নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলী বাবা বনাম অনলাইন দস্যু

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫



আলী বাবা ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা চীনের শীর্ষ ধনী জ্যাক মা যখন প্রথম যাত্রা শুরু করেছিলেন তখন পর পর তিন বছর সে অনলাইন থেকে একটি ডলারও ইনকাম করতে পারেনি!
.
কিন্তু সে প্রতিদিন মেইল পড়তো! সেখানে তাকে অনেকে ধন্যবাদ দিতো ঘরে বসে শপিং করতে পারার জন্য!!!
.
পৃথিবীর তামাম প্রথম সারির ধনীরা একটি কথা বলেন, 'ব্যবসা সেক্টরে আপনি যদি অন্যের জন্য কাজ করেন তাহলে আপনাকে টাকার চিন্তা করতে হবে না একদিন টাকা আপনার পিছনে দৌড়াবে'
.
ঠিক আট বছর পর একজন শীর্ষ ধনীর গল্প ঐ ধন্যবাদ থেকে শুরু,
.
সেই সময় একবার জ্যাক মা রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন! পকেটে টানাটনি! হঠাৎ একজন আগন্তুক এসে বললো, 'আমি আলী বাবা ডট কমের একজন ব্যবহারকারী, আমি জানি আপনি আমাদের জন্য প্লাটফর্মটি চালু রেখেছেন কিন্তু সেখান থেকে আপনি এখনো একটি ডলারও ইনকাম করতে পারেন নি! তাই আমি আপনার খাওয়ার বিলটি পরিশোধ করতে চাই!'
.
আপনাদের একটি বাংলাদেশী আলী বাবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো এখন,
.
গত বছর ডিসেম্বরের ১৯ তারিখ কেডিএস এক্সেসোরিজে আমার কলিগ সাইফুর রহমান ভাই Mens wholesales অনলাইন শপ্ থেকে 8163 অথবা 8190 কোডের দুইটি শার্ট অর্ডার করে!
.
প্রোডাক্ট হাতে পাওয়ার পর দেখা যায় ভাই যে শার্টি চেয়েছে এই শার্ট সেই শার্ট না এমন কি ছবির সাথে কোন মিল্ নেই! যদিও ছবির সাথে তো অনলাইনে দেখা মেয়েটিকে রাস্তায় দেখা হলে মিল্ খুঁজে পাইনা!
.
বেপার সেটা না, ফেব্রিকসের মানও খারাপ!
.
সবচেয়ে বড় কথা গা'য়েও হচ্ছে না! আমার মনে হয় ওরা অর্ডার পাওয়ার পর হকার মার্কেটের সামনে বাইচ্ছা লন, কিইন্না লন্ একদাম একশ টাকাতে গিয়ে পোষাক কিনে গ্রাহকদের পাঠিয়ে মজা(লাভ) নেয়!
.
তারপর বাসায় গিয়ে তাদের ০১৯৯৯৬০৭৩৩৭ নাম্বারে ফোন দেয় এবং তারা শার্টটি তাদের এসএ পরিবহনে কাকরাইল অফিসে পাঠিয়ে দিতে বলে!
.
নিজের পকেটের টাকা খরচ করে পোষাক পাঠিয়ে দেওয়ার পর তারা আর ফোন রিসিভ করে না! লাভে লাভ! টাকাও পেলো সাথে প্রোডাক্টও ফেরত আসলো! মাইরালা! কি বুদ্ধি মাইরি ওরা ই তো ফিউচার বিলিওনিয়ার! তোমাদের খুঁজছে বাংলাদেশ!
.
পরে অনেক কল এবং এসএমএসের পর গত বছরের নয় তারিখের কেইস্ এই বছর জানুয়ারির আঠারো তারিখে শার্ট চেইঞ্জ করে পাঠাবে বলেছিলো! তারপর আরো এক সপ্তাহ কেটে গেলো! কোন খবর নেই!
.
আপনারা সবাই দোআ করবেন বাকী জীবনে যেনো শার্টটি চেইঞ্জ হয়ে ফিরে আসে!
.
তারপর থেকে ওদের জনপ্রিয় পেইজে কমেন্ট করলে তা সঙ্গে সঙ্গে মুচে দেয়!
.
জীবন! আহারে জীবন! ডিসকাউন্ট অফারের সাথে শার্টের সাথে কমেন্টও ডিসকাউন্ট হয়ে যাচ্ছে!
.
এখানে জ্যাক মা আর বাংলাদেশের জ্যাক বাবাদের পার্থক্য! বুঝতে হবে!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



এদের ফটকাবাজ বললে ভুল হবে না!

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: ফটকাবাজ কাহাকে বলে।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সর্বনাশ কারবার।

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: দেশটাই চোর বাটপারে ভরে গেছে, আলী বাবারা থাকে চীনে আর চল্লিশ চোর থাকে বাংলাদেশে।

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৮

নতুন বলেছেন: দেশে অনলাইন ব্যবসায়ী বেশী হয়ে গেছে.... কিছুদিন পরে কমে আসবে তখন সবাই ভালো সাভি`স দেওয়া শুরু করবে।

৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর।

৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমি একটা থ্রিপিচ আনাইছিলাম। হাতে পেয়ে মনে হল ২৩০০ টাকার প্রোডাক্টে ২০০০ টাকাই ঠকা খাইছি।
আজকের ডিল না কোথা থেকে একটা ঘড়ি আনিয়েছিলাম। ৬৫০ টাকা দিয়ে । পরে একজনের হাতে অই রকম একটা ঘড়ি দেখে জিজ্ঞেস করলাম কত দিয়ে কিনেছেন? জানালো ১০০ টাকা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.