নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘উহারা প্রচার করুক হিংসা বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ;/ আমরা বলিব সাম্য শান্তি এক আল্লাহ জিন্দাবাদ।/ উহারা চাহুক সংকীর্ণতা, পায়রার খোপ, ডোবার ক্লেদ,/ আমরা চাহিব উদার আকাশ, নিত্য আলোক, প্রেম অভেদ।_কাজী নজরুল ইসলাম
আগ্রাবাদ আখতারুজ্জামান সেন্টারের পিছনে এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড জুতো পাওয়া যায় সেখানে আমার পছন্দের একজন জুতা বিক্রেতা আছে সে গর্ব সহকারে বলে এই ব্যবসা করে তিনটা বিয়ে করেছে !
.
ঐ তিন বউয়ের কসম তিন বছর না গেলে আপনি আমার থেকে আর জুতা নিয়েন না
.
সত্যি সাতশ টাকার জুতো সাত মাসেও কিছু হয়নি কিন্তু এরি মধ্যে আঠারো'শ টাকার বাটা জুতোর তলা ভেঙ্গে গেছে আরেক জোড়া এপেক্স ছিলো যার চামড়া উঠে গেছে
.
ঐ মার্কেটগুলোতে ব্রান্ড চিনলে হবে না জুতা চিনতে হবে !
.
প্রথম যখন ঐ হকার মার্কেট থেকে জুতো কিনি তার পরের দিন ঐ জুতো পড়ে এক ললনার সাথে ঘুরতে গেছিলাম পথিমধ্যে তার খেয়াল হলো চায়ের দোকানে ব্যাগ রেখে এসেছে ! নায়কের মতো রিক্সা থেকে কাঁধ বাঁকা হয়ে লাফ দিলাম তারপর একটু দৌড়ানোর পর লক্ষ্য করলাম জুতার তলা নেই !
.
এবার রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে ভাবতেছিলাম ব্যাগ না জুতোর তলা কোনটি খুঁজে আনা এখন বেশী গুরুত্বপূর্ণ
.
জুতো নিয়ে জীবনে অনেক গল্প আছে ! মসজিদে হারানো জুতা নাকি আমতলায় পাওয়া যায় ! তো সেখানে ঘুরতে গিয়ে দেখি একজন কাকুতি মিনতি করে বলছে, ভাই এটা আমার ই জুতা অমুক মসজিদ থেকে চুরি করে এনেছে চোরাইয়া, দুইশ টাকা কম রাখেন !
.
অক্সফোর্ড সু কে সাধারণত বেস্ট অফিসিয়াল সু বলা হয় ! যে মসৃণ সু তে ফিতা থাকে তাকে অক্সফোর্ড সু বলে ! ছোট বেলায় আমারও একজোড়া ছিলো ! তো খুব ছোট বেলায় সন্দ্বীপে এক বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম ৷ যাওয়ার সময় সবাই একসাথে বের হলাম ! আমি খুব মনোযোগ দিয়ে ফিতা বাঁধতেছিলাম !
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের ড্রিল স্যার ছিলো তখন সোলাইমান স্যার ৷ স্যার বলেছিলো ফিতা সব সময় এইডস চিহ্নের মতো করে বাঁধতে হয় ! কিন্তু আমার কোন রকমেই সমীকরণ মিলছে না ! আদ্যোপান্ত চেষ্টা করে শেষে গিট্টু মেরে উঠে দেখি কোথাও কেউ নেই ! সেই কি কান্না আমার !
.
একদা ছিলো না জুতো চরণ যুগলে ! কবি ঠিকি বলেছিলেন ! আমার দাদাদের সময়ে মানুষ জুতো বগল তলে নিয়ে হাটতো ক্ষয় হয়ে যাবে বলে তারপর সেটি আত্মীয়ের বাড়ির সামনে এসে পা ধুয়ে পড়ে সেই এক্কান ভাব নিয়ে ঢুকতো
.
আমি বুড়োদের সাথে গল্প করি ! আমি যেখানে থাকি সেখানে এক বুড়ো আছে নাম 'গোল্ড মিয়া' নামটি একটু ভদ্র ভাষায় বলতে গিয়ে বিকৃত করতে হচ্ছে ! তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনাদের সময় ঘড়ি, রেডিও, সাইকেল যৌতুক দিতো কিন্তু জুতো দিতো না কেনো ? সে ইয়ার্কি করে বলে, 'মুচি ছিলোনা বলে !'
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৯
পলাশমিঞা বলেছেন: এই গল্পে অনেক সত্যাসত্য বিশেষ ভাবে বিশ্লেষিত হয়েছে।
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: আবদুর রব শরীফ ,
আপনার পছন্দের ঐ জুতা বিক্রেতাকে বলুন আরো দু'টি বিয়ে করতে । তাহলে পাঁচ বউয়ের কসম, পাঁচ বছর না গেলে আপনাকে আর জুতো কিনতে হবেনা ।
এটা হবে আপনার জুতো কেনার পাঁচশালা পরিকল্পনা .....................
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন: আবদুর রব শরীফ ,
আপনার পছন্দের ঐ জুতা বিক্রেতাকে বলুন আরো দু'টি বিয়ে করতে । তাহলে পাঁচ বউয়ের কসম, পাঁচ বছর না গেলে আপনাকে আর জুতো কিনতে হবেনা ।
এটা হবে আপনার জুতো কেনার পাঁচশালা পরিকল্পনা
হা হা হা
আপনার পোস্টের শিরোনাম বেশ আকর্ষণীয়।
ভাই তওবা করেছি বাটার কোন কিছু কিনবো না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৩
পলাশমিঞা বলেছেন: নাম পড়ে এসেছি। পড়ে আবার মন্তব্য করব।