নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
আমি যখন এই লেখাটা লিখছি তখন প্রায় দুই লক্ষ বাংলাদেশী কয়েক হাজার কোটি টাকা নিয়ে ভারতে চলে গেছেন শপিং করতে,
.
যেখানে ঈদ উপলক্ষে ভারতে পূর্বের দাম থেকে বিশেষ ছাড় দিচ্ছে সেখানে একটু আগে দেখলাম ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের মতে এক বিপণি বিতানে এক হাজার দুইশত টাকা দামের একটি থ্রি পিচ সাত হাজার দুই শত টাকা বিক্রী করছে,
.
খুলনার অভিজাত শপিংমল নিউমার্কেটের জালাল ষ্টোরে ৪৫০ টাকার শার্ট ১৪৫০ টাকা বিক্রী করার কারণে ভ্রাম্যমান আদালত ৮০,০০০ টাকা জরিমানা করেছিলো,
.
নাটোরে গত বছর সাড়ে আটশ টাকার লেহিঙ্গা যারা সাড়ে তিনহাজার টাকা করে বিক্রী করা হয়েছিলো,
.
বাচ্চাদের তিনশ চারশো টাকার পোশাক তিন চার হাজার টাকা করে বিক্রী করার অপরাধে চারজন গার্মেন্টস্ ব্যবসায়ীকে জরিমানাও করা হয়েছিলো,
.
কয়েক বছর আগে অভিজাত বিপনীবিতান ‘ফেনী সেন্টারে’ একটি ফ্লোর টাচ জামার দাম হাঁকা হয়েছে ৯৫ হাজার টাকা!
.
চট্টগ্রামে আগ্রাবাদে ব্যবসায়ীদের সাথে মত বিনিময় সভায় পুলিশ সুপার বলেছিলেন, ঈদে দশ হাজার টাকার শাড়ি এক লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রী হয়!
.
চট্টগ্রাম নগরের প্রবর্তক মোড়ের মিমি সুপার মার্কেটের ‘ইয়াং লেডি’ নামক দোকানে ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালিয়ে দেখা গিয়েছিলো একটি লেহিঙ্গা বিক্রী করে বার হাজার পাঁচশ টাকা লাভ করছে বিক্রেতা!
.
টেরিবাজারের মেগামার্ট এক হাজার টাকার পাঞ্জাবী বিক্রী করেছিলো তিন হাজার পাঁচশ টাকা,
.
এগুলো খন্ড চিত্র হলেও পুরো বাংলাদেশের মার্কেটগুলোর প্রতিচ্ছবি
.
এক সময় আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে জোবরা এলাকায় টিউশনি করতাম একদিন আমার ছাত্রীরা বললো তারা পাঁচ ছয় সাত হাজার টাকা দিয়ে ড্রেস কিনেছে আমি দেখার পর চিন্তা করলাম পাঁচ সাতশ টাকা দিয়ে কেউ এমন পোষাক কিনবে!
.
২০১৪ সালে পাখি ড্রেস নামক সোনার হরিণ না পেয়ে অনেক নারী আত্মহত্যা করেছিলো এবং বেশ কিছু তালাকের ঘটনাও ঘটেছে সে পোশাক দশ থেকে পনেরো হাজার টাকা করে বিক্রী করেছিলো শুধু হুজুগে চাহিদার কারণে,
.
পাখি, ঝিলিক, আশিকি টুয়ের পরে এসেছিলো কিরণমালা, বাজিরাও মাস্তানি,বাহুবলী, ঈশিতা, জলনূপুর, কাটাপ্পা, বেগমজান,দেবসেনা এবং হেতিজাসহ আরো কত নাম ঢংয়ের পোশাক,
.
বাজিরাও মাস্তানি ছোটদের জন্য 'মাস্তানি' সংস্করণ বানিয়ে হাজার টাকা লাভ নিয়ে লোপাট,
.
তবে সে'বার শীতের কারণে হয়তো সানি লিওনি নামের ড্রেসটি তেমন মার্কেট লাভ করেনি
.
হালের লং ড্রেস পরিধান করে স্ত্রী স্বামীকে বলছে আমাকে কেমন লাগছে দেখতে? স্বামী বললো, একটু ঘরের এই কোণা থেকে ঐ কোণা ক্যাট ওয়াক করে আসো তা শুনে স্ত্রী ক্যাট ওয়াক করে এসে বলছে, আমাকে সত্যি মডেলদের মতো লাগছে তাইনা? স্বামী উত্তর দিলো, যেমন লাগুক না কেনো ঘর কিন্তু ঝাড়ু দেওয়া হয়ে গেছে!
২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫২
করুণাধারা বলেছেন: আপনার পোস্ট সবসময়ই পড়তে ভালোলাগে, এবারে ভালো লাগলো।
৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৬
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: বাংলাদেশী অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের মধ্যে এখন আর কোনো নীতি নৈতিকতা নেই। যে কারণে চলছে এই গলাকাটা প্রবণতা। তবে আগের গরু যেদিকে যায় পাছের গরু তো সেদিকেই যাবে। তাই রাষ্ট্র শাসকদের নৈতিকতা আগে জরুরি। তাহলে এই ব্যবসায়ীরা আর এমন গলাকাটা ব্যবসা করতে সাহস পাবে না।
৪| ০৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আছে।
আপনি কারো পোহশট পড়েন না মন্তব্যও করেন না।
এখন থেকে আপনি যদি কারো পোষ্ট না পরেন এবং মন্তব্য না করে ন তাহলে আপনার পোষ্ট পড়া এবং মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবো।
৫| ০৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫২
ঢাকাবাসী বলেছেন: বাংলাদেশের ব্যাবসায়ীরা পৃথিবীর নিকৃস্টতম চরম লোভী অসৎ বিকৃত চরিত্রের জঘন্যতম ব্যাবসায়ী। মাপে কম দিবে, সবসময় খারাপ জিনিসটা গছিয়ে দিবে, পুরান মালটা (মোবাইল ফ্রিজ এসি) গছিয়ে দিবে, দাম খামাখা বেশী রাখবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: আবদুর রব শরীফ ,
আমরা বাংলাদেশী বাঙালীরা হলুম অদ্ভুত এক জাত ।
এরা অসহায় ( যে কোনও ধরনের অসহায়তা , যেমন বৃষ্টি হলেই ১০টাকা ভাড়ার রাস্তা ২০ টাকা , রমজান এলেই ৩০/৪০ টাকার বেগুন ১০০টাকা , হরতালে বাস টেম্পুর ভাড়া বৃদ্ধি ইত্যাদি হাযারো ) মানুষের উপরে জুলুমে ওস্তাদ ।