নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেউ কেউ মানচিত্র গিলে খাচ্ছে

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০০

তোমরা যত সাম্প্রদায়িক অশান্তি বলে মিডিয়াতে প্রচার করোনা কেনো আমি বলবো এগুলো হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা,
.
বর্তমান বিশ্বে সম্প্রদায় নিয়ে যত বিরোধ ক্ষোভ দাঙ্গা অশান্তি তার প্রায় সবি মুসলিমদের বিরুদ্ধে!
.
২০২০ সালে দাঙ্গায় ভারতের দিল্লীতে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৮ জন নিহত হয়েছে,
.
পরের বছর ২০১৮ সালে ভারতের ঔরঙ্গাবাদে ৩০টি দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল যার মধ্যে ২৯টি মুসলমানদের দোকান,
.
২০১৭ সালে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ৮২২টি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত হয়েছিলেন ১১১ জন,
.
তখন উস্কে দেওয়ার জন্য রোসড়ার 'তিন মসজিদে ভাঙ্গচুড় করে গেরুয়া ঝান্ডা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল!
.
২০১৩ সালে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মুজফফরনগরে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গায় নিহত হয়েছিলো ৩০ জন,
.
২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় ততকালীন মূখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে হাত ছিল তা সেসময় সাপ্তাহিক তেহেলকা পত্রিকায়ও উঠে এসছিলো!
.
এভাবে প্রতিটা বছর একের পর এক দাঙ্গা হাঙ্গামা ভাংচুর চলে আসছে, ভারতে যেহুতে হিন্দুদের আধিপত্য তাই এসব দাঙ্গায় যাদের মৃত্যু হয় তাদের বেশীর ভাগ মুসলিম তেমনি তাদের ই ঘর বাড়িতে আগুন লাগানো হয়,
.
১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময়ও ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের ভূমিকা ছিলো অনস্বীকার্য,
.
আমি আরেকটু পিছিয়ে যাবো, আজকের যে দাঙ্গার ইতিহাস তা ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান ভাগের পর থেকেই শুরু,
.
ভারতের জন্মলগ্নেই প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলো এসব সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়,
.
তারপর থেকে প্রতিটা বছর এভাবে বিরতি দিয়ে দিয়ে দাঙ্গাগুলো আজো বিদ্যমান,
.
এর মূল কারণ মোদীদের মতো কিছু লোক চিরকাল ই শান্তিতে বসবাস করা কিছু লোককে রাজনৈতিক কিংবা কোন পায়দা লুটতে উস্কে দেয়!
.
অহিংস নীতির প্রতিমূর্তি মহাত্মা গান্ধী কি মুসলিম ছিলো? তবুও এসব দাঙ্গায় তার হৃদয় কেঁদেছিলো, ১৯৪৮ সালের জানুয়ারির ১৩ তারিখে এসব দাঙ্গা বন্ধে তিনি আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন!
.
১৮ জানুয়ারি বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বিরলা হাউজে এসে 'মুসলমানদের ওপর আর হামলা হবে না' আশ্বস্ত করার পর মহাত্মা ১৯ তারিখে অনশন ভঙ্গ করেন,
.
ভারতের এই জাতির জনক জীবনের শেষ প্রায় পাঁচ মাস কাটিয়েছিলেন দিল্লির বিরলা হাউজে, সেই দিল্লীতে আজ সাম্প্রদায়িকতার আগুন জ্বলছে!
.
হ্যালো জাতির জনকরা, কেউ কথা রাখিনি, কেউ কথা রাখেনা, সবাই শুধু তোমাদের আদর্শের কথা বলে লুটে পুটে চেটে মানচিত্র খায়!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন:

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.