নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেত্রাঘাত

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৩

আজকে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে,
.
মিরপুর ১০ নং ফুট ওভার ব্রিজের উপর
দাড়াইয়া আছি। এক পুলিশ ছাত্ররে
মারতেছে। ছাত্রটা বলতেছে, মার! মার!
প্রতিদিন শাহজাহান স্যারের মাইর খাই।
স্যারের মাইরের কাছে এগুলা চ্যাটের
বাল!
.
ব্যাকবেঞ্চার উইল চেঞ্জ দ্যা ওয়ার্ল্ড!
.
সত্যতা কতটুকু জানি না তবে একজন কমেন্ট করে বলেছিলো উপরের কথাগুলো,
.
আমার স্কুল জীবন মাইরের উপর গেছে! কারণে অকারণে মাইর!
.
সকাল থেকে ক্লাশ করছিলাম হঠাৎ শ্রদ্ধেয় রাবেয়া ম্যাডাম এসে মারা শুরু করলো ম্যাডাম আমাকে নাকি সকালে ক্লাশ আওয়ারে কোন মেয়ের সাথে রিক্সায় দেখেছিলো!
.
আরেক ঘটনা ক্লাশের সবাই হাসছে! আমি শুধু নিচের দিকে তাকিয়ে কি যেনো ভাবছিলাম এমন সময় নরুল কবির স্যার এসে আমাকে তুলোধুনো করছে কারণ হাসির সূত্রপাত নাকি আমি করে দিয়েছি!
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে ছেলেমেয়ে একই ক্লাশে বসতাম! একদিকে ছেলে, অন্যদিকে মেয়ে! শালার একি কপাল! এক মেয়ে আমার সামনে বসা এক বন্ধুকে প্রেমপত্র ছুড়ে মারছে আর সেটি লক্ষভ্রষ্ট হয়ে এসে পড়লো আমার পায়ের কাছে তা দেখে ফেললো জনৈক স্যার! আবারও মাইর!
.
কেউ কেউ নাকি কন্যা রাশি নিয়ে জন্মায় আর আমি মাইরের উপ্রে কোন রাশি থাকলে সেটি নিয়ে,
.
শরীর চর্চা ক্লাশে পুরো মনোযোগ দিয়ে উফুত হয়ে পায়ের আঙ্গুল ধরে আছি স্যার পাছায় বেত দিলো কারণ সবাই রিলাক্সে দাঁড়িয়ে আছে!
.
স্যার বলেছিলো আরামে দাঁড়াতে আমি মাঠের মাঝখানে দন্ডয়মান গাছে এক পায়ের পাত লাগিয়ে আরামছে দাঁড়িয়ে থাকার পর আবারও......!
.
পরীক্ষার খাতা দিয়েছে আমি ফেইল! স্যার বেত নিয়ে তেড়ে আসলো আমি নাকি স্যারের সময় এবং চৌদ্দটা লুজ শিট্ দুইটার ই অপচয় করেছি!
.
একবার হঠাৎ কলকাতার শুদ্ধ বাংলা নকল করে কথা বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু স্যার নাকি শুনেছে আমি ষাঁআড় ডেকেছি তারপর তো শুরু হলো....!
.
সন্দ্বীপের ছেলে হওয়াতে উচ্ছারণে অনেকটা নোয়াখালির টান আসতো একবার তো টেনে টুনে 'স্যাআআর' ডাকতে গিয়ে 'শালার' বলে যে বিপদে পড়ছিলাম!
.
এক লজিং স্যার প্রতিদিন বেতে তেল লাগাতো তাকে বলেছিলাম স্যার আজ যদি আপনার চুল থাকতো..... যদিও তার আগেই শুরু হয়ে গেছে!
.
এক স্যারের বেত ভেঙ্গে গেছিলো তারপর বেত আনতে পাঠালো দৌড়ে গিয়ে লাঠি একটা ভেঙ্গে নিয়ে আসলাম তারপর সেই লাঠি আমার উপর বর্ষিত হতে লাগলো কারণ বেতের গোড়ায় কাঁটা ছিলো যা স্যারের হাতে বিঁধেছে!
.
অনেকদিন পর,
.
হঠাৎ করে দেখলাম স্কুল জীবন শেষ! কেউ আর মারে ও না বকেও না! তারপর তো স্কুলে বেত্রাঘাত নিষেধ হয়ে গিয়েছিলো!
.
ছোট বেলায় ভাবতাম একদিন কেরাত বেতের ইন্ডাস্ট্রি দিবো! সেখানে এমন বেত উৎপাদন হবে যা টাস করে শব্দ হবে আর টুস্ করে ভেঙ্গে যাবে!
.
যাতে বন্ধুগুলো বেতের বাড়ি থেকে বেঁচে যাবে!
.
সত্যি কিছু বন্ধুরা বেঁচে গিয়েছে! অসুস্থ প্রতিযোগিতার বলি হয়ে মুহূর্তে তারা বেতের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে! তবুও তাদের শোকে কাতর অন্য বন্ধুরা বাঁচতে পারেনি! পুলিশের বেত্রাঘাত থেকে....!
.
এমন তো কথা ছিলো না বন্ধু..... বেতের বারি কি শুধু আমরাই খাবো!!!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৬

নাহিদ০৯ বলেছেন: স্কুলে ধর্মের স্যার ছিলেন। সীট বেঞ্চ এর উপর হাঁটু গেড়ে বসিয়ে রাখতেন আর পেছন থেকে এসে আচমকা মারতেন। কেউ জানতাম না কখন আমার পাছার উপরে বেত পড়বে। মারের চেয়েও বেশি ভয়ংকর ছিলো মার খাওয়ার জন্য অপেক্ষা।

একটা বামন স্যার ছিলেন। ছাত্রদের কে উপুড় হয়ে বসতে বলতেন। তারপর নিজের কনুই দিয়ে সর্বোচ্চ শক্তি খাটিয়ে মারতেন।



সবচাইতে বেশি ভয় করতাম যেসব শিক্ষককে তাঁরা কখনোই মারতেন না। তবে কেন জানি খালি মনে হতো ভুল হলেই মরেছি।

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: গত দুইরাতে মন্ত্রীসাবের ভাল ঘুম হয় নি!

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

পেছনে বেত দিয়ে ট্রাস ট্রাস মারা উচিত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.