নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি

আমার মরণ চান্নি পসর রাইতে যেন হয়

েফরারী এই মনটা আমার

আিম আমার েদশেক ভােলাবািস

েফরারী এই মনটা আমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমানদারদের জন্যে সবচেয়ে বড় ও মহান খুশীর দিন-যা আসতে আর মাত্র ৯ দিন বাকি।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

নেকড়ে কর্তৃক নবুওয়্যাতের স্বাক্ষী :ইমাম আহমদ রহ্‌তুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আবু সাইদ খুদরী রাদ্বিয়া্লাহু তায়ালা আনহু হইতে হাদীস শরীফ রিওয়ায়াত করিয়াছেন।তিনি বর্ননা করিয়াছেন যে,

একদা এক ইহুদী বকরী পালক দেখিতে পাইলেন একটি নেকড়ে বাঘ তাহার বকরী পাল হইতে একটি বকরী তাহার পাঞ্জার মধ্যে নিয়া নেয় কিন্তু বকরী পালক ইহা দেখিতে পাইয়া দৌড়াইয়া আসিয়া বকরীকে উহার পাঞ্জা হইতে ছাড়াইয়া লইল।

অতঃপর ঐ নেকড়ে বাঘ কিছুদুর সরে গিয়ে বসে পড়ে এবং বলে উঠে,"হে রাখাল!তুই আল্লাহকে ভয় করিস না যে , তুই আমার এই রিযিককে ছিনাইয়া লইয়া গেলি যাহাকে আল্লাহ্ তা'আলা আমার মুষ্টির মধ্যে দিয়াছিলেন।"

নেকড়ে বাঘের মুখে মানুষের ভাষায় কথা শুনে রাখাল আশ্চার্য্য বোধ করিল এবং বলিল , "তাজ্জুব ব্যপার! নেকড়ে বাঘ মানুষের ভাষায় কথ বলিতেছে।"

অতঃপর ঐ নেকড়ে বলিয়া উঠিল,"তোকে কি আমি ইহার চাইতেও অধিক আশ্চার্যের কথা বলিব না যে,আখেরী রসুলের এবং সত্য নবী ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) উার আগমন ঘটিয়াছে,তিনি পবিত্র মদীনা শরীফের অধিবাসীগনকে অতীতকালের ঘটনাসমুহ এবং সংবাদসমুহ বর্ননা করিতেছেন এবং মানুষ উনার কথা বিশ্বাস করতেছে না।"

তারপর ঐ রাখাল একথা শুনে বকরীগুলোকে এককোনায় একত্রিত করে রেখে মদীনা শরীফে রসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র দরবার শরীফে উপস্হিত হইল এবং সমস্ত ঘটনা উনার কাছে পেশ করলো।ইহা শুনার পর আল্লাহ্পাকের হাবীব রসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সমস্ত লোকদের ডাকানোর নির্দেশ মুবারক দিলেন।অতঃপর রাখালকে সমস্ত ঘটনা তাদের সামনে বর্ননা করিতে বললেন।

অনুরুপভাবে ইমাম বায়হাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে ওমর রাদ্বিয়া্লাহু তায়ালা আনহু হইতে এবং আবু নুআয়ম রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত আনাছ রাদ্বিয়া্লাহু তায়ালা আনহু হইতে বর্ননা করিয়াছেন।আর একই ঘটনা হযরত আবু হুরাইরা রাদ্বিয়া্লাহু তায়ালা আনহু হইতে শুদ্ধ সুত্রের সহিত উলে্লখ করা হইয়াছে যে,যখন নেকড়েটি হইতে তাহার শিকার ছিনাইয়া লওয়া হইল এবং বলে উঠিল,"হে রাখাল!তুই আল্লাহকে ভয় করিস না যে , তুই আমার এই রিযিককে ছিনাইয়া লইয়া গেলি যাহাকে আল্লাহ্ তা'আলা আমা মুষ্টির মধ্যে দিয়াছিলেন।"

নেকড়ে বাঘের মুখে মানুষের ভাষায় কথা শুনে রাখাল আশ্চার্য্য বোধ করিল এবং বলিল , "তাজ্জুব ব্যপার! নেকড়ে বাঘ মানুষের ভাষায় কথ বলিতেছে।"

তখন নেকড়ে বলিলো,ইহার চেয়েও আশ্চর্য হইল এই যে,

"তুই বকরী পালের সহিত দাঁড়াইয়া আছিস এমন একজন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ত্যাগ করিয়া যাহার চেয়েও সুমহান এবং মর্যাদাবান কোন নবী আলাইহিস সালাম আল্লাহ্ তা'আলা ইতিপুর্বে প্রেরন করেন নাই।নিঃসন্দেহে উনার জন্য এবং উনার সন্মানার্থে উনার উম্মতের জন্য বেহেশতের সকল দরজাসমুহ উন্মুক্ত করিয়া দেওয়া হইয়াছে।উনার সন্মানার্থে জান্নাতের সকল অধিবাসী সন্মানীত হইয়াছে।এখন জান্নাত উনার জন্য এবং উনার উম্মতের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।এখন তোর এবং উনার মাঝে এই পাহাড় বা টিলা ছাড়া আর কিছুই নাই।এখন তুই উনার খিদমতে যা এবং ইমান এনে নিজেকে আল্লাহের সৈন্যদের অন্তর্ভুক্ত কর।" তখন রাখাল বললো,"তাহা হইলে এই বকরী গুলো চরাইবে কে?"

নেকড়ে বাঘ বলিল,"আমি তাদের দেখাশোনা করিবো।"

অতঃপর ঐ ইহুদী রাখাল দরবারে নব্বী শরীফে আগমন করিল এবং ইমান গ্রহন করিলো।

অনুরুপ জাতীয় একটি বর্ননা আবু সুফিয়ান ইবনে হারব রাদ্বিয়া্লাহু তায়ালা আনহু এবং সফওয়্যান ইবনে উমাইয়্যা হইতেও রিওয়ায়েত আছে।

[সুত্র : পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশেষ্ঠ একজন মুহাদ্দিস,পাক-ভারত উপমহাদেশে যিনি সবচেয়ে বেশি হাদিস শরীফ প্রচার-প্রসার করেছেন হযরত আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলবী রহ্তুল্লাহি আলাইহি রচিত কিতাব "মাদারিজুন্ নুবুওয়্যাত" এর প্রথম খন্ড-ষষ্ঠ অধ্যায় হইতে লওয়া হইয়াছে।]

আর উনার জমিনে আগমন সকল ইমানদারদের জন্যে সবচেয়ে বড় ও মহান খুশীর ঘটনা।

পবিত্র কুরআন শরীফের সুরা আল আম্বিয়া-এর ১০৭নং আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

০ وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِن

অর্থঃ হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি অবশ্যই আপনাকে সারা আলমের জন্য রহমত স্বরুপ পাঠিয়েছি।

আর উনাকে সৃষ্টি জগতের জন্য মুল রহমত হিসাবে সৃষ্টি করা হয়েছে।তাই উনাকে যে আমরা পেয়েছি এ জন্য খুশি প্রকাশ করতে হবে।

এই প্রসংগে পবিত্র কুরআন শরীফের সুরা ইউনসু-এ ৫৮ নং আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

قُلْ بِفَضْلِ اللَّـهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ



অর্থাৎঃ(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল ও রহমত (স্বয়ং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে) পাওয়ার কারণে তোমাদের উচিত ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা।এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।”

অর্থাৎ আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ মুবারক উপলক্ষে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা।

যা আসতে আর মাত্র ৯ দিন বাকি।

অর্থ্যাৎ ১৪ই জনুয়ারী'২০১৪ ইসায়ী সন।

মহান আল্লাহপাক আমাদের সে তাওফিক দান করুন।

Click This Link



মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: হযরত ছাহাবা-ই কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা
২৪ ঘণ্টা তথা দায়িমীভাবে সারা জীবন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ মুবারক উপলক্ষে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

عَنْ حَضْرَتْ أُبَىّ ِ بْنِ كَعْبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنّـِىْ أُكْثِرُ الصَّلَاةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلَاتِىْ؟ فَقَالَ: «مَا شِئْتَ» قُلْتُ: الرُّبُعَ؟ قَالَ: «مَا شِئْتَ فَاِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ» . قُلْتُ: النّـِصْفَ؟ قَالَ: «مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ » قُلْتُ: فَالثُّلُثَيْنِ؟ قَالَ: «مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ » قُلْتُ: اَجْعَلُ لَكَ صَلَاتِىْ كُلَّهَا؟ قَالَ: « قَالَ « إِذًا تُكْفٰى هَمُّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ.
অর্থ: “হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আমি আপনার উপর বেশি বেশি ছলাত পাঠ করতে চাই, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করতে চাই তথা আপনার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে চাই। তাহলে আমি কী পরিমাণ সময় আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, আপনার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবো? অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমি কত ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো তথা আপনার পালন করবো?
আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা।
আমি বললাম, এক চতুর্থাংশ সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, আপনার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবো?
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা, আপনি করুন। তবে যদি এর চেয়ে বেশি সময় করেন, তাহলে তা আপনার জন্য উত্তম হবে।
আমি বললাম, তাহলে আমি অর্ধেক সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, আপনার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবো?
আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা, আপনি করুন। তবে যদি এর চেয়ে বেশি সময় করেন, তাহলে তা আপনার জন্য উত্তম হবে।
আমি বললাম, তাহলে আমি দুই তৃতীয়াংশ সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, আপনার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবো? আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা, আপনি করুন। তবে যদি এর চেয়ে বেশি সময় করেন, তাহলে তা আপনার জন্য উত্তম হবে।
তখন আমি বললাম, তাহলে আমি আমার সম্পূর্ণ সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৪ ঘণ্টাই আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবো? তখন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, যখন আপনি এরূপ করবেন, তখন আপনার সমস্ত নেক মাক্বছূদগুলো পূর্ণ করে দেয়া হবে এবং আপনার সমস্ত গুনাহখতাগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মুস্তাদরকে হাকিম ২/৪২১, শুয়াবুল ঈমান ৩/১৩৮, মিশকাত শরীফ, জামিউল আহাদীছ ৩২/৩৭৩, জামিউল উছূল ১১/৮৪৬৭, রিয়াদুছ ছালিহীন ১/৩৪৭ ইত্যাদি)
এই পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা ২৪ ঘণ্টা তথা দায়িমীভাবে সারা জীবন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর ছলাত পাঠ করেছেন, উনার ছানা-ছিফত মুবারক করেছেন, উনার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: বিশিষ্ট তাবেয়ী, যিনি শতাধিক সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের সাক্ষাত লাভ করেছিলেন , ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীকত, হযরত হাসান বসরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন--

قال الحسن البصري رحمة الله عليه وددت لو كان لي مثل جبل احد ذهبافانفقته علي قراءة مولد النبي صلي الله عليه و سلم

অর্থ : আমার একান্ত ইচ্ছা হয় যে, আমার যদি উহুদ পাহাড় পরিমান স্বর্ণ থাকতো তাহলে আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদ শরীফ পাঠ উপলক্ষে ব্যয় করতাম !"
সুবহানাল্লাহ্ !!

দলীল-
আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উলদি আদম- ৮ পৃষ্ঠা !

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: খইরুল কুরুন হচ্ছে পর্যায়ক্রমে ছাহাবী, তাবিয়ী ও তাবি’ তাবিয়ীনগণের যুগ। আর উক্ত তিন যুগের প্রথম যুগই হচ্ছে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের যুগ এবং সে যুগেই ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه انه مر مع النبى صلى الله عليه وسلم الى بيت عامر الانصارى وكان يعلم وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لا بنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم هذا اليوم فقال عليه الصلوة والسلام ان الله فتح لك ابواب الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجى نجتك.
অর্থ: হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তান-সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস অর্থাৎ এই দিবসে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীনে তাশরীফ এনেছেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথায় উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য রহমতের দরজা উমুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতা তোমাদের জন্য মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ তোমাদের মত এরূপ কাজ করবে, তোমাদের মত উনারাও রহমত ও মাগফিরাত লাভ করবে এবং নাজাত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা- ৩৫৫)
অতএব প্রমাণিত হলো যে, আল্লাহ পাক- উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার যামানাতেই অর্থাৎ খইরুল কুরুনের প্রথম যুগেই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘ঈদে মীলানদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করেছেন এবং সে মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপস্থিত হয়ে ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপনকারীগণকে রহমত, মাগফিরাত, নাজাত ও শাফায়াত লাভের সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, ক্বিয়ামত পর্যন্ত যারা ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করবে উনাদের জন্যেও একই সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!


৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: কোন আমল খইরুল কুরুনের মধ্যে না থাকলে যে তা পরিত্যাজ্য হবে এ কথা সম্পূর্ণরূপে অশুদ্ধ ও কুরআন-সুন্নাহ’র খিলাফ। বরং কোন আমল গ্রহণীয় কিংবা বর্জনীয় হওয়ার জন্য খইরুল কুরুন শর্ত নয়। শর্ত হচ্ছে সে আমল কুরআন-সুন্নাহ সম্মত কি না? যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত হয় তাহলে তা গ্রহণীয়। আর যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত না হয় তবে তা বর্জনীয় বা পরিত্যাজ্য।
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن جرير رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من سن فى الاسلام سنة حسنة فله اجرها واجر من عمل بها من بعده من غيره ان ينقص من اجرهم شىء .
অথ: হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলামে কোন উত্তম বিষয় বা আমলের প্রচলন করলো, তার জন্য প্রতিদান বা ছওয়াব রয়েছে এবং তার পরে যারা এই আমল করবে তাদের জন্য ছওয়াব বা প্রতিদান রয়েছে, অথচ এতে তাদের ছওয়াবের কোন কমতি করা হবে না।’ (মুসলিম, মিশকাত)
অতএব, খইরুল কুরূনের মধ্যে কেউ এমন কোন ঈদ, উৎসব পালন করেননি’ বদ আক্বীদার মৌ-লোভী বা তাদের দ্বারা প্ররোচিত বিভ্রান্ত লোক এবং জামাতী-খারেজী-তবলীগি-দেওবন্দী-তথাকথিত হেফাজতিদের এ বক্তব্য সম্পূর্ণ ভুল ও কুরআন-সুন্নাহ’র খিলাফ তথা কুফরী বলে প্রমাণিত হলো।

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: পড়লাম । ভাল লাগলো । এই ঘটনাটা জানা ছিল না !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.