![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকেই বলছেন, উদ্ভুত পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিরোধী দলের নেতা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করা হতে পারে । গৃহবন্দীত্বকরণ এক ধরণের বেআইনী আটক কিন্তু আমাদের প্রচলিত আইনে কিন্তু গৃহবন্দীর কোন অবস্থান নেই । আইনে কোথাও কাউকে গৃহবন্দী করে রাখার কথা বলা হয় নি । গৃহবন্দী সাধারণত সামরিক শাসকেরা রাজনৈতিক নেতাদের করে থাকে , কারন সামরিক শাসনটাই হলো অবৈধ প্রক্রিয়া ও গনতন্ত্রবিরোধী । তাই তারা martial law দিয়ে যা কিছু তাই করতে পারে । পরবর্তীতে আইনগত প্রশ্ন ঊঠলে অনেকসময় আদালত Doctrine of necessity ছিল বলে সেটিকে বৈধতা দিয়ে দেয় আবার অনেক ক্ষেত্রে পরবর্তী কোন পার্লামেন্ট Indemnity'র মাধ্যমেও সেটির বৈধতা দিতে পারে । এটি সব গনতান্ত্রীক দেশেই প্রযোজ্য এবং একই পদ্ধতি অনুসরন করতে হয় । কিন্তু এ সরকার যেহেতু বলছে তারা নির্বাচিত ও সাংবিধানিক তা তারা যাই করুক না কেন । সেহেতু তাদের আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরন করতে হবে । এবং যেহেতু সামনে নির্বাচন তা নির্বাচন যেমন ভবেই করা হোক না কেন, এসরকার নিশ্চয় এসময় এমন কিছু করবে না যা সামরিক ডিক্টেটররা করে থাকে । তবে শুধু একটি প্রক্রিয়ায় খোলা আছে তাহলো নিরাপত্তার কারন দেখিয়ে executive order অর্থাৎ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্তে কিংবা বেশি হলেও একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেগম জিয়ার বাড়ীর চারদিকে নিরাপত্তা বাড়ানো ও চলাচলে বাধা দেয়া । এখানেও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী বলে রিট করার সু্যোগ আছে । আরেকটি সু্যোগ আছে special powers act এর অধীন preventive detention এ নেয়া । তবে এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহিত হলেও প্রধান বিরোধীদলের প্রধানকে detention এ নেয়ার সম্ভাবনা খুব কম । আর অন্যসব ক্ষেত্রে গ্রেপ্তার করতে হবে ও গ্রপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোর্টে হাজির করতে হবে, তারপর আদালতের সিদ্ধান্ত ।।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
এ ইউ জেড প্রিন্স বলেছেন: হা, সেক্ষেত্রে পেনাল কোডের ১২৪ক অনুসারে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করতে হবে । শেষ প্রসিডিউর প্রযোজ্য ।
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৪
রাজীব বলেছেন: আদালতের সিদ্ধান্ত
যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন "সমঝোতা হলে গ্রেফতারকৃত বিরোধীদলীয় নেতাদের মুক্তি দেয়া হবে।"
তাদেরকে ধরা হয়েছিল বাস পোড়ানো মামলায়, যেখানে অনেকে আহত ও নিহত হয়েছিল। এখন যদি সমঝোতা হলেই তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে এখান আইনের শাসন কোথা্য়? আর আদালতের সিদ্ধন্তই বা কোথায়?
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১১
এ ইউ জেড প্রিন্স বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, যোগাযোগমন্ত্রী অসতর্কভাবে একথা বলে ফেলেছিলেন । কিন্তু একথার মধ্যদিয়ে পরিষ্কার হয়ে গেছে বিচারবিভাগের স্বাধীনতার বালাই ও নেই এখানে । বিচার বিভাগ পুরো পুরি এক্সিকিউটিভের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত । আর এ সরকার সব ক্ষেত্রে এটিই করছে । তবু পর্দার আড়ালে করলেও তাকে দেখাতে হচ্ছে যে কোর্টে নেয়া হচ্ছে । প্রকৃতপক্ষে গোয়েন্দা সংস্থা আর উচ্চ পর্যায়ের টেলিফোনের দ্বারাই মনে হয় যেন বিচারকেরা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন । তারপরও শো করানো হচ্ছে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে ।।
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৪
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: বাকশালী কুকুরের দল স্বপ্ন দেখতে থাকুক।
বিরোধি মত বাকশালীরা কবে মেনে নিয়েছে?
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৫
এ ইউ জেড প্রিন্স বলেছেন: ঠিকই বলেছেন , তবে বিরোধী মত শুধু বাকশালীরা নয়, যে যখন ক্ষমতায় গিয়েছেন মেনে তো নেয়ই নি, মনোযোগ সহকারে কখনও শোনেও নি । তাই তো আজ গনতন্ত্রের এই অবস্থা । যেখানে ক্ষমতায় যাওয়া মানে বিরোধীদলকে নিশ্চিন্ন করে দেয়ার সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
রাফা বলেছেন: উনি যদি রাস্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে দাড়ান।অথবা দেশদ্রোহি মূলক কর্মকান্ড
করতে বদ্ধপরিকর হন?