নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বসে আছি অন্ধকারে, \nআমাকে বুঝতে দাও \nমানুষ কেন আলোর \nপ্রত্যাশা করে!

আসোয়াদ লোদি

জীবন ও যন্ত্রণার মরুচরে আমি প্রপাতের ধারা ।

আসোয়াদ লোদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবরুদ্ধ আকাশ (পর্ব ২)

২৬ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৬



১ পর্বের লিংক Click This Link
(১ম পর্বের পরের অংশ)

তুমি সজলকে বুঝালেই পার।

আমি বুঝাব ওকে! কী যে বল, ও তো আমার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বুঝে। সেদিন বললাম, রাজনীতি বাদ দিয়ে একটা চাকরির চেষ্টা কর। সে কি বলল জান ? বলল, তুমি এসব বুঝবে না বাবা। আগে চাই সামাজিক পরিবর্তন। মানুষের মুক্তির জন্য নাকি আরও একটি বিপ্লব দরকার। আরে, বিপ্লব কি পান্তা ভাত ? সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে গোগ্রাসে খেয়ে নিলেই হল। বিপ্লব ডাক দেয়ার জন্য সুযোগ্য নেতৃত্ব কই ? যে দেশের অধিকাংশ মানুষ মৌলিক অধিকার কী তাই জানে না। তাদের নিয়ে আর যাই হোক, বিপ্লব হবে না।
তোমার তো অনেক জানাশোনা লোকজন আছে। দীর্ঘদিন সরকারি চাকরি করেছ। কাউকে রিকোয়েস্ট করে দেখ না, সজলের জন্য একটা কাজের ব্যবস্থা করা যায় কিনা।
বিলকিস, রিটায়ার্ড লোকদের রিকোয়েস্ট এখন কেউ আর রাখবে না। রিটায়ার্ড মানে বাতিল জিনিস।
তুমি কিন্তু কাজ না করার আগে হতাশ হয়ে পড়। এরকম হতাশ হয়ে পড়লে বাকি জীবন কীভাবে কাটাবে?
হতাশ হবনা ? আমি যে দিকে তাকাই কেবল সমস্যাই দেখি। কালরাতে সুমি ফোন করেছিল চট্টগ্রাম থেকে। আমানের ব্যবসা বন্ধ। ব্যাংক থেকে লোণ পেতে দেরি হচ্ছে। তিন লাখ টাকা দরকার। দুই এক দিনের মধ্যে ঢাকা আসবে।
তুমি কী বলেছ ?
আসতে বলেছি। ভেবেছিলাম পেনসনের যে কয়টা টাকা পেয়েছি তা দিয়ে সুজানগরে একটা খামার করব। এখন দেখছি পেনসনের টাকা পথেই খরচ হয়ে যাবে। সুজানগর পৌঁছতে পারব না।

বিলকিস আবার মোড়াতে এসে বসলেন। সুজানগরে খামার তার মস্তিষ্কে নতুন একটি চিন্তার দ্বার খুলে দিল। তিনি ভাবছেন, সজলকে কাজে লাগাতে পারলে সবচে ভাল হবে। তাকে আর চাকরি খোঁজতে হবে না। চাকরির চেয়ে স্বাবলম্বী হওয়া অনেক ভাল। বিলকিস বললেন-খামারের কাজে খাটাখাটি প্রচুর। এই বয়সে তুমি পারবে ?
তো কী করতে বল ? তোমার কোন সাজেশান ? পত্রিকা থেকে চোখ তুললেন ইয়াহিয়া।
আমি বলি কি, সজলকে যদি আমরা খামারের কাজে লাগাতে পারি, চাকরির চেয়ে বেটার হবে।

ইয়াহিয়া অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকালেন বিলকিসের দিকে। তোমার কী মনে হয় ও সুজানগর গিয়ে খামার করতে রাজি হবে ?
তুমি কথা বলে দেখ।
সজল কোথায় ? সকাল থেকে তো দেখলাম না।
ও ঘুম থেকে উঠেনি।
দুপুর বারোটা পর্যন্ত কেউ ঘুমায় ? ও জীবনে করবেটা কী ? ইয়াহিয়া ভ্রূ কুচকালেন। তার কপালের বলি রেখা আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠল।
ও তো সকালে এসে ঘুমিয়ে পড়ল।
সারারাত বাইরে করেটা কী ? একদিন দেখবে পুলিশে ধরে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছে।
তোমার যা কথা। সে বলল, দুর্গত মানুষদের জন্য ত্রাণ কালেকশন করতেছে। পার্টির পক্ষ থেকে নাকি ত্রাণ দিবে।
ওঅ, সমাজসেবা ! দেখবে একদিন তার নিজেরই ত্রাণ দরকার হচ্ছে।
দেখ, শুধু শুধু ছেলেটার পিছনে লেগে থেক না তো।
ওঅ, আমি ওর পিছনে লেগে থাকি। আমি যা বলছি ওর মঙ্গলের জন্য। সময় থাকতে না বুঝলে অসময়ের বুঝ কোন কাজে আসবে না।
ঠিক আছে, সজল উঠলে আমি ওর সাথে কথা বলব। তুমি এখন বাজার থেকে ঘুরে আস। তাজা মাছ পেলে নেবে, তাজা না হলে নেয়ার দরকার নেই।
আর কিছু আনব না ?
অন্যকিছু লাগবেনা। ঘরে সব আছে।
আচ্ছা ছাতাটা দাও।
হেঁটে হেঁটে যাবে নাকি ?
আমার তো আর কোথাও যাওয়ার তাড়া নেই। শরীরের উপকার হল, দুটো পয়সাও বাঁচল।
দেখো, পয়সা বাঁচাতে গিয়ে শরীরকে কষ্ট দিও না। ক্লান্তি লাগলে রিক্সা নিও।

ইয়াহিয়া বেরিয়ে গেলে বিলকিস চায়ের খালি কাপ উঠিয়ে নিয়ে রান্নাঘরে গিয়ে ঢুকলেন।

ভাদ্রমাসের আকাশে মেঘ জমে আছে। ভরদুপুরে রোদেরও তেমন তেজ নেই। বাতাসে বৃষ্টির গন্ধ। কাল সারারাত থেমে থেমে বৃষ্টি ছিল। সকালের দিকেও এক পশলা হয়ে গেছে। রাস্তার খানাকন্দে পানি জমে আছে। জলাবদ্ধতা থেকে কবে যে ঢাকাবাসী রেহায় পাবে কে জানে।
পথে নেমে ইয়াহিয়া ভাবলেন ফকিরাপুল বাজারে যাবেন। শান্তিনগর থেকে কতটুকু আর পথ। হাঁটতে হাঁটতে তার অফিসের কথা মনে পড়ে। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় অফিসে ফিরে গিয়ে আবার কাজে ডুবে যাবেন। কাজের অবসরে গোলাম রসুল সাহেবের সঙ্গে সুখ-দুঃখের গল্প করবেন। গোলাম রসুল বেশ রসিক টাইপের লোক। সবসময় মজার মজার কথা বলেন।

তার বাপের নাম নাকি গোলাম আজম। একবার নাকি গোলাম আজমকে খুঁজতে তাদের বাড়িতে পুলিশ এসেছিল। এলাকার এক দুষ্টলোক পুলিশকে তাদের বাড়ি দেখিয়ে বলেছিল, ঐটিই গোলাম আজমের বাড়ি। তৎক্ষনাত পুলিশ পুরো বাড়ি ঘেরাও করে ফেলল। ভেতরে এসে দুইজন পুলিশ অফিসার তার বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিল, গোলাম আজম কোথায় ? তার বাবা বিস্মিত হয়ে বলেছিল, আমিই গোলাম আজম। পুলিশ রেগে গিয়ে বলল, আরে মিয়া পুলিশের লগে মশকরা করেন। তিনি পুলিশকে বুঝাতে পারছিলেন না তার নাম যে গোলাম আজম সেটা। পরে পুলিশ ভুল বুঝতে পেরে সরি বলে চলে গিয়েছিল। এই ঘটনার পর থেকে তিনি নাকি নিজের নাম বদলিয়ে জি আজম করে ফেলেছিলেন। এসব কথা গোলাম রসুল সাহেব বেশ রসিয়ে রসিয়ে বলতে পারেন। তবে ইয়াহিয়ার মনে হয়েছে, এই কাহিনি গোলাম রসূলের বানানো। বাস্তবে হয়ত এরকম ঘটনা ঘটে নাই।

ফকিরাপুল কাঁচা বাজারে লোকজন ঠাসা। বৃষ্টির জল ও কাদা মাখামাখি হয়ে রাস্তার চেহারা বদলে গেছে। ডাস্টবিন উপচানো আবর্জনা রাস্তার উপর ছড়িয়ে আছে। সেখান থেকে বোটকা গন্ধ এসে নাকে লাগলে ইয়াহিয়ার পাকস্থলী মোচড় দিয়ে উঠে। তিনি নাকে রুমাল চাপা দিয়ে খুব সন্তর্পণে পা ফেলে মাছের বাজারে এসে ঢুকলেন। এখানকার দোকানিরা বড় বজ্জাত। সুযোগ পেলে পচামাছ গছিয়ে দেয়। তিনি ভাবলেন তাকে পূর্ব থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। দোকানিদের একসাথে ডাকাডাকিতে তিনি কোনদিকে যাবেন বুঝতে না পেরে একজন দোকানির সামনে দাঁড়িয়ে গেলেন।

দোকানি বলল, আসেন স্যার, তাজা মাছ আছে। পাঙ্গাশ লইবেন, আশুলিয়ার জীবিত পাঙ্গাশ ? দাম কমাই রাখমু স্যার।
ইয়াহিয়া তর্জনী তুলে দেখিয়ে বললেন, ঐটার দাম কত করে রাখবা ?
আড়াইশ টাকায় বেচছি স্যার। আফনের লাইগ্যা দুইশ টাকা কেজি।
দুইশ টাকা ! ইয়াহিয়া চোখ কপালে তুললেন। দেড়শ টাকা রাখ।
বেশি দামে কেনা। পোষাইব না। আপনের লাইগ্যা একশ আশি লাস্ট।
আচ্ছা, ঐটা ওজন করতো। না, না, ওটা নয়। ওটার পাশের টা।
দোকানি মাছটি ওজন করে বলল, দুই কেজি সাতশ।

ইয়াহিয়া পাঞ্জাবির পকেটে হাত ডুকিয়ে দেখলেন, পকেটের নিচ দিয়ে তার আঙুল বের হয়ে গেল। তিনি হতভম্ব হয়ে তকিয়ে রইলেন দোকানির দিকে। তার কপালের ভাঁজ শক্ত হয়ে গেল। এরকম দিনদুপুরে পিক পকেটিং ! কীভাবে হলো বুঝতেই পারলেন না ইয়াহিয়া।

দোকানি বলে উঠল, হইছে স্যারের বারোটা বাজাই দিছে। পাশের দোকানির দিকে তাকিয়ে বলল, অ করিম, কেডা স্যারের গিরা কাইটা নিছে ?
মাছ কেনা হল না। ইয়াহিয়া ফিরে আসলেন ঘরে। সোফায় বসে আপন মনে গজগজ করতে লাগলেন। পুরো দেশ পকেটমারে ভরে গেছে। কেউ সরকারি অফিসে বসে কলমের খোঁচায় পাবলিকের পকেট কাটে, আবার কেউ পথে-ঘাটে, হাটবাজারে পকেট কাটে। দুই দলই রাষ্ট্রের জন্য অভিশাপ। মানুষ যাবে কোথায় ? ইয়াহিয়া গজগজ করতে থাকলেন কিছুক্ষন।

বিলকিস মুচকি মুচকি হাসতে লাগলেন। সেদিকে তাকিয়ে ইয়াহিয়ার রাগ আরও বেড়ে গেল। হাসছ যে ?
হাসব না। পকেটমার নাকি চেহারা দেখে বুঝতে পারে কাকে টার্গেট করবে।
ওঅ আমার চেহারা হাবাগোবা ? দেখ, যৌবনে আমাকে দেখে অনেকে বলত, আপনি ফ্লীমে গেলেন না কেন ?
হাঁ তা ঠিক, তুমি ফ্লীমে গেলে আমরা আরও একজন রাজ্জাক পেতাম। বিলকিস আবার হাসে।
দেখ হাসবে না, আমার রাগ কিন্তু চড়ে যাচ্ছে। এতগুলো টাকা তো গেল, সঙ্গে পাঞ্জাবির পকেটাও গেল।
বাইরে গেলে আর একটু সাবধান হলেই তো পার। তুমি কী একটুও বুঝতে পারনি ?
আরে বুঝতে পারলে কি আর পকেট কাটতে পারত। হাতেনাতে ধরে ফেলতাম।
নিশ্চয় অন্যমনস্ক ছিলে ?
হাঁটতে হাঁটতে গোলাম রসুল সাহেবের কথা মনে পড়ল। তার কথা ভাবতে ভাবতে হাটছিলাম।
কোথাও যাওয়ার সময় এসব ভাবাভাবির দরকার কী ?
জান বিলকিস, অবসর জীবন বড় কষ্টের। ভাবাভাবি ছাড়া তাদের করার কিছু থাকে না। বাজারে কি আবার যাব ?
না দরকার নেই। ঘরে ডিম ডাল এসব আছে। দুপুরে চলে যাবে।

বিলকিস রান্নাঘরে ঢুকলেন। দুপুরের রান্নার কাজগুলো শেষ করতে হবে। তিনি আলুর খোসা ছিলতে ছলতে পকেট কাটা নিয়ে ভাবতে লাগলেন। এত লোকের ভীড়ে পকেট কাটে কীভাবে ? কাজটা রীতিমত দুঃসাহসিক। ম্যাজেসিয়ানদের মত কাজটা সবার সামনে ঘটল কিন্তু কেউ বুঝতে পারল না। পকেটমারেরও তো সংসার থাকে। বৌ, ছেলেমেয়ে, মা-বাপ। হয়ত আল্লাহ্ তাদের রিঝিক এভাবে দিয়েছেন। বিলকিস একটা সান্তনা খোঁজে।

ইয়াহিয়া গোসল সেরে বারান্দায় এসে বসলেন। টেবিলের উপর থেকে পত্রিকা নিতে গিয়ে দেখলেন ছাদ থেকে পত্রিকার উপর চুন-শুরকি খসে পড়েছে। তিনি ইজিচেয়ারে বসে ছাদের দিকে তাকিয়ে রইলেন। বাড়িটি অনেক পুরনো হয়ে গেছে। শান্তিনগরের এই একতলা বাড়িটি তার বাবা বানিয়েছিল। বারান্দার সামনে সামান্য একটু খোলা জায়গা আছে। উঠানে একটি কামরাঙা গাছ সবুজ-ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। টবে আছে কয়েক পদের অর্কিড। সেগুলো লাগিয়েছে বিলকিস। অর্কিডের প্রতি ওর ঝোঁকটা বেশি। সন্ধ্যাবেলায় বিলকিস উঠানে হাঁটাহাঁটি করে। তখন কামরাঙা গাছে পাখিরা সরগোল করে। ইয়াহিয়ার বেশ ভাল লাগে। সেসময় তিনি পত্রিকা পড়া বন্ধ করে কামরাঙা গাছের দিকে তাকিয়ে থাকেন।

বাবা তোমার নাকি পকেট কাঁটা গেছে, মা বলল। সজল মোড়া টেনে বাবার পাশে বসল।
ইয়াহিয়া পত্রিকা থেকে চোখ না তুলে বললেন, হাঁ।
ঘটনাটা কোথায় ঘটল ?
ফকিরাপুল বাজারে।
বাঃ ভেরি ইন্টারেস্টিং ব্যাপার তো !
ইয়াহিয়া তীক্ষ্ণ চোখে তাকালেন ছেলের দিকে। কি বললি পকেট কাঁটা যাওয়া তোর কাছে ইন্টারেস্টিং ?
না বাবা, আমি তোমার অনুভূতির কথা ভেবে বললাম। পকেট কাটা যাওয়ার পর তোমার যে অনুভূতি হল, তুমি কী প্ল্যান করে কিংবা টাকা-পয়সা খরচ করে সেই অনুভুতি অর্জন করতে পারতে ? কখনই পারতে না। যেমন ধর, পরীক্ষায় পাস-ফেল, ক্রিকেট খেলায় জয়-পরাজয়, ইলেকশনে হারজিৎ-এসব বিষয়ে ইনভল্ব না থাকলে সত্যিকার অনুভূতি উপলব্ধি সম্ভব নয়।
পলিটিক্স করে কাজ না শিখলেও কথা বলতে শিখেছিস। ইয়াহিয়া ঠোঁট বাঁকা করলেন।
বাবা কথাই তো কাজের শক্তি। শুন বাবা, এখন থেকে তুমি বাজারে যেতে আর পাঞ্জাবি পড়বে না। কারণ পাঞ্জাবির পকেট কাটা খুব সহজ।
ইয়াহিয়া মাথা দোলালেন। হাঁ, এই কথাটা ঠিক বলেছিস। পাঞ্জাবির পকেট কাটা সহজ।
বাবা তুমি নাকি সুজানগরে খামার করার কথা ভাবছ ?
গ্রামের জমিগুলো খালি পড়ে আছে। ভাবছি ওখানে কিছু করি।
তোমার আইডিয়া ভাল। তবে এই মুহূর্তে আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। আমাকে ভাবতে হবে।
চিন্তা-ভাবনা করে দেখ। আমি তো আর এখন করতে বলছিনা ।
ঠিক আছে বাবা।

সজল নিজের ঘরে চলে এল। তার মস্তিষ্কে একসাথে অনেক প্রশ্ন এসে ভিড় জমাল। সে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না কি করবে। পার্টির অনেক কাজ তাকে সামাল দিতে হয়। সে ঢাকা ছেড়ে যাবে কীভাবে ? তাছাড়া মণিকার বিষয় নিয়েও ভাবতে হবে। একটার পর একটা বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিচ্ছে সে। পরিবারে খুব চাপের মধ্যে আছে। এই মুহূর্তে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়াও সজলের পক্ষে সম্ভব নয়। সবকিছু যেন ঝোলে আছে। একটা অনিশ্চিত সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সজল। সুজানগর যাওয়ার ব্যাপারটা মহসিন ভাইয়ের সাথে শেয়ার করলে ভাল হয়। তিনি হয়ত ভাল একটা পরামর্শ দিতে পারবেন। বিকালে যেতে হবে প্রেসে। পোস্টার ডেলিভারির জন্য তাগাদা দিতে হবে। তাদের বলতে হবে, দিস ইজ টপ আর্জেন্ট।

চলবে-----------

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.