![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অণু । বাবা - মা ডাকে অনিক বলে । নিজের সম্পর্কে বড় করে পরিচয় দেবার মতো কোন যোগ্যতা এখনো তৈরি করে উঠতে পারি নাই । কিছুদিন অনুরাগ ছদ্মনামে সামাজিক মাধ্যমে লেখালিখি করেছি , এখন নিজের প্রকৃত নামেই লিখছি । সঙ্গতকারণে পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয় , পরিবারের সদস্যদের তেমন খুব একটা কাছে পাওয়ার সুযোগ হয় না আর ব্যক্তিগত জীবনেও খুব একটা ভালো কোন বন্ধু- বান্ধব বন্ধু নেই; যে বা যার যা যাদের সাথে নিজের কথা গুলা বলে হালকা হতে পারি । খুব একা থাকতে থাকতে আমি হাঁপিয়ে উঠেছি । তাই সেই চিন্তাবোধ - বিবেক তাড়না থেকেই নিজেকে হালকা সহজ করার প্রয়াসে ব্লগ লেখার চেষ্টা শুরু করা মাত্র । অবসর সময়ে কবিতা লিখে সময় কাটাই নয়তো একাই নিজে নিজের ম তো করে দূর দূরান্তে পায়ে হেঁটে ঘুরতে বেরিয়ে পরি ।
প্রতিবছর শীতকাল এলেই জলাশয়, হাওর, বিল,পুকুর ভরে যায় নানা রঙ বেরঙের নাম না জানা পাখিতে। শান্ত জলের বুকে লাল শাপলার গালিচার ও কচুরি পানার রক্তাভ নীল ফুলের মাঝে ঝাঁক বেঁধে ডানা মেলছে অতিথি পাখির দল। উড়ে চলা পাখির কিচির-মিচিরে মুখরিত চার পাশ।
বাহারি রঙের এসব অতিথি পাখির খুনসুটি আর ছোটাছুটি যে কারো মনকে উদ্বেলিত করে তুলে। শীতের মওসুমে প্রকৃতির অপরূপ অলঙ্কার হয়ে ওঠা এ অতিথি পাখির ঝাঁক বেঁধে উড়ে চলার দৃশ্য দেখে মনে হয় যেন জলরঙে আঁকা ছবি। আদর করে আমরা সেগুলোকে বলি অতিথি পাখি। মূলত এই অতিথি পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে আমাদের দেশে হাজির হয় নিজেদের জীবন বাঁচাতে।
বলছি নিলুয়ার বিলের কথা।বিলটির অবস্থান মানিকগঞ্জের দুই উপজেলা ঘিওর এবং দৌলতপুরের ঠিক মাঝখানে। পাশ দিয়েই চলে গেছে আরিচা-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়ক।
নিলুয়ার এই বিলে অতিথি পাখির আনাগোনা বেড়েছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। প্রতিবছর শীত মওসুমে বিলটি যেন হয়ে যায় পাখির আবাসস্থল। এবারো এ বিলে বাসা বেঁধেছে বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন পাখিসহ হাজারো অতিথি পাখি।
নিলুয়ার বিলে পাখি থাকে নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাখির কলতান মুগ্ধ করে সবাইকে। দলবেঁধে যখন পাখিগুলো আকাশে ওড়ে,তার সাথে যেন উড়ে চলে মনও। পুরো এলাকাটিই সরব করে রাখে এই পাখপাখালি। পাখিদের এই মিছিলে আছে দেশীয় বক,বালিহাঁস,খয়রা চখাচখি,কার্লিউ, বুনোহাঁস,পানি কাউর, পানকৌড়িসহ নাম না জানা অনেক অতিথি পাখি।
শীতের আবেশে মানিকগঞ্জের পদ্মা ও যমুনা নদীর চরকে ঘিরে বেড়েছে অতিথি পাখির কলরব। বিলুপ্ত নানা প্রজাতির পাখি, বন বিভাগ বলছে, পরিবেশগত উন্নতি ও খাবারের প্রাচুর্যই বাড়িয়েছে পাখিদের বিচরণ।
এ ছাড়া মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক,সুতালড়িসহ আশপাশ এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর পাড়ে এবং দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদীর তিন-চারটি পয়েন্টে হাজারো অতিথি পাখির দেখা মিলে। নদীর স্তব্ধ জলে পড়ন্ত বিকেলে শত শত মানুষ নৈস্বর্গিক এ দৃশ্য উপভোগ করেন। বরফ শুভ্র হিমালয় এবং হিমালয়ের ওপাশ থেকেই বেশির ভাগ অতিথি পাখির আগমন ঘটে। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রাম ও শহরের সব বয়সী মানুষ মুগ্ধতার আবেশে দেখছে জলাশয় ও অতিথি পাখির যোগসূত্রের এই নৈসর্গিক দৃশ্য।
©somewhere in net ltd.