নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

“বাকের ভাইয়ের কিছু হলে/জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে” !

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২১

তোমরা আজ হিন্দী সিরিয়াল নিয়ে ঘুম হারাম করো আমাদের দেশে আমাদের সিরিয়াল নিয়ে রাস্তায় মিছিল হতো,
.
হুমায়ুন আহমদের রচনা নিয়ে সুবর্ণা মোস্তফা , আসাদুজ্জামান
নূর, আবদুল কাদের, মাহফুজ আহমেদ ,
আফসানা মিমি , হুমায়ূন ফরিদী,
মোজাম্মেল হোসেন , সালেহ
আহমেদ , আবুল খায়ের , নাজমা
আনোয়ার , শহীদুজ্জামান সেলিমের অভিনয়ে 'কোথাও কেউ নেই' নামে ১৯৯০ সালে বিটিভিতে একটি সিরিয়াল প্রচার করা হতো
.
সেই সিরিয়ালের একটি চরিত্র ছিল বাকের ভাই, সেই বাকের ভাইয়ের প্রেমে পড়েছিল দেশবাসী, সিরিয়ালে বাকের ভাইয়ের ফাঁসির দন্ড হলে ঢাকাবাসী সহ দেশবাসী রাস্তায় নেমে মিছিল শুরু করেছিল, “বাকের ভাইয়ের কিছু হলে/জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে” !
.
ভাষার জন্য যে জাতী আন্দোলন করতে পারে সে জাতী একটি সিরিয়ালের একটি চরিত্রের জন্য আন্দোলন করবে না কেন? আমাদের রয়েছে বুক ভরা ভালবাসা, সুযোগ পেলে কল্পনাকে ও ভালবাসতে জানি আমরা
.
তোমরা তো আজ সালমান/শাহরুখ বলে বলে পাগল আমাদের ও ছিল সালমান শাহ, নায়ক রাজ রাজ্জাক, শাবানা, আলমগীর,ববিতা
.
এক সালমান শাহ'র ৯২-৯৬ এই চার বছরে সাতাশটি ছবির মধ্যে সাতাশটিই সুপার ডুপার হিট হয়েছিল, তার মৃত্যুতে অনেক ভক্ত অনুরক্ত আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছিল!
.
তোমরা আজ ছাত্র রাজনীতি করে কলঙ্কিত কিন্তু তোমাদের মত ছাত্র রাজনীতি করে বায়ান্না,ছিষট্টি, ঊনসত্তর, একাত্তর, নব্বইয়ে দেশ উদ্ধার করেছিল ছাত্ররা,
.
আজ কেন তবে চারদিকে শূন্য হাহাকার! আজ কেন সৃষ্টির তান্ডবলীলা জেগে উঠে না, আজ কেন তোমরা ব্রিটিশ রাণীর মাথার মুকুট 'কহিনূর' এর দিকে অপলক চেয়ে থাকো, ওটা তো আমাদের ছিল লুট হয়েছে!
.
তবে সব হারিয়ে আজ কেন আমাদের নিঃস্ব, রিক্ত, হতাশায় নিদ্রাযাপন? এভাবে আর কত যুগ! মনে রেখো, তোমার হাতে অর্জিত হবে আবারো উদ্ধার যুগ, তোমাতে রয়েছে সেই শক্তি দেশের সর্বসুখ ৷

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৮

মিজভী বাপ্পা বলেছেন: যদিও তখন জন্ম হয় নি আমার কিন্তু নামটি মুখে মুখে শুনেছিলাম। বাকের ভাইয়ের মত চরিত্র আর হবে কিনা জানি না তবে আমাদের দেশের নাটক শিল্প এখনও সবথেকে শ্রেষ্ঠ থাকত যদি গুণী নির্মাতাদের সুযোগ দেয়া হত। এখন হাতে গোনা কয়েক জন ছাড়া সবই গাঁজাখুরি নাটক করে :( আর নাটক বা যেকোন অনুষ্ঠানের মাঝে বিজ্ঞাপন বিরতি তো আরেক যন্ত্রণা :(

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:১২

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: নাটকটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিল "বাকের ভাই"। বাকের ভাই গুন্ডা প্রকৃতির লোক এবং তার সঙ্গী ছিল "বদি" আর "মজনু", তারা তিনজনই মোটর সাইকেলে করে চলাফেরা করতো। অধিকাংশ সময় মোটর সাইকেল চালাতো মজনু, বদি বসতো পিছনে, বাকের ভাই বসতো মাঝে। বাকের ভাইয়ের একটা মুদ্রাদোষ ছিল, সে একটা চেইন হাতের তর্জনিতে অনবরত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে প্যাঁচাতো, আবার উল্টোদিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে প্যাঁচ খুলে আবার প্যাঁচাতো। সক্রিয় ডায়লগ না থাকলে প্রায়ই তাকে এরকম করতে দেখা যেত। বাকের ভাইকে পছন্দ করতো "মুনা"। মুনা এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। সে চাকরি করে, এবং তার মামাতো ভাই-বোনদের দেখাশোনা করে। বাকের ভাই এলাকার মাস্তান হলেও অধিকাংশ মানুষ তাকে ভালোবাসতো, কারণ সে ছিল সত্যের পূজারী— নিপীড়িত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে যেমন কুন্ঠিত হতো না, তেমনি সমাজের অন্যায়কেও মুখ বুজে মেনে নিত না, নিজের গুন্ডাদের দিয়ে তা কঠোর হস্তে দমন করতো। ঘটনাপ্রবাহে বাকের ভাই রেবেকা হক নামের এলাকার প্রভাবশালী এক নারীর সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। ঐ নারী তার বাড়িতে অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন, বাকের ভাই তা জানতে পেরে প্রতিবাদ করে। এই প্রভাবশালী নারী তার বাড়িতে কুকুর পালন করতেন বলে বাকের ভাই তাকে কুত্তাওয়ালী বলেন। এরই মধ্যে রাতের অন্ধকারে তার বাড়িতে একজন খুন হয়। ফাঁসানোর জন্য এই খুনের দায় দেয়া হয় বাকের ভাইকে, সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেয় কুত্তাওয়ালী'র দারোয়ান। যদিও পদে পদে তার মিথ্যা সাক্ষ্য বাকের ভাইয়ের উকিল ধরিয়ে দিচ্ছিলেন আদালতের কাছে, কিন্তু এদিকে বাকের ভাইকে ফাঁসানোর জন্য কুত্তাওয়ালী লোভ দেখিয়ে বাকের ভাইয়েরই সাগরেদ বদিকে হাত করে নেয়। বদি, আদালতে শপথ করে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে বাকের ভাইকে পাকাপোক্তভাবে ফাঁসিয়ে দেয়। আদালত, ঐ খুনের দায়ে নির্দোষ বাকের ভাইকে মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড দেন। বাকের ভাইয়ের পক্ষে উকিল হিসেবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হোন উকিল। আদালতের এই সিদ্ধান্তে যেনবা মরে যায় মুনার মন। এদিকে মুনার ঘরের সবাইও বিভিন্ন জায়গায় পাড়ি জমান। এই একাকিত্বের দিনে এক ভোরে, আদো-অন্ধকারে, চারদিকে যখন ফযরের আযান হচ্ছিল, জেল গেট দিয়ে বাকের ভাইয়ের লাশ বের করে দেয়া হয়। কেউ ছিল না সেই লাশ গ্রহণ করার জন্য মুনা ছাড়া। সৎকার করার পর, মুনা বড় একা হয়ে যায়। তার যেন আর কেউ রইলো না কোথাও। নাটকের নামকে সার্থক করে মুনা নাটকের শেষ দৃশ্যে ভোরের আদো-অন্ধকারে ছায়া হয়ে একা প্রান্তরে দাঁড়িয়ে থাকে ৷ সূত্রঃ wikipedia

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৮

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আমিও আপনার মতো খুবই আশাবাদী। বোধদয় হবে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:১৩

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: আজ ছাত্র রাজনীতি করে কলঙ্কিত কিন্তু তোমাদের মত ছাত্র রাজনীতি করে বায়ান্না,ছিষট্টি, ঊনসত্তর, একাত্তর, নব্বইয়ে দেশ উদ্ধার করেছিল ছাত্ররা... আমরা optimist হবো pesimist নয় ৷

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫০

গরু গুরু বলেছেন: এখনো আমাদের নাটক গুলো ইণ্ডিয়ান বাস্তা পচা সিরিয়াল থেকে ভালো।
শুধু আজাইরা চ্যানেল আর অতিরিক্ত বিজ্ঞাপনে যন্ত্রনার কারনেই দর্শকরা দেশিও নাটক দেখেন না।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:১৮

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: একদম :)

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ১৯৯৩ হবে!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :)

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৩

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: বদ্দা কেন আছন?

০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: কেমন আছি আজ ভেবে না পাই, ভালো থাকার জন্য কোন বনে যে যাই!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.