![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের মত জরুরি সেবার যানবাহন এবং ভিআইপিদের চলাচলের জন্য রাজধানীর রাজপথে আলাদা লেইন করতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ ধরনের প্রস্তাব করার কারণ জানতে চাইলে সচিব বলেন, ভিআইপিদের অনেক সময় “জরুরি প্রয়োজনে” দ্রুত যাওয়া আসা করতে হয়। অনেক সময় দ্রুত যাওয়ার জন্য তারা উল্টা পথে যান। অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িরও দ্রুত যাওয়া প্রয়োজন হয়। কিন্তু উল্টা পথে গেলে ঝামেলা তৈরি হয়। এজন্যই এ ধরনের আলাদা একটি লেন করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
অতি হক কথা। একজন কূটনীতিক এমন এক ব্যক্তি যিনি বউ-বাচ্চা নিয়ে শহরের বাইরে বেড়াতে যাওয়ার সময়ও এমন ভান করবেন যে তিনি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ মিশনে যাচ্ছেন। তাদের কোন প্রয়োজনটা কম জরুরি? এদের তো আলাদা লেন লাগবেই। নিজের চাওয়া জাস্টিফাই করতে “অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের মত জরুরি সেবার যানবাহন” যোগ করেছেন। খুব ভাল। এদের কোন কিছু বলার আগে সে বিষয়ে বোঝারও দরকার হয় না। হলে কি এ প্রস্তাব দেয়ার আগে দেশের সংবিধান তাদের এমন দাবি করার অধিকার দেয় কি না তা ভাবতেন না? তারা ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান’ সংবিধানের এই মৌলিক অধিকারের কথা ভুলে যান কিভাবে?
চৌধুরী বাড়িতে ছেলেকে পড়ান যে গৃহশিক্ষক তিনি রোজ দেখেন, বাড়ির কুকুরকে দই খেতে দেয়। দইয়ে মিষ্টি কম হলে কুকুরটা তা না খেয়ে ঘেউ ঘেউ করতে থাকে। তখন আরো চিনি মিশিয়ে দেয় চাকরটা। এসব দেখে গৃহশিক্ষক একদিন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, ভগবান ক্যান যে আমারে চৌধুরী বাড়ির কুত্তা বানাইলো না!
বছরে পুরো একমাস বাণিজ্য মেলা নামক অনাচারে রাস্তার জ্যামে কষ্ট করি আমি, হরিজন! ওনারা নাকি আমলা, ভিআইপি! লোকপ্রশাসনের ট্রেনিংয়ে কিছু হবে না। সংবিধান ইনজেক্ট করে এদের শরীরে ঢুকাতে হবে মনে হয়। এরা সংবিধানের দেয়া সমঅধিকার মানতে চায় না! ট্রাফিক রুল ভেঙ্গে অপদস্ত হয়ে এখন সরকারের কাছে রাজধানীতে চলাফেরার জন্য আলাদা লেন দাবি করছে। হয়ত পেয়েও যাবে। চৌধুরী বাড়ির আদরের কুকুর-বেড়াল এরা। আমরা পাবলিক যেন সব কাঙাল প্রাইভেট মাস্টার, যাদের কপালে শুধুই লাল চা। বাড়ির চাকর তাতে চিনি দিতে ভুলে যায়, ইচ্ছা করেই।
পুনশ্চ: চৌধুরী বাড়ির গল্পটি সৈয়দ মুজতবা আলীর বই থেকে নেয়া।"
©somewhere in net ltd.