নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অণু । বাবা - মা ডাকে অনিক বলে । নিজের সম্পর্কে বড় করে পরিচয় দেবার মতো কোন যোগ্যতা এখনো তৈরি করে উঠতে পারি নাই । কিছুদিন অনুরাগ ছদ্মনামে সামাজিক মাধ্যমে লেখালিখি করেছি , এখন নিজের প্রকৃত নামেই লিখছি । সঙ্গতকারণে পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয় , পরিবারের সদ

আশফিকুর রহমান অণু

আমি অণু । বাবা - মা ডাকে অনিক বলে । নিজের সম্পর্কে বড় করে পরিচয় দেবার মতো কোন যোগ্যতা এখনো তৈরি করে উঠতে পারি নাই । কিছুদিন অনুরাগ ছদ্মনামে সামাজিক মাধ্যমে লেখালিখি করেছি , এখন নিজের প্রকৃত নামেই লিখছি । সঙ্গতকারণে পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয় , পরিবারের সদস্যদের তেমন খুব একটা কাছে পাওয়ার সুযোগ হয় না আর ব্যক্তিগত জীবনেও খুব একটা ভালো কোন বন্ধু- বান্ধব বন্ধু নেই; যে বা যার যা যাদের সাথে নিজের কথা গুলা বলে হালকা হতে পারি । খুব একা থাকতে থাকতে আমি হাঁপিয়ে উঠেছি । তাই সেই চিন্তাবোধ - বিবেক তাড়না থেকেই নিজেকে হালকা সহজ করার প্রয়াসে ব্লগ লেখার চেষ্টা শুরু করা মাত্র । অবসর সময়ে কবিতা লিখে সময় কাটাই নয়তো একাই নিজে নিজের ম তো করে দূর দূরান্তে পায়ে হেঁটে ঘুরতে বেরিয়ে পরি ।

আশফিকুর রহমান অণু › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ যেন আর এক লজ্জা

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৩

প্রিয় স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন,
আপনার ক্ষুরধার মস্তিষ্ক আমাদের গর্ব করবার মত একটা স্মৃতিসৌধ উপহার দিয়েছিল। আমরা আপনাকে একটি যন্ত্রণাদায়ক জীবন ও মৃত্যু উপহার দিয়েছি। আপনার মৃত্যুদিন আমরা ভুলে গেছি। গুগল নিউজের গত কয়েক দিনের হিস্ট্রি ঘেঁটেও বাঙলায় আপনার মৃত্যুদিন পালন করার কোন খবর দেখলাম না।
আমাদের ক্ষমা করে দিবেন।

"স্মৃতিসৌধ বানাবার পর খুনের হুমকি দিয়ে বেনামি চিঠি পাঠানো হত তাঁকে প্রতিনিয়ত। একটা সময় হুমকি পেতে পেতে প্রবলভাবে মানসিক বিপর্যয় ঘটে তাঁর। অ্যা বিউটিফুল মাইন্ড মুভিটা যারা দেখেছেন, তারা বুঝতে পারবেন আরও ভালোভাবে। সর্বক্ষণ ভয়ে থাকতেন মানুষটা, নিষেধাজ্ঞা আর হুমকির বাস্তব এবং অলীক ভয় ঘিরে থাকতো তাকে, অসম্ভব প্রতিভাবান এই মানুষটার চিন্তা-চেতনাই এলোমেলো করে দিয়েছিল। এমনভাবেই যে জীবদ্দশায় দুই-তিন বারের বেশী স্মৃতিসৌধে যাওয়া হয়নি তাঁর।
অথচ এতো বড় একজন রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্ত্বেও তাঁর চিকিৎসা তো দূরে থাক, সামান্য খোঁজটাও কেউ নেয়নি। যেন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অপরাধ ছিল ৭টা স্তম্ভে একটা জাতির সবচেয়ে গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরা!
স্মৃতিসৌধের ডিজাইন করার সম্মানী পাবার কথা ছিল ২ লাখ টাকা, আয়কর চাওয়া হয়েছিল এর ৫০%, অর্থাৎ এক লাখ টাকা। ১৯৮২ সালের ১৬ ডিসেম্বর যখন এরশাদ জাতীয় স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করেন সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মানুষটাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। রাষ্ট্রীয় ভিভিআইপিরা চলে যাওয়ার পর তিনি সেখানে গিয়ে জনতার কাতারে দাঁড়িয়ে দেখেছিলেন তাঁর অমর সৃষ্টি!
একজন সৈয়দ মাইনুল হোসেন এবং তাঁর প্রতি এ রাষ্ট্রের এবং জনগণের সম্মাননা!" আমাদের সর্বান্তকরণে ক্ষমা করবেন স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: একটি দীর্ঘশ্বাস!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.