নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঠাট্টঃ নাসির কাক্কু

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯

গল্পটির চরিত্র মিলে যেতে পারে এই সমাজের অনেক মানুষের সাথে, তবুও তারা হেসে কুটিকুটি হবে,
.
গল্পের নায়ক নাসির কাক্কু তার একটা লাইসেন্স করা পিস্তল আছে! আরাম করে বসে লিখতে হবে,
.
কিন্তু ঐদিকে দুই পরিবার মিলে মারামারি লেগে গেছে! জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলাম মির্জা পরিবারের ছেলে পুলে আবাল বৃদ্ধ বনিতারা আব্বাস পরিবারকে লড়িয়ে একদম ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে!
.
পরক্ষণে আবার আব্বাস পরিবারের ছেলে পুলেরা লাঠি সোঠা নিয়ে মির্জা পরিবারকে তাড়া করে ফিরে এসেছে!
.
কিন্তু নাসির কাক্কু নিজের মতো, তার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই এসবে! অস্ত্রটা চৌকির নিচে পরে থাকতে থাকতে জং ধরেছে!
.
ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার মাঝখানে সে কখনো সরব হয়না, নীরব ই থাকে! দুই পরিবারের মাঝখানে নাসির কাক্কু যেনো অন্যরকম এক চরিত্র!
.
আগেই বলে রাখি মীর্জা পরিবার আর আব্বাস পরিবার দুই পরিবারের কাল্পনিক নাম কিন্তু নাসির কাক্কুর নাম নিয়ে একটু সংশয় আছে হয়তো নাছিরও হতে পারে,
.
দুই পরিবারে সংঘাত সংঘর্ষ নতুন কিছু নয়, প্রায় সব সময় লেগে থাকে কিন্তু কেউ কখনো এসবে নাসির কাক্কুকে জড়াইতে দেখেনি!
.
একদিন পূর্বের ন্যায় আবারো মারামারি, কঠিন মারামারি! হঠাৎ সবাইকে চমকে দিয়ে নাসির কাক্কু বের হলো! ধর্ ধর্ ধর্ করে লাইসেন্স করা বন্দুক নিয়ে মীর্জা পরিবারের দিকে দৌড় দিলো! সাথে তার বাবা চাচা ভাতিজা বউ থেকে শুরু করে সদ্য হাটতে শেখা ভাগিনাও....!
.
এদিকে মীর্জা পরিবারের সবাই নলের বন্দুক হাতে নাসির কাক্কুকে দেখে ঘরে ঢুকতে থাকলো! দৌড়াতে গিয়ে মীর্জা পরিবারের কেউ কেউ পানিতে, নালা, নর্দমা এবং কারো করো লুঙ্গীর প্যাঁচ খুলে গেলো! এমন কখনো আগে হয়নি!
.
মীর্জা পরিবারের উঠানের সামনে দাঁড়িয়ে নাসির কাক্কু কে আছিস বের হয়ে আয় বলে বলে চিল্লাচিল্লি করছে! তার সাথে আব্বাস পরিবারের সবাই! কেউ ভয়ে বের হচ্ছে না!
.
ভাতিজারা স্লোগান তুলেছে, নাসির কাক্কু জিন্দাবাদ! নাসির কাক্কু জিন্দাবাদ!
.
কাক্কু এবার দুই পা এগিয়ে পিছনে ফিরলো! হঠাৎ বন্দুকের নল ঘুরে গেলো! এই ধর্ ধর্ ধর্ করে দৌড়ানো শুরু করলো নিজের পরিবারকে,
.
অন্যদিকে নাসির কাক্কুর বাবাও ভয়ে উষ্টা খেয়ে পড়ে গেলো! ভাতিজারা ভোঁ দৌড়! চাচা আপন প্রাণ বাঁচা! এমন যখন অবস্থা, ঈদের ছুটি বেড়াতে আসা মামা থেকে শুরু করে ভাগিনা, বউ, ভাইয়ের বউ সবাই ঘরের দিকে দৌড়! সে কি দৌড় রে বাবা!
.
মীর্জা পরিবারের লোকজন তা দেখে রীতিমতো হতভম্ব! দৌড়িয়ে সবাইকে বাসায় ঢুকিয়ে দিলো!
.
হঠাৎ করে নাসির কাক্কুর এমন পল্টি দেখে ঐ দিকে 'জয় নাসির কাক্কুর জয়' স্লোগানে মীর্জা বাড়ির উঠোনে আনন্দ উৎসব!
.
আস্তে আস্তে যেনো নাসির কাক্কু হয়ে উঠছে জাতীয় কাক্কু! এই সমাজের নাসির কাক্কুরাও!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


সন্দ্বীপের হাজার রজনী

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২২

বলেছেন: বুজলাম ।

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৯

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



ঠিক আমার মাথার এক ফুট দুই ইন্চি উপর দিয়ে গেছে, আপনার কোন দোষ নাই আমার সল্প বিদ্যায় এত বড় রহস্য গল্পের রহস্য বের করা সম্ভব নয়।

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ঘটনা না দূর্ঘটনা সে এক রহস্য বটে !দ!
কিরিটি রায় কই ? জট খুলুন মশাই !!
জা্কার না মুক্তিযোদ্ধা আগে নিরুপন করুন।

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের এলাকায় একজন নাসির আছেন।

৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: আমার এলাকায় একজন নাসির আছে, রিকশা চালায়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.