নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন ও সমাজ নিয়ে আমার ভাবনার ভিত্তি মূলত দর্শনশাস্ত্র, বিশেষত স্টোয়িক দর্শনের ওপর গঠিত। আমি বিশ্বাস করি আত্মনিয়ন্ত্রণ, প্রজ্ঞা, এবং চারিত্রিক দৃঢ়তা একজন মানুষের প্রকৃত শক্তির উৎস। আমি একজন সেকুলার মানুষ—যে যুক্তি, মানবিকতা ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিকে

প্রগতি বিশ্বাস

মুক্ত পথিক

প্রগতি বিশ্বাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতিতে বিষোদগারের সংস্কৃতি ও ড. ইউনূসের শাসনকাল: এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের পূর্বাভাস

০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৬

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিষোদগারের চর্চা নতুন নয়। শেখ হাসিনার শাসনামলে যেমন এই অপসংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছে, তেমনি পূর্ববর্তী সময়েও নেতিবাচক বক্তব্য, ব্যক্তিগত আক্রমণ ও চরিত্রহননের রাজনীতি ছিল। তবে তখনও মতাদর্শের চর্চা ও ন্যূনতম সৌজন্যবোধ কিছুটা রক্ষিত ছিল।


কিন্তু ২০২৫ সালের জুলাইয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তথাকথিত "জনতার সরকার"-এর ঘোষণাপত্রে একটি বিপজ্জনক মোড় দেখা যায়। এতে আওয়ামী লীগকে 'দুর্নীতিগ্রস্ত', 'স্বৈরাচারী' ও 'জাতির জন্য অভিশাপ' বলে আখ্যায়িত করা হয়। এটি কেবল রাজনৈতিক সমালোচনা নয়, বরং একটি দলের ঐতিহাসিক ভূমিকাকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিষোদগারের চেষ্টা। এই ভাষা রাজনৈতিক মেরুকরণকে তীব্রতর করেছে, যা ইতিহাসে বিরল।

ড. ইউনূস ক্ষমতায় আসার পর বিষোদগার ও চরিত্রহননের কৌশল রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে। এখন বিরোধীদের যুক্তি দিয়ে পরাস্ত করার চেয়ে হেয়প্রতিপন্ন করাই লক্ষ্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচকদের বিরুদ্ধে গুজব, হুমকি ও ট্রল ছড়ানো রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে মুক্ত মতপ্রকাশ, গণতান্ত্রিক বিতর্ক ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা কোণঠাসা

ড. ইউনূসের শাসনকালে বিষোদগারের মাত্রা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তিনি ও তাঁর সহযোগীরা প্রতিপক্ষকে কেবল মতবিরোধী নয়, ব্যক্তিগত আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছেন। গণমাধ্যম থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বক্তৃতায় ভাষার শালীনতা লোপ পেয়েছে। অপমান, বিদ্বেষ ও প্রতিশোধস্পৃহাই যেন রাজনীতির মূল ভাষা হয়ে উঠেছে।


এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ৫০ বছরেও বাংলাদেশের রাজনীতি সুস্থ ধারায় ফিরবে না। আদর্শ ও যুক্তিভিত্তিক বিতর্কের স্থলে যদি বিদ্বেষ প্রধান হাতিয়ার হয়, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রাজনীতিকে সম্মানজনক পেশা বা জনসেবার মাধ্যম হিসেবে দেখবে না।

এ থেকে উত্তরণের জন্য প্রগতিশীল চিন্তাবিদ, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথা, বিষোদগারই হয়ে উঠবে আমাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের একমাত্র প্রতীক।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:১৮

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: সহমত প্রকাশ করি ।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২১

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৭

রবিন.হুড বলেছেন: সঠিক বিশ্লেষণ। এই সত্য কথা বলা বড়ই কঠিন।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২২

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: শুভ কামনা রইলো

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিষোদগারের পলিটিক্স লিগ কম করেনি। সবাইকে গণহারে টেগ দিয়েছে। সামাজিক ভাবে হেয় করেছে। ডিজিএফআই দিয়ে তুলে নিয়ে গেছে । এখন যারা এসব কাজ করছেন তারা কেবল শেখ হাসিনার দেখানো পথেই হাটছেন।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করছি না কিন্তু ইউনূসের অন্তত: উচিৎ ছিলো এই ধারা থেকে দেশটাকে বের করে আনা।

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: এই ঘোষনাপত্র অন্তবর্তী সরকারের তৈরী নয়। যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে ঘোষনাপত্রে তাতে না আছে শিক্ষার ছাপ না আছে আইনি ভাষার প্রয়োগ। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করা ব্যক্তিরা বানিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে এই ঘোষনাপত্র।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: উনাকে করতে দেওয়া হচ্ছে না ও হবেও না। এই জাতির জন্য উনি শোভা পায় না।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৪৯

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: কিন্তু উনি সব সময় হাসিনাকে নিয়েই থাকেন।

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:১৩

কামাল১৮ বলেছেন: ইউনুস নিজের কিছু স্বার্থ এবং ব্যক্তিগত প্রতিহিংসাই চরিতার্থ করছেন তার বেশি কিছু না।এই আপদ যত তাড়াতাড়ি বিদায় হয় সেটাই জাতির জন্য মঙ্গল।আমেরিকার স্বার্থ কতটা দেখতে পারছে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে তার থাকা ও চলে যাওয়ার জন্য।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৫০

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: তার বাইরে আমিও কিছু দেখিনা।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৫৬

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: কামাল ভাই এর সাথে সহমত পোষণ করছি। সে আমিরিকার স্বার্থ উদ্ধারে এসেছে। বাংলাদেশের জন্য নয়।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৫২

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: “সে আমিরিকার স্বার্থ উদ্ধারে এসেছে। ” হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: ইউনুসের পাসে এই মেয়েটি কে?

০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:১৩

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: ঐ মেয়েটি অবশ্যই আওয়ামীলীগকে বিষোদগার করেছে কিনা আমি জানি না

৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:২৪

নিমো বলেছেন: @রিফাত হোসেন, উনাকে করতে না দেয়ার মত বুকের পাটা কার আছে। নিজের কর মওকুফ, মামলা সরানো, ব্রয়াক, গ্রামীন সহ সব এনজিওকে সুবিধা দা, হিজবুত, জা-শি, ছ্যাঁচড়া পার্টিকে কোলে নিতে অসুবিধা হয় না, খালি কাজের কাজ করতে হলে করতে দেয়া হয় বললে চলবে। মার্কিন যুক্তরাস্ট্র তার সাথে, তিনি নিজেই বলে বসলেন তিনি আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়, ডাস্টবিন শফিক বললো জা-শির মত রাজনীতি সবার করার দরকার, নাহিদ আগামীর প্রধানমন্ত্রী। আপনি, ইফতেখারের মত চামচাদের কারনেই উনি সম্ভবত কাজ করতে পারছেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.