নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বসে আছি অন্ধকারে, \nআমাকে বুঝতে দাও \nমানুষ কেন আলোর \nপ্রত্যাশা করে!

আসোয়াদ লোদি

জীবন ও যন্ত্রণার মরুচরে আমি প্রপাতের ধারা ।

আসোয়াদ লোদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবরুদ্ধ আকাশ ।।পর্ব-১১

২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩৫


১০ পর্বের লিংক-https://www.somewhereinblog.net/blog/AS19LO65/29966515
পর্ব ১০ এর পরের অংশ ....

সুমি বিছানার উপর পা তোলে বসল। তোমার সবকিছুই বেকার হবে, দেখবে ভাইয়া আসবে না। মণিকা হাসল। না আসলে মহাভারত তো অশুদ্ধ হবে না। তোর ভাইয়ার চিন্তা ছাড়। এবার তোর শ্বশুরবাড়ির গল্প কর। চিটাগাং কেমন লাগে তোর ?
ভালই লাগে। নানার বাড়ি তো চিটাগাং। আত্মীয়স্বজন প্রচুর। ঘুরতে ঘুরতে সময় কেটে যায়।
তোর শ্বশুরবাড়ির লোকজন কেমন ?

শ্বশুর-শ্বাশুড়ি দুজনেই ভাল। আমাকে খুব আদর করে। ছিমছাম পরিবার। আমার শ্বাশুড়ির কোন মেয়ে সন্তান নেই। তিন ছেলে। আমান বড়। মেঝ দেবর আমেরিকা থাকে। ছোটটা অস্ট্রেলিয়াতে। মনে হয়না ওরা পার্মানেন্টলি দেশে ফিরে আসবে। হয়ত মেমসাহেব বিয়ে করে ওখানে স্যাটেল হয়ে যাবে। শ্বশুরবাড়ি টাউনেই। এলাকাটার নাম আগ্রাবাদ। কাছাকছি মোঘলটুলি, পাঠানটুলি। নাম শুনে মনে হবে যেন মোঘল সাম্রাজ্যে আছি। উইক এন্ডে কর্ণফুলী নদীতে নৌকা ভ্রমণে যাই। কখনও কাপ্তাই, কখনও রাঙ্গামাটি থেকেও ঘুরে আসি। টাউনের মধ্যে ফয়জ লেক, সাথে এমিউজম্যান্ট পার্ক। আমাকে দারুন আকর্ষণ করে। মাঝে মাঝে ওয়ার সেমেট্রিতেও যাই। সাইটটি বৃটিশ সৈনিকদের সমাধি। পতেঙ্গা বিচে ঢেউ এসে যখন পাথরে ভেঙ্গে পড়ে, তখন পাথরের উপর বসে থাকতে খুব ভাল লাগে।

তাহলে তো খুব মজায় কেটে যাচ্ছে তোর দিনকাল। আমি চিটাগাং তেমন যাই নি। একবার কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে আমরা চিটাগাংয়ে একরাত কাটিয়েছিলাম। আমরা একটা হোটেলে উঠেছিলাম। কোথাও ঘোরা হয়নি। শুধু বাবার এক বন্ধুর বাসায় দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম। তখন লালদিঘির পার না কোন একটা জায়গায় বলী খেলা চলছিল। আমি বলী খেলা কখনও দেখি নি। বাবাকে বলেছিলাম বাবা বলী খেলা দেখব। বাবা আমাকে নিয়ে গেল। কিন্তু লোকজনের সাংঘাতিক ভিড়ে বলী খেলা দেখার কোন সুযোগই পেলাম না। মনভার করে হোটেলে ফিরে এলাম।

হে আপু, বলী খেলাটা চট্টগ্রানের ঐতিহ্য। প্রতি বছর হয়। লালদিঘির পাড়ে মেলা বসে।
বেলা অনেক হল। চল খাবার টেবিল সাজিয়ে দিই। মা একা পারবেন না। মণিকা বলল।

নানার পাশে বসল সেতু। সেতুর উল্টোদিকে সুমি। সুমির পাশের চেয়ারে বসল আমান। দুটো চেয়ার খালি। বিলকিস ও মণিকা পরিবেশনের দায়িত্বে আছে। ইয়াহিয়া বললেন, মণিকা তুমিও বসে যাও।
মণিকা ইয়াহিয়ার প্লেটে পোলাও বেড়ে দিতে দিতে বলে, বাবা আমি পরে খাব। আমার এখনও ক্ষিধা পাই নি।
মণিকা আমার সাথে খাবে। বিলকিস বললেন।

সুমি একটা ভাতের দলা মুখে পুরে বলল, আপু পোলাও দারুন হয়েছে। ঠিক তোমার মত। মণিকা হেসে আমানের দিকে তাকাল। কিন্তু আমান তো কিছু বলছে না।
আমান মাথা নিচু করল। সে প্লেট থেকে দলা পাকিয়ে এক গ্রাস ভাত হাতে তুলে নিল। মুখেরটা এখনও চাবাচ্ছে। সত্যি আপু, রান্নাটা বেশ প্রশংসার যোগ্য। এক কথাই ওয়ান্ডারফুল !
ইয়াহিয়া বললেন, মণিকা বেড়াতে এলো। আর বিলকিস তুমি ওকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিলে। তুমি কাজটা ঠিক করলে না।
ঘরের মেয়ে ঘরের কাজ করেছে। আমার তো দুটো মেয়ে। এক মেয়ে হারিয়ে এক মেয়ে পেয়েছি । বিলকিস সেতুর প্লেটের ভাত মেখে দিচ্ছেন ।

মণিকা ইয়াহিয়ার পাতে একটা চিংড়ি তুলে দিল। বাবা আমাকে আলাদা ভাবছেন কেন এটাই তো আমার ঘর। আমি বৌ হতে চাই না, মেয়ে হয়ে থাকতে চাই।

মণিকার কথা শেষ না হতেই সজল এসে ঢুকল ঘরে। সেতু মামা বলে চিৎকার করে উঠল। সজল বলল, বাহ্‌, ! সবাই একসঙ্গে। খুব সুন্দর সময়ে এসে গেছি তাহলে। আমান তোমরা নাকি আজই যাচ্ছ ?
হাঁ ভাইয়া।
এত তাড়াতাড়ি যাওয়ার কী হল ? আরও কয়েকটা দিন থাক।
ভাইয়া ওদিকে খুব ঝামেলায় আছি। সবকিছু নতুন ভাবে শুরু করতে হচ্ছে। আর সময় নষ্ট করতে চাই না।

মণিকা সুমির দিকে তাকিয়ে নিঃশব্দে হাসছিল। প্রতিউত্তরে সুমিও হাসল। আমি হেরে গেছি।
তাহলে রাজনীতি তোকে ছুটি দিল ? ইয়াহিয়া বললেন ।
রাজনীতিতে ছুটি নেই, রিটায়ার্ম্যান্টও নেই বাবা।

বিলকিস বললেন, যা হাত-মুখ ধুয়ে আয়। ভাত খাবি।

গোসল করব মা। আজ তিনদিন হল গোসল করি নি। শরীর থেকে মাছের গন্ধ বেরুচ্ছে। সজল তার ঘরে ঢুকে গেল।
সুমিদের খাওয়া শেষ। মণিকা আবার নতুন করে টেবিল সাজাতে লাগল। টেবিলে প্লেট দিল তিনটা। সজল গোসল সেরে ভাত খেতে বসেছে। মণিকা বিলকিসের প্লেটে ভাত বেড়ে দিয়ে তারপর দিল সজলের প্লেটে। সে সবার পাতে একটা করে ডিম ও চিংড়ি দিল।

মণিকা তুমি খাও তো। সারাদিন অনেক কষ্ট করেছ। আমারা নিয়ে খাব। বিলকিস বললেন।

সজল একগ্রাস মুখে দিল। মণিকা প্লেটে ভাত নাড়াচাড়া করছে। তার দৃষ্টি সজলের দিকে। সে কিছু বলার জন্য নিজেকে তৈরি করে নিচ্ছে। দেখ রাজনীতিবিদদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিৎ। সেটা ঘরে কিংবা বাইরে উভয় ক্ষেত্রে জরুরী ।
আসলে কি হয়েছে জান মণি ..। মণিকা থামিয়ে দিল সজলকে। আমি তো তোমাকে প্রশ্ন করিনি। কৈফিয়ত দিচ্ছ কেন ?
আসলে গলাবাজি করতে করতে অভ্যাসটা চলে আসে। সজল হাসল।

তোমরা নেতারা বলতে ভালোবাস কিন্তু শুনতে চাও না। এখন আমি কী বলছি মনোযোগ দিয়ে শুন। সুজানগরের প্ল্যানে আপাতত আমি আরও দুটি বিষয় এড করতে চাই। এক. সুজানগর থেকে তুমি এমপি ইলেকশন করবে এবং তুমি নিজেকে এভাবে তৈরি করবে। দুই. আমি ওখানে দরিদ্র নারীদের প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থানের বিষয় নিয়ে ভাবছি। ডিটেইলস তোমার সাথে পরে আলোচনা করব। এখন আমি পেপার ওয়ার্ক করছি। আমার দুই তিনদিন সময় লাগবে। আমি ভেবে দেখেছি তুমি রাজপথে মিছিল করে কপাল ফাটাতে পারবে। ইমিডিয়েটলি সরকার ক্ষমতা ছাড়বে বলে আমার মনে হয় না। যেখানে বড় বড় দলগুলো সরকারের দালালী করছে। আমার মনে হয় এখনই শ্রেষ্ঠ সময় তোমার নিজেকে তৈরি করার।

বিলকিস খুব মনোযোগ দিয়ে মণিকার কথা শুনছিল আর অবাক হচ্ছিল। বুঝতে পারল মণিকার মধ্যে একটা দূরদৃষ্টি আছে এবং সে অনেক গুছিয়ে চিন্তা করতে পারে। তবে মণিকার কথাই একটা জিনিস বুঝা গেল তারা দুজনেই সুজানগর যাচ্ছে। বিলকিস মনে মনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।

সজল মিন মিন করছে। তোমার প্রস্তাব উত্তম। কিন্তু আমি করব ইলেকশন ? বিষয়টা ভাবতে পারছি না।
মণিকা এক দলা ভাত মুখে দিয়ে বলে, দেখ জনসেবা করতে গেলে ক্ষমতারও প্রয়োজন আছে। না হয় তুমি জনগণের জন্য করবেটা কী ? তোমার কাছে পাওয়ার থাকলে তুমি জনগণকে রাস্তা-ঘাট দিতে পারবে, শিক্ষা দিতে পারবে, চিকিৎসা দিতে পারবে। জনগণের জীবনযাত্রার মাণ উন্নিত করাই তো রাজনীতির লক্ষ্য। নয় কী ? তোমার কাছে আলাদিনের চেরাগ নেই যে, ঘষা দিলেই দৈত্য এসে এসব করে দিয়ে যাবে।

মণিকার কথা শুনে বিলকিস ফিক করে হেসে ফেলেন। তিনি কিছু একটা বলতে গিয়েও থেমে গেলেন।
আসলে ওরকম একটা চেরাগ থাকলে খুব ভাল হত। সবকিছু বদলে ফেলতে পারতাম। সজল হাসছে।
মণিকা গেলাস থেকে অল্প পানি খেল। চেরাগ যখন নেই বিকল্প ভাবতে হবে। তুমি যেই বিপ্লবের স্বপ্ন দেখ, শুধু তুমি নও তোমার নতি-পুতির আমলেও বাংলাদেশে ওরকম বিপ্লব হবে বলে আমি মনে করি না।

সজল মাথা নিচু করে হাসল। বিলকিস শব্দ করে হেসে উঠলেন। মণিকা তুমি যদি এই কথাগুলো আরও আগে বলতে পারতে, হয়ত ওর কপালটা ফাটত না।
মা ওটা ছিল আমার টারনিং পয়েন্ট। এর পর থেকে আমি জেগে উঠতে শুরু করেছি। বুঝতে পারলাম ও একা কিছুই করতে পারবে না। জীবনটা হেসেখেলে হেলেদুলে চলে যাবে। এখন আমাকেও মাঠে নামতে হবে।
সজল মণিকার দিকে তাকাল। তুমি কী মিছিলে যাওয়ার কথাও ভাবছ নাকি ?
শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া মিছিল করতে পারলে মণিকা পারবেনা কেন ? মণিকা হাসল।

বিলকিস বললেন, আমি কিন্তু তোমাদের বিয়ের বিষয় নিয়ে ভাবছিলাম। আমি চাচ্ছি আজই মণিকার বাবার সাথে কথা বলতে। তোমাদের অভিমত কী ? বিলকিসের দৃষ্টি মণিকার দিক থেকে ঘুরে সজলের উপর নিবদ্ধ হল।
সজলকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে মণিকা দ্রুত বলে উঠল, মা গত ৭ ডিসেম্বর আমারা বিয়ে করে ফেলেছি। বিষয়টা গোপন রেখেছিলাম। এখন আপনি জানলেন।

মণিকা খুব সাবলিল ভাবে কথাগুলো বলে গেল। সজল বিস্ময় নিয়ে তাকাল মণিকার দিকে। এই মেয়ে এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সহজভাবে বলে যায় কীভাবে সজল চিন্তা করতে পারে না। সজল বুঝে নিল তাহলে ৭ ডিসেম্বরের রাতটি ছিল মণিকার বাসররাত।

আমি তোমাকে বউ সাজিয়ে উঠিয়ে আনতে চাই। নারী হয়ে আরেক জন নারীর সাধ আমি তো মেরে ফেলতে পারিনা।
আমি তো বধূ হতে চাই না মা। আপনি তো বলেছেন আমি আপনার মেয়ে।

সজল খাওয়া শেষ করে নিজের ঘরে চলে গেল। মণিকা এঁটো থালা বাসন উঠিয়ে সিঙ্কে জমা করে রাখল।
বিলকিস বলেন, মণিকা তুমি আমার সঙ্গে এসো। মণিকা বিলকিসকে অনুসরণ করে বিলকিসের ঘরে এলো। বিলকিস মণিকাকে বিছানায় বসিয়ে আলমারি খুলে বের করে আনল একটি রুপালি বক্স। বুঝা যাচ্ছে বক্সটি অনেক পুরানো দিনের। তিনি বক্সটি খুলে বললেন, এগুলো আমার বিয়ের গহনা। এক এক করে সব গহনা মণিকাকে পরিয়ে দিলেন।

মণিকা বিলকিস কে কদমবুচি করল। বিলকিস মণিকাকে বুকে জড়িয়ে বলেন, চল তোমার বাবাকে সালাম করবে। তিনি মণিকাকে বারান্দায় নিয়ে এলেন।

ইয়াহিয়া পত্রিকায় মুখ ডুবিয়ে আছেন। বিলকিস বললেন, পত্রিকা থেকে মুখটা তোল। মণিকাকে দোয়া করে দাও। ওকে আমি সজলের বউ হিসেবে বরণ করে নিয়েছি।

ইয়াহিয়া ভ্যাবাচ্যাকা খেলেও তা প্রকাশ করলেন না। মণিকা কদমবুচি করলে ইয়াহিয়া মণিকার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, সুখি হও মা।
বিলকিস সুমির নাম ধরে দুইবার ডাকলেন। সুমি দুপুরের খাবারের পর শুয়েছিল। মায়ের ডাক শুনে সে আলুথালু বেশে বিছানা থেকে উঠে এলো। বিলকিস বললেন, মণিকাকে সজলের ঘরে নিয়ে যা।

সুমি মণিকার দিকে তাকিয়ে বলল, চল ভাবী।
এতক্ষণ পর মণিকা কথা বলল, ভাবী নয়, আপুই ডাকবি।

সজলের ঘরে এসে সুমি বলল, আপু তুমি ভাইয়ার সাথে গল্প কর। আমি ঘুমাতে গেলাম। সারারাত জার্নি করতে হবে তো। ট্রেনে আমার ঘুম আসে না।
আচ্ছা যা। সুমি চলে গেল। সজল বিছানায় শুয়ে আছে। মণিকা সজলের পাশে এসে বসে বলে, উফ এত ভারী ভারী গহনাও মানুষ পরে। সে গয়না খুলতে লাগল।
খুলছ কেন ? সুন্দর লাগছে। সজল বলল ।

মণিকা হাসল। থ্যাংক ইউ। ভারীগুলো খুলে রাখছি। ঝামেলা। সে গলার চেন ও হাতের চুড়ি রেখে বাকি গয়না খুলে ফেলল। লকারের ছাবি কোথায় ?

সজল দুই হাত ভাঁজ করে রাখল বুকের উপর। ড্রয়ারের মধ্যে আছে।
তোমাকে চমকে দিলাম। না ? মণিকা গহনা লকারে তুলে রাখে ।
এখানে না হয় সবাইকে ম্যানেজ করলে। তোমার বাড়িতে কীভাবে ম্যানেজ করবে ?
ওসব নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না। বিষয়টা আমার উপর ছেড়ে দাও।
ঠিক আছে। এখন তোমাকে দুই লাইন কবিতা শুনাই। বুঝে নিও তা আমারই মনের কথা।

“সোনার দিনার নেই, দেনমোহর চেয়ো না হরিণী
যদি নাও, দিতে পারি কাবিনবিহীন হাত দুটি,”

সজল দুই হাত প্রসারিত করল মণিকার দিকে। মণিকা সজলের বুকে ঝাপিয়ে পড়ে বলে, আমি কি এসব চেয়েছি।

সুমিরা তৈরি হয়ে গেল যাওয়ার জন্য। সজল ও মণিকা ষ্টেশন পর্যন্ত যাবে। মণিকা বিলকিসকে বলল, মা আমি সুমিকে সি অফ করে বাসায় যাব। বাবার সাথে আমার কিছু কথাবার্তা বলতে হবে। কিছু কাপড় আর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আসতে হবে। আমি আগামিকাল ফিরে আসব।
ঠিক আছে বৌমা।
বৌমা নয়, মণিকা। বৌমা ডাকলে মনে হবে আপনি আমাকে মেয়ের দৃষ্টিতে দেখছেন না।
ঠিক আছে। তুমিও আমাকে আপনি আপনি করবে না। আপনি বললে দূর দূর লাগে।

সুমি মণিকাকে জড়িয়ে ধরে চোখের পানি ফেলছে । সত্যি তোমাকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না। কখনও এরকম খারাপ লাগে নি।
মণিকা সুমির পিঠ চাপড়ে দিল। তুই খুব ভাল মেয়ে।

সজল বলল, ট্রেনের সময় হয়ে এল। আর দেরি করা ঠিক হবে না।

চলবে ................

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.