নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রয়োজন কিংবা প্রিয়জন

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩১

লক্ষীছাড়া ব্যান্ডের দেবাদিত্য খাওয়ার প্রতি এতো ইমপ্রেস ছিলো যে সে একটা কুকের সাথে কন্টাক করেছিলো প্রতিদিন একটি করে বাবার জামা দিবে বিনিময়ে রেস্টুরেন্টের কুক তাকে চিকেন আর ফ্রাইড রাইচ খাওয়াবে,
.
তারপর সে গানের জগতে চলে যায়! গান করে! নাম করে!
.
কিন্তু দিনশেষে সে একদিন চাওমিন রেস্টুরেন্ট দিয়ে নিজেই রেস্তোরার মালিক বনে যায়!
.
প্রতিদিন রোজ করে বাজার এবং দিন শেষে বাবুর্চি এবং বয়দের নিজে ড্রাইভ করে বাসায় দিয়ে আসার মধ্যে যে ভালবাসা থাকে একদিন সেটা তাকে বড় ব্যবসায়ী করে তুলবে সেটাই স্বাভাবিক!
.
তা ই হয়েছে,
.
ভালবাসা এভাবে একদিন ফিরে আসে! আসবে! সফল হওয়ার জন্য ক্ষেত্রটাকে ভালবাসতে হয়!
.
ভালবাসলে একদিন কুঁড়িগুলো এভাবে গোলাপ হয়ে ফুটে উঠে সেটা দাম্পত্য জীবনের গল্প আমি ওদিকে যাবো না!
.
সমস্যা হলো আমরা আমাদের কাজকে ভালবাসতে শিখিনি মাথার ভিত্রে শুধু ঘুরে অন্যেরা আমার কাজটাকে কি ভাবে! তাই কাজগুলো শিল্প হয়না!
.
পতিতালয়ে ভালবাসা থাকেনা বলে ওখানে একই কাজ চললেও তা ভালবাসে হয়ে কাব্যে ফুটে উঠেনা!
.
কে কবে কোন সেবা দাসীকে হাঁটু গেড়ে গোলাপ উঁচিয়ে বলেছিলো ভালবাসি! বড্ড ভালবাসি! বলেনা কারণ ওখানে ভালবাসা থাকে না যা থাকে কেবলি তা প্রয়োজন!
.
খোদার কসম ভাই 'প্রয়োজন কখনো প্রিয়জন হতে পারেনা তবে প্রিয়জন প্রয়োজনও হতে পারে!'
.
কেডিএস এক্সেসোরিজে সপ্তাহে ছয়দিন আট দশ ঘন্টা একসাথে থাকা সত্ত্বেও প্রায় কলিগরা দিন শেষে কত চেনা জানা শেষেও অচেনা কারণ এখানে আমার থাকাটা প্রয়োজনের!
.
তবুও দিন শেষে শত ব্যস্ততার গুল্লি মেরে যখন প্রিয়জনের কাছে আট দশ মিনিটের জন্য হলেও ছুটে যাওয়া হয় তখন ছুটে যাওয়ার আনন্দ বলে দেই ভালবাসায় ক্লান্তি নেই!
.
যে কাজ আপনাকে ক্লান্ত করে দেয় সেটা ভালবাসাও নয়!
.
এই জন্যই ঈদে বাসে ট্রেনে ভ্যানে ঝুলে একদিনের জন্য হলেও নাড়ির টানে বাড়ি ফিরে ক্লান্তি মোচন করে আবার পরের দিন একই ভাবে চ্যাং ধোলা হয়ে অফিস গিয়ে রোলিং চেয়ারে ঘুমিয়ে থেকেও নিজেকে ব্যস্ত ক্লান্ত মনে হয়!
.
সন্দ্বীপের সেই রিক্সা চালকের কথা মনে পড়লো সে গুপ্তছড়া ঘাট থকে যাত্রা পথে শ্বশুরবাড়ি থাকায় তিন মাইল দূরে দিয়ে আমাকে সন্তোষপুর নিয়ে গেলো কারণ কাজটাকে সে ভালবাসতে পারেনি! ছোট ভেবেছে!
.
সে হয়তো কাজটাকে ভালবাসলে তার শালীকে গিয়ে বলতে পারতো পাশে রাজপুত্রের লাহান ছেলেটার পাশে বহো তোমাদের রিক্সায় করে আজ ময়না দ্বীপে নিয়ে যাবো সেখানে লাল গোলাপ ফুটে থাকে!
.
আজ তার কাজের প্রতি ভালবাসা নেই বলে...........!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এই জন্যই ঈদে বাসে ট্রেনে ভ্যানে ঝুলে একদিনের জন্য হলেও নাড়ির টানে বাড়ি ফিরে ক্লান্তি মোচন করে আবার পরের দিন একই ভাবে চ্যাং ধোলা হয়ে অফিস গিয়ে রোলিং চেয়ারে ঘুমিয়ে থেকেও নিজেকে ব্যস্ত ক্লান্ত মনে হয়!
এটা দারুন বলেছেন।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: বড্ড অগোছালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.