নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেব্বী

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

আমাকে স্যার বলতো 'তুমি যদি ভালো ইংরেজী জানো তবে পরীক্ষায় ভালো করতে পারবে কিংবা ভালো চাকরি পাবে' তাই চৌদ্দ বছরেও ইংলিশ শিখতে পারেনি যদি বলা হতো 'তুমি ইংলিশ শিখলে ফেসবুকে চ্যাট করে কোন এক ইংলিশ সুন্দরীকে প্রেমের টানে মাতাল করে দেশে নিয়ে আসতে পারবে' তাহলে আমি এক বছরে ইংলিশ আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারতাম!
.
জনৈক স্যার খুব যত্ন করে টেন্স পড়াতো যেমন 'আই লাভ(love) ইয়ু' আমি তোমাকে ভালবাসি এটা প্রেজেন্ট টেন্স তারপর ধরো 'আই লাভড্(loved) ইয়ু' আমি তোমাকে ভালোবাসতাম এটা ফাস্ট টেন্স তার আগে ছাত্রী শিখে ফেলেছে! সে বলে উঠলো 'আই উইল(will) লাভ ইয়ু' আমি তোমাকে ভালবেসে যাবো এটা ফিউচার টেন্স স্যার!
.
এহেন মেধাবী ছাত্রীর ভবিষ্যত উজ্জ্বল হবে না কি আমারটা হবে! তারা এখন স্বামী ইস্ত্রী!
.
প্রযুক্তির কল্যাণে ইংরেজীতে ডাবল জিরো পাওয়া ছেলেটাও আজকাল ভালো ইংলিশ বলে 'ওহ নো ফাকিং ইয়ু ম্যান ডেমন্!'
.
এখন বুঝি চবি স্কুলে ইংরেজিতে ডাবল জিরো পাওয়ার পিছনে আমার যথেষ্ট কারণ ছিলো 'Hi baby' কে আমি 'হাই ভাবী' উচ্চারণ করতাম আর এখন দেখি ক্লাশ সিক্সের চাচ্চা ও 'হাই বেব্বী' টাইপ শুধু শুদ্ধ না বরং বিশুদ্ধ উচ্চারণ করে!
.
কেউ ইংলিশ জানে না এমন এক গ্রামে ইয়েস, নো, ভেরী গুড্ টাইপের ইংলিশ জানা এক লোককে ইংরেজী পর্যটক বিরক্ত হয়ে থাপ্পর মারার পর গ্রামের লোক জিজ্ঞেস করেছিলো কি দোষ করেছে সে বললো ইংরেজ আমাকে মেরেছে এই বলে 'এতো ভালো ইংলিশ জানার পরও তুই এই অজো পাড়া গাঁ'য়ে পরে আছোস কেনো!'
.
সন্দ্বীপে আমার এক চাচীর নাম ছিলো হাসু বেগম আমরা তাকে লাফু বেগম ডাকতাম কারণ হাসা ইংরেজী লাফ তো একদিন তাকে চেতানোর জন্য বললাম, হাসা ইংরেজি 'লাফ' হলে হাসাহাসি ইংরেজি কি হবে? সে বললো, 'লাফালাফি!'
.
এখনকার ডিজিটেল যুগের পোলাপাইনগুলো হেব্বী ফাস্ট সেদিন একজনকে জিজ্ঞেস করলা কিউ(Q) আর ও(O) এর মধ্যে পার্থক্য কি সে বললো, 'একটার ঐ'টা আছে আরেকটার নেই!'
.
বাচ্চাপোলা বাবার নাম মনে রাখার সহজ কৌশল আবিষ্কার করেছে Cowষাঁড় (কাউসার) (আআহ্Mad) আহমেদ,
.
আমরা এক সময় জানতাম দুই'য়ে দুইয়ে চার হয় যুগ কত পাল্টাইছে ওরা এখন জানে দুইয়ে দুইয়ে বাইশ ও হয়!
.
মূল কথায় আসি, এক লোক প্রায় ভাষা জানে একদিন পানিতে পড়ে ডুবে যাওয়ার সময় আবিষ্কার করলো সে নয়টা ভাষায় চিৎকার করলেও বাঁচতে পারবে না সুতরাং নদী মাতৃক বাংলাদেশে ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি তার সাঁতার শিখাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো!
.
বরং বেশী গুরুত্বপূর্ণ ছিলো!
.
তথাকথিত এক মডার্ণ গ্রামের পুকুরে ডুবে যাওয়ার সময় চিৎকার করছিলো প্লিজ হেল্প! হেল্প! কেউ এগিয়ে আসলো না তারপর সে বুঝতে পারলো এখানে এসব চলবে না তারপর সে বাঁচাও বাঁচাও বলে জোরসে চিৎকার করতে লাগলো!
.
অতপর নায়ক ঝাঁপিয়ে পড়লো!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: :D

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

বিজন অধিকারী বলেছেন: বেশ মজা পেলাম

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ভালো লাগলো

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: বাহ! দারুন!!
হাসাহাসির ইংরেজি আর কিউ /ও এর পার্থক্য জব্বর হইছে!

৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: ভালোবাসা ভর করলে পচা ডোবাতেও পদ্ম ফোটে !

৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বেশ মজা পেলাম। : ভালো লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.