নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হয়তো পাগল নয়তো সফল

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫০

আমি স্কুল থেকে এমন এক ব্যাচের সাথে বড় হয়েছি বন্ধুদের মধ্যে কেউ ফাস্ট সেকেন্ড থার্ড হওয়া তো দূরের কথা এক থেকে বিশের মধ্যে রোল কোন ছেলের ছিলোনা!
.
আমার ধারণা ছিলো রোল এক থেকে বিশ মেয়েদের জন্য সংরক্ষিত আসন!
.
আরো বিশ্বাস করতাম নারী জাগরণের যে যাত্রা তা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে আমাদের ব্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে!
.
এ এক অলিখিত নারী কোটা! এক থেকে বিশের এই অলিখিত নারী কোটায় কোন বন্ধু যদি ভুলক্রমে ভালো রেজাল্ট করে ঢুকে যেতো তাহলে ধরে নিতাম সে হাফ্ লেডিস্!
.
ডান পাশে ছেলেরা বসতাম আর বাম পাশে মেয়েরা বসতো সুতরাং আরো লক্ষ্য করলে দেখতাম সদ্য নারী কোটা প্রাপ্ত বন্ধুটি ডান দিকের বাম কোণা ঘেষে বসতো!
.
মনে মনে ভাবতাম ওহে নারীকুল যাও একে তোমাদের দলে নিয়ে যাও!
.
অবশেষে একদিন দেখলাম সে নারী কুলের মধ্যমনি হয়ে বসে আছে হঠাৎ শিক্ষক এসে মাথা গুণে সকালের প্রেজেন্টের সাথে বর্তমান ক্লাশের প্রেজেন্ট মিলাচ্ছে!
.
সেই স্যারের ক্লাশ আমরা কেউ পালাতাম না কিন্তু স্যার এতোবার মাথা গুণার পরও দেখা গেলে ছেলে ঊনপঞ্চাশ মেয়ে একান্ন জন! শালার আরেকটা মেয়ে নতুন করে আইলো ক্যামনে!
.
ক্যামনে বুঝাবো আমরা 'স্যার, মাঝখানে বসে আছে সে হালায়!'
.
তারপর স্যার খাতা নিয়ে এসে রোল কল করা শুরু করলো! রোল এগারো করিম আলী 'লাব্বাইক স্যার!'
.
স্যার বললো করিম আলী দাঁড়াও! প্রক্সি দেওয়া কল্লোল ঘোষ দাঁড়িয়েছে! সবাই প্রেজেন্ট স্যার বলছে আর তুমি লাব্বাইক বলছো কেনো! তোমাকে তো উক্ত ব্যাচের একমাত্র মেধাবী ছেলে জানতাম!
.
মেয়েদের মাঝখান থেকে করিম আলী দাঁড়িয়ে বললো, 'স্যার কল্লোল ঘোষ না আমিই মেধাবী ছাত্র!'
.
বড় বড় কাঁচে পাওয়ারি চশমার উপর দিয়ে স্যার উৎসুক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, তাহলে তুমি মেয়েদের বেঞ্চে কেল্লা?
.
সে বললো, 'স্যার মেয়েদের পাশে বসিনি বরং মেধাবীরা সব ডান দিকে বসেছে ওখানে আমি ছাড়া আর কোন ব্রিলিয়ান্ট ছেলে নাই!'
.
এমন ব্যাচে বিশ জন মেয়েকে ঠেলে যে ছেলে নিজের অবস্থান করে নিয়েছে সে অবশ্যই মেধাবী! মানতে হবে!
.
আমরা যা বলিনা কেনো দিনশেষে আমাদের একজন করিম আলী ছিলো! তাকে সামনে প্লে কার্ডের মতো বানিয়ে মেয়েদের সামনে উপ্রে তুলে রেখে আমরা বুক ফুলিয়ে দাঁড়াতে পারতাম!
.
আমাদের সবার জন্মদিন আসে যায় কেউ খবর রাখে না কিন্তু মাগার করিম আলীর জন্মদিনে দেখলাম এক মেয়ে তার পিছনে কেক নিয়ে দৌড়াচ্ছে! সে পালাচ্ছে!
.
অবুঝ ছেলেটা নাইনে উঠেও লাইনে আসেনি! তখন আমরা রোজ করে সিনিয়র আপুদের উপ্রে পর্যন্ত ক্রাশ খেতাম!
.
ইছহাক খান স্যার এই ব্যাচ নিয়ে মহা বিপাকে ছিলেন তাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পাহাড়ের গহীন বনের অরণ্যে গিয়ে সবচেয়ে লম্বা বেতটা কেটে নিয়ে আসলেন!
.
তারপর সবাইকে লাইন করে দাঁড় করিয়ে উপ্রে থেকে কেরাশ্ কেরাশ্ দিতেন! দশে মিলে খাই মাইর! ভাগে যোগে পিঠের উপ্রে পড়তো!
.
এখনো আপসোস্ লাগে সেই লম্বা বন্ধুগুলোর জন্য যাদের ঋণ কখনো শোধ হবার ছিলোনা!
.
কিট্ কিট্ করে হাসতে থাকা পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চির সেই বন্ধুর হাসি এখনো কানে বাজে!
.
এক সাথে স্কুল পালানো! একসাথে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকা! এক সাথে ফেইল করা! একসাথে ক্রাশ! এক সাথে ছ্যাঁকা! এক সাথে বন্ধুকে বাঁচাতে ছুটে চলা!
.
এমন একটা ব্যাচ থেকে আমার সৃষ্টি! আমাদের সৃষ্টি! আমাদের হার জিত কিংবা সফলতা ব্যর্থতার গল্প শুনিয়ে লাভ নেই!
.
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার একটা কথা বলেন, 'হলে দশের বাহিরে হতে হবে! বার জনের বাহির দিয়ে যে বলটা মারা হয় সেটা কেবলি ছক্কা হয়!'
.
অন্য দশজন একশ জনের মতো হলে আপনি এভারেজ পিপল্! একশ জনের বাহিরে হলে আপনি হয়তো পাগল নয়তো সফল!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: আর যারা পাগলও নয় সফলও নয়?

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: আর যারা পাগলও নয় সফলও নয়?

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

সনেট কবি বলেছেন: বুঝলাম না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.