নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এ ইউ জেড প্রিন্স

মানবতার স্বার্থে নিবেদিত প্রাণ

এ ইউ জেড প্রিন্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়ের ব্যাপারে প্রেমিক-প্রেমিকার বিবাহপূর্ব প্রতিশ্রুতি ও তার আইনগত মূল্য

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮

বিয়ে একটি ধর্মীয় অনষ্ঠান ও সামাজিক রীতি । বিয়ে করতে কেউ আইনত বাধ্য নয় আবার বিয়ে করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে বিয়ে করা থেকে বিরত রাখার চুক্তিও বেআইনী । চুক্তি আইন ১৮৭২ এর ২৬ ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তির বিয়ের ব্যাপারে বাধা নিষেধ আরোপের উদ্দেশ্যে গঠিত চুক্তি বাতিল বলে গন্য হবে । তাই কাউকে বিয়ে করবে বলে পূর্বে প্রদত্ত যে কোন প্রতিশ্রুতি আইনের দৃষ্টিতে অগ্রাহ্য হবে । নাবালক অবসথায় পিতামাতা প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি কিংবা সাবালক অবস্থায় অনুমতি না নিয়ে বিয়ের ব্যাপারে অভিভাবক প্রদত্ত এরুপ প্রতশ্রুতি আইনে অসার, তাই চুক্তি আইনের ২৬ধারার কারনে এরুপ প্রতিশ্রুতি সুনি্দিষ্ট প্রতিকার আইন,১৮৭৭ দ্বারাও কোন পক্ষ বলবৎ করতে পারবে না । এমন কি বাগদান( রিং বিনিময়) অনষ্ঠান সমাপ্তির পরও বিবাহ না সম্পন্ন হলে তা বলবৎ করা যায় না, কিংবা বিবাহ হয়েছে বলেও তা গন্য হবে না, কারন বিবাহের ক্ষেত্রে নিছক আঙটি বিনিময় বিবাহের কোন উপাদানের মধ্যে পড়ে না, ইহা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র, যার কোন আইনগত ভিত্তি নেই; বরং ইহা বিবাহপূর্ব বিবাহের প্রতিশ্রুতি প্রদত্ত মৌখিক চুক্তি বলেই গন্য হবে, যা চুক্তি আইনের ২৬ ধারা অনুসারে বাতিল বলে গন্য হবে, তাই বাগদান অনষ্ঠানের পরও বিবাহের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনে চুক্তি বলবৎ বা ক্ষতিপূরনের মামলা আইনসিদধ হবে না । কোন প্রেমিক প্রেমিকা যদি এই মর্মে চুক্তি করে যে তারা একজন অন্যজনকে ছাড়া অন্য কাউকে ভবিষ্যতে বিয়ে করবে না, তবে এই চুক্তি বাতিল বলে গন্য হবে । আবার ধরুন, কোন স্ত্রী তার স্বামীর সাথে এই মর্মে চুক্তি করল যে স্ত্রীর মৃত্যুর পর ঐ স্বামী আর অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবে না, অথবা স্বামী অন্য কোন মহিলার সাথে এই মর্মে চুক্তি করল যে স্ত্রীর মৃত্যুর পর ঐ মহিলাকেই বিয়ে করবে, এই ধরনের চুক্তি আইনের দৃষ্টিতে void ab initio,বা শুরু থেকেই বাতিল বলে গন্য হবে । সুতরাং কোন সাবালক ব্যক্তি বিয়ে করতেও পারে আবার নাও করতে পারে ।কাকে বিয়ে করবে সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়, এক্ষেত্রে পূর্বে কারো কথা দেওয়ার তা সে ৌখিকই হোক আর লিখিতই হোক, এর কোন আইনগত ভিত্তি নেই । তবে, সাবালক কোন ব্যক্তি বিয়ে করতে চাইলে,সে বিয়েতে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। কারও বিয়ের স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ করে যদি কোন চুক্তি করা হয় তবে তা চুক্তি আইনের ধারা ২৬ অনুসারে আইনত বাতিল বলে গণ্য হবে। এই ক্ষেত্রে মাত্র দুটি ব্যতিক্রম রয়েছে তা হলো, বাল্য বিবাহ নি্রোধ আইন,১৯২৯ অনুসারে, নাবালকের সম্মতিসহ বা ছাড়া বিবাহ নিষিদধ । আর ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ অনুসারে, স্ত্রী থাকতে ২য় বিবাহের ক্ষেত্রে ১ম স্ত্রীর অনুমোদন লাগবে ।। B-)
এ ইউ জেড প্রিন্স
আইন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

শাহ আজিজ বলেছেন: বিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয় বরং দ্বিতীয়টি সহি , সামাজিক অনুষ্ঠান । সামাজিক রীতিনীতি , বংশধারা রক্ষা এবং রেশনাল ডেমানড পরিপূর্ণ করার নিমিত্তে বিবাহ সম্পাদিত হয়।

বাকি আলাপ ভালো হয়েছে কারন এসব খুঁটিনাটি বিষয় দন্ধের সৃষ্টি করে।

ধন্যবাদ ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

এ ইউ জেড প্রিন্স বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ার জন্য । আপনি ঠিকই বলেছেন, বিয়ে একটি সামাজিক অনষ্ঠান; তবে আমাদের দেশে বিবাহ এবং বিবাহ সংক্রান্ত নিয়ম কানুন এখনও ব্যক্তিগত ধর্মীয় আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় । মুসলিম আইন অনুসারে বিবাহ একটা চুক্তি, প্রচলিত প্রায় সবধর্মেই বিবাহকে স্রষ্টা কতৃক নির্দশিত অন্যতম পালনীয় বিষয় হিসাবে গন্য করা হয়েছে, হিন্দু আইনে তো বিবাহকে আত্মার মুক্তি লাভের দশটি সংস্কারের একটি হিসাবে বলা হয়েছে । মনুর মতে পুত্রহীনের স্বররগে স্থান নেই, এখানে বিবাহকে শুধু ধর্মীয় অনষঠানই নয়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বলা হইয়েছে । তাই বিবাহকে ধর্মীয় অনষ্ঠান বলেও অনেকে মনে করেন ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.