নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধ’ তাহলে আওয়ামী লীগের নিজস্ব সম্পত্তি আবারো প্রমাণ হলো!
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আওয়ামী লীগ ব্যবসা করেছে মিথ্যা নয়। ডান/বামদের দাবী মুক্তিযুদ্ধের ‘আওয়ামী ন্যারিটিভ’ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে আওয়ামী লীগের দলীয় ইতিহাস বানিয়ে ফেলা হয়েছে। মানলাম। এখানে যে সত্য নেই তাও নয়। কিন্তু কথা হচ্ছে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে না তখন মুক্তিযুদ্ধ অবহেলিত, নিষিদ্ধ, বিকৃত, সেন্সর হয় কেন? রাজশাহীর একজন ভাস্কক আমিরুল মোমেনিন জোসি বলেন,
"বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যটি কোথাও বিক্রি করা সম্ভব না। কোথাও স্থাপন করা সম্ভব বলেও মনে করি না। তাই ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দিয়েছি। এটা একজন শিল্পীর জন্য কতটা কষ্টের তা বলে বোঝানো যাবে না।”
১৯৭৫ সালের পর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ছিল বিকৃত, সেন্সর, অর্ধসত্য, অসত্য। তখন ১৬ ডিসেম্বর ২৬ মার্চ কোন ডান/বাম পার্টি অফিসে মুক্তিযুদ্ধের গান বাজত না। বাজতো সেটা লীগের অফিস থেকেই। ৭ মার্চের ভাষণও বাজত লীগের অফিস থেকে। তা মুক্তিযুদ্ধে লীগ যদি মুজিবকে সব ক্রেডিট দেয়, তাজউদ্দীনকে কোন ক্রেডিট না দেয় বেশ তো কবে কোথায় কোন পার্টি তাজউদ্দীনকে ফলাও করেছেন দেখান তো! শোনেন জনাব, আওয়ামী ন্যারিটিভ সম্পর্কে জানি, তা আপনাদের নিরপেক্ষ ন্যারেটিভ কোথায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে? এখন সেটা নিয়ে ঝাপায় পড়েন না কেন! দেশে এখন কেন কার্যত মুক্তিযুদ্ধ একটা নিষিদ্ধ বিষয় হয়ে গেছে, ২৪ দিয়ে ৭১-কে মুছার যে চেষ্টা কোথায় আপনার ন্যারেটিভ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে?
আওয়ামী লীগ ৭ মার্চের ভাষণ বাজিয়ে বাজিয়ে কান ঝাঁলাপালা করে ফেলেছিল। মানলাম অফিযোগ। অসত্য নয়। এ জন্য ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক তর্জনী উঁচানো যত ভাস্কর্য ছিল সবগুলো ভেঙে ফেলতে হয়েছে? সেই ভাঙা তর্জনি, বীরশ্রেষ্ঠদের দ্বিখন্ডিত ভাস্কর্য মাড়িয়েই আপনারা শপথ নিতে গিয়েছেন। এখন কেউ তো বলে না মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করেছে আপনারা তো আদর্শবাদী, এখন কেন মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান নিষিদ্ধ হলো? ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান যদি লীগ নিজের নামে চালায় সে দোষ লীগের। কিন্তু জয় বাংলাই ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের শ্লোগান। কোলকাতায় শরণার্থীদের জয় বাংলার লোকই বলা হতো।
কোথাও কারোর বিরুদ্ধে মব উশকে দিতে এখন বলা হয় ‘জয় বাংলা’ করে দেয়া হবে। রিসেটবাটন চেপে অতিত মুছে দেয়া মানে যে মুক্তিযুদ্ধকে মুছে দেয়া তাতে কোন সন্দেহ নেই। বাংলাদেশীদের একটা বড় অংশ ছিল নিজেদের স্বাধীনতার বিরোধী। নয় তো ভারতের সহায়তায় পাওয়া স্বাধীনতা নিয়ে অস্বস্তি, এই বড় অংশ চোখ বুঝে আওয়ামী লীগের বিরোধী। মুক্তিযুদ্ধকে নিজেদের পার্টির চোখে দেখা লীগের ত্রুটি সন্দেহ নেই। তবে যারা লীগের ন্যারেটিভ বলে মুক্তিযুদ্ধের প্রচলিত ইতিহাসকে বিকৃত বলেন তাদের আজ পর্যন্ত দেখিনি মুক্তিযুদ্ধের তথাকথিত নিরপেক্ষ ইতিহাস নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী সময়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আজ পর্যন্ত দেখিনি। একজনও পেলাম না জুলাই মাসের অভ্যুত্থানের সময় লাঞ্ছিত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে টু শব্দটি করেছে!
তা হলে কি দাঁড়ালো? মুক্তিযুদ্ধ আসলেই আওয়ামী লীগের সম্পত্তি? তারাই এই শিখাটি জ্বালিয়ে রেখেছে? এটি যদি সত্যি না হয় তাহলে আপনার আওয়ামী বিরোধী অবস্থান থেকেই মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধের শত অপমান চক্রান্তের প্রতিবাদ করুন!
ক্রেডিট :::::©সুষুপ্ত পাঠক
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪৩
এ আর ১৫ বলেছেন: কিছু রাজাকার ছাড়া সবার সমর্থন ছিলো মুক্তি যুদ্ধের পক্ষে
এটা ছিল ১৯৭১ সালের ইকুয়েশন --- ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কোন বাম বা ডান বা ক্ষমতাশীন রা মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা নিয়ে কোন কথা বলে নি ভুমিকা রাখেনি , ছিল নির্বাসনে -- শুধু মাত্র আওয়ামী লীগ এই চেতনা ধারন করেছিল , আবার ২০০২ থেকে ২০০৮ সালে পর্যন্ত এই চেতনা ছিল নির্বাসিত এবং ২০২৪ সালে আবার নির্বাসিত । ২০২৪ সালে শুধু আওয়ামী লীগ এই চেতনা ধারন করে আছে , তাহোলে মুক্তি যুদ্ধের চেতনা আওয়ামী লীগের সম্পত্তি বলে প্রমাণীত কারন অন্য কেহ এই চেতনা লালনের কোন উদ্যোগ নেয় নি , যদি নিত তাহোলে একটা দলের সম্পত্তি হতে পারতো না ।
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:১১
ক্লোন রাফা বলেছেন: আর অল্প কিছুদিন অপেক্ষা করেন । মুক্তিযুদ্ধের নতুন ন্যারেটিভ ল্যাবরেটরি থেকে প্রডিউস করা হবে। যেখানে জামাত ছিলো মুক্তি যুদ্ধের ফ্রিডম ফাইটার । বিএনপির জন্ম না হইলেও তারাই ছিলো / জামাতের সহযোদ্ধা‼️আওয়ামিলীগ আর কিছু বাম দল মিলে রাজাকার বাহিনী গঠণ করছিলো। গো.আজম ছিলো জাতির পিতা । শেখ মুজিব ছিলো রাজাকার শিরোমনি ! জেনারেল ওসমানি ছিলো বদর বাহিনীর প্রধান।
মেজর জিয়া ড্রামের উপর দাঁড়াইয়া ঘোষণা জিয়া বাশিতে ফু দিছে আর বাংলাদেশ স্বাধীন হইয়া গেছে‼️[ ড্রাম তত্ব হইলো কর্ণেল ওলী’র]
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৫৯
কামাল১৮ বলেছেন: আওয়ামীলীগ আর মুক্তিযুদ্ধ সমার্থক।কিছু রাজাকার ছাড়া সবার সমর্থন ছিলো মুক্তি যুদ্ধের পক্ষে।কিন্তু নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই ছিলো।যুদ্ধ করতে গিয়ে বিষয়টা টের পেয়েছি।