নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধ’ তাহলে আওয়ামী লীগের নিজস্ব সম্পত্তি আবারো প্রমাণ হলো!
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আওয়ামী লীগ ব্যবসা করেছে মিথ্যা নয়। ডান/বামদের দাবী মুক্তিযুদ্ধের ‘আওয়ামী ন্যারিটিভ’ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে আওয়ামী লীগের দলীয় ইতিহাস বানিয়ে ফেলা হয়েছে। মানলাম। এখানে যে সত্য নেই তাও নয়। কিন্তু কথা হচ্ছে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে না তখন মুক্তিযুদ্ধ অবহেলিত, নিষিদ্ধ, বিকৃত, সেন্সর হয় কেন? রাজশাহীর একজন ভাস্কক আমিরুল মোমেনিন জোসি বলেন,
"বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যটি কোথাও বিক্রি করা সম্ভব না। কোথাও স্থাপন করা সম্ভব বলেও মনে করি না। তাই ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দিয়েছি। এটা একজন শিল্পীর জন্য কতটা কষ্টের তা বলে বোঝানো যাবে না।”
১৯৭৫ সালের পর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ছিল বিকৃত, সেন্সর, অর্ধসত্য, অসত্য। তখন ১৬ ডিসেম্বর ২৬ মার্চ কোন ডান/বাম পার্টি অফিসে মুক্তিযুদ্ধের গান বাজত না। বাজতো সেটা লীগের অফিস থেকেই। ৭ মার্চের ভাষণও বাজত লীগের অফিস থেকে। তা মুক্তিযুদ্ধে লীগ যদি মুজিবকে সব ক্রেডিট দেয়, তাজউদ্দীনকে কোন ক্রেডিট না দেয় বেশ তো কবে কোথায় কোন পার্টি তাজউদ্দীনকে ফলাও করেছেন দেখান তো! শোনেন জনাব, আওয়ামী ন্যারিটিভ সম্পর্কে জানি, তা আপনাদের নিরপেক্ষ ন্যারেটিভ কোথায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে? এখন সেটা নিয়ে ঝাপায় পড়েন না কেন! দেশে এখন কেন কার্যত মুক্তিযুদ্ধ একটা নিষিদ্ধ বিষয় হয়ে গেছে, ২৪ দিয়ে ৭১-কে মুছার যে চেষ্টা কোথায় আপনার ন্যারেটিভ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে?
আওয়ামী লীগ ৭ মার্চের ভাষণ বাজিয়ে বাজিয়ে কান ঝাঁলাপালা করে ফেলেছিল। মানলাম অফিযোগ। অসত্য নয়। এ জন্য ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক তর্জনী উঁচানো যত ভাস্কর্য ছিল সবগুলো ভেঙে ফেলতে হয়েছে? সেই ভাঙা তর্জনি, বীরশ্রেষ্ঠদের দ্বিখন্ডিত ভাস্কর্য মাড়িয়েই আপনারা শপথ নিতে গিয়েছেন। এখন কেউ তো বলে না মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করেছে আপনারা তো আদর্শবাদী, এখন কেন মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান নিষিদ্ধ হলো? ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান যদি লীগ নিজের নামে চালায় সে দোষ লীগের। কিন্তু জয় বাংলাই ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের শ্লোগান। কোলকাতায় শরণার্থীদের জয় বাংলার লোকই বলা হতো।
কোথাও কারোর বিরুদ্ধে মব উশকে দিতে এখন বলা হয় ‘জয় বাংলা’ করে দেয়া হবে। রিসেটবাটন চেপে অতিত মুছে দেয়া মানে যে মুক্তিযুদ্ধকে মুছে দেয়া তাতে কোন সন্দেহ নেই। বাংলাদেশীদের একটা বড় অংশ ছিল নিজেদের স্বাধীনতার বিরোধী। নয় তো ভারতের সহায়তায় পাওয়া স্বাধীনতা নিয়ে অস্বস্তি, এই বড় অংশ চোখ বুঝে আওয়ামী লীগের বিরোধী। মুক্তিযুদ্ধকে নিজেদের পার্টির চোখে দেখা লীগের ত্রুটি সন্দেহ নেই। তবে যারা লীগের ন্যারেটিভ বলে মুক্তিযুদ্ধের প্রচলিত ইতিহাসকে বিকৃত বলেন তাদের আজ পর্যন্ত দেখিনি মুক্তিযুদ্ধের তথাকথিত নিরপেক্ষ ইতিহাস নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী সময়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আজ পর্যন্ত দেখিনি। একজনও পেলাম না জুলাই মাসের অভ্যুত্থানের সময় লাঞ্ছিত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে টু শব্দটি করেছে!
তা হলে কি দাঁড়ালো? মুক্তিযুদ্ধ আসলেই আওয়ামী লীগের সম্পত্তি? তারাই এই শিখাটি জ্বালিয়ে রেখেছে? এটি যদি সত্যি না হয় তাহলে আপনার আওয়ামী বিরোধী অবস্থান থেকেই মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধের শত অপমান চক্রান্তের প্রতিবাদ করুন!
ক্রেডিট :::::©সুষুপ্ত পাঠক
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪৩
এ আর ১৫ বলেছেন: কিছু রাজাকার ছাড়া সবার সমর্থন ছিলো মুক্তি যুদ্ধের পক্ষে
এটা ছিল ১৯৭১ সালের ইকুয়েশন --- ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কোন বাম বা ডান বা ক্ষমতাশীন রা মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা নিয়ে কোন কথা বলে নি ভুমিকা রাখেনি , ছিল নির্বাসনে -- শুধু মাত্র আওয়ামী লীগ এই চেতনা ধারন করেছিল , আবার ২০০২ থেকে ২০০৮ সালে পর্যন্ত এই চেতনা ছিল নির্বাসিত এবং ২০২৪ সালে আবার নির্বাসিত । ২০২৪ সালে শুধু আওয়ামী লীগ এই চেতনা ধারন করে আছে , তাহোলে মুক্তি যুদ্ধের চেতনা আওয়ামী লীগের সম্পত্তি বলে প্রমাণীত কারন অন্য কেহ এই চেতনা লালনের কোন উদ্যোগ নেয় নি , যদি নিত তাহোলে একটা দলের সম্পত্তি হতে পারতো না ।
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:১১
ক্লোন রাফা বলেছেন: আর অল্প কিছুদিন অপেক্ষা করেন । মুক্তিযুদ্ধের নতুন ন্যারেটিভ ল্যাবরেটরি থেকে প্রডিউস করা হবে। যেখানে জামাত ছিলো মুক্তি যুদ্ধের ফ্রিডম ফাইটার । বিএনপির জন্ম না হইলেও তারাই ছিলো / জামাতের সহযোদ্ধা‼️আওয়ামিলীগ আর কিছু বাম দল মিলে রাজাকার বাহিনী গঠণ করছিলো। গো.আজম ছিলো জাতির পিতা । শেখ মুজিব ছিলো রাজাকার শিরোমনি ! জেনারেল ওসমানি ছিলো বদর বাহিনীর প্রধান।
মেজর জিয়া ড্রামের উপর দাঁড়াইয়া ঘোষণা জিয়া বাশিতে ফু দিছে আর বাংলাদেশ স্বাধীন হইয়া গেছে‼️[ ড্রাম তত্ব হইলো কর্ণেল ওলী’র]
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিষয়টি নিয়ে আমিও অবাক যদিও আমি লীগের সাপোর্টার নই। সমস্যা নেই ডিসেম্বর মাস আসলে রেগুলার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখার চেষ্টা করবো।
৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩৬
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনি যদি মেনে নেয় তাহলে তো তাই , না মানলে আওয়ামীলীগ একটি দেশ রিরোধী দল ।
৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৪
ধুলো মেঘ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ কখনোই আওয়ামী লীগের সম্পত্তি ছিলনা। মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবদান একটা বিশাল শূন্য। জাসদ ও গণবাহিনীর ক্রেডিট জোর করে ছিনতাই করে আওয়ামী লীগ বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করে লাভে লাল হয়ে গেছে।
কিন্তু কোন ব্যবসাই বেশিদিন টেকে না। মুক্তিযুদ্ধের ব্যবসায়ও লাল বাতি জ্বলারই ছিল। আর এই ব্যবসায়ের সাথে মারা খেয়েছে চাটার দল আর সুযোগ সন্ধানী ভাস্করেরাও। ভাস্কর্য কখনোই চেতনা ধারণ করেনা। চেতনা ধারণ করে ইতিহাস। ইতিহাস ঠিক্মত লেখা হলে বা চর্চা হলে চেতনা কখনোই হারিয়ে যাবেনা।
এই চেতনার ধারক প্রতিটি বাঙালি, যারা স্বাধীন বাতাসে নিঃশ্বাস নেবার সুখ উপভোগ করে। তারা আর কাউকে কখনোই এই অমূল্য ধন নিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দেবেনা।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯
এ আর ১৫ বলেছেন: জাসদ ও গণবাহিনীর ক্রেডিট জোর করে ছিনতাই করে
ব্লগিন করেন কত দিন ? ১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধে এই দল দুটোর অংশ গ্রহন কি করে সম্ভব হোল ? লিখা না পড়ে মন্তব্য করেন কি করে বুঝলাম না । লিখা পড়লে তো এমন মন্তব্য করার কথা না !!
৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৩
রাকু হাসান বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতির জীবনের শ্রের্ষ্ঠ অর্জন ,সেটা অস্বীকার করার উপায় । আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধকে নিজ স্বার্থে বারবার নোংরা ব্যবহার করেছে। সার্বজনীন করতে পারেনি । জাতীয় এমন কিছু বিষয় আছে,সেগুলো নিয়ে রাজনীতি না করলেই ভালো । রিসেট বাটন মানে এই নয় যে,মুক্তিযু্দ্ধ করেকে ,অস্বীকার বা সব অতিত মুছে দেওয়া না । আমি যা বুঝি রিসেট বাটন,মানেই নতুন শুরু ,নতুন বাংলাদেশে বিনিমার্ণে কাজ করা ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪১
এ আর ১৫ বলেছেন:
লিখা না পড়ে মন্তব্য করেন কি করে বুঝলাম না ? লিখা পড়লে তো এমন মন্তব্য করার কথা না !! যে প্রশ্ন গুলো করলেন, সেগুলোর উত্তর এই লিখাতে দেওয়া হয়েছে ।
৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কিছু রাজাকার ছাড়া বাংলাদেশের সবার সমর্থন ছিলো মুক্তি যুদ্ধের পক্ষে
বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আওয়ামীলীগ ব্যাবসা করা বা কুক্ষিগত করার প্রশ্নই আসে না।
কারন রাজনৈতিক দল হিসেবে একমাত্র আওয়ামীলীগ ছাড়া আর কেউ এই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু জয়বাংলা ধারণ করে নি, কেউ না, একমাত্র আওয়ামিলীগই এদেশের গর্বিত অর্জন করে টিকিয়ে রেখেছে।
এ নিয়ে ব্যাবসা করবে কেম্নে? বাজারে মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু জয়বাংলার একমাত্র ক্রেতা আওয়ামীলীগ
আওয়ামীলীগ ছাড়া যারাই এসেছে তারাই এই অর্জন নস্যাৎ করতে চাইছে।
যারা বলতো আওয়ামিলীগ এগুলো তাদের সম্পত্তি বানিয়ে রেখেছে তারাই বা কখন এগুলো নিজেদের বলে দাবি করেছে? বঙ্গবন্ধু বা জয়বাংলা বলে?
আসলে তারা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হাতিয়ার হিসেবেই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আওয়ামীলীগ ব্যাবসা করা বা কুক্ষিগত করা ইত্যাদি এসব বাক্য ব্যবহার করতো।
৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০
জ্যাকেল বলেছেন: তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এসআলমকে সিংগাপুরের শীর্ষ ধনী বানাইছে, গরিব মানুষ রাস্তায় ঘুমায়, গরিব মানুষ মুরগির নাড়িভুড়ি কিনে, ঠেং কিনে আর শেখ হাসিনা সবচেয়ে তরতাজা মাছ, ফলন খেয়ে আরামসে পেটপুরে বিরোধী মানুষকে রাজাকার বলে থুবড়ি ছোটায়!
এই তথাকথিত বিজনেস আর সেইল হচ্ছে না, হবে না। মানুষ চালাকি ধরে ফেলেছে মিস্টার।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৫১
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি কি ইয়ারকি মারতে এসেছেন এখানে -- কোন মাওলানা ধর্ষন করলে কি বলবেন এটা ইসলামিক চেতনা ? ইসলাম কি এগুলো করতে বলে ? আপনার রাজাকারি চেতনার ভিতরে এই ধরনের অপকর্ম যুক্ত আছে । একজন মুসলমান চুরি করলে কি এর জন্য ইসলাম দায়ি বলা যায় ? আহাম্মকিতার একটা সীমা থাকা উচিত !
৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫০
উদাসীন মেঘ ১২১৯ বলেছেন: দেশে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। আওয়ামীলীগ নেতারা তখন দেশের মাটিতে থেকে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব না দিয়ে সব ভারতে পালিয়ে যায়। অবশ্য ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে পরবর্তীতে তাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার এবং মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করার সুযোগ ছিল। কিন্তু একজন আওয়ামিলীগ নেতাও মুক্তিযোদ্ধাদের কোন দল নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। তাদের বেশীরভাগই ইন্ডিয়ান সরকারের ভাতা নিয়ে কোলকাতায় তাস পিটিয়ে আড্ডা দিয়ে কালক্ষেপন করেছেন। কেউ কেউ আবার তাজউদ্দিনের প্রবাসী সরকারকে বিভিন্ন ভাবে অসফল বা ব্যর্থ করে দেয়ার ষড়যন্ত্রে মেতে ছিলেন। আর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআর, পুলিশবাহিনী সহ সাধারণ কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-জনতা।
কিন্তু দেশ স্বাধীন হতে না হতেইড এই সব আওয়ামি নেতারা এসে ক্ষমতা দখল করে নেয় এবং ছাত্র-জনতা-কৃষক-শ্রমিকের মুক্তিযুদ্ধের সকল কৃতিত্ব হাইজ্যাক করে নেয়। এরা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে যখনই ক্ষমতায় এসেছে, বিভৎস ভাবে দেশ লুট করেছে, গনতন্ত্র হত্যা করেছে, প্রতিপক্ষকে নির্মম ভাবে নির্মূল করেছে, ভোটচুরি করেছে। মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে এই আওয়ামিলীগ। এদের চেতনা বানিজ্যের খপ্পরে পড়ে চেতনা শব্দটি এখন যেন একটি গালিতে পরিনত হয়েছে।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৫৭
এ আর ১৫ বলেছেন: আওয়ামী লীগের নেতারা অপকর্ম করলে --- মুক্তি যুদ্ধের চেতনা এর জন্য দায়ি , তাই না ? আওয়ামী লীগের অনেক নেতা যে সব কিছু ত্যাগ করে যুদ্ধ করেছিল , সেগুলো কি হিসাবের মধ্যে আছে ।
আওয়ামী লীগের সব বড় নেতার বয়স তখন ৪০ এর উপরে , তারা যুদ্ধ করার জন্য ফিট নহে তবে ছাত্র লীগের বেশির ভাগ নেতা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিল ।
-- কোন মাওলানা ধর্ষন করলে কি বলবেন এটা ইসলামিক চেতনা ? ইসলাম কি এগুলো করতে বলে ? আপনার রাজাকারি চেতনার ভিতরে এই ধরনের অপকর্ম যুক্ত আছে । একজন মুসলমান চুরি করলে কি এর জন্য ইসলাম দায়ি বলা যায় ?
১০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪০
ইলি বলেছেন: রাজনৈতিক দল হিসেবে একমাত্র আওয়ামীলীগ ছাড়া আর কেউ এই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু জয়বাংলা ধারণ করে নি
১১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৯
জ্যাকেল বলেছেন: ইয়ার্কি ত আপনে মারতেছেন, মুক্তিযুদ্ধে যেখানে কার্যত আওয়ামীলীগের কোন সমরাস্ত্র নিয়ে ভুমিকা নাই সেখানে ইহা তাদের সম্পত্তি কিভাবে হয়?
সুটকেস গুছিয়ে আপনার পিতা সেক মুজিব পাকি প্রধানমন্ত্রী হইবার লালসায় গার্ড অব অনার নিয়ে গেছিল কি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেবার জন্য? ছিঃ
মিথ্যার একটা সীমা থাকা উচিত।
২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৬
এ আর ১৫ বলেছেন: ইয়ার্কি ত আপনে মারতেছেন, মুক্তিযুদ্ধে যেখানে কার্যত আওয়ামীলীগের কোন সমরাস্ত্র নিয়ে ভুমিকা নাই সেখানে ইহা তাদের সম্পত্তি কিভাবে হয়?
তাহোলে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকেন না তখন -- কেবল আওয়ামী লীগ শুধু মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে লালন করে এবং বাকিরা করে না , তাহোলে এটা কি প্রমাণ করে না যে এটা আওয়ামী লীগের সম্পত্তি ? ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬, ২০০২--২০০৭ এবং ২০২৪ -- এই সময়ে একমাত্র আওয়ামী লীগ ই মুক্তি যুদ্ধের লালন করেছে এবং করে চলেছে ।
এই সম্পত্তিকে আওয়ামী লীগের কাছে থেকে রক্ষা করার জন্য কেন এই চেতনা লালন শুরু করছেন না ?
১২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮
জ্যাকেল বলেছেন: কতিপয় লোক দিল্লীর ক্রীতদাস সূলভ মেন্টালিটি থেকে বের হইতে পারবে ন। ইহাদের ব্রেইনওয়াশ করা হইয়াছে এমনভাবে যাতে বাংগালী জাতির, বাংলাদেশের মানুষের ইতিহাস শুরু হইয়াছে ১৯৭১ সাল থেকে, অথচ ১৯৬৯, ১৯৬৬, ১৯৫২, ১৯৪৭, ১৯০৫, ১৮৫৮ থেকে শুরু করে প্রাচীন যুগ পর্যন্ত আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস রহিয়াছে।
কেবল ৭১ নিয়ে পড়িয়া থাকার মানে হইতেছে দিল্লীর অধীনতার সহিত গোলামির জিন্জির পরিধান করা। ১৯৭১ সালের মূলমন্ত্র ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে জাতির এক কাতারে শামিল হওয়া, ২০২৪ সালেও একই মূলমন্ত্র। একই শ্লোগান- সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সুবিচার।
আপনার আব্বা ৭৫ সালে নিহত হইবার আগে দেশে ৪ লাখ লোক না খেয়ে মারা গেছে, কেবল উনার লোকদের ৮৬% কোটায় নিয়োগ দিয়েছিলেন, এটা কি সাম্য?
রেকর্ড যুদ্ধাপরাধীদের মাফ করে দিচিলেন, সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ছিল, ইহা কি সুবিচার?
সিরাজ শিকদারকে খুন করে হুংকার দিয়েছিলেন, কোথায় সিরাজ শিকদার! সংসদকে প্রথমবারের মত কলংকিত করলেন। ইহা কি সুবিচার?
কোথাকার অজপাড়াগাঁ থেকে উঠে আসা এক গুন্ডাকে আপনার আব্বা বানাইতেছেন আর উনি ঐদিকে যে জনক হইয়া আছে - গুম (জহিরা রায়হানকে দিয়ে শুরু), এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং (২৭ হাজার), ধর্ষণ, ডাকাতি ও খুন (সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গঠিত রক্ষিবাহিনী দিয়ে)।
ডিগবাজি দিয়ে ৭১ এ পলায়নেই শেষ হলে ভাল হইত, বাদবাকি এইসকল লম্বা ইতিহাসের কারণে আপনার আব্বা জাতির গৌরব ৭১'কে কলংকিত করেছেন, উনার জন্য চান্স ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সুবিচারের এক সুন্দর বাংলাদেশ গড়বার, কিন্তু উনি তো শয়তানের খাস বন্দা, উনি তাই এইগুলা কেন করবেন? উনি ইবলিশের রাস্তায় হাইটা দেশকে জাহান্নামের মডেলে রুপান্তরিত করলেন।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার ৮ নং কমেন্ট এই কমেন্টের ভিতরে গুণগত কোন পার্থক্য নেই । ৮ নং কমেন্টের উত্তর আর এই কমেন্টের উত্তর একই --
আপনি কি ইয়ারকি মারতে এসেছেন এখানে -- কোন মাওলানা ধর্ষন করলে কি বলবেন এটা ইসলামিক চেতনা ? ইসলাম কি এগুলো করতে বলে ? আপনার রাজাকারি চেতনার ভিতরে এই ধরনের অপকর্ম যুক্ত আছে । একজন মুসলমান চুরি করলে কি এর জন্য ইসলাম দায়ি বলা যায় ? আহাম্মকিতার একটা সীমা থাকা উচিত !
এই কথার অর্থ হোল কোন ব্যক্তি বা দল যদি কোন অন্যায় করে থাকে তাহোলে কি দেশের বিধানকে কি দায়ি করা যায় ? মুক্তি যুদ্ধের চেতনা হোল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ যার মূল ভিত্তি হোল জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্র । আওয়ামী লীগ সরকার যদি কোন অপকর্ম করে থাকে , তাহোলে কি মুক্তি যুদ্ধের চেতনা দায়ি ?
আপনার কথা হোল যেহেতু আওয়ামী লীগ অপরাধ করেছে তাই মুক্তি যুদ্ধ চেতনা পরিত্যাজ্য , তাহোলে জামাতের অপরাধের জন্য ইসলাম ধর্মকে কেন ত্যাগ করেন না ?
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে তো ক মুক্তি যুদ্ধের চেতনা তো বিএনপি-জামাত-জাতীয় পার্টি কেহ ধার ধারে না এটা কি মিথ্যা ? এই কারনে কি এই চেতনা আওয়ামী লীগের সম্পত্তিতে পরিনত হয় নি । আপনার এই চেতনা লালন করলে তো আওয়ামী লীগ এটাকে নিজের সম্পত্তি বানাতে পারতো না ।
আমার লেখার বক্তব্য হোল এই কিন্তু আপনার উত্তর গুলোর কথা হোল , যেহেতু আওয়ামী লীগ অন্যায় করেছে , তাই মুক্তি যুদ্ধ চেতনা পরিত্যাজ্য তারমানি পাকি তালেবানি চেতনা গ্রহন যোগ্য ।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও বা না থাকলেও মুক্তি যুদ্ধের চেতনা ( জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্র ) লালন করে কিন্তু আপনার ক্ষমতায় থাকলে বা না থাকলে ও সব সময়ে মুক্তি যুদ্ধ বিরোধী রাজাকারি তালেবানি চেতনা লালন করেন । তারমানে মুক্তি যুদ্ধের চেতনা আওয়ামী লীগের সম্পত্তি এবং রাজাকারি চেতন বিএনপি জামাতের সম্পত্তি ।
নিজেরে মেধাবী দাবি করেন কিসের জন্য ?
১৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩
ধুলো মেঘ বলেছেন: উদাসীন মেঘ এবং জ্যাকেল আওয়ামী মুক্রি যোদ্ধাদের পাছার কাপড় খুলে নিয়েছে, সেজন্য পোস্ট দাতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন যে, আওয়ামী নেতাদের সবার বয়েস ৪০ এর উপরে হয়ে যাওয়াতে তারা আর মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেবার সাহস করেনি। সেই সাথে আবার জুড়েছেন, ছাত্রলীগ নেতারা নাকি যুদ্ধ করেছেন!
তা বাবা, ছাত্রলীগের কোন নেতা কোথায় যুদ্ধ করেছেন সে সম্পর্কে কি আমাদের কোন ধারণা দেবেন? এই ব্লগের স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধা চাঁদগাজী ওরফে সোনাগাজী পর্যন্ত জানিয়েছেন যে ছাত্রলীগের করা লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ) জানুয়ারী মাসে মুক্রিযুদ্ধ করতে নাকি বাংলাদেশে ঢুকেছে? এরাও তাহলে মুক্তিযোদ্ধা? নাকি মুরগি যোদ্ধা - সেটা স্পষ্ট করুন।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬
এ আর ১৫ বলেছেন: ছাগলের ৩ নাম্বার বাচ্চার মত অবস্থা আপনার । শুধু আওয়ামী লীগ কেন দুনিয়ার কোন ৪০ উর্দ্ধ ব্যক্তি যুদ্ধ করার জন্য শারিরিক ভাবে ফিট নহে যদি না সে আর্মি পারশন না হন যারা যুব বয়সে ট্রেনিং শেষ করেছে এবং যুদ্ধ বিদ্যা শিখেছে ? শুধু ইয়াংরা ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধ করতে পারে কিন্তু ৪০ এর বেশি বয়সের মানুষ সেনা ট্রেনিং নেওয়ার শারিরিক অবস্থায় থাকে না ?
তাহোলে কি কারনে ৪০ এর বেশি বয়সের আওয়ামী লীগ নেতারা কেন যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেনি এই কথা দাবি করেন ? এখন আপনার যাদের মুক্তি যোদ্ধা দেখেন তারা তাদের বশির ভাগ ছিল ছাত্র লীগের নেতা কর্মি অথবা সমর্থক ।
১৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২১
কিরকুট বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ অবশ্যই আওমিলীগের সম্পত্তি নয় । কিন্তু অন্যান্য সব দল ও গ্রুপের কর্মকান্ড দেখলে এমনটাই মনে হয় । এরাই মুক্তিযুদ্ধ কে আওমিলীগের একক সম্পদ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করছে ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৯
এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ , আপনি সরাসরি ব্যপারটা বুঝতে পেরেছেন কিন্তু উপরের কতগুলো লোকের মতে আওয়ামী লীগের অপকর্ম নাকি মুক্তি যুদ্ধের চেতনা ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৫৯
কামাল১৮ বলেছেন: আওয়ামীলীগ আর মুক্তিযুদ্ধ সমার্থক।কিছু রাজাকার ছাড়া সবার সমর্থন ছিলো মুক্তি যুদ্ধের পক্ষে।কিন্তু নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই ছিলো।যুদ্ধ করতে গিয়ে বিষয়টা টের পেয়েছি।