নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হযরত নূহ আঃ এর নবুওয়াতী যুগ।তিনি একাধারে সাড়ে নয়শত বছর দ্বীনের দাওয়াত দেন।নূহ আঃ এর ক্বওমের অধিকাংশ মানুষ তার দ্বীনি দাওয়াত কবুল করতে অস্বীকৃতি জানাল।এ দীর্ঘ সময়ে মাত্র ৪০ জন পুরুষ ও ৪০ জন নারী দ্বীন কবুল করলেন।তখন তিনি তার ক্বওমের উপর মনক্ষুন্ন হয়ে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করলেন, হে প্রভূ! আমার সম্প্রদায়কে এত করে বোঝানোর পরেও তারা আপনার দিকে ফিরে আসছে না।বরং আরও দুরে সরে যাচ্ছে। সুতরাং, আপনি তাদেরকে ধ্বংস করে দিন।
আল্লাহ তায়ালা নূহ আঃ এর দু'আ কবুল করলেন এবং গজব হিসেবে পাঠিয়ে দিলেন মহাপ্লাবন। এ প্লাবনে নূহ আঃ এর কিস্তিতে থাকা ম'মিন লোক এবং তাদের সঙ্গে থাকা প্রাণী ব্যতীত সব কিছু ডুবে গেল।খোদাদ্রোহীরা পানিতে ডুবে মারা গেল। মহাপ্লাবনের পানি শুকিয়ে গেলে নূহ আঃ আবার পৃথিবী আবাদ করা শুরু করলেন।
আল্লাহ তা'আলা এবার নূহ আঃ কে কিছু মাটির পাতিল বানানোর নির্দেশ দিলেন।নূহ আঃ আল্লাহর আদেশ পেয়ে পাতিল তৈরি শুরু করলেন।বেশ কিছুদিন পর আল্লাহ তা'আলা নূহ আঃ কে তার তৈরি করা পাতিলগুলো ভেঙ্গে ফেলতে নির্দেশ দিলেন।
নূহ আঃ মনমরা হয়ে বসে আছেন।আল্লাহ তা'আলা এবার জিজ্ঞেস করলেন,হে নূহ! তোমার মন খারাপ কেন? নূহ আঃ বললেন, হে আমার প্রতিপালক আল্লাহ! জানি না কেন এ পাতিলগুলো তৈরি করতে বললেন, আর কেনই বা ভেঙ্গে ফেলতে নির্দেশ দিলেন।পাতিলগুলো এত সুন্দর করে তৈরি করার পর তা ভেঙ্গে ফেলাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তাই মনটা খারাপ।এবার আল্লাহ তা'আলা বললেন, হে নূহ! সামান্য এই মাটির পাতিলগুলো তৈরি করে তা ভেঙ্গে ফেলাতে যদি তোমার এত মায়া লাগে, তবে আমি আল্লাহ এত সুন্দর করে মানুষ সৃষ্টি করার পর তাদের ধ্বংস করতে কত মায়া লাগে।তবুও তোমাকে খুশি করার জন্য তোমার দু'আ কবুল করে আমি তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি।
৩১ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:২৬
আদিল ইবনে সোলায়মান বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য সবসময়ই ধন্যবাদ প্রাপ্য থাকে।
২| ৩১ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:৪০
আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: সুবহানআল্লাহ!
৩| ৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮
নতুন বলেছেন: নূহ আঃ মনমরা হয়ে বসে আছেন।আল্লাহ তা'আলা এবার জিজ্ঞেস করলেন,হে নূহ! তোমার মন খারাপ কেন? নূহ আঃ বললেন, হে আমার প্রতিপালক আল্লাহ! জানি না কেন এ পাতিলগুলো তৈরি করতে বললেন, আর কেনই বা ভেঙ্গে ফেলতে নির্দেশ দিলেন।পাতিলগুলো এত সুন্দর করে তৈরি করার পর তা ভেঙ্গে ফেলাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তাই মনটা খারাপ।
গল্পটা কোরানে নাই। হাদিসের রেফারেন্স দেবেন কি??
কারন আল্লাহের হুকুমে ইবরাহিম আ: যদি তার ছেলেকে কুরবানী করতে পারে তবে আরেক নবীর পাতিল ভেঙ্গে মন খারাপ করতে পারেনা।
আল্লাহের হুকুম মেনে মন খারাপ হওয়া মানে হইলো ঐ হুকুম তার পছন্দ হয়নাই এবং তিনি অনিচ্ছায় সেটা করেছেন। সেটা হবার কথা না।
একটু রেফারেন্স দেবেন কি? এটা কোন হাদিসে আছে?
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:০৩
বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর। +++