নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

বিলিভ মি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শোভাকলোণীতে আমার বাসার টিন আমার মাথা থেকে সর্বোচ্চ এক বিঘত উপরে! সিলিং ফ্যান লাগানোর কোন উপায় নেই! টেবিল ফ্যানই একমাত্র ভরসা! পবলেম হলো টেবিল ফ্যান বেপারটা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে!
.
সকালে ফ্যান কিনে আনলাম তো দুদিন পর আর ঘুরে না!
.
আমি রাগ করে দুই বছর আর ফ্যান কিনিনি! এক সময় দেখলাম আমি গরমের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি!
.
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট লাইফগুলো এমনি হয়! পুরো ছাত্র জীবনে আমরা দুই একটা ছাতা কিনি!
.
বন্ধু পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে এমন সময় বৃষ্টি আসছে! কি মুসিবত! ছাতা আছে কেবল বন্ধু শাহীনের কাছে! তাড়াতাড়ি শাহীন্নারে ফোন দে! ওই বেটা দরজা খোল! ছাতা কই রাখছোস! এমনি...!
.
হলের ম্যাক্সিমাম টেবিল ফ্যানের খাঁচা থাকতো না! এগুলো বড় ভাইয়েরা ছোট ভাইদের বিদায়ের সময় উপহার দিয়ে যেতো! এই সামান্য উপহারটার মূল্য কত বেশী তা লিখে বুঝাতে পারবো না কখনো!
.
ভাইভা দিতে যাওয়ার সময় ফরমাল প্যান্ট নাই! পাবলিকেটের ছোট ভাই এসে বসে আছে! তার কোমর আমার কোমরের মতো জিরো ফিগার!
.
আমি অর্থনীতির মাস্টার্স ভাইভা দিতে যাওয়ার সময় দেখলাম ফরমাল সু নাই! কোন বন্ধুর সাথে পায়ের সাইজ মিলে না দেখে নতুন কিনতে হলো!
.
কারো সব আছে বেল্ট নাই!
.
খুব কাছ থেকে আমি আমাদের দেখেছি! ডেটিং করতে যাওয়ার সময় বন্ধু আমার সদ্য কিনা সামসাং এস থ্রি ধার করে নিয়ে গেছে!
.
চৌকির তলা থেকে পারফিউম খুঁজে বের করে গায়ে মারতে মারতে নিজে ই একটা ফারফিউম হয়ে গেছে!
.
কেডিএস এক্সেসোরিজ হেড অফিসে জয়েন করার আগে শেষ কবে আমি কফি খেয়েছিলাম জানি না! মনে হয় নেসকেফ একবার ফ্রি কফি ক্যাম্পেইন করেছিলো সেখানে দুই কাপ মেরেছিলাম!
.
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের শিখায় একটি টাকার ও অনেক মূল্য আছে! কখনো পাবলিক বাসে এক টাকার জন্য হাতাহাতি করেছি! বিশ টাকা কম পাবো বলে ট্রেনে করে ঊনিশ মাইল দূরে আন্দরকিল্লা বই ঘরে গিয়েছি!
.
মাঝে মাঝে অবাক লাগে অর্থনীতি আমাদের সুযোগ ব্যয় শিখিয়েছে! চশমা ঘড়ি দুটোই লাগবে একটির টাকা আছে আপনি কোনটি কিনবেন! বলে বেগম সৈয়দা তাহেরা ম্যাডাম প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়! মনে মনে ভাবি মধ্যবিত্ত ফ্যামেলির ছেলেদের এসব অভিজ্ঞতা জন্মের পরে হয়ে যায়!
.
কিভাবে কস্ট মিনিমাইজ করা যায় সেটার উপর আমরা দুই চারটা বই লিখে ফেলতে পারবো!
.
অর্থনীতি পড়ে আমার যা মনে হয়েছে গত সাড়ে ছয় বছরে তা হলো জন্মের পর থেকে যে কোন মধ্যবিত্ত ফ্যামেলির ছেলে অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স! শুধু চিত্রের পার্থক্য! জীবন বইয়ে চিত্র নেই!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

মামুন আহমেদ জয় বলেছেন: বাস্তবতা এত কঠিন কেনো হয়?

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০২

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: শিক্ষা দেওয়ার জন্য!

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন। +।

মধ্যবিত্তরাই আছে সবচেয়ে প‌্যারায় !!

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৩

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: ঠিক প্রতি প্যারা তেই প্যারা!

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:২০

ইফতি সৌরভ বলেছেন: জন্মের পর থেকে যে কোন মধ্যবিত্ত ফ্যামেলির ছেলে অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স! শুধু চিত্রের পার্থক্য! জীবন বইয়ে চিত্র নেই! - সত্য এবং কঠিন বাস্তব

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: একদম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.