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রানে পাগল করে, ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে কি দেখেছি আমি কি দেখেছি মধুর হাসি । আমার সোনার বাংলা , আমি তোমায় ভালবাসি ।। কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো,,,,,,,,,,,, কী আচল বিছায়েছে বটের মূলে, নদীর কূলূ কূলে। মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সূধার মতো, মরি হায়, হায় রে,,,,,,,,,,, মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সূধার মতো, মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, আমি নয়ন ও মা,আমি নয়নজলে ভাসি।। আমার সোনার বাংলা , আমি তোমায় ভালবাসি ।।

এমএম মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ লাইলী মজনু প্রেমের কাহিনী শেষ পর্ব

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৯


লাইলী মজনুর প্রেমের প্রথম অংশ প্রথম অংশ পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
মজনুর বাবা লাইলীর পায়ের ধুলো এনে যখন মজনুর চোখের নিচে দিয়ে লাগিয়ে দিলেন তখন থেকে মজনু কান্না বন্ধ করে দিলেন কারন কাদঁলে যদি লাইলীর পায়ের ধুলো মুছে যায় তাই মজনুর কান্ন বন্ধ ।

এখন আর মজনু না কাদঁলেও তার হাতের ধারালো নখ দিয়ে তার বুকের মাংস খুবলে নেওয়া শুরু করল ।

মজনুর বাবা আমীর সাহেব লাইলীর বাবার কাছে গেলেন লাইলী ও মজনুর সাথে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে কিন্তু লাইলীর বাবা মালিক কিছুতে এ বিয়েতে রাজি হলেন না । লাইলীর বাবার একটি কথাই মজনু একজন উম্মাদ আর কোন বাবায় জেনে শুনে তার মেয়েকে কোন উম্মদের সাথে বিয়ে দিবে না । তখন মজনুর বাবা লাইলীর বাবাকে বল্লেন আজ মজনু উম্মাদ লাইলীর জন্য তাই লাইলর সাথে মজনুর বিয়ে হলে মজনু সুস্থ হয়ে যাবে। এবং মজনুর বাবা লাইলীর বাবাকে আর বল্লেন যদি মালিক তার কন্যাকে মজনুর সাথে বিয়ে দেন তাহলে মজনুর বাবা লাইলী বাবাকে বহু মূল্যের রজত কাঞ্চন দেবে ,দাস দাসী দেবে,দুইশ উট দিবে পাচশ ষাড় দিবে এবং পঞ্চাশটি হাতি দিবে উপহার হিসেবে। অনেক বোঝানর পরে লাইলীর বাবা বিয়েতে রাজি হোলেন।

মজনুর বাবা মজনুকে চুল নখ কাটিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে যখন লাইলীদের বাড়ি নিলেন তখন মজনু লাইলীদের বাড়ির কুকুর টিকে বুকে টেনে নিয়ে চুম্মন করল আর তা দেখে লাইলী বাবা আবার মজনুর বাবাকে না করে দিল যে মজনু অনেক উম্মাদ তাই তার সাথে লাইলীকে বিয়ে দেবেন না ।

এর মধ্যে লাইলীর মা লাইলীকে জোড় করে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দিবেন বলে লাইলীকে জানান আর এ কথা শোনার পরে লাইলী তার মাকে বলে দিল মা এ জীবন যৌবন ও সতীত শুধু একজনের আর তা হোল মজনুর ।লাইলী তার মাকে আর বল্ল মা এক রাজ্য যেমন দুই রাজা থাকতে পারে না তেমন এক নারীর মনে দুটি পুরুষ স্থান পায় না । কারন মা তোমার মেয়ে মনে প্রাণে শুধু মজনুর আর বিয়ের কথা বলছো সে অনেক আগেই মজনুর মনের সাথে লাইলীর মনের বিয়ে হয়ে গেছে ।


তার পরেও লাইলীর বাবা মা লাইলীকে জোড় করে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দেন কিন্তু লাইলী বিয়েতে বাধ্য হোলেও সে মনে প্রাণে মজনুকে স্বামী বলে মনে করেন ।

তাই লাইলীর বাবা মা জোড় করে যে ছেলেটির সাথে লাইলীকে বিয়ে দিলেন সেই ছেলেটিকে লাইলী বাসর ঘরে তার পা দিয়ে আঘাত করলে ছেলেটি লজ্জায় লাইলীকে ত্যাগ করে চলে যান ।


বনে জংঙ্গলে গুরে বেরায় মজনু একদিন হঠাৎ স্বপ্নে লাইলীকে দেখতে পান আর ঘুম ভাংঙার পরে মজনু সত্যসত্য লাইকে দেখতে লাইলীদের বাড়িতে যান । মজনুকে দেখে লাইলীদের বাড়ির দারোয়ান তাকে আঘাত করতে যায় তখন মজনু তার হাতদিয়ে দারোয়ানের আঘাত ফেরান ।


ঘটনাক্রমে অন্য এক রাজ্যের রাজা নয়ফলরাজ নামক রাজা যানতে পারলো লাইলী ও মজনুর প্রেমের কথা তখন নয়ফলরাজ মজনুকে ডেকে নেওয়ায় এবং নয় ফলরাজ মজনুকে কথা দেয় অবশ্যই লাইলীকে তার কাছে এনে দেবে বলে ।


নয়ফলরাজ লাইলীর বাবার কাছে পত্র লেখে অতি শিগ্রই যেন লাইলীর সাথে মজনুর বিয়ের ব্যবস্থা করা হয় এবং মজনুর সাথে লাইলীর বিয়ে দেয় না হোলে নয়ফলরাজ লাইলীর বাবার সাথে যুদ্ধ করবে বলে পত্র পাঠিয়ে দিলেন । কিন্তু তাতে কোন লাভ হোল না লাইলীর বাবা পত্র লেখলেন তারাও তার থেকে কম নয় তারা নয়ফলরাজের সাথে যুদ্ধ করবে কিন্তু লাইলীকে মজনু সাথে বিয়ে দেবে না বলে পত্র লেখে নয়ফলরাজের কাছে পাঠিয়ে দিলেন ।


পরে নয়ফলরাজ তার সৈন্য নিয়ে হামলা বা যুদ্ধ করলেন লাইলীর বাবার সাথে এবং সে যুদ্ধে রাজা নয়ফলরাজের জয় লাভ হোল ।নয়ফলরাজ সে যুদ্ধে জয় লাভ করে লাইলীকে মজনুর সাথে বিয়ে দেবে বলে সাথে করে নিয়ে আছে।


কিন্তু নফলরাজ মজনুর জন্য যুদ্ধকরে লাইলীকে জয় করলেও যখন সে লাইলীর রুপ দেখল তখন সে নিজেই লাইলীর রুপে পাগল হয়ে গেল এবং সে চাইলো কৌশলে মজনুকে বিষ পান করিয়ে মেরে ফেলতে কিন্তু এখানে ভাগ্যের কি নি দারুন খেলা রাজা নয়ফলরাজ যে কর্মচারিকে বলে মজনুকে বিষ দিতে আর তাকে মধু দিতে বলে সে কর্মচারি ভুল করে রাজা নয়ফলরাজকে বিষ দেয় আর মজনুকে দেয় মধু আর তাতে নয়ফলরাজার মৃত্যু হয় ।


অবশেষে সেখান থেকে আবারও লাইলীর পিতা মাতা লাইলীকে নিয়েচলে গেলেন ।

রাত্রি বেলা লাইলী একা ঘরে শুয়ে আছে সে যৌবনে জ্বালায় কাতর তাই তার এক সখীকে ডেকে এনে দুজনে কথা বলে রাত্রি পাড় করতে চাইছেন সে সময় লাইলী তার সখীর হাতে হাত রেখে বললেন সখীগো লাইলীর মনে যৌবন জোয়ার জেগেছে । রতি জেগেছে অথচ প্রেমিক নেই । এ দশা অসহ্য । বিষাক্ত নাগিনী ছোবল মারলে বিষে যেমন শরীর জর জর তেমনি যৌবনাবেগের জ্বালায় লাইলী কাতর ।

লাইলীর মা পর দিন সকালে আবার লাইলীর সামনে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলেন । লাইলী তার মাকে বলে দিলেন হয় মৃত্যু না হয় মজনুর সাথে মিলন এ দুটি ছাড়া লাইলীর জীবনে আর কিছু প্রয়োজন নাই ।

লাইলীরা স পরিবার যাচ্ছিলেন বনের পাশ দিয়ে সেখানে লাইলীদের উট অসুস্থ হয়ে পড়াতে লাইলী পরিবারের সকলের চখু আরালে যান মজনুকে দেখতে লাইলী বনের এক কোনে দেখতে পান মজনু মৃত মানুষের মত অসচেতন হয়ে পড়ে আছে । লাইলী দৌড়ে মজনুর কাছে গেল এবং সে মজনুকে ডাক দিল । লাইলীর ডাকে মজনু চেতন হোলেন । মজনুকে লাইলী বললেন তুমি আমাকে বিয়ে কর এবং বিয়ের পরে আমাকে তোমায় সেবা করার সুযোগ দেও । তাতে আমাদের দুজনের সুখ শান্তি ফিরে আসবে । মজনু লাইলীকে বল্লো গোপনে যদি তোমাকে আমি বিয়ে করি আমাদের সে বিয়ে এ সমাজের কেউ যে মেনে নিবে না লাইলী ।এ সমাজ আমাকে শাশ্তি দিবে । তাই বলে মজনু লাইলীকে প্রত্যাখ্যান করলো ।

অবশেষে লাইলী মজনুর বিরহে মৃত্যু বরণ করলেন । লাইলীর মা লাইলীকে গোলাপ জ্বলে শেষ গোছল করিয়ে দিয়ে লাইলীর শরীরে চন্দন দিয়ে সাজিয়ে কাফন পড়ালেন । মিত্যুর আগে লাইলী তার মাকে বলেছেন লাইলীর মৃত্যুর পড়ে যেন লাইলীর মিত্যুর সংবাদ মজনুকে দেওয়া হয়। তাই লাইলীর মা বনে গিয়ে লাইলীর মত্যুর সংবাদ মজনুকে দিয়ে মেয়ের শেষ অনুরোধ রাখলেন ।

লাইলীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে মজনু বনে থেকে চলে গেলেন লাইলীদের এলাকায় আর সেখানে মজনু ছোট বড় সকল মানুষের
কাছে লাইলীর কবরের সন্ধান চাইলে সকলে মজনুকে বলে মজনু যদি লাইলীকে সত্যই ভালবাসে ও লাইলী মজনুর প্রেম যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে লাইলীর কবর মজনু নিজেই একা একা খুজে বাহির করতে পারবে । সত্য সত্য তাই হলো মজনু একা একায় লাইলীর কবর খুজে পেল এবং লাইলীর কবরে মথা রেখে মজনু শেষ নিঃশেষ ত্যাগ করেন ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: অসাম এক গল্প...............

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.