![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা জিনিস কিছুতেই বোধ গোম্য হচ্ছে না, কেন কিছু তথা কথিত সচেতন প্রগতিশীল ব্যক্তি এখন কিছুতেই বুঝতে পারছে না যে, বর্তমান ইউনুস সরকার, সম্পুর্ন জামাতের নিয়ন্ত্রণে। গত ৫ ই অগাষ্টের পরে থেকে ক্রমাগত সরকারি কার্যকলাপে জামাতের নির্দেশনা ইন্ধন প্রকাশ্য হয়ে গেছে কিন্তু এই সব ব্যক্তির ডিস্কে কিছুই অনুভুত হচ্ছে না
জেনারেল ওয়াকারকে নিয়ে যে সংশয় ছিল, তিনি আসলে কোন পন্থি ? তার কার্যকলাপে জামাতের প্রভাব যেমন দেখা গেছে ঠিক তেমন মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের প্রভাব দেখা গেছে । আসলে তার রাজনৈতিক অভিপ্রায় কোন দিকে , স্কুল জীবনে তিনি জামাতের ফুলকুরি সংঘের সাথে যুক্ত ছিলেন । তবে তিনি যে জামাত পন্থি সেটা প্রমাণ হয়ে গেল গোপালগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে, অতচ গত বছর তিনি গুলি ছুড়তে অপরাগতা প্রকাশ করে ছিলেন। এই হত্যাকান্ডের পরে স্পষ্ঠ হয়ে গেল অনেক কয়েকটা বিষয় যেমন ---
৩২ নাম্বার সহ, মুক্তি যোদ্ধার সমস্ত ভাষ্কর্য ধবংসের পিছনে তার মদদ ছিল , তার অভিপ্রায় ছাড়া এই ধবংস লিলা ঘটতেই পারে না , তিনি ক্ষমতা দখলের পরেই কারফিউ ঘোষনা দিয়ে সব কিছু থামিয়ে দিতে পারতেন কিন্তু তিনি যে সেই কাজটা ইচ্ছাকৃত ভাবে করেন নি , সেটা আজ স্পষ্ঠ।
সেই প্রক্রিয়াতে বংগবন্ধুর সমাধী ধবংস করার চক্রান্ত ব্যর্থ হলে, তিনি সেনাদের গুলি করার নির্দেশ দেন যেটা তিনি গত বছর করেন নি । এই আন্দোলন তো টিয়ার গ্যাস , লাঠি চার্জ এবং রাবার বুলেটেই থামিয়ে দেওয়া যেত ।
এত দিন ইউনুস সরকারে সাথে টানাপোড়েন এবং বিরোধের যে চিত্র আমরা দেখেছি, সেটা যে ছিল পাতান নাটক, যেটা এখন পরিষ্কার ।
তার মুল টার্গেট জামাতকে ক্ষমতায় বসান এবং তার আগে মুক্তিযুদ্ধের সব চিহ্র মুছে ফেলা, বর্তমান টোকাইদের সরকারকে দিয়ে, যাতে জামাতকে কেহ দায় দিতে না পারে , তবে এই কার্যের জনবল এসেছে জামাতের কাছে থেকে কারন টোকাইদের কোন জনবল নেই ।
তার অনুমোদনে জামাত সরোওয়ার্দী উদ্দানে জন সভা করে এবং সভাতে যখন জামাতের আমির অসুস্ত হয়ে যায় তিনি নিজে আগ বাড়িয়ে সিএমএইচে চিকিৎসা করার প্রস্তাব দেন।
একটি জিনিস কি সবার মনে আছে কি ৫ ই অগাস্টে তিনি জামাতের আমিরের সাথে বৈঠক করার জন্য নির্ধারিত সময়ে ২ ঘন্টা পরে বক্তিতা করেন , যেখানে একটা নিষিদ্ধ দলের সাথে তার বৈঠক করা সম্পুর্ন বে আইনি। তিনি এসেই জামাতের আমির কে আমিরে জামাত বলে ২ বা সংবোধন করেন । জামত সমর্থক অনুরাগি না হলে কেহ আমিরে জামাত বলে না , সাধারন ভাবে সবাই জামাতের আমির বলে । শেখ মুজিবকে বংগবন্ধু শুধু তার অনুরাগি এবং স্বাধীণতার পক্ষের মানুষরাই বলেন । একই ভাবে জামাতে আমিরকে আমিরে জামাত বলে থাকে জামাতের সমর্থক অনুরাগিরা । ওয়াকার সাহেব নিজের অবচেতনে জামাতের অনুসারি প্রকাশ করে ফেলেছিলেন সেই দিন এবং তিনি যে প্রকৃত জামাতের অনুসারি সেটা প্রকাশ হয়ে যায় বংগবন্ধুর সমাধী ধবংসের ষড়যন্ত্র ব্যার্থ হয়ে যাওয়ার পরে গুলি করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য । তার আরো লক্ষ থাকতে পারে শহিদ মিনার এবং জাতীয় স্মৃতি সৌধ গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য । সময় হলে পিনাকি বাবু শীষ বাজাবে এই বিষয়ে এবং সাথে সাথে একশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে ।
সর্বশেষ কথা বাংলাদেশ এখন জামাতের নিয়ন্ত্রণে কিন্তু কিছু সচেতন ব্যক্তি এখনো সেটা উপলদ্ধি করতে পারছে না ।
২৩ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:১৩
এ আর ১৫ বলেছেন: তাহোলে আপনি মেনে নিলেন যে , এই সরকার জামাতের নিয়ন্ত্রণে এবং সেনা প্রধান জামাতের লোক । গৃহ যুদ্ধ সন্নিকটে । ধন্যবাদ ।
২| ২৩ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:২৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সেনা প্রধান জামাতের লোক । গৃহ যুদ্ধ সন্নিকটে ।
এ কথা মেনে নিতে পারলাম না । ওয়াকার যদি জামাতের লোক হতো তবে পিনাকি ও খলিল মিলে তাকে সরানোর ছক কষতো না । দেশে কোনো সিভিল ওয়ার হবে না । জামাত সিভিল ওয়ার করলে যে টুকু আগাইসে আরো ১০০ গুণ পিছিয়ে যাবে ।
২৩ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:২০
এ আর ১৫ বলেছেন: পিনাকি খলিলের সরানোর ছক জাস্ট নাটক -- মোটকথা সেনা প্রধান কিন্তু বাস্তবে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারি, তাকে কেউ সরাতে পারবে না , ইউনুসের সাথে বিরোধ দ্বন্দ সবই নাটক ।
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৩৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: দাদা ভালো ফতোয়া দিয়েছেন; ভারতীয় ফতোয়া।
২৩ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:২২
এ আর ১৫ বলেছেন: এবার পাকি ফতোয়া টা যেন দেখি । এই সরকার যে জামাতের নিয়ন্ত্রণে সেটা বুঝতে এত কষ্ঠ কেন ?
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: পোস্টর বক্তব্য সমর্থন করি।
৫| ২৩ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
৬| ২৩ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:৩০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে অনেক খেলেছেন, ৫৫ বছর খেলেছেন, আরো কতদিন খেলার ইচ্ছা আছে? পক্ষের শক্তি বিপক্ষের শক্তি অনন্তকাল চলতে থাকলে লাভ আর লাভ, কি বলেন?
৭| ২৩ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩
কিরকুট বলেছেন: অতীতে কি ছিলো ? জামাত সেই পরগাছা যে সুবিধা মতো গাছ ধরে ।
৮| ২৩ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:০৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সবাই জানে কিন্তু স্বীকার করে না। ১৫ বছর শিবির যেমন ছাত্রলীগের লুঙ্গির নিচে লুকিয়ে থেকে বর্তমানে বিরাট বিপ্লবী সেজেছে।
৯| ২৪ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ২:৩৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার ধারণাটি অনেকাংশেই সত্য। বিষয়টি এমন নয় যে ড. ইউনূস জামাতপন্থী। তিনি জামাতের দ্বারা নয়, চালিত হচ্ছেন পরাশক্তির দ্বারা।
এই পরাশক্তিই জামাতকে সামনে এনে ‘বানরের খেলা’ দেখিয়ে নিজেদের স্বার্থ যত দ্রুত সম্ভব আদায় করার চেষ্টা করছে। কার্যসিদ্ধি হলেই বানরওয়ালা গুলোকে তারা ভারতের জিম্মায় ছেড়ে দিলেও দিতে পারে। তখন আরেক ধরনের খেলা দেখা যাবে। আপাতত এই শক্তিটাই চাচ্ছে বানরগুলো যেন ভারত নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং সব কাজে ভারতের দোষ দিতে থাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৫০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সচেতন মানুষ জানে সরকার কার ইশারায় নাচে। জামাত শুরুতে বিএনপির সাথে লেগেছিলো বিএনপি পচে গেছে । জামাতের গোপন বাহিনি লিগের ভিতর ঢুকেছিলো তারাও শেষ । এখন পদে পদে এই সরকার শেষ হইতেসে।