নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই ভালো থাকুন

এ আর ১৫

এ আর ১৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মনিরপেক্ষতা বনাম ধর্মহীনতা

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৩৫

ডিকশনারীতে লেখা আছে ধর্মনিরপেক্ষতা অর্থাৎ সেকুলারিজম্-এর অর্থ হল এমন রাষ্ট্রব্যবস্থা যা ধর্মবিশ্বাসকে প্রত্যাখ্যান করে। এর কারণও আছে। হাজার হাজার বছর ধরে ধর্মীয় রাষ্ট্রের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তিতিবিরক্ত জনগণ ঘৃণা ও গণবিক্ষোভের দ্বারা ধর্মীয় রাষ্ট্র উৎখাত করে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করেছিল। তাই স্বাভাবিকভাবেই বলা ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রে ধর্মের স্থান নেই। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা প্রাচীনকাল থেকে বলেছেন ইবনে রুশ্দের মত দার্শনিকেরাও (উইকিপিডিয়া)। কিন্তু “নিরপেক্ষতা” শব্দের অর্থ যাঁরা বলেন “হীনতা” তাঁরা বলতে চান বিবেকহীন লোক আসলে বিবেক-নিরপেক্ষ লোক, প্রাণহীন দেহ আসলে প্রাণ-নিরপেক্ষ এবং বৃষ্টিহীন মরু আসলে বৃষ্টিনিরপেক্ষ মরুভূমি। কথাটা মতলবি তা ব্যাখ্যার দরকার হয় না।

ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে প্রত্যেকের মানবাধিকার সুরক্ষিত এবং আইনের চোখে সবাই হুবহু এক তা সে রাস্তা-পরিষ্কারকারী হোক বা দেশের প্রেসিডেণ্ট হোক। অথচ ধর্মরাষ্ট্রে − ‘‘রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে আদালতী কার্যক্রম’’ ধারার উদ্ধৃতি দিচ্ছি ঃ- (রাষ্ট্রপ্রধান) ‘‘হদ্দ-এর আওতাভুক্ত কোন্ অপরাধ করিলে (ডাকাতি, চুরি, মদ্যপান, মানুষ-খুন, যৌন-ব্যাভিচার ইত্যাদি − লেখক) তাহার বিরুদ্ধে আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করা যাইবে না’’ − বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন ৩য় খণ্ড আইন নং ৯১৪ গ (উদ্ধৃতি শেষ) এবং হানাফি আইন হেদায়া পৃষ্ঠা ১৮৮। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে এরকম ভয়াবহ আইন হয় না। তওবা করলেই গণহত্যাকারীর শাস্তি মাফ − বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন ১ম খণ্ড ধারা ১৩, − ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে এরকম ভয়াবহ আইনও হয় না। পাকিস্তান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রথম মহিলা গভর্নর ডঃ শামশাদ আখতার ব্যাংকের কিছু বিশেষ দলিলে সই করতে পারবেন না − এটাও ঘটে ধর্মীয় রাষ্ট্রেই, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে এটা কল্পনাও করা যায় না − দৈনিক ডন ২৯-০৯-২০০৮ − কেউ কেউ বলেন এসবের ব্যাখ্যা আছে। আমরা খুঁজে দেখেছি এসবের কোনোই গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা নেই, থাকতে পারে না। তাছাড়া দুনিয়ায় প্রতিটি ধর্মের আলাদা ধর্মীয়রাষ্ট্র হ’লে বিশ্ব-মানবসমাজ ধর্মের ভিত্তিতে টুকরো টুকরো হয়ে পারস্পরিক ঘৃণাভিত্তিক মারাত্মক হানাহানির মধ্যে পড়ে যাবে। এসব কারণ ছাড়াও ন্যায় ও যুক্তির আলোকে অসংখ্য মুসলিম কোরাণের ভিত্তিতে ও অন্যান্য ধর্মবিশ্বাসীরা তাঁদের ধর্মগ্রন্থের ভিত্তিতে ধর্মে রাজনীতি এবং রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে ধর্ম মেশানোকে প্রচণ্ড ধর্ম-বিরোধী মনে করেন।

ধর্মীয় রাষ্ট্র হাজার হাজার বছর সময় পেয়েছিল নিজেদের যৌক্তিকতা প্রমাণ করার, এখনো পাচ্ছে কিছু দেশে। কিন্তু কিছু হাতেগোনা শাসকের সময় ছাড়া এর ইতিহাস ভারাক্রান্ত হয়ে আছে জনগণের দুর্ভোগে, মানবাধিকার লঙ্ঘনে, নারীর অশ্রু আর রক্তে। ভ্রান্তিময় মানুষ যখন ঐশী ধর্মের মালিক হবার অপচেষ্টা করে তখন এসব হতে বাধ্য। এক ধর্মের ধর্মরাষ্ট্র বানাবার চেষ্টা করলে দুনিয়ার প্রতিটি ধর্মের আলাদা রাষ্ট্রকে বৈধ ও উৎসাহিত করা হয়। ইউরোপ-অ্যামেরিকা-অষ্ট্রেলিয়ায় ওরা ঈহুদী-খ্রীষ্টান রাষ্ট্র বানিয়ে আমাদের ঘাড়ে ওদের শারিয়া চাপিয়ে দিলে কোটি কোটি মুসলমানের কি দুর্দশা হবে আর তার জন্য কে দায়ী থাকবে ? ভারতের মুসলমানদের জন্য কি সর্বনাশের কথা, মওদুদি ভারতে হিন্দু-রাষ্ট্র সমর্থন করেছেন “যদি সেখানে মুসলমানদের সাথে শূদ্র-র মত ব্যবহার করা হয় তবুও” (মুনির কমিশন রিপোর্ট)। এই কি মওদুদি’র বিশ্ব-মুসলিম ভ্রাতৃত্ব ? কিংবা “যদি সেখানে মুসলমানদের অধিকার থাকে যেমন ইসলামি রাষ্ট্রে অমুসলিমদের আছে” (শাহ আবদুল হানড়বান − আন্তর্জাল আলোচনা ফোরাম)। কথাটা ঠিক নয়। শারিয়া আইনগুলো পড়ে দেখুন, শারিয়া-রাষ্ট্রগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন, পাকিস্তান-ইরাণ-নাইজেরিয়ার অমুসলিমদেরকে জিজ্ঞেস ক’রে দেখুন, ভারত ও ইসরাইলে মুসলিমদের জিজ্ঞেস ক’রে দেখুন তাদের সম্মান ও মানবাধিকার কি অন্যায় ও নিষ্ঠুরভাবে পদদলিত করা হয়েছে । এ হবেই কারণ এ না-হলে ধর্মরাষ্ট্রই হয় না। “শারিয়া আইনের উদাহরণ” পরিচ্ছেদে দেখিয়েছি অতীতের হিন্দু-রাষ্ট্রে (মূল নাম সনাতন ধর্ম) কত অন্যায় ও হিংস্র আইন প্রয়োগ করা হতো − আবার দিচ্ছি (সূত্র ঃ প্রাচীন ভারত, সমাজ ও সাহিত্য − ডঃ সুকুমারী ভট্টাচার্য্য) ঃ

বিধবাকে মৃত স্বামীর সাথে পুড়িয়ে মারার আইন (অথর্ববেদ ১৮/৩/৩)।
“পিতামাতার জন্য কন্যা অভিশাপ” (ঐত্তরীয় ব্রাহ্মণ ৬/৩/১৩)।
“লাঠি দিয়ে স্ত্রীকে মেরে দুর্বল করা উচিত যাতে শরীরের ওপরে তার কোনো অধিকার না থাকে” (শতপথ ব্রাহ্মণ ৪/৪/২/১৩)।
সর্বগুণান্বিতা নারীও অধমতম পুরুষের চেয়ে অধম” (তৈত্তরীয় সংহিতা ৬/৫/৮/২)।
“পুত্র-কন্যার সামনে স্বামী উপপতড়বী আনা বা বেশ্যাগমন করতে পারবে কিন্তু স্ত্রীর সামান্য পদস্খলনে সমাজ কঠোর দণ্ড দেবে” (মৈত্রায়নী-র বিভিনড়ব আইন ও তৈত্তিরীয় সংহিতা ৬/৫/৮/২)।
“কালো পাখি, শকুন, নেউল, ছুঁচো, কুকুর ও নারী হত্যার প্রায়শ্চিত্ত একই” (আপস্তম্ভ ধর্মসূত্র ১/৯/২৩/৪৫)।
“নারীকে অবরুদ্ধ রাখো, নাহলে তার শক্তিক্ষয় হবে” (শতপথ ব্রাহ্মণ ১৪/১/১/৩১)।
একটি যজ্ঞে “সদ্যোজাত পুত্রকে ওপরে তুলে ধরা হয়, কন্যাকে মাটিতে শুইয়ে রাখা হয়” (তৈত্তরীয় সংহিতা ৬/৫/১০/৩)।
“উত্তম নারী হল ‘যে স্বামীকে সন্তুষ্ট করে, পুত্র-সন্তানের জন্ম দেয় ও স্বামীর কথার ওপরে কথা বলে না’ ” (ঐত্তরীয় ব্রাহ্মণ ৩/২৪/২৭)।
“সন্তান না জন্মালে ১০ বছর পর ও পুত্র না জন্মালে ১২ বছর পর স্ত্রীকে ত্যাগ করা যাবে” (আপস্তম্ভ ধর্মসূত্র ১/১০-৫১-৫৩)।
“যার স্ত্রীর চেয়ে পশুর সংখ্যা বেশি সে সৌভাগ্যবান” (শতপথ ব্রাহ্মণ ২/৩/২/৮)।
ভয়াবহ ব্যাপার, কল্পনা করলেও গা’ শিউরে ওঠে। ইউরোপের গীর্জা-রাষ্ট্রের অত্যাচারও ছিল ভয়ংকর।

সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিবর্তনের ঐতিহাসিক শক্তির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে তবে তা জাতির দুর্ভাগ্য ও দুর্ভোগ বয়ে আনবে। মীর জাফর বা কুইসলিং নাম দ’ুটোর আদি অর্থ ভারী চমৎকার কিন্তু তা এখন এতই ঘৃণিত যে কোন বাঙালি বা নরওয়েবাসী তার ছেলের ও-নাম কোনদিনও রাখবে না। রাজাকার বা আল্ বদর শব্দেরও ওই দশা। বাস্তবে এখন সেকিউলারিজম-এর অর্থও বদলে গেছে আমূল। দুনিয়াময় ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলো এখন ধর্মের বিরোধী তো নয়ই বরং সাংবিধানিকভাবে সব ধর্মকে রক্ষা ও সহায়তা করে। আমাদের প্রথম ধর্মনিরপেক্ষ সরকার বানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামি ফাউণ্ডেশন। বায়তুল মুকাররমের সমস্ত খরচ দেয় আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ সরকার। ইউরোপ-আমেরিকা-ক্যানাডা-অস্ট্রেলিয়ার ধর্মনিরপেক্ষ সরকারগুলোর অজস্র টাকা ও সহায়তায় মুসলিম ইমিগ্র্যাণ্ট, ইসলামি সংগঠন, মসজিদ-মাদ্রাসা, ওয়াজ-মহফিল, রেডিও-টিভি চ্যানেল, এমনকি শারিয়া-ব্যাঙ্ক, শারিয়া-মিউচুয়াল ফাণ্ড, শারিয়া-ইকুয়িটি ইত্যাদি গত কয় দশকে বেড়েছে কয়েক গুণ বললে ভুল হবে-বিস্ফোরিত হয়েছে কয়েকশ’ গুণ। কোন ধর্মনিরপেক্ষ সরকার কোটি কোটি দিনার-দিরহামকে বাধা দেয়নি হাজার হাজার মসজিদ ও ইসলামি সংগঠন বানাতে। এমনকি জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে শারিয়া’র সমালোচনা নিষিদ্ধ করে ক্রমাগত প্রস্তাব গ্রহণ করেছে গত বছরগুলো থেকে। উদ্ধৃতি দিচ্ছি ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধী আমাদের দৈনিক থেকেও


“জার্মানীতেই বর্তমানে আড়াই হাজারের ওপর মসজিদ রয়েছে। সে-দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন তাঁর সরকার জার্মানীতে আরো মসজিদ তৈরি করবে। একই ঘোষণায় তিনি এ’ও জানান, জার্মানীর সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় জার্মান ভাষায় ইসলাম শিক্ষা দেয়া হবে … এ বোধোদয় ফরাসী প্রেসিডেণ্ট সারাকোজীর মধ্যেও এসেছে … উদ্যোগ নিয়েছেন যাতে তিনি ফ্রান্সে ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে অর্থ সহায়তা দিতে পারেন। বৃটেন ইতোমধ্যে মুসলমানদের বিভিনড়ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অর্থ সাহায্য প্রদান করেছে … ইতালীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘ইতালীয় ইসলামি সংহতকরণ’ নামে ইতালীতে মুসলমানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান চালু করেছেন। এভাবে ইউরোপের প্রায় সব দেশই রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতায় নিজেদের সম্পৃক্ত করেছে” (ইউরোপ ও ইসলাম − দৈনিক নয়া দিগন্ত − ২৩শে জুলাই, ২০০৮)।

আমেরিকার ডলারে লেখা নেই “ইন্ গড উই ট্রাস্ট”? হ্যাঁ, লেখা আছে। আদালতগুলোতে বাদী-বিবাদীকে ধর্মীয় শপথ নিতে হয় না ? হয়। সাংসদ ও রাষ্ট্রপ্রধানকে ধর্মীয় শপথ নিতে হয় না ? হয়। ক্যানাডায় সাংবিধানিকভাবে ক্যাথলিক স্কুলে প্রচুর সরকারি টাকা যায় না ? যায়। সমস্ত ধর্মীয় স্কুলে সরকারি আর্থিক অনুদানের প্রস্তাব করেনি এক রাজনৈতিক দল ? করেছে। বিলেতের সরকার রাষ্ট্রীয় ট্রেজারি থেকে শারিয়া-বণ্ড বাজারে ছাড়েনি ? ছেড়েছে। আমেরিকার ট্রেজারী ইসলামি ব্যাঙ্কিং-এর অনুমোদন দেয়নি ? দিয়েছে। আমেরিকার সরকারি প্রতিষ্ঠান এআই- জি শারিয়া-ব্যাঙ্কিং অনুমোদন দেয়নি ? দিয়েছে। লণ্ডনের বিশাল মসজিদের জন্য দশ কোটি পাউণ্ড সরকারি অনুদানের প্রস্তাব ছিল না ? ছিল, সে ই-মেল আমরা পেয়েছি। জার্মানীর কোলন-এ বৈধভাবে সুবিশাল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে না ? হচ্ছে। বিলেত ও জার্মানী তাদের আইনে মুসলিম নাগরিকদের জন্য বহুবিবাহের কিছু উপাদান গ্রহণ করেনি ? করেছে। লণ্ডনের টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিল আটত্রিশ হাজার পাউণ্ড অনুদান দেয়নি কর্ডোভা ফাউণ্ডেশনকে ? দিয়েছে। সরকারগুলো পুলিশ দিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোর তত্ত্বাবধান করে না ? করে। বেলজিয়ামের ব্রাসেল্স্ শহরে সরকার শারিয়ার বিরুদ্ধে মিছিল নিষিদ্ধ করেনি ? করেছে। এক টরণ্টো শহরেই রেজিস্টার্ড ইসলামি সংগঠন নেই একশ’ একুশটা ? আছে। অনানুষ্ঠিানিক আরো কয়শ’? আছে। ইংল্যাণ্ডে জার্মানীতে ফ্রান্সে প্রায় সাত হাজার বৈধ ইসলামি সংগঠন নেই ? আছে। ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো সাধারণত বিশাল জমির ওপরে বিরাট দালান হয়, অনেক দেশে সাংবিধানিকভাবে সেগুলোর সম্পত্তি-কর ও পানি-বিজলির কর মওকুফ করা হয় না যার পরিমাণ বিপুল ? হয়। সরকারগুলোর ক্ষমতা নেই এগুলোর প্রত্যেকটি বন্ধ করার ? আছে, কিন্তু করেনি। এরই নাম ধর্মনিরপেক্ষ সরকার। কাজেই ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধর্মহীন বা ধর্মবিরুদ্ধ বলাটা প্রতারণামূলক অকৃতজ্ঞতা।

ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থায় কিছু ত্র“টি অবশ্যই আছে যেমন এর ভেতর থেকেই বুশ-বেয়ার- এর মত গণহত্যাকরী দানব উঠে এসেছে, কিংবা দুর্নীতি, অস্ত্র ও পেশীশক্তির কারণে অনেক দেশে জনগণ ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে না, ইত্যাদি। কিন্তু বহু দেশে এটা অত্যন্ত সফলও, সময়ের বিবর্তনে জনগণের শিক্ষা-সচেতনতায় ত্র“টিগুলো কেটে যাবে।

ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান ইহুদী-খ্রীষ্টানদের পাদ্রী-রাবাইরাও বানায়নি, গীর্জাতেও বানানো হয়নি। ওগুলো সংসদে বসে বানিয়েছেন সমাজবিজ্ঞানীরা যাঁরা আধুনিক বিষয়ে উচ্চশিক্ষিত, বাইবেল-এ নয়। সমাজ-বিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে সংবিধানকে সংসদে বসে পরিবর্তন করছেন জনগণের নির্বাচিত সাংসদেরাই, গীর্জার পাদ্রী-রাবাইরা নন। ঠিক যেমন বিজ্ঞানীরা ল্যাবরেটরিতে বহু কষ্টের গবেষণায় বানিয়েছে বহু ওষুধ যা আমাদের প্রাণ রক্ষা করে বা দালান-ব্রিজ-কারখানা ও শিল্পায়নের প্রযুক্তি দেয়। তাই ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থা যদি “ইহুদী-খ্রীষ্টানদের শয়তানি ষড়যন্ত্র” ও “কুফরি আকিদা” হয় তবে ইহুদী- খ্রীষ্টানদের আবিষ্কৃত টু ব্রাশ চিরুণি থেকে শুরু করে বক্তৃতার মাইক বাস ট্রাক কাপড় হিটার এয়ারকণ্ডিশনার জুতো মাথাব্যথার ট্যাবলেট বুড়ো বাবা-মা’র ইনসুলিন কম্পিউটার রেডিও টিভি গাড়ি হাসপাতালের যন্ত্রপাতি হাজারো ওষুধ-সবই “ইহুদী-খ্রীষ্টানদের শয়তানি ষড়যন্ত্র” এবং “কুফরি আকিদা” হতে হয়।

যেখানে মানুষের জীবন ঘিরে আছে হাজারো ধর্মনিরপেক্ষ উপাদান সেখানে রাষ্ট্রযন্ত্রে ধর্মনিরপেক্ষতাকে অস্বীকার করাটা অজ্ঞতা বা আত্মপ্রতারণা ছাড়া আর কি হতে পারে আমি জানি না। “নিরপেক্ষতা” শব্দের অর্থ ”হীনতা” করলে মিথ্যাকে জায়েজ করা হয়। এই মিথ্যার সাথে যোগ হয়েছে, “কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাক্ষ্য গোপন করার জন্য উৎসাহ প্রদান করা হইয়াছে”− বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা ২৩১। বলাই বাহুল্য, এই “কোনো কোনো ক্ষেত্র”-টা আসলে কি তার তালিকা দেয়া হয়নি। তাই এউে দ্দশ্যে রাষ্ট্র-বিরোধী ষড়যন্ত্র, জঙ্গীতন্ত্র, বিদেশ থেকে গোপন অর্থ-সমাগম, গোপন অস্ত্রশিক্ষা, গোপন জঙ্গীসাহিত্য ইত্যাদি জানার পরেও “সাক্ষ্য গোপন রাখার উৎসাহ প্রদান করা হইয়াছে”। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে ওরকম আইন হয়না, − সেখানে হয় “তোমরা সাক্ষ্য গোপন করিও না”− বাকারা ২৮৩, মায়েদা ১০৬, ইমরাণ ১৬১ ইত্যাদি।

এর সাথে এটাও দেখা দরকার −“যদি উদ্দেশ্যটি বাধ্যতামূলক হয় তবে মিথ্যা বলা বাধ্যতামুলক”− শাফি আইন নং আর.৮.২ ইত্যাদি। অর্থাৎ যিনি ধর্মীয় রাষ্ট্রকে বাধ্যতামূলক মনে করেন তাঁর জন্য এ উদ্দেশ্যে ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধর্মহীনতা, এই মিথ্যা বলাও বাধ্যতামূলক।

“মিথ্যা বলা বাধ্যতামুলক” আইনও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে হয় না। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে হয় − “মিথ্যা বলা থেকে দূরে থাকো … সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না”− সুরা হজ্ব ৩০ এবং বাকারা ৪২।

সে নির্দেশ লঙ্ঘন করলে কি হবে ?

“তাদের মিথ্যাচারের দরুণ তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আজাব”− বাকারা ১০

লেখক পরিচিতি:::::::
হাসান মাহমুদ

[email protected]
http://www.hasanmahmud.com/

In SHARIAKIBOLE.COM it is written as:-

সদস্য – ওয়ার্ল্ড মুসলিম কংগ্রেস উপদেষ্টা বোর্ড
সাধারণ সম্পাদক- মুসলিমস ফেসিং টুমরো- ক্যানাডা
রিসার্চ এসোসিয়েট- দ্বীন রিসার্চ সেন্টার, – হল্যান্ড
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, আমেরিকান ইসলামিক লিডারশীপ কোয়ালিশন
ক্যানাডা প্রতিনিধি, ফ্রি মুসলিমস কোয়ালিশন
প্রাক্তন ডিরেক্টর অফ শারিয়া ল’ ও প্রেসিডেন্ট, মুসলিম ক্যানাডিয়ান কংগ্রেস

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:০৭

সাগর মাঝি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। আসলে ধর্মনিরপেক্ষতা আর ধর্মহীনতা কখনোই একই নয়। এটা মূর্খরা বুঝেনা।

দেশকে সুন্দর এবং সমৃদ্ধশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে এখনই আমাদের একটা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের প্রয়োজন।

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:১৭

আকদেনিজ বলেছেন: ১ম, আপনি দলিল দিয়েছেন ইমাম হানাফি এবং শা'ফি (র) থেকে। অথচ মুসলমানরা বলে যে আমাদের সংবিধান হল আল-কোরআন। তাঁরা আইনের ব্যাখ্যা করেছিলন তাদের যুগের প্রেক্ষাপটে। যেমনটি ব্যাখ্যা করে থাকেন বর্তমান আইনজ্ঞরাও। সুতরাং আপনার যুক্তি অমূলক।
২য়, পাকিস্থান শুধু নামেই ইসলামী রাষ্ট্র বাস্তবে নয়। যদি তাই হত তাহলে বাঙ্গালীদের উপরে ১৯৭১ সালে গণহত্যা চালাত না। সুতরাং পাকিস্থানের কোন আইন ইসলামি আইন বলে চালানো অমূলক।
৩য়, বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা আইন বলবৎ আছে। আপনার কি মনে হয় পৃথিবী খুব শান্তিতে আছে? বিশ্ব কে বা কারা নিয়ন্ত্রন করছে? নিশ্চয়ই ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদের গুরুরা বা জন্মদাতারা। আপনি কি লক্ষ্য করেছেন তাদের ধর্মনিরপেক্ষতার নমুনা। ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তানে তাদের ধর্ম নিরপেক্ষতার চমৎকার নমুনা রেখে গেছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাস্তুহারা বানিয়েছে। এখন তারা আনড্রেড পার্সেন্ট ধর্মনিরপেক্ষ। তারা ধর্ম নিয়ে চিন্তা করবে কি আজকে রাতে ঘুমাবে কোথায় খাবে কি সেটা ভেবেই কূল পায় না।
আপনি সেই জাতিসংঘের কথা বলছেন যাকে কিনা আমেরিকা যদি বলে, হে জাতিসংঘ তুই এক পায়ে কিয়ামত পর্যন্ত দাড়িয়ে থাক, সে তো তাই করবে।
আপনি তো ধর্মনিরপেক্ষতার আরেকটা বিশেষ নমুনা উল্লেখ করেন নাই। আমি বলে দিচ্ছি, সেটা হল নোবেল প্রাইজ।অকাট্য সত্য হলো, পশ্চিমারা কোন মতলব ছাড়া কাউকে পৃষ্টপোষকতা দেয় না। নোবেল প্রাইজ তার উত্তম উদাহরণ। পশ্চিমারা যাদেরকেই পৃষ্টপোষকতা দিয়েছে, মনে করতে হবে যে, সেখানে বিশাল গাফলা আছে। আমাদের দেশেও দু'একটি দৃষ্টান্ত পেয়ে যাবেন খুঁজলেই।
৪র্থ, আকিদা অর্থ কি আপনার অজানা থাকার কথা না। যাহোক আমি বলছি, আকিদা অর্থ বিশ্বাস। আপনি কি টের পেয়েছেন বিশ্বাসের সাথে জড় পদার্থ কে মিশিয়ে ফেলেছেন। আপনি উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেছেন যে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ যদি ইহুদী-খ্রিষ্ঠনদের আকিদা হয় তাহলে ইহুদী- খ্রীষ্টানদের আবিষ্কৃত টু ব্রাশ চিরুণি থেকে শুরু করে বক্তৃতার মাইক বাস ট্রাক কাপড় হিটার এয়ারকণ্ডিশনার জুতো মাথাব্যথার ট্যাবলেট বুড়ো বাবা-মা’র ইনসুলিন কম্পিউটার রেডিও টিভি গাড়ি হাসপাতালের যন্ত্রপাতি হাজারো ওষুধ-সবই “ইহুদী-খ্রীষ্টানদের শয়তানি ষড়যন্ত্র” এবং “কুফরি আকিদা” হতে হয়। আকিদা বা বিশ্বাসের সাথে জড় পদার্থের সম্পর্কটা একটু বুঝিয়ে বলবেন কি?
৫ম, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের সংখ্যা কত বলতে পারেন? তাদের মাঝে পরস্পর সম্পর্ক কেমন বলতে পারেন? বাংলাদেশের দিকে তাকালে দেখতে পাবেন একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র। যেখানে দেখতে পাবেন রাজপথে প্রতিপক্ষের লাশের উপর কি ভয়ংকর উন্মাদনা। ক্যাম্পাস গুলোতে অস্ত্রের ঝনঝনানি। বাবা-মায়েরা আতঙ্কে দিন যাপন করে এই চিন্তায় যে তার সন্তান আদৌ ঘরে ফিরবে কি ফিরবে না। ক্ষমতায় গেলে রাষ্টকে নিজের বাপ-দাদার সম্পত্তি মনে করে আর যারা ক্ষমতার বাইরে তারা এমন কোন নিচ কাজ নেই যা তারা করে না বা করতে পারে না। আর এ সবই করছে অর্থের জন্য।
এখন হয়ত আপনি বলবেন, এটা তো আর রাজনীতির দোষ না। এটা যার যার দল বা ব্যাক্তির দোষ। আমিও আপনার সাথে একমত এটা দল বা ব্যাক্তির দোষ। মুসলিম ইতিহাসেও ঠিক এটাই ঘটেছে। কিন্তু আপনি শুধু খারাপ ইতিহাসটা দেখছেন কেন ভাল দিকটা দেখুন। বরং মুসলমানরা যতদিন সঠিক ইসলামের পথে ছিল ততদিন পর্যন্ত সারা বিশ্ব দাপটের সাথে শাসন করেছে। আর যখনই ইসলামের মূল আদর্শ থেকে সরে গিয়ে দলাদলিতে মেতে উঠেছে তখনই তাদের পতন হয়েছে। আমরা মূল আদর্শের ইসলাম কে এদেশের আইন হিসেবে চাই।
দৃষ্টি আকর্ষণ: আমরা জানি যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ চলছে বা দাঙ্গা চলছে। সেখানে আক্রমনকারী কখনও খ্রিষ্টান, কখনও বোদ্ধ, কখনও হিন্দু, কখনও বা তাদের দাললরা। কিন্তু আক্রান্ত কারা একবার ভেবে দেখেছেন? তাদের ধর্ম নিরপেক্ষতার আদর্শ তো মুসলমানদের কে মুক্তি দিতে পারে নি। শরৎচন্দ্রের একটা কথা মনে পড়ে গেল, "অতিকায় হস্তি লোপ পাইয়াছে, তেলাপোকা টিকিয়া আছে"। হাওলাত করা মতবাদের দ্বারা তেলাপোকা হিসেবেই টিকে থাকা ছাড়া উপায় নেই।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৫৮

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি দলিল দিয়েছেন ইমাম হানাফি এবং শা'ফি (র) থেকে। অথচ মুসলমানরা বলে যে আমাদের সংবিধান হল আল-কোরআন।------ কিন্তু আল্লাহ বলেন কোরান মানব জাতীর জন্য উপদেশ মাত্র --- সুরা আনাম আয়াত ৯০ --- এটি সারা বিশ্বের জন্যে একটি উপদেশমাত্র------। কোরান কোন আইনের পুস্তক নহে বা কোন সংবিধান নহে মানব জাতীর জন্য উপদেশ গ্রন্থ ... হানাফি শফি হাম্বলি মালেকি এনারা শরিয়া আইনের ৪ জন প্রতিকৃত এবং তাদের নামে ম্যাক্সিমাম শরিয়া আইন অনুসরিত হয় ।
---------------------------------------------------------------------------------------------------
ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তানে তাদের ধর্ম নিরপেক্ষতার চমৎকার নমুনা রেখে গেছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাস্তুহারা বানিয়েছে। এখন তারা আনড্রেড পার্সেন্ট ধর্মনিরপেক্ষ।------------- এগুলোর জন্য রাজনীতি সম্রাজ্যবাদি প্রভুত্তের চেতনা দায়ি এর সাথে গনতন্ত্র ধর্মনিরেপেক্ষতার কি সম্পর্ক ?? ধর্মনিরেপেক্ষতা একটা রাষ্ঠ্রের আভ্যন্তরিন নীতি সেখানে অন্য দেশে আক্রমন অত্যাচার চালাবার কোন কিছুই নাই , নিজ দেশে সকল ধর্মের মানুষকে একই ভাবে পরিচালনার নীতি । যুদ্ধ আন্তর্জাতিক নীতি পররাষ্ঠ্র নীতি সহ অনেক নীতি একটা দেশের থাকতে পারে । আমেরিকা অন্য দেশে আগ্রাসন চালাচ্ছে ----- এটার তাদের কোন নীতির অন্তর্ভুক্ত ??? এই নীতির নাম কি ধর্ম নিরপেক্ষতা ?? নাকি অন্য কিছু ? আপনার কাছে আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদ নীতি বুঝি ধর্ম নিরপেক্ষতা ??
সেটা হোলেতো বলার কিছু নাই । আমেরিকা অন্যদেশের উপর অনৈতিক আগ্রসন চালালেও নিজ দেশে ধর্ম নিরপেক্ষ নীতির প্রেক্টিস চালিয়ে যাচ্ছে ।

আল্লাহ তো নিজেই ধর্ম নিরপেক্ষ কারন তিনি তো কোন ধর্মকে বৈষম্য করেন নি । যদি তাই করতেন তাহোলে মুসলমানরা আজকে জ্ঞান বিজ্ঞান কালচার শিক্ষা সব কিছুতে এত পিছে থাকতো না ।
ধর্ম নিরপেক্ষতার কনসেপ্ট বহু আগে প্রচলিত হলেও এর প্রথম দালিলিক রুপের রুপকার আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) । তিনি ৬২২ সালে ইহুদিদের সাথে যে চুক্তি করেন যা মদিনা সনদ নামে পরিচিত সেখানে যে ধারা গুলি অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন যা আধুনিক ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতির অন্তর্ভুক্ত ।

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৪৭

আকদেনিজ বলেছেন: ইতিহাস বলে যে মদিনা রাষ্ট্র হল পৃথিবীর প্রথম সফল ইসলামী রাষ্ট্র। আপনি বলেছেন, ধর্ম নিরপেক্ষতার কনসেপ্ট বহু আগে প্রচলিত হলেও এর প্রথম দালিলিক রুপের রুপকার আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) । তিনি ৬২২ সালে ইহুদিদের সাথে যে চুক্তি করেন যা মদিনা সনদ নামে পরিচিত সেখানে যে ধারা গুলি অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন যা আধুনিক ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতির অন্তর্ভুক্ত ।
তাহলে আসুন আমরা এই দেশে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করি। সেটাকে আপনি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বলতে পারেন কোন সমস্যা নাই, যেমনি ভাবে মদিনা সনদ কে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বলেছেন। কেননা ইসলামী আইনের দ্বারাই সকল ধর্মের মানুষের অধিকার রক্ষা হয়।
আপনি দলিল দিয়েছেন, কোরআন শুধু উপদেশের জন্য নাজিল হেয়েছে। আপনি একজন ইসলামী সংগঠেনের দায়ীত্বশীল হয়ে কোরআনের ব্যাপারে এত স্বল্প জ্ঞান, বিষয়টা দুঃখজনক। যাহোক আপনি যে আয়াত উদ্বৃতি করেছেন সেটার কথাই বলি। আপনি নিশ্চয়ই মুসলমান, নিশ্চয়ই আল্লাহ কে বিশ্বাস করেন। যেহেতু আল্লাহকে বিশ্বাস করেন আল্লাহর উপদেশ গুলোও মানেন। আল্লাহ বলেছেন, "নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে মানুষের জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা ইসলাম"। তিনি আরো বলেন, তোমরা ইসলাম কায়েম বা প্রতিষ্ঠা কর"। উপদেশ অনুযায়ী আসুন আমরা ইসলাম কে পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহন করি এবং রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা করি।

ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বাংলাদেশে কতটা অযৌক্তিক, জানতে হলে পড়ুন: Click This Link

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০১

এ আর ১৫ বলেছেন: যেমনি ভাবে মদিনা সনদ কে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বলেছেন।------- আপনি দয়া করে মদিনা সনদের ধারা উপোধারা গুলো পড়ে দেখুন সেগুলো আধুনিক ধর্ম নিরপেক্ষ মতবাদের সাথে মিলে কিনা । সুতরাং ধর্ম নিরপেক্ষতা ইসলাম সমর্থিত ।
***************************************************************************************************************************
কেননা ইসলামী আইনের দ্বারাই সকল ধর্মের মানুষের অধিকার রক্ষা হয়।----------- তাই নাকি তাহোলে এই শরিয়া আইনের ব্যাখা কি --- If any non Muslim kills a Muslim then punishment is death penalty. If any Muslim kills a non Muslim then death penalty can't be given. ( penal law of Islam page 149)
শরিয়া আইনের আরো উদাহরনে দেখেন এবং এগুলো আল্লাহর আইন কিনা ?
বি-ই-আ ১ম খণ্ড ও অন্যান্য সূত্র থেকে ঃ

খাবার, বাসস্থান ও পোশাক দিতে স্বামী বাধ্য থাকবে শুধুমাত্র বাধ্য স্ত্রীকে, অবাধ্য স্ত্রীকে নয়। এর বাইরের সব খরচ এমনকি ডাক্তারের, ওষুধের বা সৌন্দর্য্য-চর্চার খরচ ইত্যাদি হবে স্বামীর করুণা ও দয়া। (বলাই বাহুল্য, স্ত্রী অবাধ্য কি না সেটা ঠিক করবে স্বামী নিজেই)। হানাফি আইন পৃঃ ১৪০ ; শাফি’ই আইন পৃঃ ৫৪৪ − Law #m.11.4 ; মুহিউদ্দীন খানের অনুদিত বাংলা কোরাণ পৃঃ ৮৬৭ − তফসীর ঃ “স্ত্রীর যে প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার বহন করা স্বামীর যিম্মায় ওয়াজিব (বাধ্য), তা চারটি বস্তুর মধ্যে সীমাবদ্ধ − আহার, পানীয়, বস্ত্র ও বাসস্থান। স্বামী এর বেশি কিছু স্ত্রীকে দিলে অথবা ব্যয় করলে তা হবে অনুগ্রহ, অপরিহার্য নয়।”
“(স্বামীর) বৌ-তালাকে সাক্ষ্য শর্ত নহে” (বি-ই-আ ১ম খণ্ড, ধারা ৩৪৪)। এবারে খুলুন কোরাণ, সুরা ত্বালাক, আয়াত ২ − “তোমরা যখন স্ত্রীদিগকে তালাক দিতে চাও তখন দুইজন সাক্ষী রাখিবে।”
শারিয়ায় চুরি, ডাকাতি, পরকীয়া, মদ্যপান, রাষ্ট্রদ্রোহিতা ইত্যাদির শাস্তি হল হাত-পা কাটা, জনসমক্ষে চাবুকের আঘাত, জনসমক্ষে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড, ইত্যাদি। কিন্তু ওই শারিয়া আইনেই আছে “রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে হুদুদ মামলা করা যাবে না” (বি-ই-আ ৩য় খণ্ড নং ৯১৪গ এবং হানাফি আইন পৃঃ ১৮৮)।
বি-ই-আ ১ম খণ্ড, পৃঃ ৩০১ ঃ “যদি রাষ্ট্রপ্রধান বা তাঁর প্রতিনিধি কাউকে বাধ্য করে কোন নারীকে ধর্ষণ করতে, তবে ধর্ষণকারী শাস্তি পাবে না।”এ-আইনে “রাষ্ট্রপ্রধান বা তাঁর প্রতিনিধি”র কোন শাস্তির উলেখ নেই। কেউ বলতে পারেন, অন্যত্র শাস্তির কথা আছে। কিন্তু এখানেও সেটা নেই বলে কোন বাকপটু দুর্ধর্ষ উকিল তার অপরাধী মক্কেলকে খালাস করে নেবেই, কেউ ঠেকাতে পারবে না।
বি-ই-আ ১ম খণ্ড, পৃঃ ৩১১, ধারা ১৪৯ ঃ “বোবা’র সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়।” কিন্তু বোবা’র তো চোখ আছে, সে তো দেখতে পারে। তার সাক্ষ্য ছাড়া চোর-ডাকাতখুনীরা পার পেয়ে যাবেই কখনো কখনো। এটা আলাহ’র আইন হতে পারে না।
দাস-দাসী, গায়িকা এবং সমাজের নীচু ব্যক্তির (উদ্ধৃতি ঃ রাস্তা পরিষ্কারকারী বা শৌচাগারের প্রহরী, ইত্যাদি) সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। হানাফি আইন পৃঃ ৩৬১ ; শাফি’ই আইন পৃঃ ৬৩৬ − Law #o.24.3.3 ; পেনাল ল’ অব্ ইসলাম পৃঃ ৪৬ ; বিধিবন্ধ ২য় খণ্ড, পৃঃ ২৬৩)। কিন্তু ওদেরও তো চোখ-কান-বিবেক আছে। ওরা তো চুরি-ডাকাতি দেখতে পারে ঠিক আমার-আপনার মতই। ওদের সাক্ষ্য ছাড়া চোর- ডাকাত-খুনীরা পার পেয়ে যাবেই কখনো কখনো। এটা আলাহ’র আইন হতে পারে না। তাছাড়া, আইনটায় গায়কের কোন কথা নেই, এটাও তো অন্যায় হয়ে গেল।
হুদুদ মামলায়, বিশেষত ব্যভিচারে ও খুনের মামলায়, নারী-সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। (হানাফি আইন পৃঃ ৩৫৩ ; শাফি’ই আইন পৃঃ ৬৩৮ − Law #o.24.9। ক্রিমিন্যাল ল’ ইন্ ইসলাম অ্যাণ্ড দ্য মুসলিম ওয়ার্লড পৃঃ ২৫১। মুহিউদ্দীন খানের অনুদিত বাংলা কোরাণ পৃঃ ২৩৯। পেনাল ল’ অব্ ইসলাম পৃঃ ৪৪ ; বিধিবদ্ধ ১ম খণ্ড, ধারা ১৩৩ ও ২য় খণ্ড, ধারা ৫৭৬)।
নারীদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নহে, তাহাদের (১) স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা, (২) পরিচালন- ক্ষমতার দুর্বলতা ও (৩) বুঝিবার অক্ষমতার জন্য। (পেনাল ল’ অব্ ইসলাম পৃঃ ৪৫)।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৮

এ আর ১৫ বলেছেন: ইমাম শাফি’র শারিয়া-কেতাব “উমদাত আল্ সালিক”-এ আইন আছে ছয় হাজারের বেশি। ইমাম আবু হানিফার কেতাব হেদায়া-তেও প্রায় ছয় হাজার। আমাদের ইসলামি ফাউণ্ডেশনের প্রকাশিত তেইশশো’ পৃষ্ঠার বিধিবদ্ধ ইসলামি আইনে ৩ খণ্ড মিলে আইন আছে প্রায় দেড় হাজার। অথচ কোরাণে আইন আছে মাত্র কয়েকটি এবং হাদিসে আছে আরো কিছু, ব্যস্। তাহলে বাকি হাজার হাজার আইনগুলো কোত্থেকে এল ? ওগুলো নিশ্চয়ই এসেছে অন্যদের বানানো বহু উৎস থেকে। কিন্তু যেহেতু বিরাট পুকুরে এক ফোঁটা দুধ মিশালে তাকে দুধের পুকুর বলা যায় না, তেমনি মানুষের বানানো হাজার হাজার আইনের মধ্যে কোরাণ-হাদিস থেকে মাত্র কয়েকটা ঢুকিয়ে দিলে তাকে ‘আলার আইন’ বলা যায় না। যেমন, বিধিবদ্ধ ইসলামি আইনের ৩য় খণ্ডের ৫১ অধ্যায়ের আইনে আছে ১৮৬টা। কিন্তু তার ৩৪৪টা সূত্রের মধ্যে কোরাণ মাত্র ১টা আর সহি হাদিস ১৮১টা। বাকি ১৬২টা সূত্রই কোনো না কোনো মানুষের মতামত মাত্র। আসলে শারিয়ার আইনগুলো এসেছে প্রায় ১১টা উৎস থেকে
কোরাণ থেকে শারিয়া আইন যেভাবে বানানো হয়েছে তাতে কিছু ভুল পাওয়া যায়। আয়াতগুলো এত স্পষ্ট ও বিখ্যাত যে এগুলোকে অনিচ্ছাকৃত ভুল বলা কঠিন। যাহোক, ইচ্ছেকৃত হোক বা না হোক এ-ধরনের ভুল অত্যন্ত মারাত্মক। এতে কোরাণ-বিরোধী ও কোরাণ-নিরপেক্ষ আইনকেও কোরাণের আইন হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। আরো দু’একটা উদাহরণ দিচ্ছি আমাদের ইসলামি ফাউণ্ডেশন থেকে প্রকাশিত বিধিবদ্ধ ইসলামি আইন থেকে। ওটা হাতের কাছে পাওয়া যায় বলে আপনারা মিলিয়ে নিতে পারেন।

১। ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা ২৮৬ থেকে উদ্ধৃতি ঃ “হত্যাকারীর অপরাধ প্রমাণের জন্য অন্ততপক্ষে দুইজন মুসলিম পুরুষ সাক্ষীর প্রয়োজন হইবে। মহান আলাহ্র বাণী ঃ (সুরা বাকারা ২৮২ ও সুরা ত্বালাক ২-এর উলেখ) ”− উদ্ধৃতি শেষ।

কোরাণ খুলে দেখুন ওই আয়াত দু’টোয় দু’জন সাক্ষী রাখার নির্দেশ আছে শুধুমাত্র ধার- কর্জের দলিলের বেলায় (বাকারা ২৮২) আর স্ত্রী-তালাকের বেলায় (ত্বালাক ২)। এ-আইন কোরাণ-বিরোধী, কোরাণে কোথাও কোনো ব্যাপারে নারীর চাক্ষুষ সাক্ষ্য বাতিল করা হয়নি।

২। ১ম খণ্ড ৩১১ পৃষ্ঠা ও ২য় খণ্ড ২৭৯ পৃষ্ঠা থেকে উদ্ধৃতি ঃ “জ্বেনার সাক্ষীর ক্ষেত্রেও সাক্ষ্য-আইনের সাধারণ শর্তাবলী প্রযোজ্য হইবে” − উদ্ধৃতি শেষ। এই সাধারণ শর্তাবলীর উৎস হিসেবে আবারো দেয়া আছে সুরা ত্বালাক আয়াত ২। অথচ তালাকের শর্তটা ঢালাও ভাবে ‘সাক্ষ্য-আইনের সাধারণ শর্তাবলী’ করা যায় না।

৩। ২য় খণ্ড ২৭০ পৃষ্ঠায় ইবনে মাজাহ্ হাদিস নং ১৪৫৪ ও ২৬৬৬-এর সূত্রে বলা আছে এক ধর্ষিতার সাক্ষ্যে ও গয়না-ডাকাতির শিকার এক বালিকার সাক্ষ্যে নবীজী অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। কিন্তু আপনারা ইবনে মাজাহ্ খুলে দেখুন (২য় ও ৪র্থ খণ্ড পৃষ্ঠা যথাক্রমে ৩৪১ ও ৭৫), হাদিস ১৪৫৪-এ ধর্ষণের কোন কথাই নেই, আছে শুধু মৃতের খোলা চোখ হাত দিয়ে বন্ধ করে দেয়া। হাদিস নং ২৬৬৬- তেও গয়না-ডাকাতকে খোঁজা বা ধরার উলেখ নেই, মৃত্যুদণ্ড তো নেই-ই নেই।

শারিয়াপন্থীরা সর্বদাই বলেন আলাহ্ “নোজ্ দ্য বেস্ট” (আলাহ সবচেয়ে ভাল জানেন)। কিন্তু তাহলে রাষ্ট্র-আইন বানিয়ে নিজের মতামত অন্যের ওপরে চাপিয়ে দেয়াটা ইসলামি হয় কি করে এ প্রশড়বটার জবাব তাঁরা দেন না ॥

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩০

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লেখাটি।
+++

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

ফাহিম আবু বলেছেন: ধর্মনিরপেক্ষতা হচ্ছেই ধর্মহীনতা ! তার নমুনা দেখা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে, এখনো পাশ হওয়ার আগেই স্কুল কলেজে ধর্মীয় স্বাধীনতা তুলে দেওয়ার অবস্থা, হিজাব, বোরকা পরে যাওয়া যাচ্ছে না, এটা নাকি ৯০% মুসলিমের দেশ !! একটা দেশকে ধর্মহীন,নাস্কতিক করার প্রথম ধাপ হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮

এ আর ১৫ বলেছেন: দিন দিন তো হিজাব বোরকাধারির সংখ্যা বাড়ছে সেই সাথে এই পোষাকে নিজেকে আড়াল করে অপরাধ রাহাজানি বাড়ছে । মুখ আড়াল করে নিকাব পরা যাবে না তাদের কে চেনা যেতে হবে তারা চেহারা লুকাতে পারবে না -- 'হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।' (সূরা আহযাব : ৫৯)------ এই আয়াতে বলা আছে -- এতে তাদের চেনা সহজ হবে --- তার মানে নিকাব পোড়লে তাকে চেনা সহজে যাবে না -- তাই মুখে নিকাব পরা যাবে না . যদি কোন শিক্ষা প্রতিস্টান নিকাব পরা নিষেধ করে তাহোলে ঠিক কাজ করেছে এবং কোরান সম্মত কাজ করেছে ।
মাথার চুল ঢেকে হিজাব পরার কোন নির্দেশ কোরানে নেই --হিজাব একটা ট্রেডিশন এবং এটা মোটেও ধর্মীয় বাদ্ধকতা নয়
হিজাবের পক্ষে সুরা আল নুরের ৩১ তম (২৪--৩১) আয়াতের এই অংশটুকে হিজাব পরার আল্লাহর নির্দেশ হিসাবে দবি করা হয় --- ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে ---এখানে বলা হয়েছে -- তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে - মাথার ওড়না বক্ষে ফেলে রাখলে তা হবে হিজাব ।। অনেক বাংলা বা ইংলিশ অনুবাদে মাথার ওড়না বা ভেইল হিসাবে উল্লেখ আছে। কিন্তু এটা যে কত বড় মিথ্যাচার তার নমুনা দেখুন। এই আয়াতে আরবিতে খিমার শব্দটি ব্যবহার হয়েছে যার অর্থ আচ্ছাদন বা কভার যেমন পর্দা একটা কভার বা টেবিল ক্লথ যা টেবিলকে ডেকে আরাখে , জামা পরিধেয় বস্ত্র যা শরীর ডেকে রাখে তাই খিমার । শাল মাথার ওড়না শাড়ীর আচল ব্লাঊজ এই সবই খিমারের আওতায় পরে কারন এগুলো কভার বা আচ্ছাদন করতে পারে । সুতরাং খিমার শব্দের অর্থ শুধু মাথার ওড়না বা ভেইলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় কিন্তু কিছু হাদিসের বিকৃত ব্যাখার মাধ্যমে খিমারের অর্থ মাথার ওড়না হিসাবে বহু কোরানের অনুবাদে উল্লেখ করা হয়েছে ।

খিমার মানে মাথার ওড়না এর পিছনের যুক্তি কি ??? নবীর স্ত্রী বা কণ্যারা বা মুসলিম মহিলারা হিজাব পরতো তাই খিমার শব্দের অর্থ মাথার ওড়না -- এই ভাবে খিমার শব্দের অর্থকে মাথার ওড়নার মধ্যে সিমিত করে ফেলা হোল। ইসলাম আসার আগে আরবের মানুষ হিজাব পরতো এবং শরীর সম্পূর্ন ডেকে রাখতো বা এখনো রাখে যার মূল কারন মাত্রারিক্ত গরম হতে শরীরকে রক্ষা করা । মরুভূমির সাভাবিক তাপ মাত্রা যেখানে ৪৫ ডিগ্রী হতে ৫৫ ডিগ্রী পর্যন্ত ভেরি করে সেখানে মানুষ বাধ্য হয়ে মাথা সহ দেহ ডেকে রাখে জীবন রখা করার জন্য। ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষ যেমন শীত বস্ত্র পরে তেমনি মরুভূমির অত্যাধিক গরম হতে রক্ষা পেতে মানুষকে ডোলা কাপড় পরতে হয় এবং মাথা ডেকে রাখতে হয়। ডোলা কাপড় শরীর থেকে নির্গত ঘাম হতে সৃষ্ঠ ময়েসচারকে ধরে রাখে যা শরীরের ত্বককে বার্ন হতে রক্ষা করে । হিজাব মরুভূমির আবহাওয়ার প্রটেকশন ক্লদিং হিসাবে ইসলাম আগমনের বহু আগে থেকেই ব্যবহার হচ্ছে এবং অমুসলিমরা তা ব্যবহার করে ।
হিজাব একটা ট্রেডিশন এবং এটা মোটেও ধর্মীয় বাদ্ধকতা নয়.

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১১

মহা সমন্বয় বলেছেন: আল্লার আইন(শরীয়া) চাই।
তেঁতুল হুজুরের শাসন চাই।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চাই।
রাষ্ট্রভাষা আরবি চাই।
গনিমতের মাল চাই।
যৌনদাসীর সঙ্গ চাই।
দশের অধিক বউ চাই।
সিংহাসনে খলিফা চাই।
মুতা বিয়ের অধিকার চাই।
তুরাগ পাড়ে কাবা চাই।
সুন্দর বনে মরুভূমি চাই।
বাঘের জায়গায় উট চাই।
জাতীয় ফল খেজুর চাই।
হাতে হাতে চাপাতি চাই।
টিস্যুর বদলে ঢিলা কুলুখ চাই।
সর্বপোরি কুরআন চাই।

৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পুরো পোস্টের সাথে একমত

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এতো চমৎকার বিশ্লেষনী লেখা অথচ আমিও এই লেখাটা পড়ি নাই!


প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম!

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

মিতক্ষরা বলেছেন: খাবার, বাসস্থান ও পোশাক দিতে স্বামী বাধ্য থাকবে শুধুমাত্র বাধ্য স্ত্রীকে, অবাধ্য স্ত্রীকে নয়। এর বাইরের সব খরচ এমনকি ডাক্তারের, ওষুধের বা সৌন্দর্য্য-চর্চার খরচ ইত্যাদি হবে স্বামীর করুণা ও দয়া। (বলাই বাহুল্য, স্ত্রী অবাধ্য কি না সেটা ঠিক করবে স্বামী নিজেই)। হানাফি আইন পৃঃ ১৪০ ; শাফি’ই আইন পৃঃ ৫৪৪ − Law #m.11.4 ; মুহিউদ্দীন খানের অনুদিত বাংলা কোরাণ পৃঃ ৮৬৭ − তফসীর ঃ “স্ত্রীর যে প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার বহন করা স্বামীর যিম্মায় ওয়াজিব (বাধ্য), তা চারটি বস্তুর মধ্যে সীমাবদ্ধ − আহার, পানীয়, বস্ত্র ও বাসস্থান। স্বামী এর বেশি কিছু স্ত্রীকে দিলে অথবা ব্যয় করলে তা হবে অনুগ্রহ, অপরিহার্য নয়।”

এই বিষয়টি জানা সত্ত্বেও আমাদের হুজুররা যে কেন নারীদের চাকুরীর বিরোধিতা কেন কে জানে। থাকা খাওয়া ব্যতিরেকে অন্য কোন কিছুর জন্য স্বামীর দায় নেই। সেজন্য বাকী খরচের জন্য নারীরা তো উপার্জন করতে যাবেই।

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

চিত্রনাট্য বলেছেন: সনাতন ধর্ম নিয়ে যা বললেন তা কিছু কিছু জানি, যার বেশিরভাগই নারীদের ছোট করা নিয়ে, অথচ এই ধর্মে সব দেবী নারী রূপ।

ইসলামী আইন গুলো যেগুলো আপনি উল্লেখ করলেন সেগুলো তো বিভ্রান্তকর। খিমার নিয়ে লেখা 'উদাসী স্বপ্ন ' এর পোস্টে পড়েছি। ভালো লেগেছে। কিন্তু হিজাব জীবনাচরণ মেনে চলি, তাই এরকম ভাবতে পারছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.