নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কমপ্লিকেটেড্ সুইটস্

১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:০২

একটু আগে সিএনজিতে আফসার স্যারের সাথে দেখা, স্কুলে যার মাইর খেলে আমরা বাবার নাম ভুলে যেতাম!
.
সত্যি ভুলে গেছিলাম! কিন্তু স্যারের নামতো আর ভুলতে পারিনা তাই বাবার নামও ভুলতে পারিনি কারণ আমার বাবার নামও আফছার,
.
স্যারকে এখনো দেখার পর কান জ্বলে উঠলো, পৃথিবী ভোঁ ভোঁ করতে লাগলো, মুখের এক পাশ ফুলে যাচ্ছে, আরেক পাশ দিয়ে কোন রকমে স্লামলাইকুম স্যার বলে 'কেমন আছেন' কুশল জিজ্ঞেস করলাম
.
একসময় স্যারকে দেখলে আমি শ্লা'মলাইকুম বলতাম,
.
ভালো ইংরেজী দ্বিতীয় পড়াতো, অসাধারণ, এই সুযোগ জিলাপীর ইংলিশ কি হবে তা জিজ্ঞেস করে নেওয়ার
.
তার আগে স্যার জিজ্ঞেস করলো, তোমার বাবা কেমন আছে, ভাই শুনলাম নতুন চাকরিতে ঢুকছে, আমি উদাস নয়নে স্যারের পাঁচ আঙ্গুল দেখছি! সে হাতে বাজারের ব্যাগ!
.
স্যার ভাড়া দিয়ে দিতে চাচ্ছে তার আগে আমি বললাম 'স্যার আমি দিয়ে দিই' ভাবলাম এই বুঝি স্যারের হাত তেড়ে আসছে 'ব্যাটা, তুই দিবি মানে, ধপ্পাস' কিন্তু না সেই হাত দিয়ে স্যার টাকা বের করে ধরে আছে,
.
আমার কাছে স্যারের হাতটা কল্পনার! রক্ কিংবা আন্ডারট্রাইকারের নতুবা হালের হাল্কের
.
আমার দেখা স্কুলের স্যারগুলো কখনো বেতনের আশা নিয়ে শিক্ষকতা করেনি!
.
এক নুরুল কবির স্যার পায়ে সমস্যা থাকা সত্ত্বেও পাহাড়ে উঠে যেতো আমাদের খোঁজ করার তাগিদে,
.
মেডিক্যালের ছাদের সেই পানির টাংকি পর্যন্ত যেতে যেখানে আমরা হাঁপিয়ে যেতাম সেখানে বৃদ্ধ স্যারগুলো কেঁপে কেঁপে আমাদের ধরে নিয়ে আসতো!
.
স্কুলের প্রতিটা ব্যাচ মানে স্যারদের জন্য নতুন স্বপ্ন! আগেরগুলোকে মনমতো মানুষ করতে পারেনি সেই আক্ষেপ ক্ষোভ ফুটে উঠতো চোখেমুখে,
.
স্কুলের ঘন্টা পড়লে আমরা খুশিতে নাচতাম কিন্তু ক্লাশের সমাপ্তিতে কোন শিক্ষকের মুখে সেই আনন্দ আমি কখনো দেখিনি!
.
গ্রামের শিক্ষকগুলোর কথা কি বলবো! বাবারা স্কুলে গাছ রোপন করে দিয়ে আসতো আর শিক্ষকরা সেই গাছে ফুল ফুটানোর কসরত করে যেতো প্রতিটা ক্ষণ,
.
যত উপ্রে উঠলাম তত ক্যালিবার সমৃদ্ধ শিক্ষকদের তালিম নিতে থাকলাম! এক সময় খেয়াল করলাম শিক্ষকদের চেয়ে ছাত্ররা ক্লাশে আন্তরিক!
.
বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস ডক্টরেট পিএইচডির আড়ালে আমার ছোট্টবেলার সেই শিক্ষকরা যেনো এক একটা ধ্রুবতারা হয়ে জ্বলজ্বল করতো,
.
কয়েক বছর হলো আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করেছি অনেক শিক্ষক হঠাৎ করে দেখলে আমাকে চিনতেও পারবে না কিন্তু কয়েক যুগ আগের শিক্ষক কিভাবে আমার নাম ধরে ডাকলো বাবার বায়োডাটা তার মুখস্ত, বিষয়গুলো মিরাকল!
.
বুকটা খপ্ করে উঠে! আজীবন ছাত্র হয়ে থাকতে ইচ্ছে হয়! রাস্তায় দেখা হলে মাঝে মাঝে একটু কান টেনে দিলেই পারে!
.
অনেক বড় হয়ে আমি ছোট বেলার শিক্ষকদের সম্মান করতে শিখেছি! বুঝেছি তারা স্যার আর কারা ষাঁড়!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি আমার শিক্ষকদের সব সময় সম্মান করি।

২| ১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:৫৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: একজন শিক্ষকের শাসন হলো, চলতি পথে কোন ছাত্রের পা হড়কে গেলে তাকে সোজা করে দাঁড় করিয়ে দেয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.