নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘উহারা প্রচার করুক হিংসা বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ;/ আমরা বলিব সাম্য শান্তি এক আল্লাহ জিন্দাবাদ।/ উহারা চাহুক সংকীর্ণতা, পায়রার খোপ, ডোবার ক্লেদ,/ আমরা চাহিব উদার আকাশ, নিত্য আলোক, প্রেম অভেদ।_কাজী নজরুল ইসলাম
লোকে বলে মানুষ নাকি দুই প্রকার! জীবিত এবং বিবাহিত! তো কেডিএস এক্সেসোরিজে আমার কলিগ দীমান ভাইয়ের এক ভাইকে বিয়ের পর তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ভাই আপনি কি এখন জীবিত না বিবাহিত? তিনি উত্তর দিলেন, কোনটি না আমি এখন 'উত্তেজিত!'
.
ধর্ষণ বলেন কিংবা দূর্নীতি নিয়ে আসলে আমরা মন থেকে তেমন ভাবছি না আমরা মূলতো ইস্যু নিয়ে উত্তেজিত!
.
আজ এই ইস্যু নিয়ে উত্তেজিত তো কাল আরেক ইস্যু নিয়ে! যখন দেখি ইস্যু আর মার্কেটে খাবে না তখন আস্তে করে কেটে পড়ি!
.
পত্রিকাওয়ালা ভাবে এই ইস্যু নিয়ে ভাবলে তার পত্রিকার কাটতি কমে যাবে! টিভিওয়ালা ভাবে তার চ্যানেলের টিআরপি কমে যাবে! পোর্টাল এবং ব্লগওয়ালা ভাবে আগের মতো হিট আসবে না! ফেসবুকওয়ালা ভাবে লাইক আসবে না ইত্যাদি ইত্যাদি!
.
আমরা গোল্ডফিশের মতো! বিজ্ঞানীদের ধারণা গোল্ডফিশ তিন সেকেন্ডের বেশী কিছু মনে রাখতে পারে না! আর আমরা তিন দিনের বেশী কিছু মনে রাখতে চাই না!
.
বিখ্যাত রম্য লেখক ছিলেন মার্ক টোয়েন! তার সময়কালে আমেরিকার ট্রেনগুলো বাংলাদেশের মতো লেইট করতো! শিডিউল মিডিউলের ধার ধরতো না! তো একদিন মার্ক টোয়েন হাফ টিকেট কাটলেন! হাফ টিকেট মূলতো বাচ্চাদের জন্য! টিটি এসে জিজ্ঞেস করলো, হ্যালো বুড়ো, হাফ টিকেট কেনো? মার্ক টোয়েন বললেন, যখন ট্রেনে উঠেছিলাম তখন বাচ্চা ছিলাম! অপেক্ষা করতে করতে বুড়ো হয়ে গেছি!
.
যে ইস্যুগুলো নিয়ে আজ আমরা উত্তেজিত সেগুলো অধিকাংশের বিচার কার্য দেখতে দেখতে আমরাও বাচ্চা থেকে বুড়ো হয়ে যাবো বুড়ো হয়ে যাচ্ছি!
.
মরনোত্তর নোবেল বিজয়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদক দেওয়া হয় মানে মরে যাওয়ার পর সম্মাননা দেখিয়ে! তেমনি আসামীদের মরনোত্তর মৃত্যুদন্ড দেওয়া এখন সময়ের দাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে!
.
তবুও তো নাতী পুতী খনতিরা বলতে পারবে বিচার হয়েছে! দেশে বিচার হয়! কেউ আইনের বাহিরে নয়!
.
বাংলা সিনেমার শেষ দৃশ্যের মতো! সব শেষে পুলিশ এসে বলবে! হ্যান্ডস আপ! কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না!
©somewhere in net ltd.