নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি

আমার মরণ চান্নি পসর রাইতে যেন হয়

েফরারী এই মনটা আমার

আিম আমার েদশেক ভােলাবািস

েফরারী এই মনটা আমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম যার যার উৎসব সবার!!!এই মতবাদের প্রবক্তারা আজ কোথায়?আসুন সবাই পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করি।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৭

সবচেয়ে সেরা খুশীর দিন ।মাত্র ১ দিন বাকি।

হিন্দুদের দুর্গাপুজারর সময় - খ্রীস্টানদের ২৫শে ডিসেম্বর তাদের ক্রীস্টমাস ডে এর সময়-১লা বৈশাখে অনেকেই যারা বলে থাকে ধর্ম যার যার উৎসব সবার!!!এই মতবাদের প্রবক্তারা কোথায়?আসুন সবাই পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করি।

মহান আল্লাহ্‌পাক তিনি বলেন , "আমি গুপ্ত ভান্ডার ছিলাম,আমার মুহব্বত হলো,নিজেকে প্রকাশ ইচ্ছে করলাম,তখন আমি আমার হাবিব হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করলাম।"

অর্থ্যাৎ মহান আল্লাহ্‌পাকের রহস্য ও গুপ্তভেদ প্রকাশের মূল এবং একমাত্র মাধ্যম আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

আর তাই ইরশাদ হয়েছে হযরত যাবির রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্নিত তিনি বলেন,

"আমি জানতে চাইলাম,ইয়া রাসুলু্ল্লাহ,হাবিবুল্লাহ,ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।আল্লাহপাক সর্ব প্রথম কি সৃষ্টি করেন"?

তিনি বললেন,"আপনার নবীর নুর মুবারক অর্থ্যাৎ নুরে হাবিবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তৈরী করেন।অতঃপর সেই নুর মুবারককে লক্ষ্য করে বললেন আপনি আমার হাবিব হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হয়ে যান।"সুবহানাল্লাহ্‌।

অতঃপর আসমান-যমীন, লৌহ-কলম, আরশ-কুরসী, জিন-ইনসান, হযরত ফিরেশতা আলাইহিমুস সালাম, বেহেশত-দোযখ ইত্যাদি পর্যায় ক্রমে সবকিছু সৃষ্টি করলেন।

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনাকে সৃষ্টির উদ্দেশ্য না থাকলে আমি আমার রুবুবিয়্যতই প্রকাশ করতাম না।” (দায়লামী,কানযুল উম্মাল)

আর তখন হতেই মহান আল্লাহ্‌পাক স্বয়ং আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সৃষ্টির মুবারক উপলক্ষে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করে উনার প্রতি ছলাত পাঠ করে থাকেন তথা পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করে থাকেন।

এই প্রসংগে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফের সুরা আযহাবের ৫৬ নং আয়াত শরীফে ইরশাদ করেন,

إِنَّ اللَّـهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا ﴿٥٦

অর্থঃ "নিশ্চয় মহান আল্লাহ্‌পাক স্বয়ং এবং উনার ফিরিশতা আলাইহিমুস সালামগন সাইয়্যিদুল মুরসালিন,ইমামুল মুরসালিন,হাবীবুল্লাহ্‌ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি (উনার জন্য ঈদ বা খুশি প্রকাশ করে ) ছলাত পাঠ করে থাকেন।হে মুমিনগন ! আপনারাও সাইয়্যিদুল মুরসালিন,ইমামুল মুরসালিন,হাবীবুল্লাহ্‌ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি (উনাকে যে লাভ করলেন এই জন্য ঈদ বা খুশি প্রকাশ করে ) ছলাত পাঠ করুন এবং সালাম পেশ করুন অত্যান্ত আদবের সাথে।"

আর তাই আমাদের দায়িত্ব রহমত হিসাবে যে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাক পেয়েছি এ জন্য খুশি প্রকাশ করা।

এই প্রসংগে পবিত্র কুরআন শরীফের সুরা ইউনসু-এ ৫৮ নং আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

قُلْ بِفَضْلِ اللَّـهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ



অর্থাৎঃ(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল ও রহমত (স্বয়ং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে) পাওয়ার কারণে তোমাদের উচিত ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা।এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।”

অর্থাৎ আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ মুবারক উপলক্ষে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা।

অর্থাৎ যেদিন মহাসম্মানিত, মহামর্যাদাবান, সুমহান, অশেষ বরকতময় ও বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ,সেদিন পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ' আর সেদিনই হচ্ছেন প্রত্যেক ইমানদারদের সবচেয়ে সেরা খুশীর দিন । আর মাত্র ১ দিন বাকি।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৮

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: সাইয়্যিদুল মুরসালিন,ইমামুল মুরসালিন,হাবীবুল্লাহ্‌ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এই যমীনে মানুষের সুরত মোবারকে আগমন করলেও প্রকৃত অর্থে উনার সমস্ত কিছুই ছিলো একক , সুমহান এবং অনন্য বৈশিষ্ট্য মন্ডিত (সুবহানাল্লাহ্‌)।বর্তমান যামানায় এমন কিছু বাতিল ফিরক্বা বদ মাযহাব ভুক্ত লোক রয়েছে যারা বলে থাকে যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালিন,ইমামুল মুরসালিন,হাবীবুল্লাহ্‌ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের মতো(নাউযুবিল্লাহ্‌)।
এই কথাটি সম্পুর্ন ভুল।সম্পুর্ন কুফরী।
নিম্নে উনার অসংখ্যও অগনিত একক এবং অনন্য বৈশিষ্ট্য , শ্রেস্ঠত্ব-বুযুর্গি সন্মান সমুহ হতে অল্প কয়েকটি আলোচনা করা হলো।
পবিত্র কুরআন শরীফের সুরা আল আম্বিয়া-এর ১০৭নং আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
০ وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِن
অর্থঃ হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি অবশ্যই আপনাকে সারা আলমের জন্য একমাত্র রহমত স্বরুপ পাঠিয়েছি।
আর উনাকে সৃষ্টি জগতের জন্য মুল রহমত হিসাবে সৃষ্টি করা হয়েছে।আর যিনি স্বয়ং রহমত স্বরুপ আগমন করেছেন তিনি এবং যে ব্যক্তি রহমতের জন্য প্রত্যাশি উভয়ের মর্যাদা কি একই হতে পারে ? কখনই নয়।
তাই আমাদের দায়িত্ব রহমত হিসাবে যে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উন পেয়েছি এ জন্য খুশি প্রকাশ করা।

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৯

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: অনেক বদ আক্বীদার মৌ-লোভী বা তাদের দ্বারা প্ররোচিত বিভ্রান্ত লোক এবং জামাতী-খারেজী-তবলীগি-দেওবন্দী-তথাকথিত হেফাজতি এরা বলে থাকে যে,ইসলামের শুরুর জামানায় কেউ এমন কোন ঈদ, উৎসব পালন করেননি। তাই এটা পরিত্যাজ্য।

জবাব:খইরুল কুরুন হচ্ছে পর্যায়ক্রমে ছাহাবী, তাবিয়ী ও তাবি’ তাবিয়ীনগণের যুগ। আর উক্ত তিন যুগের প্রথম যুগই হচ্ছে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের যুগ এবং সে যুগেই ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه انه مر مع النبى صلى الله عليه وسلم الى بيت عامر الانصارى وكان يعلم وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لا بنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم هذا اليوم فقال عليه الصلوة والسلام ان الله فتح لك ابواب الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجى نجتك.



অর্থ: হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তান-সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস অর্থাৎ এই দিবসে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীনে তাশরীফ এনেছেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথায় উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য রহমতের দরজা উমুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতা তোমাদের জন্য মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ তোমাদের মত এরূপ কাজ করবে, তোমাদের মত উনারাও রহমত ও মাগফিরাত লাভ করবে এবং নাজাত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা- ৩৫৫)


হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত রয়েছে-
عن ابن عباس رضى الله تعالى عنهما انه كان يحدث ذات يوم فى بيته وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لقوم فيستبشرون ويحمدون الله ويصلون عليه صلى الله عليه وسلم فاذا جاء النبى صلى الله عليه وسلم قال حلت لكم شفاعتى.



অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা উনার নিজ গৃহে সমবেত ছাহাবীগণকে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে ছলাত-সালাম (দুরূদ শরীফ) পাঠ করছিলেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব। (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা-৩৫৫)
অতএব প্রমাণিত হলো যে, আল্লাহ পাক- উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার যামানাতেই অর্থাৎ খইরুল কুরুনের প্রথম যুগেই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘ঈদে মীলানদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করেছেন এবং সে মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপস্থিত হয়ে ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপনকারীগণকে রহমত, মাগফিরাত, নাজাত ও শাফায়াত লাভের সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, ক্বিয়ামত পর্যন্ত যারা ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করবে উনাদের জন্যেও একই সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, ‘খইরুল কুরুনের মধ্যে কেউ এমন কোন ঈদ, উৎসব পালন করেননি’ উলামায়ে সূ’দের এ কথা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা প্রতিপন্ন হলো এবং সাথে সাথে তাদের জিহালতীও পরিস্ফুটিত হলো।

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৯

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: উল্লেখ্য, কোন আমল খইরুল কুরুনের মধ্যে না থাকলে যে তা পরিত্যাজ্য হবে এ কথা সম্পূর্ণরূপে অশুদ্ধ ও কুরআন-সুন্নাহ’র খিলাফ। বরং কোন আমল গ্রহণীয় কিংবা বর্জনীয় হওয়ার জন্য খইরুল কুরুন শর্ত নয়। শর্ত হচ্ছে সে আমল কুরআন-সুন্নাহ সম্মত কি না? যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত হয় তাহলে তা গ্রহণীয়। আর যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত না হয় তবে তা বর্জনীয় বা পরিত্যাজ্য।
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن جرير رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من سن فى الاسلام سنة حسنة فله اجرها واجر من عمل بها من بعده من غيره ان ينقص من اجرهم شىء .



অথ: হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলামে কোন উত্তম বিষয় বা আমলের প্রচলন করলো, তার জন্য প্রতিদান বা ছওয়াব রয়েছে এবং তার পরে যারা এই আমল করবে তাদের জন্য ছওয়াব বা প্রতিদান রয়েছে, অথচ এতে তাদের ছওয়াবের কোন কমতি করা হবে না।’ (মুসলিম, মিশকাত)
অতএব, খইরুল কুরূনের মধ্যে কেউ এমন কোন ঈদ, উৎসব পালন করেননি’ বদ আক্বীদার মৌ-লোভী বা তাদের দ্বারা প্ররোচিত বিভ্রান্ত লোক এবং জামাতী-খারেজী-তবলীগি-দেওবন্দী-তথাকথিত হেফাজতিদের এ বক্তব্য সম্পূর্ণ ভুল ও কুরআন-সুন্নাহ’র খিলাফ তথা কুফরী বলে প্রমাণিত হল ।

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৯

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: বিশ্ব সমাদৃত ও সুপ্রসিদ্ধ ‘আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম’ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম ব্যয় করবে সে জান্নাতে আমার বন্ধু হয়ে থাকবে।” সুবহানাল্লাহ!
আমীরুল মু’মিনীন হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম খরচ করলো, সে যেনো বদর ও হুনাইন যুদ্ধে শরীক থাকলো।” সুবহানাল্লাহ!

আসুন সবাই অত্যান্ত আনন্দের সাথে বরণ করি।

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩০

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ্‌পাক উনার পবিত্র শান মুবারকে নাযিল করেন "আমি আপনার যিকিরকে,সন্মানকে বুলন্দ করেছি"।সুবহানাল্লাহ্‌।।(সুরা আলাম নাশরাহ্/৪)
মহান আল্লাহ্‌পাক উনার শান-মর্যাদা কতটুকু উচ্চে স্হান দিয়েছেন সেটা বোঝার ক্ষমতা কোন জ্বীন-ইনসান-ফিরিশতা এবং কোন মখলুকাতের নাই।আমরা শুধু এতোটুকুই বলতে পারি উনার সন্মান বুলন্দ করতে করতে এতোটুকু করা হয়েছে যে,কলেমা শরীফে আল্লাহ্‌ পাকের নাম মুবারকের সাথে উনার নাম মুবারক সংযুক্ত করা হয়েছে । কিয়ামত পর্যন্ত কেউ শুধু "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌"পাঠ করলেও সে ইমানদার সাব্যস্ত হবে না ,যতক্ষন না ঐ ব্যক্তি উনার উপর ইমান এনে পাঠ করবে "মুহ্‌ম্মদুর রসুলুল্লাহ্‌" (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।অর্থ্যাৎ উনার উপর ইমান স্হাপন করাকে ঈমানদার হওয়ার জন্য শর্ত করা হয়েছে।
সুতারাং যাঁর উপর ইমান স্হাপন করবে উনি আর যে ব্যক্তি ইমান স্হাপন করবে সে কি করে হাক্বিকতে একরকম হতে পারেন।
তাই মুলত: সাইয়্যিদুল মুরসালিন,ইমামুল মুরসালিন,হবীবুললাহ্‌ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া তিনি অন্য কারো মতো নন ।অন্য কেউ উনার মতোন নয়।

৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩০

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: হযরত ছাহাবা-ই কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা
২৪ ঘণ্টা তথা দায়িমীভাবে সারা জীবন ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শরীফ পালন করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

عَنْ حَضْرَتْ أُبَىّ ِ بْنِ كَعْبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنّـِىْ أُكْثِرُ الصَّلَاةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلَاتِىْ؟ فَقَالَ: «مَا شِئْتَ» قُلْتُ: الرُّبُعَ؟ قَالَ: «مَا شِئْتَ فَاِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ» .
অর্থ: “হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আমি আপনার উপর বেশি বেশি ছলাত পাঠ করতে চাই, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করতে চাই তথা আপনার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে চাই। তাহলে আমি কী পরিমাণ সময় আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, আপনার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবো? অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমি কত ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো তথা আপনার পালন করবো?
আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা।
আমি বললাম, এক চতুর্থাংশ সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, আপনার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবো?
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা, আপনি করুন। তবে যদি এর চেয়ে বেশি সময় করেন, তাহলে তা আপনার জন্য উত্তম হবে।
আমি বললাম, তাহলে আমি অর্ধেক সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, আপনার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবো?
আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা, আপনি করুন। তবে যদি এর চেয়ে বেশি সময় করেন, তাহলে তা আপনার জন্য উত্তম হবে।
আমি বললাম, তাহলে আমি দুই তৃতীয়াংশ সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, আপনার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবো? আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা, আপনি করুন। তবে যদি এর চেয়ে বেশি সময় করেন, তাহলে তা আপনার জন্য উত্তম হবে।
তখন আমি বললাম, তাহলে আমি আমার সম্পূর্ণ সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৪ ঘণ্টাই আপনার উপর ছলাত পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করবো? তখন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, যখন আপনি এরূপ করবেন, তখন আপনার সমস্ত নেক মাক্বছূদগুলো পূর্ণ করে দেয়া হবে এবং আপনার সমস্ত গুনাহখতাগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মুস্তাদরকে হাকিম ২/৪২১, শুয়াবুল ঈমান ৩/১৩৮, মিশকাত শরীফ, জামিউল আহাদীছ ৩২/৩৭৩, জামিউল উছূল ১১/৮৪৬৭, রিয়াদুছ ছালিহীন ১/৩৪৭ ইত্যাদি)
এই পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা ২৪ ঘণ্টা তথা দায়িমীভাবে সারা জীবন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর ছলাত পাঠ করেছেন, উনার ছানা-ছিফত মুবারক করেছেন, উনার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩১

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: বিশিষ্ট তাবেয়ী, যিনি শতাধিক সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের সাক্ষাত লাভ করেছিলেন , ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীকত, হযরত হাসান বসরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন--

قال الحسن البصري رحمة الله عليه وددت لو كان لي مثل جبل احد ذهبافانفقته علي قراءة مولد النبي صلي الله عليه و سلم

অর্থ : আমার একান্ত ইচ্ছা হয় যে, আমার যদি উহুদ পাহাড় পরিমান স্বর্ণ থাকতো তাহলে আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদ শরীফ পাঠ উপলক্ষে ব্যয় করতাম !"
সুবহানাল্লাহ্ !!
(আন্‌ নেয়ামাতুল কুবরা)

৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩১

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: হযরত মারুফ কারখী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন -
“যে ব্যক্তি ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে খাদ্যের আয়োজন করে, অতঃপর লোকজনকে জমা করে, মজলিশে আলোর ব্যবস্থা করে, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন নতুন লেবাস পরিধান করে,মীলাদুন্নবীর তাজিমার্থে সু-ঘ্রাণ ও সুগন্ধি ব্যবহার করে। আল্লাহ পাক তাকে নবী আলাইহিমুস্‌ সালামগণের প্রথম কাতারে হাশর করাবেন এবং সে জান্নাতের সুউচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত হবে।“ (সুবহানাল্লাহ্‌) (আন্‌ নেয়ামাতুল কুবরা)

৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩১

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: হযরত ইমাম সাররী সাক্বত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন -
“যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করল সে যেন তার জন্য জান্নাতে রওজা বা বাগান নিদিষ্ট করলো। কেননা সে তা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুহব্বতের জন্যই করেছে। আর আল্লাহ্‌ পাক-এর রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি আমাকে ভালবাসবে সে আমার সাথেই জান্নাতে থাকবে।” (তিরমিযি, মিশকাত, আন নেয়ামাতুল কুবরা)

১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩১

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: সাইয়্যিদুত ত্বয়িফা হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন -
“যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আয়োজনে উপস্থিত হল এবং উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করলো। সে তার ঈমানের দ্বারা সাফল্য লাভ করবে অর্থাৎ সে বেহেশ্‌তি হবে।” (সুবহানাল্লাহ্‌) (আন্‌ নি’মাতুল কুবরা)

১১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩২

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন -
“যে ব্যক্তি মিলাদ শরীফ পাঠ করে বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে, লবণ, গম বা অন্য কোন খাদ্য দ্রব্যের উপর ফুঁক দেয়, তাহলে এই খাদ্য দ্রব্যে অবশ্যই বরকত প্রকাশ পাবে। এভাবে যে কোন কিছুর উপরই পাঠ করুক না কেন। (তাতে বরকত হবেই)”। (সুবহানাল্লাহ্‌) (আন্‌ নি’মাতুল কুবরা)

১২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩২

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: হযরত জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন -
যে স্থানে বা মসজিদে অথবা মহল্লায় মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয় বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদ্‌্‌যাপন করা হয় সেখানে অবশ্যই আল্লাহ পাকের ফেরেস্তাগণ বেষ্টন করে নেন। আর তাঁরা সে স্থানের অধিবাসী গণের উপর ছলাত-সালাম পাঠ করতে থাকেন। আর আল্লাহ পাক তাদেরকে স্বীয় রহমত ও সন্তুষ্টির আওতাভুক্ত করে নেন। আর নূর দ্বারা সজ্জিত প্রধান চার ফেরেস্তা, অর্থাৎ হযরত জিব্রাইল, মীকাইল, ইসরাফিল ও আযরাইল আলাইহিমুস্‌্‌ সালামগণ মীলাদ শরীফ পাঠকারীর উপর বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনকারীর উপর সালাত-সালাম পাঠ করেন। (সুবহানাল্লাহ্‌) (আন্‌ নি’মাতুল কুবরা)
ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি আরো বলেন -
“যখন কোন মুসলমান নিজ বাড়ীতে মীলাদ শরীফ পাঠ করে তখন সেই বাড়ীর অধিবাসীগণের উপর থেকে আল্লাহ্‌ পাক অবশ্যই খাদ্যাভাব, মহামারী, অগ্নিকাণ্ড, ডুবে মরা, বালা মুসিবত, হিংসা-বিদ্বেষ, কু-দৃষ্টি, চুরি ইত্যাদি উঠিয়ে নেন। যখন উক্ত ব্যক্তি মারা যান তখন আল্লাহ পাক তাঁর জন্য মুনকীর-নকীরের সুওয়াল-জাওয়াব সহজ করে দেন। আর তাঁর অবস্থান হয় আল্লাহ্‌ পাক-এর সন্নিধানে সিদকের মাকামে। (সুবহানাল্লাহ্‌) (আন্‌ নেয়ামাতুল কুবরা) যে ব্যক্তি ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর তাযীম করতে চাইবে তার জন্য উপরোক্ত বর্ণনা যথেষ্ট।
আর যে ব্যক্তির নিকট ঈদে মীলাদুন্নবীর তা’যীম নাই (সম্মান করে না) সারা দুনিয়া পূর্ণ করেও যদি তাঁর প্রশংসা করা হয় তথাপিও তার অন্তর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মহব্বতে প্রকম্পিত হবে না।

১৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৬

নিজাম বলেছেন: এত মন্তব্যের মধ্যে আমি কী মন্তব্য করব বুঝতে পারছি না। ১২ই রবিউল আউয়াল তো হুজুর (সাঃ)-এর শুধু জন্ম দিনই নয়, ওফাত দিবসও। তাহলে আমরা কী জন্মদিনের আনন্দ উৎসব করব, নাকি ওফাত দিবসের শোক পালন করব? লেখক কী বলেন?

১৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: যে কোন সাধারন মুসলমানের ওফাত পরবর্তী শোক পালন সম্পর্কে শরীয়তের ফায়সালা হলো শোক হছ্ছে তিনদিন।।আর স্বামীর ইন্তেকাল হলে স্ত্রী শোক পালন করবে চারমাস দশ দিন।
কিন্তু নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উনাদের জন্য শোক নাই।
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,"আমার বিলাদত শরীফ এবং বিছাল শরীফ উভয়ই তোমাদের জন্য রহমত,বরকত,ছাকীনার কারন।"

১৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: যে কোন সাধারন মুসলমানের ওফাত পরবর্তী শোক পালন সম্পর্কে শরীয়তের ফায়সালা হলো শোক হছ্ছে তিনদিন।।আর স্বামীর ইন্তেকাল হলে স্ত্রী শোক পালন করবে চারমাস দশ দিন।
কিন্তু নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উনাদের জন্য শোক নাই।
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,"আমার বিলাদত শরীফ এবং বিছাল শরীফ উভয়ই তোমাদের জন্য রহমত,বরকত,ছাকীনার কারন।"

১৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: যে কোন সাধারন মুসলমানের ওফাত পরবর্তী শোক পালন সম্পর্কে শরীয়তের ফায়সালা হলো শোক হছ্ছে তিনদিন।।আর স্বামীর ইন্তেকাল হলে স্ত্রী শোক পালন করবে চারমাস দশ দিন।
কিন্তু নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উনাদের জন্য শোক নাই।
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,"আমার বিলাদত শরীফ এবং বিছাল শরীফ উভয়ই তোমাদের জন্য রহমত,বরকত,ছাকীনার কারন।"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.