ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ও কিছু কথা

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

ইদানিং আমা;এর দেশে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর একটা হলো ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। সবচেয়ে বড় কথা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কোন সমস্যা নেই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে নিষিদ্ধ করা নিয়ে। নিষিদ্ধ করুক। তার আগে কিছু কথা আছে

এক নাম্বার পয়েন্ট হলো বাংলাদেশ একটা গনতান্ত্রীক দেশ। এই দেশ ১৯৯০ সালে সেনা শাষক এরশাদকে গনতাত্রীক বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে। সারা বিশ্বে আমরা পরিচি গনতান্ত্রিক দেশ হিসাবে। সেখানে দেশের চতুর্থ বৃহত্তম একটা রাজনৈতিক দলকে কিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। যদি তাই করা হয় তাহলে আমাদের নিজেদের আর গনতান্ত্রিক দেশ দাবি না করে অর্ধ বাকশালী দেশ হিসাবে দাবি করলেই তো পারি। নিজেদের তো আর গনতান্তিক দেশ দাবি করার দরকার নেই। আমাদের সরকারের একটি রড় মিত্র সেনা শাষক এরশাদের দল জাতীয় পার্টি। শেখ হাসিনা হয়তো ভূলে গেছে এরশাদ পতন আন্দোলনে শেখ হাসিনার অন্যতম বড় মিত্র ছিল জামায়াত ইসলামী। তাহলে এখন কেন জামায়াত ইসলামী নিয়ে তাদের এতো মাথাব্যাথা।

জামায়াতের নিজস্ব হিসাবমত প্রায় ৪০ লক্ষ সামর্থক আছে। যদি তাদের ৫০ ভাগ মিথ্যা ধরে ৫০ ভাগ সত্যও ধরি তাহলে তাদের ২০ লক্ষ সামর্থক আছে। ২০ লক্ষ সামর্থক গোষ্ঠি নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল যদি নিষিদ্ধ হয় তাহলে সেই দেশকে কি গনতিন্ত্রিক দেশ বলা যায়। আর বলা গেলেও কোন মুখে আমরা বলবো।

দেশে এখন বৃহত্তম ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠন জামাত। আচ্ছা মুক্তিযুদ্ধের বিরোদী তৎকালিন অন্যতম রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ এখনও কিভাবে বাংলাদেশে রাজনীতি করে। তাদের নিষিদ্ধের দাবি কেন করা হয় না।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে কমিউনিষ্ট দল শুধু একটা ছিল না। বেশ কিছু কমিউনিস্ট দল ছিল সেসময় রাজনৈতিক অঙ্গনে। সবাই তো সেদিন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যায় নি। কিছু তো বিরোধিতাও করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাদের এক কমিউনিষ্ট নেতা বলেছে, মুক্তিযুদ্ধ দুই কুকুরের কামরা কামড়ি ছাড়া আর কিছুই নয়। তাদের রাজনীতির নিষিদ্ধের কথা বলা হয় না কেন। শর্ষিনার পীর তো মুক্তিযুদ্ধের গনহত্যা জায়েজ করে ছিল। তাহলে আজও কেন সে তার পীর ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারছে। এর কোন উত্তর নেই কেন। আমরা রাজাকার বিরোধী আন্দোলন করছি। আরে আমাদের গুরুত্ব পূর্ন প্রশাসনই তো চালাচ্ছে রাজাকাররা। শর্ষেতে ভুত থাকলে কি আর ভূত শর্ষের ঝাঝে পালায়।

০ টি +০/-০