নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই ভালো থাকুন

এ আর ১৫

এ আর ১৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকার কি এই বিষয়টা ভেবে দেখবেন --- বিষয় শব্দ দূষণ

০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:০২

একটা পোস্ট আমার ইনবক্সে কেউ একজন শেয়ার করে , যার কথা গুলো হোল এই রুপ ---

ইসলামের জন্মস্থান সৌদি আরবের সরকার মসজিদের মাইক ব্যবহারের উপরে এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কাবা সহ সর্বত্র শব্দ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করেছে তারা। যা মূলত একটি হাদিস কে লক্ষ্য করে করা হয়েছে যে হাদীসে উল্লেখ আছে তোমরা প্রার্থনা করো কিন্তু কাউকে কষ্ট দিয়ো না। এই হাদিস সম্পর্কে বাংলাদেশের মৌলভী সাহেব দের জানা আছে কিনা ! অথবা রাষ্ট্র এ দিকে মনোযোগ দেবে কিনা সেটি প্রশ্ন?

এখানে হাদিসটির কোন রেফারেন্স উল্লেখ করে নি । এর পরে আমি একটু খোজাখুজি শুরু কোরলাম -- তখন নীচের কিছু বিষয় খুজে পেলাম ...
What you have mentioned about using loudspeakers on the minaret for the prayers in which Qur’aan is recited out loud is something that is not allowed, because it causes a lot of disturbance for the people in houses and other mosques nearby. Imam Maalik (may Allaah have mercy on him) narrated in al-Muwatta’ (178), from Sharh al-Zarqaani in Baab al-‘Aml fi’l-Qiraa’ah (How Qur’aan is to be recited) from al-Bayaadi Farwah ibn ‘Amr – may Allaah be pleased with him – that the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) went out to the people when they were praying, and their voices were loud in recitation, and he said: “ A worshipper is conversing with his Lord, so let him think about the One with Whom he is conversing. Do not raise your voices above one another when reciting Qur’aan.”

Abu Dawood (1332) narrated, under the heading, “Raising the voice when reciting Qur’aan in night prayers” that Abu Sa’eed al-Khudri – may Allaah be pleased with him – said: The Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) observed i’tikaaf in the mosque and he heard them raising their voices in reciting Qur’aan. He drew back the curtain and said: “Each of you is conversing with his Lord, so do not disturb one another, and do not raise your voices above one another in reciting Qur’aan – or in prayer.” Ibn ‘Abd al-Barr said: The hadeeths of al-Bayaadi and Abu Sa’eed are both sound and saheeh.

These two hadeeths show that it is forbidden to raise one's voice in reciting Qur’aan in prayer to such an extent that it disturbs others, and that this is a nuisance and is forbidden. Shaykh al-Islam Ibn Taymiyah (may Allaah have mercy on him) said in Majmoo’ al-Fataawa (23/61): No one has the right to raise his voice so much when reciting out loud that he disturbs others, such as other worshippers.

In an answer he gave in al-Fataawa al-Kubra (1/350) he said: Whoever does anything that disturbs the people in the mosque, or does anything that will lead to that, should be stopped.
লিংক --- For Reference Please Click Here
এই বিষয় নিয়ে আরো কিছু রেফারেন্স আছে --
Use of External Loudspeakers during PrayerUse of External Loudspeakers during Prayer

Using loudspeakers to broadcast Quran and eulogies before dawn prayerUsing loudspeakers to broadcast Quran and eulogies before dawn prayer

এটা যদি সত্য হয় , তাহোলে বাংলাদেশে এই বিধান চালু করা কি উচিৎ নহে ।
এখানে উল্লেখ শুধু আজান নহে , যে কোন ধরনের সাউন্ড পোলুশন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সাথে সাথে ।
কোন কনসার্ট বা মিউজিক অনুষ্ঠানে সাউন্ড ইনডোর লেভেলে থাকতে হবে । কোন রাজনৈতিক বা অন্য কোন অনুষ্ঠানে সাউন্ড লেভেল ভেনুর ভিতরে থাকতে হবে ।
পশ্চিমা বিশ্বে এই ভাবে সাউন্ড লেভেল নিয়ন্ত্রণ করা হয় ।
কেউ এই বিধান ভংগ করলে ফাইন জরিমানা সহ অন্য কোন শাস্তির বিধান থাকতে হবে ।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:১২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমার বিশ্বাস আপনি একজন উচ্চশিক্ষিত মানুষ সেই সংগে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোক অথবা ভারতীয় এজেন্ট। আপনার প্রায় সব পোস্টেই তীর্যকভাবে ইসলামকে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা খুবই দুঃখজনক।

০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৪

এ আর ১৫ বলেছেন: : কথায় কথায় ভারতের এজেন্ট বা অন্য কারো এজেন্ট বলা হোল আপনাদের মস্তিষ্কের গুরুত্বর সমস্যা । এখানে সৌদী আরবের একটা ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং তারা এই ব্যাপারে ফতুয়া দিয়েছে হাদিসকে ভিত্তি করে । সেগুলো কি পড়েছেন ।

এই ব্লগে নতুন নকিব, ঈশ্বরকণা , সাড়ে চু্য়াত্তর সহ কয়েক ডজন ব্লগার আছে যারা ইসলাম ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে পোস্ট দেয় না । তাদের কাছে গিয়ে কেন জানতে চান না কেন তারা শুধু ইসলাম বিষয়ে পোস্ট দেয়।

সবশেষে -- এনারা কার এজেন্ট, সেটা দয়া করে জানাবেন । ধন্যবাদ

২| ০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:২৩

জ্যাকেল বলেছেন: মক্কা শরিফে মাইকে আজান হয় না, এটাই কি বলতে চাইছেন?

০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:০৮

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি কি এই খবর পান নি ?

৩| ০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:৪৬

ঈশ্বরকণা বলেছেন: ৩ মিনিট করে প্রতিটা আজান যদি দেয়া হয় তাহলে সারা দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আজানের সময় হয় ১৫ মিনিট ! মানে সার দিনে ২৪ ঘন্টার মাত্র ১.০৪ পার্সেন্ট সময় আজান শোনা যায়। তাতেই শব্দ দূষণে আপনার কানেও দূষণ হয়ে গেলো ! দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা বাস ট্রাক হাইড্রোলিক হর্ন বাজাচ্ছে ! এখানে ওখানে উচ্চস্বরে মাইক বাজছে । জন্ম জয়ন্তী, বক্তৃতা জয়ন্তী, দেশে ফেরা জয়ন্তী এরকম আরো শত শত জয়ন্তীতে বছর ব্যাপী সারাদিন মাইক বাজছে তাতে শব্দ দূষণ হচ্ছে না ? সে নিয়ে কোনো কথা নেই আর হাদিসের অপব্যাখ্যা করে আজান নিষিদ্ধ করার দাবি করতে হলো ! সারা দিনের পনেরো মিনিটের যা দিনের এক শতাংশের অল্প একটু বেশি সময় আর সেই স্বল্প সময়ের শব্দে কানে দূষণ হয়ে গেলো আপনাদের কিছু চিহ্নিত মানুষের ! সৌদি আরবকে কথায় কথায় মৌলবাদী দেশ, তাদের সরকার স্বৈরাচারী বলছেন আর তাদেরই অনুসরণ করে আমাদের মহান সরকারকেও স্বৈরাচারী কাজ কারবার করতে ইন্ধন জোগাচ্ছেন, আশ্চর্য ! আপনার ইসলাম বিদ্বেষতো ভাড়ামির পর্যায়ে চলে গেছে !

০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:০৭

এ আর ১৫ বলেছেন: ৩ মিনিট করে প্রতিটা আজান যদি দেয়া হয় তাহলে সারা দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আজানের সময় হয় ১৫ মিনিট !

এক সাথে ১০ মসজিদ থেকে যদি শুরু হয় তখন কি খুব মধুর লাগে ?

দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা বাস ট্রাক হাইড্রোলিক হর্ন বাজাচ্ছে ! এখানে ওখানে উচ্চস্বরে মাইক বাজছে । জন্ম জয়ন্তী, বক্তৃতা জয়ন্তী, দেশে ফেরা জয়ন্তী এরকম আরো শত শত জয়ন্তীতে বছর ব্যাপী সারাদিন মাইক বাজছে তাতে শব্দ দূষণ হচ্ছে না ?
আপনি লাস্ট প্যারা পড়েছেন কি -- যেখানে এই বিষয়ে কথা বলা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে কোন শব্দ দূষণকে শাস্তির আওতায় আনা উচিৎ ।
সে নিয়ে কোনো কথা নেই আর হাদিসের অপব্যাখ্যা করে আজান নিষিদ্ধ করার দাবি করতে হলো

তাহোলে ঐ মুফতিদের কাছে সঠিক ব্যাখা করে আসেন যারা এই ব্যাখা দিয়েছে । ইবাদতের নামে কাউকে কষ্ঠ দেওয়া যাবে না --- এই হাদিসের সঠিক ব্যাখাটা দিয়ে এর প্রতিবাদ করুন দয়া করে ।


৪| ০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:১৪

জ্যাকেল বলেছেন: খবর নিয়ে জানতে হবে।

০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৭

এ আর ১৫ বলেছেন: জী ভাই জানতে হবে ! তারা আজানের ভলিউম ১/৩ অংশ ব্যবহার করতে বলেছে আগের লেভেল থেকে ।তার মানে আগে যদি লভেল ৬০ এ ভলিউম ব্যবহার করা হোত, তাহোলে এখন লেভেল ২০ এ ভলিউম রাখতে হবে ।

৫| ০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:০৭

বিটপি বলেছেন: এই পোস্ট দাতার কোন পোস্ট বা কমেন্টের সাথেই আমি কখনো একমত পোষন করিনা কিন্তু আজকের পোস্টের সাথে আমি সঙ্গত কারণেই একমত। মসজিদে মাইক ব্যবহার করা হয় কেবলমাত্র মানুষকে ভালো কাজে, কল্যাণের পথে আহবান জানানোর জন্য - এই পর্যন্ত সব ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের দেশের মসজিদে থাকা অশিক্ষিত কুশিক্ষিত মোল্লা ইমাম মুয়াজ্জিনেরা তাদের হাতের নাগালে মাইক পেয়ে তার কোন রকম অপব্যবহার করতে ছাড়েনা। কেউ কেউ হেড়ে গলায় তাদের সঙ্গীত প্রতিভা যাচাই করে, কেউবা উৎকট শব্দে দোয়া দুরুদ পড়ে এলাকাবাসীর শান্তি নষ্ট করে - আর মাজার বা দরবার পুজারী হলে তো কথাই নেই - এলাকাকে জীবন্ত হাবিয়া দোজখ বানিয়ে ফেলে।

তাই সরকারের অবশ্যই আইন করা উচিৎ যে মসজিদের মাইক শুধু এবং কেবলমাত্র আযান ছাড়া অন্য কোন কাজে ব্যবহার হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৯

এ আর ১৫ বলেছেন: আজানে মাইক ব্যবহার করতে পারবে তবে ইনডোর লেভেলে রাখতে হবে , একই ভাবে বাকি সব শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ।

৬| ০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৩৫

আরইউ বলেছেন:



আযানের শব্দ আমার খুব প্রিয়। জাতীয় সঙীত আর আযান আমি জানিনা এর চেয়ে সুমধুর কোন সুর আছে কিনা।

তবে, আপনার অভিযোগটাও একদম তুচ্ছ্য নয়। আযানের শব্দের একটা মাত্রা ঠিক করে দেয়া যেতে পারে সম্ভবত। আমি দেখেছি সামান্য দূরত্বে দু'টো তিনটা চারটা মসজিদ থাকে আর সেই সব মসজিদ থেকে একই সময়ে আযানের ডাক শোনা যায়। আমি জানিনা এর প্রয়োজন আছে কিনা।

০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:১১

এ আর ১৫ বলেছেন: হাদিসের ব্যাখা দিয়ে সৌদী আরবে মাইকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে , আমাদের সরকারকে ও এই ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ।

৭| ০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:২০

রানার ব্লগ বলেছেন: মাইকের ব্যাবহার সম্পর্কে এই মসজিদ কমিটির কোন আইডিয়া নাই। মাইক যদি মসজিদের ছাদে উচু স্থানে লাগানো হয় তাহলে দূরদূর পর্যন্ত আজান ছড়িয়ে যাবে এতে মানুষের কানের ক্ষতিও হবে না আবার আজনো ও সবাই পরিষ্কার ভাবে শুনতে পাবে কিন্তু তা এরা জীবনেও করবে না। এরা মাইক মানুষের কানের মোধ্যে ঢুকিয়ে দেবে।

০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:১২

এ আর ১৫ বলেছেন: শব্দের ব্যপারে কোন কঠোর নীতিমালা না থাকার কারনে এই সব চলছে । ধন্যবাদ

৮| ০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:২৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঈশ্বরকণা বলছেন প্রতিদিন মাত্র ১৫মিনিট, উনি তাহলে বলুক প্রতিদিন ১৫মিনিট করে হলে বছরে কত মিনিট হয়! পোস্টদাতা তো সব শব্দদূষণ নিয়েই আপত্তি জানিয়েছে সেটা উনার চোখে পড়লো না। আর সেটা না জানালেও একটা সমস্যা দিয়ে আরেকটা সমস্যা জাস্টিফাই করা কি যৌক্তিক! আমার ঘরের সাথেই লাগোয়া তিনটি মসজিদ, ফজরের সময় কি অবস্থা হয় একমাত্র আমাদের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা জানেন!

০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৪

এ আর ১৫ বলেছেন: আসলে কিছু মানুষ আছে যারা শুধু হেডিং দেখে মন্তব্য করে , ভিতরে কি লেখা হয়েছে, সেটা পড়ার প্রয়োজন মনে করে না । আমি সব ধরনের শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে লিখেছি , ধন্যবাদ

৯| ০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫৪

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ভায়া, একথা সত্য যে সৌদী আরবে নামাজ ও আযানের সময় লাউডস্পিকার ব্যবহার বিষয়ে কিছু সংশোধন এনেছে। তবে বিষয়টা এমন না যেমনটা আপনি ২নং মন্তব্যের উত্তরে বলেছেন।

আযানের সাউন্ড কিছুটা কম (যে সব অঞ্চলে প্রচুর মসজিদ) করা এবং নামাজের সময় বাইরের লাউডস্পিকার বন্ধ রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আগে নামাজের পুরা সময় বাইরের লাউডস্পিকার চালু থাকতো।

কাবার আযান যেমন লাউডস্পিকারে দেওয়া বন্ধ হয়নি, তেমন ওখানের নামায পড়বার সময়ও বাইরের লাউডস্পিকার বন্ধ রাখা হয় না।

এবার আসি অন্য দিকে, যেটা আপনি স্থূলপর্যায়ে এড়িয়ে গিয়েছেন।

সৌদীতে আযান ও নামাজের শব্দ নিয়ন্ত্রণের আগে তাদের করা কিছু কাজ যা শব্দ দূষণ কমাতে সাহায্য করছেঃ
১. রাস্তায় গাড়িতে উচ্চ শব্দ সাউন্ড বাজানো যাবে না।
২. কোন রকম কনসার্ট বা প্রোগ্রামের আওয়াজ বাইরে থেকে শোনা যাবে না
৩. আপনার বাড়িতে উচ্চশব্দের সাউন্ড সিষ্টেম ব্যবহার করা যাবে না যা পাশের বাড়ি থেকে শোনা যায়
৪. দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উচ্চ শব্দ গান, মিউজিক বা অন্য কোন কিছু চালানো যাবে না
৫. স্কুল, হাসপাতাল, মসজদি সহ বিভিন্ন এলাকায় গাড়ির হর্ণ বাজানোতেও আছে নিষেধাজ্ঞা

ওরা মসজিদের সাউন্ড কমানোর বহু বহু আগে থেকে অন্য সব বিষয়ে নজর দিয়েছে। আর ওদের নজর দেওয়া মানে শুধু আইন করে বন্ধ করা নয়, বরং আইনের প্রয়োগ করে দেখায় ওরা। কয়েকদিন আগে আমার এক কলিগ ২০০ রিয়াল জরিমানা দিয়েছে গাড়িতে মিউজিক উচ্চ শব্দ বাজানোর দায়ে।

সৌদী আরবে একজন ড্রাইভার এক বছরে গড়ে যে পরিমান হর্ণ বাজায়, বাংলাদেশে একজন ড্রাইভার খুব সম্ভবত এক বা দুই দিনে তার থেকে বেশী বাজায়!

আর আপনি শুরু করেছেন মসজিদের শব্দ দিয়েই। আর বাদ বাকি বিষয়ে (যাতে পাছে লোকে কিছু বলে তা এড়াতে) মাত্র দুই লাইনে দায় সেরেছেন! বিষয়টা কেমন হয়ে যায় না?

০৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০৫

এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ----
আর আপনি শুরু করেছেন মসজিদের শব্দ দিয়েই। আর বাদ বাকি বিষয়ে (যাতে পাছে লোকে কিছু বলে তা এড়াতে) মাত্র দুই লাইনে দায় সেরেছেন! বিষয়টা কেমন হয়ে যায় না?

কারন অন্য বিষয় গুলো বন্ধ করতে সরকারি নীতি মালাই যথেষ্ঠ তাই এটা বড় করে লিখার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় নি কিন্তু লাউড স্পিকারে আজান প্রচার ,নামাজ প্রচার , কোরান তেলোয়াত প্রচার বন্ধ করতে হলে ইসলামিক দলিল এবং এর ব্যাখা প্রয়োজন ।
মিউজিক কনসার্টের আওয়াজ কমাবার জন্য শব্দ দূষণের অভিযোগ যথেষ্ঠ কিন্তু শুধু মাত্র শব্দ দূষণের অজুহাত দেখিয়ে লাউড স্পিকারে আজান বন্ধ করা যাবে না ।

১০| ০৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০১

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আযান মাইকে দেওয়া ঠিক না। এতে বহু রকমের সমস্যা হয়। যে নামাজ পড়ার সে জানে কখনও নামাজের সময়। মাইক ছাড়া আযান দেওয়াই উত্তম।

০৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০৭

এ আর ১৫ বলেছেন: একদম সত্য কথা বলেছেন । প্রবাশে যারা নিয়মিত নামাজ পড়ে , তাদের কোন আজানের প্রয়োজন হয় না । ধন্যবাদ

১১| ০৫ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথমে আমাদেরকে আইডেন্টিফাই করতে হবে, মাইকের কোন সময়ের আওয়াজ আমাদেরকে ডিস্টার্ব করে। দিনের বেলাকার, এমনকি সন্ধ্যার আওয়াজও আমাদের কানে সেরকম লাগে বলে মনে হয় না। আবার, মাইকে যদি একটানা কোনো আওয়াজ বাজতে থাকে, সেটা আমাদের ডিস্টারব্যান্সের কারণ হয়, সেটা দিনের যে-কোনো সময় এবং রাতের বেলার জন্য প্রযোজ্য। মাইকে গান-বাজনা, আজান, ওয়াজ-মাহফিল, ইত্যাদির জন্য একটা সুন্দর নীতিমালা থাকা উচিত। সন্ধ্যার সময় থেকে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত বাচ্চাদের লেখাপড়ার সময়, এরপর মানুষের ঘুমের সময়। এ সময় যদি পাশের বাসা, বা পাশের মাঠ থেকে উচ্চস্বরে ড্রাম বিট সহ ধুম-ধারাক্কা গানের আওয়াজ ভেসে আসে, সেটা সহ্য করা দুষ্কর। যারা এর ভুক্তভোগী তারা জানেন। একইভাবে, ওয়াজ মাহফিলের আওয়াজও তখন বাচ্চাদের পড়াশুনায় খুব ব্যাঘাত ঘটিয়ে থাকে।

আজানের শব্দে আমি কোনো আপত্তি দেখি না। 'কে ঐ শোনালো মোরে আযানের ধ্বনি, মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিল কী সুমধুর, আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনি।' আমার কাছে আজানের শব্দ সব সময়ই সুমধুর লাগে। এটা অল্প সময়ে শেষ হয়ে যায়। আমাকে নামাজের কথা মনে করিয়ে দেয়, বা মসজিদে যেতে বলে। সন্ধ্যা থেকে সারারাত একটানা গান-বাজনা, ওয়াজ মাহফিলের শব্দগুলো এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত, যাতে মাইকের ভলিয়্যুম কন্ট্রোল করে শুধু উপস্থিত অডিয়েন্স শুনতে পারে। আজানের আগে-পরে দীর্ঘ সময় ধরে হামদ-না'ত বলাও নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

যারা শব্দদূষণের শিকার, তারা হিসাব করে বের করে দেখতে পারেন, দিনের কোন সময়ে কোন আওয়াজগুলো আপনাকে সবচাইতে বেশি ডিস্টার্ব করে থাকে। অন্তত আযানের আওয়াজে আমি কোনোদিনই ডিস্টার্বড ফিল করি নাই।

০৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ৭:০১

এ আর ১৫ বলেছেন: আজানের শব্দে আমি কোনো আপত্তি দেখি না। 'কে ঐ শোনালো মোরে আযানের ধ্বনি, মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিল কী সুমধুর, আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনি।' আমার কাছে আজানের শব্দ সব সময়ই সুমধুর লাগে।

আপনার এই কথার উত্তর জনাব অপু তানভীর ১২ নং কমেন্টে দিয়েছেন --

আমার আগের বাসার ঠিক তিন দিকে তিনটা মসজিদ ছিল ! যার একটা মাইক ছিল সরাসরি আমার জানালার দিকে ! আযানের সুর সুমধুর এটা নিয়ে কোন দ্বি-মত নেই কিন্তু এই সু-মধুর আওয়াজ যখন কানের এতো কাছে এসে বাজে তখন সেটা সত্যিই সুমধুর লাগে না ! আগের বাসা বদলানোর একমাত্র কারণ ছিল এই আওয়াজ ! এছাড়া শীত কালে এই এলাকাতে প্রায়ই ওয়াজ মাহফিল হয় ! ওয়াজের জায়গা ছেড়েও পুরো এলাকার চারিদিকে মাইক সেট করা হয় । সেটা চলে সেই মাঝ রাত পর্যন্ত ! এটা নিয়ে কিছু বলতে গেলে মানুষ বলবে ইসলাম বিরোধী অথচ কি যে জ্বালাতন সহ্য করতে হয় ! এছাড়া রাজনৈতিক সভার বেলাতেও ঠিক একই ভাবে মাইক সেট করা হয় এখানে । এই কয়েকদিন আগে স্থানীয় একটা নেতার মৃত্য বার্যিকী উপলক্ষে একটা সভার আয়োজন করা হয়েছিলো । পুরো এলাকা অশান্তিতে ছিল !

১২| ০৬ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: আমার আগের বাসার ঠিক তিন দিকে তিনটা মসজিদ ছিল ! যার একটা মাইক ছিল সরাসরি আমার জানালার দিকে ! আযানের সুর সুমধুর এটা নিয়ে কোন দ্বি-মত নেই কিন্তু এই সু-মধুর আওয়াজ যখন কানের এতো কাছে এসে বাজে তখন সেটা সত্যিই সুমধুর লাগে না ! আগের বাসা বদলানোর একমাত্র কারণ ছিল এই আওয়াজ ! এছাড়া শীত কালে এই এলাকাতে প্রায়ই ওয়াজ মাহফিল হয় ! ওয়াজের জায়গা ছেড়েও পুরো এলাকার চারিদিকে মাইক সেট করা হয় । সেটা চলে সেই মাঝ রাত পর্যন্ত ! এটা নিয়ে কিছু বলতে গেলে মানুষ বলবে ইসলাম বিরোধী অথচ কি যে জ্বালাতন সহ্য করতে হয় ! এছাড়া রাজনৈতিক সভার বেলাতেও ঠিক একই ভাবে মাইক সেট করা হয় এখানে । এই কয়েকদিন আগে স্থানীয় একটা নেতার মৃত্য বার্যিকী উপলক্ষে একটা সভার আয়োজন করা হয়েছিলো । পুরো এলাকা অশান্তিতে ছিল !

আমাদের গ্রামে দুইটা মসজিদ । গ্রামের দুই দিকে । সেখানে মসজিদের আযানের আমার কোন আপত্তি নেই । কারণ দুর থেকে সেই আওয়াজে আমার কোন সমস্যা হয় না !

সব ধরনের শব্দ দূষন বন্ধ করা দরকার । বিশেষ করে ঢাকা শহরের মসজিদের মাইকের আওয়াজ আরও নমনীয় করা করা দরকার ! এবং এর রেঞ্জ আরও কমানো দরকার ! ওয়াজের সময় কেবল মাত্র ওয়াজের স্থল ছাড়া বাইকে মাইক সেট করা বন্ধ করার আইন দরকার । রাজনৈতিক সভাতেই ঠিক একই ভাবে সভা স্থল ছাড়া মাইকের আওয়াজ বাইরে যাতে না যায় সেই ব্যবস্থা করা দরকার ! কনসার্ট কোন ভাবেই লোকালয়ে করতে দেওয়া অনুমূতি দেওয়া যাবে না । কনসার্ট করতে হবে খোলা জায়গাতে !

০৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ৭:১২

এ আর ১৫ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই কমেন্ট করার জন্য । আপনার কমেন্ট কপি করে ১১ নং কমেন্টের জবাব দিয়েছি ।
যদি মসজিদের মিনারের উচ্চতা ১০ তালার বেশি হয়, তাহোলে ঐ আজান অনেক দূর পর্যন্ত যায় এবং ব্যপকভাবে শব্দ দূষণ সৃষ্ঠি করে না । যার জন্য মক্কা শরিফের মিনার থেকে এখন আজান দেওয়া হচ্ছে তবে ভলিউম লেভেল কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
আসলে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের ব্যপারে সরকারে নীতি মালা তৈরী করা জরুরী । কোন শব্দ যেন ভেনুর বাহিরে না যায় সে ব্যপারে সুস্পষ্ঠ রুলিং জারী করা উচিৎ, সেই সাথে নিয়ম ভংগকারীর জন্য শাস্তি জরিমানার ব্যবস্থা থাকা উচিৎ ।
আপনি শব্দের অত্যাচারে বাড়ী পরিবর্তন করেছিলেন । একবার চিন্তা করুন ঐ বাড়ী ওয়ালার কথা । শব্দের জন্য হয়ত তিনি ভাড়াটিয়া পাচ্ছেন না বা পেলে ও বেশি দিন থাকছে না কিন্তু কারো টু শব্দ করার সাহস নেই ।
ধন্যবাদ

১৩| ০৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ৮:৫৩

বিটপি বলেছেন: আজানে আমাদের কারো কোন রকম অসুবিধা হয়না। কারণ আমরা সবাই জানি আজান কখন হবে এবং কতক্ষণ চলবে। আজান শুনতেও বেশ শ্রুতিমধুর লাগে। যে কারণে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মত জিনিসও আযান শুনতে তার বাড়ির বেলকনিতে চলে যায়

তবে কারো এলাকার আজান যদি শ্রুতিকটু লাগে বা সাউন্ড বেশি বলে মনে হয়, তিনি ঐ মসজিদের ইমাম বা কমিটির কাছে আবেদন করতে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.