| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।
১৯৯০ সাল। সারা দেশের ছাত্র সংগঠন, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনগুলোও এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক জোট একাত্ম হয়ে আন্দোলনকে বেগবান করে তোলে। এরশাদ একা হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হয়। তিন জোটের মনোনীত প্রার্থী তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে এরশাদ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেন ১৯৯১ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি। ওই নির্বাচনে বিএনপি ১৪০, আম্লিগ ৮৮, জাতীয় পার্টি ৩৫, জামায়াত ১৮টি আসন পায়। পরে সরকারি দল এবং বিরোধী দলগুলোর মধ্যে প্রায় সকল ইস্যুতে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ১৯৯৪ সালের ২০শে মার্চ, মাগুরা-২ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে সরকারি দল এবং বিরোধী দলের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশই বাড়তে থাকে। বিরোধী দলগুলো আর কোনো উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দেয়। পরবর্তীতে, ওই বছরের ২৮শে ডিসেম্বর ১৪৭ জন সংসদ সদস্য একযোগে পদত্যাগ করে ও লাগাতার হরতাল অবরোধ পালন করতে থাকে। আম্লিগ ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ এর মধ্যে মোট ২৬৬ দিন হরতাল অবরোধ পালন করে। এ অবস্থায় ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যা গ্রহণ যোগ্য হয়নি। শুরু হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন। আম্লিগ, জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো এ আন্দোলনে রাজপথ উত্তপ্ত করে তোলে। হরতাল, অবরোধে অচল করে সারা দেশ। এখানে আম্লিগ-জামায়াত যুগপৎ আন্দোলন করে বিএনপির বিরুদ্ধে।
১৯৯৬ সালের ১২ই জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৪৬টি আসনে বিজয়ী হয়ে আম্লিগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অন্যান্য দলের মধ্যে বিএনপি ১১৬টি, জাতীয় পার্টি ৩২টি, জামায়াত ৩টি আসন পায়। এই নির্বাচনে মাত্র ১ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী জয়ী হন।
জামাত ৯৬ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে বিএনপির নিশ্চিত জয়কে তুলে দিয়েছে আম্লিগের ঘরে। জামাত যদি ৩০০ আসনে প্রার্থী না দিত তাহলে আম্লিগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে শুধু ইতিহাস হয়ে ইতিহাসের পাতায় থাকতো।
পরের কাহিনী......
আম্লিগ ভারতের হাতের পুতুল হয়ে গেলো। ভারতের প্রেসক্রিপশনে আম্লিগ চেতনা ব্যবসা, জঙ্গী জঙ্গী ব্যবসা শুরু করে দিলো। প্রথম টার্গেট জামাত। জামাতের মোনাফেকির কারণে তাদেরকে আম্লিগ প্রায় নিঃশেষ করেই ফেলেছিল। যদি ৩৬শে জুলাই না ঘটতো জামাত নামে দেশে আর কিছু অবশিষ্ট থাকতোনা।
এবার আসি বিএনপি দিকে...
বিএনপি এখন জামাতকে প্রধান প্রতিপক্ষ ভাবছে জামাতও তাই ভাবছে। বিএনটি যেভাবে জামাতকে ঘায়েল করতে উঠেপড়ে লেগেছে যদি জামাত ক্ষমতায় যায় (যা আদৌ সম্ভব বলে আমি মনে করিনা) তাহলে বিএনপিও জামাতের মত একই কাজ করবে অর্থাৎ জামাতকে ঘায়েল করতে আম্লিগকে ডেকে আনবে। তখন বিএনপির পরিণতিও হবে জামাতের মতই। দেশে বিএনপি ও জামাত বলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবেনা।
২|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সবসময় ইতিহাসে হুবহু পুনরাবৃত্তি ঘটে না । লিগ বলে এখন যেটা কংকাল দেখা যায় সেটার পরিচালনায় শেখ পরিবার আর ফিরতে পারবে না । ইহাই লিগের ফিরে আসার পথে বড়ো বাধা । লিগ ভেঙে টুকরা হয়ে যেতে পারে । সময়েই সব দেখতে পারবেন।
বিএনপি-জামাতের ফিউচারও ভালো কিছু নেই যদি না তাদের যে বদনামের কারনে ১৬ বছর পারলো না পাওয়ারে যেতে সেটার দিকে নজর না দেয় । যদি এবার ফেইল করে সুশাসন আর জংগিবাদ দমন করতে , নিউ শেখ হাসিনা কামিং সুন । ![]()
৩|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। ধন্যবাদ। দেশ প্রেমিক বাঙালী ভাইয়ের সাথে সহমত প্রকাশ করে বলছি, বিএনপি-জামায়াতের কাদা ছোঁড়াছুড়ি যতই বাড়বে, আওয়ামী লীগের লাভবান হওয়ার পথও ততই প্রশস্ত হবে।
ইতিহাসের আলোকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতের ঐক্যের পরিণতি থেকে শিক্ষা নেওয়া এখন বিএনপি-জামায়াত উভয় দলের জন্য জরুরি। দেশের স্বার্থেই তাদের এটা করা উচিত। দুই পক্ষকেই এখন সতর্কতার সঙ্গে পথ চলতে হবে।
ছোট খাট স্বার্থের জন্য, সামান্য কিছু লাভের উদ্দেশ্যে দুই দল পরস্পরে একে অপরের সাথে কামড়াকামড়ি করে দেশকে অন্ধকারের দিকে ধাবিত করার কোন সুযোগ নেই। পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে সরিয়ে রেখে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৪|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২৯
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: বর্তমানে সব দলের মাঝে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা হবার পথে সবচেয়ে বড় বাধা বিএনপি। খালেদা জিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে পারলে এমনটা হত না। তারেক রহমান দেশে থাকলেও বিএনপি ঐক্যর পথে হাটতে বাধ্য হত। কিন্তু বর্তমান বিএনপি হাই কমান্ডের ভুমিকা খুবই সন্দেহজনক। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে বিএনপি বুঝিয়ে দিয়েছে জুলাই বিপ্লবের কোন মূল্যই তাদের কাছে নাই। তাদের দরকার যেনতেন প্রকারে ক্ষমতায় যাওয়া।
৫|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩২
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: বিএনপি খেদাও আন্দোলন এবং ৯৬ ভোটে বিএনপির বিপক্ষে জামাত যদি ৩০০ আসনে প্রার্থী না দিত তাহলে আওয়ামীলীগকে এতোদিন শীতনিদ্রায় যেতে হতো; আওয়ামীলীগ বলে কিছু ছিল তা শুধু ইতিহাসেই পাওয়া যেত। আওয়ামীলীগের সংগে জামাতের ঐক্যে জামাত মাত্র ৩টি আসন পেয়েছিল। সেই সংগে জামাতের পরিণতি কি হয়েছিল সেটাও সবার জানা। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান না হলে এতদিন জামাত বলে কিছুই থাকতোনা, বিএনপি থাকতো বনেবাদাড়ে বাড়িতে থাকা হতোনা। সুতরাং উভয় পক্ষকে শিক্ষা নিতে হবে।
আওয়ামীলীগের সংগে আতাত করলে চিরতরে রাজনীতি থেকে নির্বাসনে যেত হবে এটা যেন বিএনপি-জামাত উভয়ই মনে রাখে। সুতরাং সাধু সাবধান।
৬|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৬
অরণি বলেছেন: বুঝতে পারছিনা বিএনপি কেন বারবার ঐক্যমত্য নিয়ে বাধার সৃষ্টি করছে?
৭|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪০
অরণি বলেছেন: সালাহউদ্দিন কয়েক বছর ভারতে থেকে 'র' এর মাধ্যমে মগজ ধোলাই হয়েছে মনে হয়; উনাকে তো ভারতে জামাই আদরে রেখেছিল তা কি এমনি এমনি? এখন আওয়ামীলীগকে জামাই আদর করে যেমন ভারতে রাখছে মোদি সেটা কি বিনা কারণে (?) তেমনি সালাহউদ্দিনকেও এমনি এমনি জামাই আদর করেনি তার ফল এখন দেখা যাচ্ছে।
৮|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫
একজন নিষ্ঠাবান বলেছেন: নতুন নকিব বলেছেন যে, ইতিহাসের আলোকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতের ঐক্যের পরিণতি থেকে শিক্ষা নেওয়া এখন বিএনপি-জামায়াত উভয় দলের জন্য জরুরি। দেশের স্বার্থেই তাদের এটা করা উচিত। দুই পক্ষকেই এখন সতর্কতার সঙ্গে পথ চলতে হবে। ১০০% সহমত।
৯|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৩
যারীন তাসনীম আরিশা বলেছেন: সকলে সংযমী হতে হবে নচেৎ বিপদ বাড়বে। আলোচনা করে সব সমস্যা সমাধান করা যায় তাই আলোচনায় বসুন সমাধান বের করুন দূরত্ব কমিয়ে আনুন।
১০|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
রাজাকার (জামাত ) ও স্বাধীনতা-বিরোধীরা (বিএনপি ) এই দেশের রাজনীতি করার অধিকার রাখে না, এরা জংগী।
১১|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
@জেনারেশন একাত্তর,
জামাআত এবং বিএনপি রাজনীতি করার অধিকার রাখে না, তাহলে অধিকার রাখে কে? আপনি? আপনার ফ্যাসিবাদী বাপ-মা, খুনি, গুমের জল্লাদ, জঙ্গী নাটক সাজিয়ে দেশে বিভাজন সৃষ্টিকারী অপরাধীরা গুষ্ঠিসহ সব গর্তে লুকিয়েছে, তা কি জানেন? পাগল কোথাকার!!!
১২|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৭
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: একাত্তর মেকাত্তর চিরতরে দেশকে গুডবাই জানিয়ে বিদেশে গিয়ে দেশের জন্য মায়া কান্না ভাবলে হাসি পায়
পিত্তিও জ্বলে যায়। এরা চতুস্পদ প্রাণী।
১৩|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৮
কামাল১৮ বলেছেন: জামাতের ক্ষমতায় যাবার একটা সম্ভাবনা তৈরী হয়েছিলো আমেরিকা ভারত দ্বন্দ্বের কারনে।কিন্তু সেই সম্ভাবনা অংঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে গেছে ভারত আমেরিকী দশ বছরের চুক্তির কারনে।এখন এই উপমহাদেশের ছিত্র পালটে যাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বিএনপি-জামাত যত কাদা ছোড়াছুড়ি করবে তত আওয়ামীলীগের লাভ হবে। আওয়ামীলীগের সংগে জামাতের ঐক্যে জামাতের শেষ পরিণতি কি হয়েছিল (?) সেটা থেকে উভয় পক্ষকে শিক্ষা নিতে হবে।