নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উর্বোশী অাপুর কাছে খোলা চিঠি
অনিকেত নাচার
শুভ কামনা দিয়ে শুরু করলাম। সারা জীবন অনিয়ম অার বিশৃংখলার অারাধনা করে থাকি তার লেখার নিয়ম বা বাঁধন খুজতে এসোনা। অামি প্রাপ্তিতে যতটুকু খুশি হয় হারানোতে তার চেয়ে অামি বেশি বেদনা অনুভব করি। তাই হারানোর যন্ত্রনা থেকে লেখার অায়োজন। অাপন রক্তের অবিচ্ছেদ্য বোনকে হারিয়ে যখন প্রায় দিশেহারা ঠিক তখনই উর্বশী নামের একজন মায়াবতী অাপুর সাথে অামার পরিচয়। চিরন্তন বিশ্বাসের নির্মল সম্পর্কের স্বর্গীয় সৌন্দর্য্যের স্নিগ্ধ পরশে সম্পর্ক গভীর হতে গভীরতর হয়। পরম নির্ভরতা অার নিবিড় অাস্থার শিকড় হৃদয়ের গহীন হতে গহীনতম প্রদেশে পৌঁছে যায়। ভালোলাগার নিবিড় অনুভব ভাই বোনের সম্পর্ক অতিক্রম করতে চাইলেও মনের বৃত্ত ভেঙ্গে মুখে প্রকাশ করতে পারেনা। স্বপ্নরাজ্যে সংগোপনে কল্পনার বাসর রচনা করতে থাকে। বাঁধভেঙ্গে জোয়ারের মত প্লাবিত হতে থাকে দু'টি হৃদয়। যৌবনের দূরন্ত টগবগে রক্তের স্পন্দন ঢেউ খেলে যায় দু'টি প্রানের স্পর্শিত অনুভূতিকে। স্বপ্ন সংসারে তন্বী ও স্বার্থক দুটি সন্তানের মুখোছবি দেখতে থাকে উর্বশী অার তমাল। কল্পনার কোন রঙ না থাকলেও কল্পনার রঙ তুলিতে উর্বশীর সাথে তমাল সংসার ধর্ম অাবিস্কারের অভিসারে ব্যস্ত। উবর্শী অাপুও হয়ত প্রত্যাশার বেলুন উড়ায় মনের অাকাশে। একদিন তমাল উর্বশী অাপুকে বলেই ফেলল অাপু তোমার বিয়ে হয়ে গেলে এমন ভাবে কথা বলতে পরবে তো? উর্বশী বলল কেন তমাল ? হঠাৎ এমন কথা । অামরা তো বেশ অাছি। শূন্যতার মাঝে অামি পূর্নতার গান শুনি। তাহলে বলতে পার অাপু কেন অাবেগের প্রবল বৃষ্টিতে হৃদয় ভিজে যায়। উর্বশী বলল বন্ধু হলে উত্তরটা মনের মাধুরী মিশায়ে দিতে পারতাম। তাহলে কি অামরা বন্ধু হতে পারিনা, অাপু? উর্বশী বলল না পরিনা। কিন্তু কেন? কারন অামাদের সম্পর্ক বন্ধুত্বের পটভুমিতে রচিত হলেও অামরা নিষ্পাপ থাকতে পারতাম না। কিন্তু উর্বশী অাপু, বোন বন্ধু হতে পারে অার বন্ধু বউ হতে পারে? উর্বশী অাশ্চান্বিত হয়ে বলল কি বললে তমাল অাবার বলতো শুনি ! তমাল বলল কিছুনা অাপু। কৌশলে উর্বশী তমালকে বলল এ কথার অর্থ যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষন করতে না পারলে তোমার সাথে কথা বলব না। ভীষন চিন্তায় পড়ে যায় তমাল। কথা বলেনা উর্বশি। মনোমত কোন যুক্তি খুজে পায়না তমাল। মনে পড়ল যুক্তিবাদি বন্ধু দিদারের কথা । বিষয়টি দিদারের কাছে খুলে বলল। দিদারের যুক্তি তমাল উর্বশীর নিকট হুবহু উপস্থাপন করতে না পারলেও বলল অাচ্ছা অাপু, বাঁকা চাঁদ অাপন পরিক্রমায় এক সময় পরিপূর্ন জ্যোস্নার স্নিগ্ধ মাধূর্য ছড়ায়। এই পরিপূর্ন জ্যোসনা অার চাঁদের মধুর মিলনকে যদি অামরা প্রনয় হতে পরিনয় সম্পর্কের সাথে তুলনা করি তাহলে কি অর্থ দাঁড়ায়? অর্থাৎ অাত্নিক অার দৈহিক মধুর স্বর্গীয় এই মিলন রাজ্য থেকে বেরিয়ে অাসা য়ায় কি? মনে হয় যায় না। তাই হয়ত শুরুতে সফল পরিণতির বিচারে বোন বন্ধু স্ত্রী হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু স্ত্রী হওয়ার পর কখনই বোন হওয়া যায়না। এটা তুমি বিশ্বাস কর অার নাই কর অাপু, অামার অার বলার কিছুই নেই। উর্বশী বলল তাহলে কি অামি ধরে নিব তমাল তুমি ভিতরে ভিতরে অনেকটাই এলোমেলো হয়ে গিয়েছো ? নিরবতার প্রতিত্তর ভাষার প্রকাশ উর্বশী প্রথম উপলদ্ধি করল। তমালও সংশয়ের খোলশ সন্তর্পনে ঝেড়ে ফেলে বলতে লাগল অাপু, অামার সমস্ত চিন্তা চেতনার অস্তিত্ব জুড়ে তোমার বিস্তার বিচরণ অাপু। অামার সকল চাওয়া পাওয়া তোমাকে ঘিরে। মনের বাগানে ফোটা অাশার শুভ্র গোলাপ তুমি। এরপর হতে তমাল অার উর্বশী ভালবাসার স্বপ্ন সুতোয় বুনা বিশ্বাসের চাদরে বাসর শয্যা রচনার অভিপ্রায়ে ব্যস্ত। তমাল অার একটু গুছিয়ে নিতে চায় কিন্তু উর্বশী সময় দিতে রাজিনা। তমাল উর্বশীকে যুক্তির মালা পরিয়ে বিদেশ চলে যায়। বিদেশে তমাল প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনা। দেশেও ফিরে অাসতে পারে না। মা বাবাকে নি:স্ব করে বিদেশ গিয়েছিল তমাল। সময়ের পরিধি যতই দীর্ঘ হতে থাকে তমালের প্রত্যাশার বেলুন ততই চুপসে যেতে থাকে। উর্বশীর সাথে সম্পর্কও ততই টানা পোড়নের দিকে এগোতে থাকে। হৃদয়ের অকৃত্রিম অনুভূতিগুলো কৃত্রিমতার রঙ মাখতে মাখতে শিথিল হয়ে যায়। উর্বশী এক সময় ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গার শেষ সীমান্তে দাঁড়িয়ে তমালকে বলে তুমি ছ'মাসের মধ্যে দেশে এসে অামাকে তোমার বউ করে নিয়ে না যাও অথবা রেখে না যাও তাহলে অামি অামার বাবা মায়ের পছন্দের পাত্রের কাছে নিজেকে সমর্পন করব। তমালের সংগ্রামী শেষ প্রচেষ্টা নিস্ফল হয়ে যায়। হার না মানা উর্বশী হার মেনে সব পরাজয়ের মালা বরণ করে নেয়। ওদিকে মহৎ একটি কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ তমাল গ্রীণ কার্ড পায়। ছ'মাস পর উর্বশীর মোবাইল নং বন্ধ হয়ে যায়। অনেক অাশায় দেশে অাসে তমাল। ততদিনে যা হবার তাই হয়ে গেছে। অাশা ভঙ্গের নিস্ফল বেদনায় কাতর হয়ে তমাল অাবার বিদেশ চলে যায়। তমালের শূন্য জীবনে একটাই প্রত্যাশা উর্বশীর ফিরে অাসা। তমাল জানেনা উর্বশী তার জীবনে কোনদিন ফিরে অাসবে কিনা। অাবার অাপু হয়ে হলেও ফিরে অাসার প্রতীক্ষায় তমাল প্রহর গুনে। অপেক্ষার প্রহর কষ্টের হলেও তমাল কষ্টের মাঝে বেঁচে থাকতে চায় অন্ততকাল।
০১৮১৩৭৮৫২৭৩
২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫
ANIKAT KAMAL বলেছেন: ভাই কেন অামার মত অপদার্থ মানুষের লেখা পড়ে সময়ের অপচয় করেন! অাপু অার কি বলবে বলুন, সময়ের পরিবর্তনে মানুষের পরিচিতির সাইন বোর্ড বদলে গেলে মানুষ ও বদলে যায়???
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: উত্তরে আপু কি কিছু বলে ছিলেন?