নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যঃ প্রেম নিবেদন

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯

কিছু কিছু কথা যা আজো বলা হয়নি তোমায় তাই চিন্তা করতেছি স্ট্যাটাসে বলে দিবো কি না কিন্তু কমেন্টে এসে যদি তুমি না করে দাও সেই অপমানে আগামী দুই এক মাস শুধু কেনো জীবনে চ্যাকা খাওয়া দরকার ভীষণ দরকার এমন সব লেখা বের হবে সুতরাং বললাম না
.
লেখাগুলো পড়ে কেউ কেউ চ্যাকার অনুভূতি নিতে ব্রেকাপ করবে আর সেই লিস্টে যদি তোমার বয় ফ্রেন্ড থাকে তাহলে তুমি কষ্ট পাবে ! এই দুচোখে তোমার কষ্ট দেখতে পারবো না তাই বললাম না !
.
সিরিয়াসলি বলছি না হলে আজকে বলেই দিতাম !
.
যদি বলতাম তাহলে শুরুটা কোন জায়গা থেকে করতাম ! সেটাই ভাবছি....!
.
রোদেলা আজ সকালে বাথরুমে গিয়ে দেখি সবকিছু তোমার মতো হলুদ হয়ে গেছে যেমন চোখের নীল হাতের তালু এটা জন্ডিস না প্রেমেন্ডিসের লক্ষণ !
.
গতকাল রাত ছিলো তোমার চুলের মতো অন্ধকার মনে হলো তোমার ভালবাসায় অন্ধ হয়ে গেছি !
.
পাশের বাসার কুত্তাটাকে হঠাৎ মনে হলো তোমার বয়ফ্রেন্ডের মতো দেখতে ! তার নাকটাও খাড়া খাড়া !
.
নতুন করে আবিষ্কার করলাম আমার পোষা বিড়ালটার চোখ তোমার ভালবাসার মানুষটির মতো কাপুরুষচিতো আমার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখো সিংহের চোখ কিন্তু বিডা়লের মতো অতো কিউট না !
.
না এভাবে হবে না ! দাবী আদায়ে বেশ পারদর্শী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাডার খ্যাত কান কাটা রহিম তার কাছে গেলাম কেমনে তোমার ভালবাসা আদায় করবো তার সাজেশন নিতে সে বললো, প্রথমে একটা চাক্কু নিবি তারপর এভাবে ঘুরিয়ে চেয়ারের উপর পা তুলে দিয়ে বলবি, এই মেয়ে ভালবাসা দিবি কি না বল্ ?
.
যদি কাজ না হয় তাই ফোন দিলাম চিটিগাং ইউনিভার্সিটির ডিবেট সোসাইটির সাবেক বিতার্কিক হিমেল ভাইকে সে বললো, প্রথমে বলবি আমি তোমাদের পুকুর ঘাট ভালবাসি আর তুমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছো তুমিও পুকুর ঘাট ভালবাস সুতরাং তুমিও আমাকে ভালবাসো এবং আমি তোমাকেও....অথবা আমি তোমার ছোট ভাইকে ভালবাসি আর ছোট ভাই তোমাকে সুতরাং যুক্তিবিদ্যা কি বলে ? তুমি যুক্তি অস্বীকার করবে কিভাবে ?
.
পাশে বসেছিলো এক দেশ প্রেমিক সে বললো আপনি বরং জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন আপনাকে শুনাতে বলবেন !
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৭ এ সোহরাওয়ার্দি হলের পাশে কটেজে একটি কবিও কবিতালয় ছিলো সেই সংগঠনের সভাপতিকে ফোন দিলাম উনি কবিতার বই ঘেটে একটি লাইন বের করে বললেন এই লাইন দিয়ে শুরু করবি, ''প্রহর শেষে আলোয় রাঙ্গা সেদিন চৈত্রমাস তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ''
.
তবে সবচেয়ে কাজের হতে পারে পেটে ছোট বালিশ বেঁধে বলবেন এই যে দেখছো তার মানে এই নয় যে আমার পেট বেড়েছে তা না সিক্স প্যাক ঠিক ই আছে টাইম বোমা বেঁধে রেখেছি সময় তিন মিনিট ভালবাসবি কি না বল বল বল ! কিরে বাল বলস না কেনো?
.
যেই ভাবা সেই কাজ....
.
মেয়ে বললো শার্টের বোতামের ফাঁকে বালিশের কোণা দেখা যায় ! কোল বালিশ বেঁধে রাখলেই পারতে !

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১২

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: বালিকা এত বেশি দেখে কেন? :p

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.