নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

শনিবারের চিঠিঃ তৃতীয় কিস্তি

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৫০



শনিবারের চিঠি - ৩
(ধারাবাহিক সাপ্তাহিক কলাম)
.
গতকাল, প্রয়োজনের খাতিরে এমন কিছু রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করলাম - যে রাস্তাগুলো একসময় আমার অস্তিত্বের অংশ ছিল, অথচ আজ তারা আমার জীবনে আর প্রাসঙ্গিক না। একসময় একটা দিন কল্পনা করা যেতো না এই রাস্তাগুলোর ওপর দিয়ে যাতায়াত ছাড়া, অথচ আজ এই রাস্তাগুলো স্রেফ স্মৃতির তল্পিবাহক। কালেভদ্রে কখনো তাদের ব্যবহার করা হলে স্মৃতির নিউরনে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি করা ছাড়া আমার জীবনে তাদের আর তেমন কোন প্রায়োগিক ব্যবহার, বা উপযোগিতা নেই।
.
কারওয়ান বাজারে একটা কাজ সেরে গন্তব্য ছিল ধানমণ্ডি রবীন্দ্রসরোবর। বসুন্ধরা মার্কেটের সামনে দাঁড়ানো এক রিকশাচালককে ডেকে জিজ্ঞেস করি, ধানমণ্ডি রবীন্দ্রসরোবর যাবে কিনা; তিনি আমাকে উল্টো জিজ্ঞেস করেন, এটা ধানমণ্ডি কতো নম্বর সড়কে পড়েছে। আমি অবাক হয়ে আবিষ্কার করি, বেমালুম ভুলে গেছি রবীন্দ্রসরোবর ধানমণ্ডির কতো নম্বর সড়কে! আমি ঠায় দাঁড়িয়ে পড়ি স্মৃতিবিস্মৃত এক ছায়ামানব হয়ে, পান্থপথের মোড়ে। হাতের ডান দিক থেকে প্রবল বেগে ছুটে আসছে একের পর এক প্রাইভেট কার। সোজা তাকালে ফার্মগেটের দিকে আমার জীবনের প্রথম চাকুরির স্থল, ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক, পেছনের রাস্তা গিয়ে মিলেছে সায়েন্সল্যাব, বামে কলাবাগান। এসকল রাস্তার মোড়ে মোড়ে জীবনের একেক ফেইজের একেক আমি কে দেখতে পাই আমি। সে সকল আমি প্রফেশনাল লাইফ নিয়ে হতাশ, অথবা তরুণ একদল স্বপ্নবাজ ছেলেপেলেদের সঙ্গে আড্ডায় ব্যস্ত, কোন কফিশপে কারো সঙ্গে বসে চুমুক দিচ্ছে কফির মগে, অথবা, উদ্বেল তারা সম্পর্কে, বা সম্পর্ক ভঙ্গের যাতনায়।
.
এমন সময় নিজ থেকে এগিয়ে এসে এক রিকশাচালক আমাকে উদ্ধার করলো এই স্থবিরতা থেকে। জিজ্ঞেস করলো, কোথায় যাবো আমি। আমি তার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসি। আমার উত্তর দিতে সময় লাগে। তাকে বলতে ইচ্ছে করে, আমি আমার অস্তিত্বের জটিলতম সংকটের মুহূর্তগুলোতে ফিরে যেতে চাই। যখন আমি একদম ভাঙ্গাচোরা অবস্থায় ছিলাম। যখন আমার প্রতিটি দিন শুরু থেকে শেষ করাটাই ছিল এক বিরাট হ্যাপা। তিনি কি পারবেন, তার রিকশায় করে আমাকে সে সময়টায় নিয়ে যেতে? সেই সময়ের আমি'র কথা মনে পড়লে আমার অসম্ভব মায়া লাগে, মন খারাপ হয়। তার রিকশায় চড়ে সে সময়ে ফিরে যেতে পারলে ভাঙ্গাচোরা আমার কাঁধে হাত রেখে আমি তাকে বলতাম, দিন বদলাবে। সুদিন আসবে। আকাশে চোখ রাখো। অন্তরকে ডুবিয়ে রাখো কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসায়। সেকেন্ডে আমার চোখ জলে ভরে ওঠে, আমি মাটির দিকে তাকিয়ে থাকি। আমার বিপরীতে দাঁড়ানো রিকশাচালক চেহারায় বিস্ময় আর বিরক্তির মিশ্র অনুভূতি নিয়ে যখন জিজ্ঞেস করে - কি মামা, যাইবেন না? আমি আমার বিক্ষিপ্ত সত্ত্বাকে গুছিয়ে নিয়ে উঠে বসি রিকশায়। কই যাবো তা না বলেই। রিকশাওয়ালা আবারো প্রশ্ন করে, যাইবেন কই। রবীন্দ্রসরোবর, বলতেই চিনলেন তিনি। ও, আটের এ, - বললেন তিনি। চাকা ঘোরা শুরু করলো। গড়গড়িয়ে সে বাহন পীচ ঢালা রাস্তার ওপর ভেসে চলল পান্থপথ থেকে কলাবাগান স্কয়ার হসপিটাল, ডলফিন গলি হয়ে কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড। তারপরেই ধানমণ্ডি ৮/এ, রবীন্দ্র সরোবর।
.
গন্তব্য আসলে ঠিক রবীন্দ্র সরোবর না। পূর্ণাঙ্গ ঠিকানাটা ধানমণ্ডি ৮/এ, বাড়ি নং ৭২। রিকশা ঠিক সে পর্যন্ত ভাড়া না করার কারন, আমার আসলে ভালো লাগে ঠিকানার একটু আগে যানবাহন ছেড়ে দিয়ে বাকি পথ হেঁটে লক্ষ্যে পৌছুতে। মনে হয়, এতে করে কারো দরোজায় গিয়ে দাঁড়ানোটা আর একটু অর্থবহ হয়ে ওঠে। এতে করে হৃদ্যতা আর একটু বেশী প্রকাশ পায়। পুরো সম্পর্কটা ভেসে ওঠে চোখের সামনে, হন্টনের ঐ সামান্যতম মুহূর্তে, চিন্তার জগতে ঝালাই করে নেয়া যায় ভালোবাসা - হৃদ্যতা, মান - অভিমান।
.
বাড়িটা খুঁজে বের করবার আগে রবীন্দ্র সরোবরের দিকে ভালো করে তাকাই একনজর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার শিক্ষার্থীজীবন শেষ করবার পর এই জায়গাটা আবিষ্কার করেছিলাম। টিএসসিকেন্দ্রিক জীবন সমাপ্ত হবার পর, মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম ঢাকার ভেতর এরকম প্রানের স্পন্দন বিশিষ্ট আরেকটি জায়গা আবিষ্কার করে। রবীন্দ্র সরোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির একটা প্যারালাল কালচারাল হাব। এখানে যে বয়স ও পেশার মানুষজন আড্ডা দিতে আসে তার বৈচিত্রের রেঞ্জ টিএসসির তুলনায় অনেক ছড়ানো। ইদানীং কোলকাতার আদলে মটকা চা'র আমদানি করেছে তারা। অনেকের হাতেই মাটির ভাঁড়ে চা। আমার কাছে এই মটকা চায়ের চে' এখনো হাকিম চত্বরের চা বেশী পছন্দ।
.
ধানমণ্ডির কাজ শেষ বের হতে হতে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা বাজে। ৭/এতে ধানমণ্ডির পুরাতন ঈদগাহ মসজিদে এশার নামাজ পড়ি। মসজিদের সামনে থেকেই এক রিকশা পেয়ে যাই, ৬০ টাকা ভাড়ায় রফা হয়, নীলক্ষেত গাউসুল আজম মার্কেট পর্যন্ত। উপন্যাসের ফাইনাল প্রুফটা প্রিন্ট করাতে হবে।
.
আমার হাতে হারুকি মুরাকামির অ্যান্ড দা এলিফেন্ট ভ্যানিশেস। ছোট গল্পের কালেকশন। সায়েন্সল্যাব আড়ং এর পাশের রাস্তায় উৎকট জ্যাম। ঘড়িতে তখন রাত সাড়ে আটটা। নাফিসার সঙ্গে কথা হয়েছিল একটু আগে। বলেছিলাম, রাত সাড়ে ন'টার মধ্যে বাসায় থাকবো। আরও দেরী হবে, মনে হচ্ছে।
.
মুরাকামির বইয়ে প্রথম গল্পের মুল চরিত্রটি আমার বয়েসি এক পুরুষ। তার চাকরি নেই আপাতত। তার স্ত্রী চাকরি করছে একটা প্রাইভেট ফার্মে, আর সে ভদ্রলোক আপাতত ঘরকন্নার কাজ করছে। একদিন মনোযোগ দিয়ে স্প্যাগেটি রান্না করছে সে, এমতাবস্থায় এক নারীর ফোন আসে, তাদের বাসার ফোন নম্বরে। সে নারী, ছেলেটির কাছে স্রেফ ১০ মিনিট চায়, পার্সোনাল ইস্যুতে কথা বলবার জন্য। বিবাহিত ছেলেটি নানারকমভাবে তাকে এড়ানোর চেষ্টা করে একপর্যায়ে রাজি হয় ১০ মিনিট কথা বলতে।মেয়েটি আলাপের দু'মিনিটের মাথায় শুরু করে নিজের শরীরের খুব গ্রাফিক আবেদনময়ী বর্ণনা দেয়া। বলে - সে মাত্র স্নান সেরে বেরিয়েছে। ঘড়ির কাটার ১০ টা ৫ এর মতো পজিশনে তার দু'পা ছড়িয়ে নগ্ন শরীরে বিছানায় শুয়ে আছে, তার পিউবিক হেয়ার এখনো ভেজা, ইত্যাদি।
.
মুরাকামির পর্ণগ্রাফিক বর্ণনা পড়তে পড়তে আমি আমার আশপাশের ব্যাপারে সচেতন হয়ে উঠি। আমার ঠিক বামপাশের রিকশায় দুজন মহিলা। ধানমণ্ডিতে থাকার সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আলাপ করছেন গলা ছেড়ে। আমার রিকশার ঠিক ডানপাশে ঘেঁষে দাঁড়ানো বাইকে এক তরুণী। বাইক চালানো ছেলেটার সঙ্গে বসে থাকার কায়দায় মনে হচ্ছে না সে উবার বা পাঠাও বাইকে চড়ে কোথাও যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, বাইকার তার পরিচিত। রাস্তার উল্টোপাশের রিকশা থেকে একটা মেয়ে ভ্রূ কুঁচকে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। এদের সবার মাঝে বসে এরকম গ্রাফিক স্যাক্সুয়াল বই পড়তে অস্বস্তি লাগাতা স্বাভাবিক। মুরাকামির লেখার এই এক ব্যাপার। কখন যে খুব কড়া ডোজের যৌনতা ঢুকে পড়বে বর্ণনায়, আগে থেকে বোঝা যায় না। আমি পড়া বন্ধ করে পৃষ্ঠার কোনা মুচড়ে বইটা হাতে ধরে রাখি।
.
নীলক্ষেতে এসেছি না মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প, বুঝতে পারলাম না। পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ চলছিল সবার কম্পিউটারে, বা মোবাইলে। পাকিস্তানের প্রতিটা চারে ছক্কায় সে কি উল্লাস সবার! আমি কাজ শেষ করে কোনোভাবে বেরিয়ে আসি। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত সাড়ে ন'টা। নাফিসা বলেছিল ওর জন্য দুটো খাতা, আর একটা ফেন্সি ডায়রি কিনে আনতে। ও ভোরে উঠে নিয়মিত জার্নালিং করে। সুন্দর কোন ডায়রি পেলাম না। ডার্ক চকলেট কিনলাম বদলে। ডার্ক চকলেটে ডায়রির কাজ হয় না, কিন্তু কম্পেন্সেশন হিসেবে ভালো।
.
বাসায় ফেরার পালা। আমার রিকশা যখন নীলক্ষেত ক্রস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর ঢুকছে, তখন আমার ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাতের কথা মনে পড়ে গেলো। জীবনে খুব ছন্নছাড়া একটা সময় চলছিল তখন। ৩১ ডিসেম্বর রাতে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের ঢুকতে দেয় না কর্তৃপক্ষ। তখন আমি চারুকলায় মাস্টারি করি। সে পরিচয়েই ঢুকলাম। বহিরাগত ঢুকতে পারছে না বলে রিকশাও নেই। তখন বাড়ি ছিল গোপীবাগ। হাঁটতে হাঁটতে, ফোনে কথা বলতে বলতে এগুচ্ছি এক বান্ধবীর সঙ্গে। ৩১ ডিসেম্বর রাতগুলোর এক আলাদা ভাইব থাকে। মানুষ তার ফেলে আসা জীবনকে মূল্যায়ন করে, নতুন বছরের রেজুলেশান্স তৈরি করে। আমিও সেই ঘোরে আক্রান্ত হয়ে তাকে বলছিলাম - ২০১৮ সালে আমি নিজেকে বদলে ফেলবো। একদম বদলে ফেলবো। এমনভাবে লাইফটাকে সাজাবো যে আর রিগ্রিট থাকবে না কোন জীবন নিয়ে। ফোনে যার সঙ্গে কথা হচ্ছিল, তার সঙ্গে আমার আলাপের আগে বা পরে কখনো সামনাসামনি দেখা হয় নি।
.
২০১৭ সালের সে রাতে নীলক্ষেত থেকে হাইকোর্ট মাজার পর্যন্ত হাঁটার পথে বাংলা একাডেমী অতিক্রম করার সময় একবারও মনে হয় নি যে, যে ২০১৮ সালে আমি আমার জীবনের খোলনলচে বদলে ফেলার রেজুলেশন ঠিক করছি, সে বছরের নভেম্বর মাসের ৯ তারিখ, এই বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে আয়জিত ঢাকা লিট ফেস্টে একটি মেয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হবে, এবং তারপর আমার জীবন আর কখনোই আগের মতো থাকবে না। জীবন বদলে যাবে, সবরকম ইতিবাচক অর্থে।
.
আমার রিকশা যখন টুনটুন বেল বাজাতে বাজাতে এগিয়ে চলে, কার্জন হতে হাইকোর্টের মাজার হয়ে গুলিস্তান, তখন ঘড়িতে রাত ১০টা। শীতের রাতে খুব মিহি করে কুয়াসা নেমে আসছে। সেই কুয়াসার জালে আটকা পড়ছে ফেলে আসা দিনগুলোর স্মৃতি। আমি দূরের পর্যবেক্ষকের মতো তাদের দিকে তাকাই। সে সময়গুলোকে নিয়ে ভাবি। সে মানুষগুলোকে নিয়ে ভাবি। এই পথগুলোর কথা ভাবি - যারা আমাকে আমার একেক বয়সে, একেক পর্যায়ে, একেক মানসিক অবস্থায় দেখেছে। ঢাকা শহরের এই সড়কগুলো, যারা আমার বেড়ে ওঠার সাক্ষী। এরা সব আমার ছেলেবেলার বন্ধুদের মতোই আপন। এরা সব আমার হারিয়ে যাওয়া সম্পর্কগুলোর মতোই দূরের।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিময় সড়কগুলোর বর্ণনা ভালো লেগেছে। অতীত মাঝে মাঝে কুয়াশাচ্ছন্ন হলেও, স্মৃতির পাতা ওল্টাতে ভালো লাগে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৬

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার, ভালো আছেন আশা করি। লেখালিখির ক্ষেত্রে স্মৃতি বড় শক্তির জায়গা। ব্যক্তিগত জীবনেও স্মৃতিকাতরতা মানুষকে আরও মানবিক ও নরম হৃদয়সম্পন্ন করে তোলে বলে মনে হয়। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা। দোয়াপ্রার্থী।

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৪

কালো যাদুকর বলেছেন: স্মৃতি গুলো সব হাড়িয়ে যায় না, কিছু কিছু ফিরে আসে। সেগুলো ভারি সুন্দর করে সাজিয়েছেন।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২০

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ঝরঝরে লেখা। পড়ে আরাম আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.