নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
মাত্র ৫০ গ্রাম কোডিন ফসফেট দিয়ে আড়াই লক্ষ টাকার ফেনসিডিল টাইপ মাদক বনানো যায়,
.
কোডিন ফসফেট হলো এমন একটা উপাদান যা শরীরে প্রবেশ করলে মানুষ কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যায়!
.
মনে হতে থাকে আমি সম্রাট আমি রাজা আমি নবাবজাদা,
.
ভারতের সীমান্তে কোডিন ফসফেটের সাথে গরুর প্রস্রাব, কুকুর মারা বিষ, সিডিল ট্যাবলেট আর গুড়-চিনি মিশিয়ে দিয়ে ভেজাল ফেনসিডিল বানিয়ে চড়া দামে বাঙ্গালীকে স্বপ্ন রাজার অনুভূতি দেওয়া হয়,
.
সব জায়গায় ভেজাল
.
লোকে বলাবলি করছে মাদক বিরোধি অভিজানে র্যাবের হট্ লিস্টেও নাকি ভেজাল নাম ঢুকে গেছে!
.
বিজিবি ২০১৫ সালের তালিকা অনুসারে সীমান্তের ওপারে ৬২ কারখানা রয়েছে যারা কোডিন জাতীয় উপাদান মিশিয়ে মাদকসেবীদের একটু স্বপ্নের রাজ্যে ঘুরিয়ে রাতারাতি কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে,
.
সাধারণত স্বল্প মাত্রার কোডিন সালফেট মেশানো সিরাপ ঠান্ডা জাতীয় অসুখ সর্দি কাশির চিকিৎসায় ব্যবহার করা হতো এবং এক পর্যায়ে দেখা গেলো উপাদানটি বেশী পরিমাণে ব্যবহারে নেশা ধরে,
.
শুরু হয়ে গেলো রমরমা ব্যবসা
.
শুধু বাংলাদেশে না কিছুদিন আগে নাইজেরিয়াতে কোডিন কফ সিরাপের নেশা ছড়িয়ে পড়েছিলো,
.
কোডিনকে 'এ' ক্লাসের মাদক বলা হয়,
.
কোন ব্যক্তিকে যদি দুই কেজি কোডিন সমেত আটক করা হয় তাহলে বাংলাদেশী মাদক আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড কিংবা যাবত জীবন জেল হতে পারে,
.
কারো কাছে থাকা মাদকের পরিমাণের উপর নির্ভর করে সাজা হয়ে থাকে!
.
ঝামেলা হলো বাংলাদেশের মাদক ব্যবসায়ীরা আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যায়,
.
যেমন ধরেন বাসে ব্যাগ রাখার স্থানে মাদক পাওয়া গেলো এবং অপারাধী এরেস্ট হওয়ার পর তার উকিল যুক্তি দেখালো তার মক্কেলকে শত্রুতা বশত অন্যজন ব্যাগ রাখার স্থানে মাদক রেখে ফাঁসিয়েছে ফলস্বরূপ আসামী খালাস
.
বাড়ি টবে মাদক পাওয়া গেলো তাতে সে শত্রুতার উদাহরণ টেলে খালাস পাবে,
.
তাই বাড়ি ফুলের টবে মাদক পাওয়ার পরও তা বেডরুমে বালিশের নিচে দেখিয়ে আসামীকে এরেস্ট করতে হয়
.
সোজা কথা হচ্ছে তাকে যেখান থেকে এরেস্ট করা হোক না কেনো দেখাতে হবে হাতে নাতে মাদকসহ এরেস্ট করা হয়েছে আর তা না হলে সে খালাস!
.
মাদক ব্যবসায়ীদের আইন দিয়ে ধরে রাখা যায় না
.
উপরন্তু তাদের হাতে প্রচুর অর্থ থাকার কারণে জামিন পেতেও দেরী হয় না!
.
কিভাবে আপনি মাদক নিরাময় করবেন?
.
মাদক বিরোধি অভিযানে ফিলিপাইনে ১২ হাজার মানুষকে ক্রস ফায়ার করা হয়েছিলো,
.
মাদক বিরোধি অভিযানে থাইল্যান্ডে তিন হাজার মানুষকে ক্রস ফায়ার করা হয়েছিলো,
.
মাদক বিরোধি অভিযানে সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ায় প্রায় এক হাজার মানুষকে ক্রস ফায়ার করা হয়েছিলো
.
মাদক এবং অস্ত্র পাচারের সাথে সাধারণত মাফিয়া ডনদের হাত থাকে তাই আইন দিয়ে নির্মুল করাটা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য,
.
আবার এটিকে পরিচালনা করা যায় বিরোধি দলকে নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবেও
.
সর্বোপরি মাদক নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন চ্যালেঞ্জ
.
কিন্তু মাদকের কারণে লক্ষ লক্ষ যুবক সমাজ ধ্বংস হয়ে যখন পুরো জাতি পঙ্গু হওয়ার পথে থাকে এর দায়ভার কে নিবে?
২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর সবচেয়ে করুণ,অসহায়ত্বপূর্ণ আর্তনাদ.. যা শুনে বুকের ভেতরটা ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে।স্ত্রীর আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যাচ্ছে।ছোট্ট মেয়েটির এমন কান্নার আওয়াজে বুকের পাঁজর ভেঙ্গে যাচ্ছে আমার। কী করে এভাবে খুন করে! এত নির্মম, এত নির্দয়ভাবে! ছিঃ!
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫৮
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: দায়ভার জাতির উপরই বর্তায়। দেশ, জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের দেশেও ক্রসফায়ার শুরু হয়েছে। অসংখ্য অপরাধীদের ভিড়ে দু’একজন নিরপরাধী মারা যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। আমি নিজেও মাদক ব্যবসা না করে আগামীকাল ক্রসফায়ারে মারা যেতে পারি। বৃহত্তর স্বার্থে এরকম মৃত্যুকে আমলে নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মাদক পৌছে গেছে। এ অবস্থায় প্রতিরোধ করতে না পারলে বাংলাদেশী বলে কোনো জাতির অস্তিত্ত আর থাকবে না।