![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অণু । বাবা - মা ডাকে অনিক বলে । নিজের সম্পর্কে বড় করে পরিচয় দেবার মতো কোন যোগ্যতা এখনো তৈরি করে উঠতে পারি নাই । কিছুদিন অনুরাগ ছদ্মনামে সামাজিক মাধ্যমে লেখালিখি করেছি , এখন নিজের প্রকৃত নামেই লিখছি । সঙ্গতকারণে পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয় , পরিবারের সদস্যদের তেমন খুব একটা কাছে পাওয়ার সুযোগ হয় না আর ব্যক্তিগত জীবনেও খুব একটা ভালো কোন বন্ধু- বান্ধব বন্ধু নেই; যে বা যার যা যাদের সাথে নিজের কথা গুলা বলে হালকা হতে পারি । খুব একা থাকতে থাকতে আমি হাঁপিয়ে উঠেছি । তাই সেই চিন্তাবোধ - বিবেক তাড়না থেকেই নিজেকে হালকা সহজ করার প্রয়াসে ব্লগ লেখার চেষ্টা শুরু করা মাত্র । অবসর সময়ে কবিতা লিখে সময় কাটাই নয়তো একাই নিজে নিজের ম তো করে দূর দূরান্তে পায়ে হেঁটে ঘুরতে বেরিয়ে পরি ।
গফরগাঁওয়ের এক ভ্যানচালক এতিম শেখ হাসিনার নামে একখন্ড জমি লিখে দিয়েছিলেন।
কয়েকযুগ পর যখন এটা প্রকাশ পেল, তখন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী।
.
তিনি গফরগাঁও আসলেন,ভ্যানচালকের স্ত্রীকে বাড়ি করে দিলেন,ছেলেকে চাকুরী দিলেন,সাথে আরো কতশত উপঠৌকন!!
.
ক'দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর ছবি পরিষ্কার করেছিলেন রাজু আহমেদ নামক এক ব্যক্তি।
আর তাতে তিনি ডাক পেলেন গণভবনে,পেলেন চাকুরীও।
.
শাড়ীতে প্রধানমন্ত্রীর "একটি বাড়ি, একটি খামার" প্রকল্প ফুটিয়ে তোলায় গণভবনে ডেকে এনে পুরস্কৃত করেন টাঙ্গাইলের তাঁতী হুমায়ুনকে।
.
'৮৭-তে ঠাকুরগাঁয়ের চেনবানু নকশী কাঁথা উপহার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে।
সেটার সূত্র ধরে ত্রিশ বছর পর প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সরকারী চাকুরী পান চেনবানুর নাতি আমিরুল ইসলাম।
.
ভ্যানে করে প্রধানমন্ত্রীকে ঘুরানো ছেলেটি চাকরী পেয়েছিল বিমানবাহিনীতে।
.
ভাগ্যরে ভাগ্য!
.কি ভাবছেন??
ইশশশশ্.........
এরকম একটা চান্স যদি আমারও হয়ে যেত! তাইনা??
."লা-তাহযান"
হতাশ হবেন না।
.বিশ্বমানচিত্রের মধ্যে কলমের নিব পড়ার মতন একটু জায়গা হল বাংলাদেশ।
আর সেই ছোট্ট জায়গাটার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি কিইবা দিতে পারেন?
একটা ভাল চাকুরী?ঢাকায় একটু জমি?একটা বাড়ী, একটা গাড়ী,দু'-চার-পাঁচ লাখ টাকা?
একটা লাক্সারী লাইফস্টাইল?
একটু সম্মান?
খুব বেশী ত্থেকে বেশী বিশ্বের ঐ নিব পরিমাণ জায়গার কোন এক কোণের এম্পিত্ব; মন্ত্রীত্ব?
এর বেশী কিছু তিনি চাইলেও আপনাকে দিতে পারবেন না।
.আপনি যদি কুয়োর ব্যাঙ হন তাহলে এই সামান্য অর্জনকেই জীবনের সার্থকতা, জীবনের সব থেকে বড় সফলতা, জীবনের সেরা অর্জন ভাবতেই পারেন।
.কিন্তু যদি সমুদ্রের বিশালতা সম্পর্কে আপনার ধারণা স্পষ্ট থাকে, তাহলে এগুলো তো জীবনের ক্ষুদ্রতর প্রয়োজন পূরা মাত্র।
.বিশ্বের কোন ক্ষুদ্রাংশের প্রধানমন্ত্রী যদি তার কোন প্রজাকে কোন কিছু দিয়ে খুশি করে দিতে পারে, তাহলে যিনি বিশ্বের রব!
যিনি ঐ প্রধানমন্ত্রীর রব!
নভোমণ্ডল-ভূমণ্ডলের সকল কিছুর রব!
তিনি তার গোলামকে কত পরিমাণ পারেন, এটার ধারণা করতে পারিনা আমি।
.তিনি তো এত দিবেন যে আমরা খুশি নয়,সন্তুষ্ট হয়ে যাব।
কেউ আপনাকে একহাজার টাকা দিলে খুশি হবেন, কিন্তু সন্তুষ্ট নন।
যখন প্রাপ্তির আর কোন আশা বাকি থাকেনা তখনই মানুষ সন্তুষ্ট হয়।
.وَلَسَوْفَ يُعْطِيكَ رَبُّكَ فَتَرْضَىٰٓ
"ওয়ালাছাওফা ইয়ু'ত্বি-কা রব্বুকা ফাতারধ্বা"
অর্থাৎ-
অচিরেই আপনার রব আপনাকে দান করবেন, অতঃপর আপনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন
[১]
.যাকে সবচেয়ে কম দিবেন, তাকেও দশটা দুনিয়ার সমপরিমাণ দিবেন।
[২]
.এমন দামি দিবেন,
যার চাবুক পরিমাণ জায়গা পৃথিবী ও তার মধ্যকার সবকিছু হতে উত্তম হবে।
[৩]
কি দিবেন? কি দিবেন??
আপনার কল্পনার সবটুকু রঙ মেখে
একটু কল্পনা করুন তো; সর্বোচ্চ সুখের কল্পনা।
.কতটুকু পারেন?আর আমরা কতটুকুই বা পারব।আর যতটুকুই বা পারি না কেন, দুনিয়াতে থেকে জান্নাতের নাজ-নেয়ামতের পুরো ধারণা বা কল্পনা তো সম্ভবই না,ধারণা নিয়ে তার ধারে কাছে পর্যন্তও পৌঁছা সম্ভব না।
.
فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَّآ أُخْفِىَ لَهُم مِّن قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَآءً بِمَا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ
অর্থাৎ কেউ জানে না তার জন্যে কৃতকর্মের কি কি নয়ন-প্রীতিকর প্রতিদান লুকায়িত আছে।
[৪]
.আল্লাহ্ পাক তাঁর নেক বান্দাদের জন্য এমন সব বস্তু তৈরী করে রেখেছেন যা কোন চক্ষু দেখেনি, কোন কান শুনেনি, কোন অন্তর কখনো তা কল্পনাও করেনি।
[৫]
.এত পুরস্কার, এত প্রতিদান পেতে হলে আগে আল্লাহকে খুশি করতে হবে গোলামীর দ্বারা।
আল্লাহকে পেতে হবে তার নবীর অনুসরণের দ্বারা।
এছাড়া সম্ভব নয়।
.যদি আমরা মালিককে নিজের করে নিতে পারি, তবে সব আমার।
আখিরাত আমার;জান্নাত আমার।
দুনিয়া আমার; যেখানে যাব,যা চাইব সব আমার।
.বাদশাহ্ সবুক্তগীন ঘোষণা করেছিলেন, আজ যে যেটা ধরবে, সেটার মালিকানা তার হবে।
সবাই যখন হীরে-মানিক নিতে ব্যস্ত, তখন রাণী গিয়ে বাদশাহকে ধরলেন।
.বাদশাহ্ বললেন, রাণী তুমি কিছু নিচ্ছোনা কেন?
রাণী উত্তর দিলেন,
আমি আপনাকে ধরেছি। সুতরাং আপনি আমার,আর তাতে পুরো রাজ্য আমার।
[৬]
.চলুন না!
আজ থেকে সকল অবাধ্যতা ছেড়ে দিয়ে,
গোলামী করার মাধ্যমে আপন রবের সন্তুষ্টি খুঁজি।
রবকে নিজের করে নেয়ার চেষ্ঠা চালাই।
তিনি দিবেন...প্রচুর দিবেন....আরো প্রচুর দিবেন।
এত দিবেন, এত দিবেন যে.......
আমরা সন্তুষ্ট হয়ে যাব।
আর-
يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنَّ وَعْدَ ٱللَّهِ
তার ওয়াদা সত্য!
[৭]
"ইন্নাহু লা ইয়ুখলিফুল মিয়াদ"
.#নোট:
১.সূরাতুধ্-ধূহা:৫
২.বুখারী:৬৫৭১/মুসলিম:৩৪৯
৩.তিরমিযী:১৬৪৮
৪.সূরাতুস-সাজদাহ্:১৭
৫.বুখারী:৩২৪৪ মুসলিম:৭০২৪
৬.ঈমানী গল্প,পৃষ্ঠা:৫৩
৭.সূরাতু-ফাতির:৫
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬
আশফিকুর রহমান অণু বলেছেন: ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Excellent
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭
আশফিকুর রহমান অণু বলেছেন: ধন্যবাদ । আপনার প্রোফাইলের দেয়া ছবির বাচ্চাটি অনেক মিষ্টি
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১০
রাজীব নুর বলেছেন: এই যুগের মানুষজন মৃত্যুর পরের কথা চিন্তা করতে ভুলে গেছে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮
আশফিকুর রহমান অণু বলেছেন: নাগরিক ব্যস্ততায় আমাদের নজর বেশি তাই
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১০
সাাজ্জাাদ বলেছেন: Excellent
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮
আশফিকুর রহমান অণু বলেছেন: ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বেশ
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯
আশফিকুর রহমান অণু বলেছেন: ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য
৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৬
নয়া পাঠক বলেছেন: সুবহানাল্লাহ্। অসাধারণ জ্ঞানগর্ভ একটি লেখা। সর্বোপরি উপমাটা অনেক সুন্দর ও যথার্থ হয়েছে। অনেক কিছুই পুনঃস্মৃতিআবদ্ধ হয়ে গেল আপনার লেখা পড়ে। রাব্বি জিদনী ইলমা।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩
আশফিকুর রহমান অণু বলেছেন: আপনার কথায় উৎসাহিত হলাম । ফি আমানিল্লাহ
৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৩
দেবদাস বাবু বলেছেন: পড়ে ভালো লগালো
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:২৭
নাজিম হাসান বলেছেন: দারুন লিখেছেন। অনুপ্রাণিত হলাম।