![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিল্লা তনু চিল্লা!
................ আতিয়ার রহমান।
হারিয়ে গেলি তনু!
তোর ভাইরা তোর বিচার পেল না?
কি রে তনু, তোর বাবানা জাতীর পিতা
তোর বোন না দেশ চালায়-
তবে তোর ভাইয়েরা বিচার পেলনা কেন?
আচ্ছা যখন তোকে ঘাতকরা কূড়ে কূড়ে খাচ্ছিল
ধুঁকিয়ে ধুঁকিয়ে মারছিল, তখন তুই চিৎকার করিস নি?
বলিসনি, ও আমার ভাইয়েরা, ওরা আমায় মেরে দিচ্ছে তো
আমায় বাচাঁও, আমায় বাচাঁও!!!
আচ্ছা তোর কণ্ঠা এতো কমজোড় কেন রে-
নারী বলেই কি তোর চিৎকার আমার কানে পৌছেনি?
হেরে গেলি তনু!
হেরে গেলি তোর নারীত্বের কাছে?
নারী বলেই কি তোর নিথর দেহ
ক্লান্ত শরীর, বাচাঁর আকুতি গুংরানো, আর শেষ নি:শ্বাস
আমার দীর্ঘশ্বাস হয়নি।
নারী বলেই কি তোর আত্নার দেহ ত্যাগের শব্দে
বিধাতার আরশ কাঁপেনি।
তাতে কি! মরেইতো গেছিস, তোর আর ভয় কিসের
তোর ভাইদের হেরে যেতে দিস না।
এবার তুই চিল্লা! চিল্লা তনু চিল্লা!!!
চিল্লা-য়ে বিধাতার আরশ ফাটিয়ে দে।
তোর জন্য তো এটা খুব সহজ কাজ,
তুই তো এখন ঐ জগতের বাসিন্দা।
জানিস তনু- রাসেল কে নিয়ে একটা কবিতা লিখেছিলম
রাসেল কে? রাসেল তোর ভাই। জাতীর পিতার সন্তান।
কবিতার প্রথম অংশটা ছিল এই রকম--
“ আজো রাসেলের চিৎকার শুনে, ফাঁটল ধরে আরশের কোণে,
সেই চিৎকার আমরা আজো শুনিছি
ও হে মুজিব যদি দেখতে”।
তাই বলছি, তুইও চিল্লা।
কাঁপিয়েদে বিশ্ব বিধাতার মহাসৃষ্টি
আরশের তলায় গিয়ে চিল্লা, বিধাতার কানে গিয়ে চিল্লা!
রাসূলের পাশে বসে চিল্লা, পাগলের মতো চিল্লা, শিশুর মতো চিল্লা!
তুই ভয় পাসনে তনু!
তোকে আর কেউ মারার ক্ষমতা রাখে না-
তাই যতক্ষণ বিচার না পাস তুই চিল্লা।
তুই ওইপারে চিল্লা, আমি এই পারে চিল্লাই।
তুই এবার জোড়ে জোড়ে চিল্লা-
ভাবিস না, তোর এই ভাই,
তোর গুংরানো আর শেষ নি:শ্বাসের শব্দ না শুনলেও
আরশ ফাঁটার শব্দ খুব মজা করেই শুনে।
শুনে রাখ তনু, তুই যেদিন আরশ ফাঁটাবি
সেদিন তোর এ ভাই এক থাবায় মহাসৃষ্টিকে
দুমড়ে মুচড়ে ফেলবে-
কারন সেদিন আমার ক্ষমতা হবে
খোদ বিধাতা!!!
কথা দিলাম তনু!
তোর মতো যত তনুর মৃত্যু হয়েছে, মৃত্যু হবে
তুই আরশ না ফাঁটানো পর্যন্ত
প্রত্যেকের নাম আমার কাছে তনুই হবে।
আমার প্রতিটি প্রতিবাদে
তনু থাকবেই!
©somewhere in net ltd.