নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
মার্চ মাসের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স 'ভিন্ন খবর' পড়তে গিয়ে চোখ বিস্ময়ে শেষ পাতা থেকে সরাতে পারছিলাম না!!
আজারবাইজানের তিন
বছর বয়সী ফুটফুটে মেয়ে ‘জাহরা হোসাইন’। এই
বয়সেই সে পবিত্র কোরআনে কারিমে ৩৭টি সূরা
মুখস্থ করে সেদেশের কনিষ্ঠ হাফেজ হিসেবে
পরিচিতি লাভ করেছে।
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে বসবাসরত
কনিষ্ঠ এই কোরআনের হাফেজ সম্পর্কে তার মা
বলেছেন, ‘গর্ভকালীন সময়ে আমি প্রতিনিয়ত
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতাম এবং
উচ্চস্বরে কোরআন তেলাওয়াত মনোযোগ সহকারে
শুনতাম।’
জাহরার মা আরও বলেন, ‘জাহরার
জন্মের পর তার ঘুমের সময়ে ঘুমপাড়ানি ছড়ার
জায়গায় আমি পবিত্র কোরআনের ছোট ছোট
সূরাগুলো পড়তাম। এভাবেই দিন কাটছিল। কিন্তু
এক সময় আমি বুঝতে পারলাম, জাহরা মাত্র এক
বছর বয়সেই আমার সাথে কোরআনের আয়াতগুলো
পুনরাবৃত্তি করছে।
আর এর ফলে তার জন্য
কোরআনের অন্যান্য আয়াত ও সূরাগুলো আমি
পড়তে আমি আগ্রহী হই। এভাবেই তিন বছরের
ফুটফুটে মেয়ে জাহরা কোনো শিক্ষকের নিকট
প্রশিক্ষণ ছাড়া ৩৭টি সূলা মুখস্থ করতে সক্ষম
হয়েছে।’ (সূত্রঃ কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স মার্চ ২০১৫,পৃষ্ঠা নং ৯৪)
নেপোলিয়ন বলেছিলেন, 'আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতী দিব'
একটি দেশ গঠনের পিছনের কলকাটি নাড়েন কিছু শিক্ষিত রত্নাগর্ভা মা, কোন স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য নয়, কোন প্রত্যাশা থেকে নয়, মনের আনন্দে ভালবাসার চিত্তে মায়েরা সন্তান লালন পালন এবং তাদের মানুষ করে তুলেন, এই যেন প্রত্যেক ঘরের শ্রেষ্ঠ এক বিদ্যাপিঠ!! তাই হয়ত আমরা পশু না হয়ে মানুষ ৷
তাই সবার আগে দেশ গড়ার সংকল্পে উচিত নারীকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলা,
পরিশেষে বলতে চায়, সেই বিখ্যাত লাইন, "পৃথিবীর যা কিছু চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়েছে নারী অর্ধেক তার নর"
অর্ধাংশ এই নারীকে পিছনে রেখে কোন দেশ, জাতী,সভ্যতা,সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি এগিয়ে যেতে পারে না, পারবে না ৷
২৯ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে আমার ও ভালো লাগতেছে, ধন্যবাদ ৷
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬
রোদেলা বলেছেন: লেখাটা পড়ে ভীষন সন্মানিত বোধ করছি,ধন্যবাদ।