নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অণু । বাবা - মা ডাকে অনিক বলে । নিজের সম্পর্কে বড় করে পরিচয় দেবার মতো কোন যোগ্যতা এখনো তৈরি করে উঠতে পারি নাই । কিছুদিন অনুরাগ ছদ্মনামে সামাজিক মাধ্যমে লেখালিখি করেছি , এখন নিজের প্রকৃত নামেই লিখছি । সঙ্গতকারণে পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয় , পরিবারের সদ

আশফিকুর রহমান অণু

আমি অণু । বাবা - মা ডাকে অনিক বলে । নিজের সম্পর্কে বড় করে পরিচয় দেবার মতো কোন যোগ্যতা এখনো তৈরি করে উঠতে পারি নাই । কিছুদিন অনুরাগ ছদ্মনামে সামাজিক মাধ্যমে লেখালিখি করেছি , এখন নিজের প্রকৃত নামেই লিখছি । সঙ্গতকারণে পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয় , পরিবারের সদস্যদের তেমন খুব একটা কাছে পাওয়ার সুযোগ হয় না আর ব্যক্তিগত জীবনেও খুব একটা ভালো কোন বন্ধু- বান্ধব বন্ধু নেই; যে বা যার যা যাদের সাথে নিজের কথা গুলা বলে হালকা হতে পারি । খুব একা থাকতে থাকতে আমি হাঁপিয়ে উঠেছি । তাই সেই চিন্তাবোধ - বিবেক তাড়না থেকেই নিজেকে হালকা সহজ করার প্রয়াসে ব্লগ লেখার চেষ্টা শুরু করা মাত্র । অবসর সময়ে কবিতা লিখে সময় কাটাই নয়তো একাই নিজে নিজের ম তো করে দূর দূরান্তে পায়ে হেঁটে ঘুরতে বেরিয়ে পরি ।

আশফিকুর রহমান অণু › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুধুই ছাগলপ্রীতি !!!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১১

#ছাগলপ্রীতি (সত্য ঘটনা অভিজ্ঞতার আলোকে)
মাংসের দোকানের সামনে গেছি খাসির মাংস কেনার জন্য । দোকানের সামনে খুব একটা ভীর নাই, আশে পাশে মিলিয়ে কসাই আর আমি সহ লোক বাকি আরও তিন জন । মোট ৫ জন । কসাইর দোকানের সামনে কয়েকটা ছাগলের বাচ্চা বেঁধে রাখছে । আমি দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া ছাগলের ম্যা ম্যা ডাক মনোযোগ দিয়ে শুনতেছি আর কসাইর মাংস কাটা দেখতেছি । খাসির মাংসের দোকানের পাশেই একটা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট থেকে (সম্ভবত) খাওয়া শেষ করে এক সাদা চামড়ার বিদেশী বের হয়ে দাঁড়ালো । তার কিছু দুরেই আমাদের দেশি একটা মেয়ে নানা ভঙ্গিতে সেলফি তুলতেছে । মেয়ের কাহিনী দেখে বুঝলাম, মেয়েটার একটু ন্যাকামি সভাব আছে । হুট করে মেয়ে টা কাকে যেন Hii (হায়) Capra aegagrus hircus বলেই দোকানের সামনে বেঁধে রাখা একটা ছাগলের বাচ্চাকে এসে জড়িয়ে ধরে আপন মনে পুনরায় সেলফি তুলতে লাগলো । আমি তো প্রথমে মনে করলাম যে নামটা মেয়ে উচ্চারণ করছে ওটা হয়তো পাশে দাড়িয়ে থাকা বিদেশীর নাম হবে হয়তো । যদি সেটাই হয় তাহলে মেয়েটার দৌড়ে যেয়ে বিদেশী টাকে জড়িয়ে ধরার কথা কিন্তু সেটা না করে মেয়ে ছাগলকে জড়িয়ে ধরলো কেন ? আমার মাথায় তখন কোটি টাকার এই প্রশ্ন ঘুরতেছে , আমি হিসাব মেলাতে চেষ্টা করতেছিলাম আসল ঘটনা কি ? লক্ষ্য করলাম যে "মেয়ের এই দৌড়ে ছাগলকে জড়িয়ে ধরার ব্যাপার টা পাশে দাড়িয়ে থাকা বিদেশী ও আড়চোখে নজর দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করছে" যে কাহিনী কি ? কেমন যেন একটা রহস্যর গন্ধ পাচ্ছিলাম তাই ভাবলাম দেখবো এই কাহিনীর শেষ কোথায় ঘটে । কিছুক্ষণ পর ব্যাচারা বিদেশী কার যেন একটা ফোন কল আসায় রাস্তার অন্য দিকে চলে গেলো (হয়তো ব্যাচারার বউ এর কল হবে) । তখনো মেয়ে বার বার সেই একই শব্দ বলে যাচ্ছে Capra aegagrus hircus (ক্যাব্রা এগ্রাহারকাস) । সেলফি তোলা শেষ তো মেয়েও এক মুহূর্তেই পার্কিং করা গাড়িতে চড়ে হাওয়া হয়ে গেল , আর আমার জানা হল না যে আসলে মেয়েটার বার বার ক্যাব্রা এগ্রাহারকাস বলা শব্দ টার মানে কি ? আমি ঠায় ছাগল ব্যাচারার মতো ছাগল হয়ে সেখানেই মাংসের থলে হাতে নিয়ে দাড়িয়ে রইলাম । আমায় মনে মেয়েটির ব্যাপারে তখনো দারুণ কৌতূহল । বাসায় এসে কি মনে করে যেন "ক্যাব্রা এগ্রাহারকাস" (Capra aegagrus hircus) লিখে গুগলে সার্চ দিতেই গুগল মামা দেখাল যে "Capra aegagrus hircus means the scientific name of goat" মানে হল (ক্যাব্রা এগ্রাহারকাস ছাগলের বৈজ্ঞানিক নাম)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭

নয়া পাঠক বলেছেন: ওফ্ আপনার ছাগল হওয়ার গল্পটাতো পড়ে হাসি ধরে রাখতে খুব কষ্ট হচ্ছিল, কারণ অফিসে আছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.