নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অ্যা সান অফ দ্য গুড আর্থ

হয়তো একদিন হারাবো ঐ মেঘের দেশে , হয়তো শ্রাবণের কোন এক সন্ধ্যায় , বারি হয়ে ঝরবো তোমাদের এ আঙিনায় ।

অ্যা সান অফ দ্য গুড আর্থ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দৃষ্টিভঙ্গী

১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

মেয়েদের ক্ষেত্রে পরিচিত অনেককেই দেখেছি বিবাহপূর্ব জীবনে নিজেদের 'শুটকী' বানাতে অতিরিক্ত ডায়েটিং করতে যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। আমার মনে হয় ব্যক্তিগত পছন্দের চেয়ে যারা চাপে পড়ে এই প্রক্রিয়া বেছে নিতে বাধ্য হয় তাদের সংখ্যাই তুলনামূলক বেশি। আর এ ব্যাপারে উদাসীন মেয়েদের অনেক সময় পরিবার থেকেও প্রত্যক্ষভাবে চাপ দিতে দেখা যায়। ছেলেদের

(এবং অভিভাবকদের,নারী অভিভাবকেরাও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই বরং এসব ক্ষেত্রে তাদের চুলকানিই বেশি দেখা যায়) দৃষ্টিভঙ্গিই মূলত এর অন্যতম কারণ। আমাদের সমাজে 'দুধে আলতা সোনার বরণের' পাশাপাশি ছিমছাম স্লীম ফিগারের চাহিদা কোনো অংশেই কম নয়। ফিটফাট কিছু পেলেই আমরা গদগদ হয়ে যাই, গুণাগুণ তেমন একটা মুখ্য বিষয় নয়। যদিও বিয়ের পর ঐ সমস্ত মেয়েরা আস্তে আস্তে অনিয়মিত হয়ে পড়ে যার ফলশ্রুতিতে অতি অল্প সময়েই তাদের ভূতুড়ে পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করা যায় অর্থাৎ ফলাফল শূণ্য (মতান্তরে 'বিয়ে তো হয়েই গেছে এখন আর নতুন করে উল্লেখযোগ্য কিছু পাবার নেই,কাজেই এবার ক্ষান্ত হও' এইরূপ ভাবনা চিন্তার আলামত)। জীবনযাত্রায় অত্যাধুনিক হলেও আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আজো সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। না হলে হয়তো কিছুদিন পরপর নতুন (ফেয়ার এন্ড) লাভলীরা এসে আমাদের ভেলকী বাজি দেখানোর সাহস পেত না; মার খেয়ে (কোম্পানী) তল্পিতল্পা গুটিয়ে নিত।



অতঃপর সুন্দরীর অলিখিত সার্টিফিকেট পাওয়া মেয়েটি তার প্রতিবেশীর স্কুল পড়ুয়া শিশু কণ্যাটির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা প্রদানে নিয়ম মেনে দিবারাত্রি দুই বার (ফেয়ার এন্ড) লাভলী ব্যবহারের সদুপদেশ দিয়ে যায়। সেই সাথে তাদের হলুদ বাটা মরিচ বাটা টাইপের পরিচর্যাও কিন্তু থেমে থাকে না।

লক্ষ্য যে এখনো অনেকটাই দূর...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫২

মুচি বলেছেন: ভালো বলছেন।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

অ্যা সান অফ দ্য গুড আর্থ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.