নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন ডিজিটেল বাংলাদেশ গড়ার কারিগরের \'সুইসাইডাল নোট\'

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৩






আমাদের অনেকের পরিচিত ফ্রিল্যান্সার শামীম ভাই সুইসাইড করে মারা গেছে! টাকা পয়সা না থাকলে পৃথিবী মাঝে মাঝে কতটা নির্মম হয় তা তার শেষ পোস্টটি না পড়লে বুঝতে পারবেন না!

তার ফেসবুক ওয়াল থেকে নেয়া বিদায় বেলার স্ট্যাটাস হুবহু তুলে দিলাম,

'বাবা-মা, বোন-দুলাভাই, চাচা-চাচি, ফুফু-ফুপ্পা, মামা-মামি, খালা-খালু এই সব আত্মীয় স্বজন যদি কাজেই না আসে তাহলে ওদের সাথে থেকে কি লাভ। জীবনের কঠিন সময় গুলোতে কাউকে পাশে পাইনি। কেউ এসে বলেনি কেমন আছি বা সমস্যা গুলোর সমাধানের বৃন্দ মাত্র চেষ্টা করে নি। কাউকে বোঝাতে পারি নাই আমার সমস্যা। বাবা-মায়ের অহংকার, রাগ, জেদের কাছে আমার ভালোবাসা মূল্যহীন।

হালসার মানুষ গুলোকে বলতে চাই। ছেলের সুখের কাছে কি রাগ, জেদ বড় হয়ে গেলো। আপনাদের পছন্দেই তো বিয়ে করলাম। তাহলে বিয়ের পরে কেন এত ঝামেলা। বিয়ের ১৭ দিনের দিন কেনই বা ধর্মদহতে কল দিয়ে বললেন এই ছেলে আমার না পালিত ছেলে। মানলাম হয়ত মজা করে বলেছেন কই তার পরে কখনও তো এই বিষয়টা সমাধান করলেন না। বিয়ের পর থেকেই এরকম ছোট বড় সমস্যা করেছেন যেটার কোন সমাধান করার চেষ্টা করেন নাই। ছোট হয়ে যাবেন বলেই তো সমাধান করেন নাই। ছেলের বাবা হয়ে যে অহংকার দেখান বর্তমান সময়ে এই অহংকার চলে না। এখন একটাই প্রশ্ন সত্যিই কি আমি আপনাদের সন্তান?

ধর্মদহ এর মানুষ গুলোকে বলতে চাই। মানুষের অবস্থান সব সময় এক রকম থাকে না। একটা সময় আমার ব্যাগ প্যাক এ ৩,৭০,৫০০ টাকা সমমূল্য পরিমানের গ্যাজেট (ম্যাক, ডিএসএলআর, আইফোন, আইওয়াচ) থাকত। আমি সব সময়ই চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করার। আপনাদের ঘরেও তো একটা ছেলে বসে আছে চাকুরীর জন্য চেষ্টা করছে কিন্তু চাকুরী কি পেয়েছে পাই নাই কারণ চাকুরী এত সহজ না। বিয়ের পর থেকে কি শুধু আমার ভুল বা দোষ, আপনাদের কোন ভুল নাই? দুই পরিবারের ছোট ছোট ভুল গুলোই বড় হয়েছে। এই ভুল গুলো কেও সমাধান করে নাই। আমি সব সময়ই চেষ্টা করেছি দুই পরিবারকে বোঝাতে পারি নাই।

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ এ বিয়ের কথা বার্তা হওয়া। ২ অক্টোবর, ২০১৭ রিং পরানো আর ২২ অক্টোবর, ২০১৭ বিয়ে। আমি ভালো ইনকাম ও ভালো পজিশন ছিল বলেই এরকম ছেলে দেখে বিয়ে দিতে এক মূহুর্ত দেরি করেন নি। কিন্তু যখনই আমার অবস্থান খারাপ হলো তখন থেকেই আমি খারাপ হয়ে গেলাম। আসলে আপনারা জামাই চান না টাকা চান।

ঈশিতার চাকুরীর জন্য এপ্রিল, ২০১৯ এ মাওনাতে বাসা নেওয়া এবং আমার যাওয়া আসা। আপনারা হয়ত ভাবেন মেয়ের ইনকাম জামাই এসে খাই আর চলে যায়। এটা ভাবা স্বাভাবিক কারণ ঈশিতা মনে হয় বলতো না আমিও সংসার এ খরচ করি। খরচ এর বিষয় গুলো না বলে ঈশিতা নিজেকে বড় করেছে। কিন্তু মাসে আমার চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হতো সংসারে। যেটা আপনারা জানেন না। ওই সময় এর বেশি সংসারে খরচ করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না কারণ আমার ঢাকাতেও থাকা খাওয়ার খরচ ছিল। যেভাবেই হোক দু'জনের ইনকাম এ আমাদের সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু শাশুড়ি আম্মা আমাদের সংসারে একটু বেশিই নাক গুলিয়েছেন। সংসারে তোমাকে কখনও একা কষ্ট করতে দেইনি। তুমি যখন রান্না করেছো তোমাকে সহযোগিতা করেছি। খাওয়া শেষে পাতিল গুলোও সকালে আমি পরিষ্কার করেছি যাতে তোমার অফিস থেকে এসে না করতে হয়। তোমার কাপড় পর্যন্ত ওয়াশ করে দিয়েছি। কখনও ভাবি নি সংসার তোমার সব সময় চিন্তা করেছি সংসার দু'জনেরই। এরপরও আমাকে ছেড়ে চলে গেলে।

বিয়ের সময় আপনাদের এলাকার মানুষ গুলো বলেছে এরকম ছেলে পাওয়া যান না। কিন্তু যখনই ডিভোর্জ হয়ে গেলো সেই মানুষ গুলোই আমার বদনাম ও খারাপ ছেলে বলা শুরু করলো। তখন থেকেই ঈশিতাকে বলতেন এই ছেলেকে ডিভোর্জ দিয়ে দিতে। বিয়ে কি পুতুল খেলা মন চাইলো না ডিভোর্জ দিয়ে দিলাম। দুই পরিবার এক সাথে বসে কি একটা সমাধান করা যেতো না?

ঈশিতা তোমাকে বলতে চাই। স্বামী হিসেবে তুমি আমাকে কখনই আপন করে নিতে পারো নাই, সব সময়ই দুরুত্ব রেখেছো। অনেক কথাই আমাকে বলো নাই যেটা বলা প্রয়োজন ছিল। অনেক কথায় আমি অনেক পরে শুনেছি। আমাদের মাঝে যা হয় তুমি তোমার আম্মুর সাথে শেয়ার করো যেটা একদম ঠিক না। তুমি বলতে মিথ্যা কথা বলতে পারো না কিন্তু সময় মতো ঠিকই আমাকে মিথ্যা বলেছো। বিয়ের পর থেকেই আমার প্রতি তোমার উদাসীন। তুমি ঢাকা থেকে বাড়িতে যাও বাড়িতে যাওয়ার পরে কল দিয়ে কখনই বলো না আমি ভালো ভাবে বাড়িতে চলে এসেছি। যেটা আমি বিয়ের দুই বছরেও পাই নি তোমার থেকে। আমার প্রতি তোমার কোন ভালোবাসায় ছিল না। তারপরও আমি ম্যানেজ করে নিয়ে সংসার করতে চেয়েছিলাম হয়ত একদিন তুমি বুঝতে পারবে।

ঈশিতা ডিভোর্জ দেওয়ার জন্য তোমার আত্মীয়-স্বজনরা সব সময়ই তোমাকে সাপোর্ট দিয়েছে কিন্তু ডিভোর্জ দেওয়ার পরে কিন্তু সেই আত্মীয়-স্বজনরা এক দিনও খোঁজ নেয়নি তোমার। চাকুরী নাই চলছো কিভাবে, খাচ্ছো কি কেউ জানতে চাইনি। কারণ আমরা মানুষরাই এরকম স্রোতের সাথে তাল মিলিয়ে কথা বলি।

ডিভোর্জ এর পরেও তোমাকে যেভাবে পেরেছি সহযোগিতা করেছি। কিন্তু তুমি তোমার মায়ের কথাতে আমাকে ডিভোর্জ দিয়ে দিলে। সত্যিই কি আমাকে ভালোবাসতে?

তোমার অভিযোগ ছিল আমি কেয়ারলেস। আমি কেয়ারলেস বলেই ঘরে বাজার আছে কি না সব সময়ই খোজ নিয়েছি। না বলতেই ফোনে রিচার্জ ও ইন্টারনেট দিয়েছি। তোমার বাড়ির মানুষ গুলোর খবর নিয়েছি। তুমি সারা দিন অফিস করে বাসায় গিয়ে রেষ্ট করেছো কখন বলি নাই আজকে সারা রাত গল্প করব। কেয়ারলেস ছিলাম বলেই তুমি অফিসে থাকলেও নিজে রান্না করে খেয়েছি। চুল ভেজা নিয়ে সকালে অফিসে যেতে হবে বলে তোমাকে কখনও সেক্স এর জন্য পেশার দিইনি। কেয়ারলেস ছিলাম বলেই কুমিল্লা থেকে এনে রসমালাই খাওয়াইছি। কেয়ারলেস ছিলাম বলেই ডিভোর্জ এর পরেও থ্রি-পিচ, বাজার, ফোনে রিচার্জ ও ইন্টারনেট দিয়েছি। কেয়ারলেস ছিলাম বলেই ঢাকা থেকে ভোর ৫ টায় বের হয়ে মাওনাতে গিয়ে তোমাকে নিয়ে চন্দ্রাতে বাসে তুলে দিয়ে এসেছি। কেয়ারলেস ছিলাম বলেই ডিভোর্জ এর পরেও বাইক এক্সিডেন্ট করার পরেও বাইক চালাতে কষ্ট হয়েছে এরপরও তোমাকে ইন্টারভিউ দিতে নিয়ে গিয়েছি। এতটুকুই আফসোস এত কিছু করার পরেও কেয়ারলেস।

যাইহোক, আমার থেকে ভালো কারও সাথে বিয়ে করে সুখে সংসার করো। তোমার ইচ্ছে গুলো পূরুন করো। আমার একটা রিকোয়েস্ট তোমার যদি মেয়ে হয় অবশ্যই মেয়ের নাম সামাইরা রাখবে।

জীবনে কখনও প্রেম করি নাই। বিয়ের পরে সত্যিই তোমাকে অনেক ভালোবেসেছি যেটা তুমি কখনও বুঝো নাই। কিভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করতে হয় আমি জানি না তাই হয়ত তোমাকে বোঝাতে পারি নাই।

আমার কাছে আপনারা যারা টাকা পান যদি সম্ভব হয় ক্ষমা করে দিয়েন। এই পর্যন্ত চলার পথে যদি আপনাদের কে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে ক্ষমা করে দিয়েন।

পৃথিবীতে বেঁচে থাকলে হয়ত তোমাকে ঘৃণা করতে হবে। যাকে ভালোবেসেছি তাকে ঘৃণা করতে পারব না। ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ থেকে একদিনও ঠিক মতো ঘুমাতে পারি নাই শুধু তোমার স্মৃতি সামনে চলে এসেছে।

শেষ সময় ঈশিতা তোমাকে বলতে চাই একদিন তোমাকে থাপ্পর মেরেছিলাম সত্যিই মন থেকে তোমাকে আঘাত করতে চাই নি কিন্তু ওই সময় মাথা কন্ট্রোল করতে পারি নাই। আমার খারাপ আচরনের জন্য অনুতপ্ত। অনুগ্রহ করে ক্ষমা করে দিও।

কষ্ট গুলো বড় হয়ে গেছে আর নিতে পারছি না।

ভালো থাক ভালোবাসা...!'

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: বড় মর্মান্তি ঘটনা ।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: মাঝের ছবিটি দ্রুত অপসারণ করুন!!!!!

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৬

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: খুব ই দুখজনক, সুইসাইড চিঠি পরলাম।পুর ঘট নাটা খুলে বলেন

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: প্রচন্ড দুঃখজনক।

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২৭

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: কাপুরুষরাই এই পথ বেছে নেয় । আর এই ধরনের ঘটনা বিশেষ করে সুইসাইড আবার নোটসহ শেয়ার দেওয়া উচিত না । এতে করে মানুষের মনের মধ্যে আরও নেগেটিভিটি তৈরি হয় ।
আমরা কেন কোন ভালো কিছু কম শেয়ার দেই আর এমন কিছু পেলে বেশী শেয়ার দেই । পজিটিভিটি ছড়িয়ে দিন নেগেটিভিটি নয় ।

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: এটা হলো আধুনিকতার ফল। বাস্তবিক হতে হলে বাস্তবতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। এই লোকটা খামোখা নিজেকে মেরেছে সে আসলে নির্বোধ।

আজকাল মা বাবারাও মাত্রাধিক বাড়াবাড়ি করেন, খালি বড়লোকি হাবভাব।

৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৫১

ধ্রুব অন্যকোথাও বলেছেন: আমার জীবনে প্রতিদিনই এসব হচ্ছে,কবে সুইসাইড করা যায় ভাবছি

৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৫২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: জীবন একটা মহাসাগর । ঠিকভাবে জাহাজ চালাতে হয়। ভীরুরা জীবন হত পালাতে চায়। এইসব ছবিও না দেওয়া ভালো।

৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০৫

সোহানী বলেছেন: এধরনে ভীরু কাপুরুষের জন্য কোনই মায়া নেই, আছে একরাশ করুণা। স্যাটেল ম্যারিজে অনেক ধরনের সমস্যা তৈরী হতেই পারে,। তার জন্য ডিভোর্স ও খুব স্বাভাবিক। ১৫ বছর প্রেম করে দুই বছরেই ডিভোর্স ও দেখেছি। এর জন্য কি মরতে হবে????

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:২৯

রাফা বলেছেন: ছি, ছি,ছি...এই কাপুরুষের জন্য কেউ পোষ্ট দেয় নাকি? পুরুষ হলে সংগ্রাম করতে করতে হাসি মুখে বিদায় নেয়। একটা ডিভোর্স কি জিবনের চাইতে বেশি মূল্যবান !!

১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৪৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ছেলেটার ফেবু লিঙ্ক থাকলে দিন। দেখি। তবে ভাল ছেলেরা এমনি হয়। জীবন যে শুধু টাকার এই কথা প্রায় বলি, অনেকে তা বুঝে না! তবে মেয়েটা যখন তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলো তখন তার উচিত ছিলো আবার এক মনে সংগ্রাম করে নিজকে দাড়া করিয়ে সমাজকে দেখিয়ে দেয়া। এখানে কেহ তাকে বুঝায় নাই। আমাদের সমাজ এমনি, না থাকলে কেহ কাছে আসে না, থাকলে সবাই কোলে তুলে নেয়।

১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৫৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: জীবনটা সহজ নয় বিশেষ করে বিয়ের পর সম্পর্কের সমীকরণে অনেক পরিবর্তন হয়, সেগুলো মেনে নিয়েই জীবন চলতে হয়, সংগ্রাম করতে হয়। পালিয়ে যাওয়া মানেই সব নয়, যাদের উপর অভিমানে নিজে আত্তগাতি হলেন তারাও এক সময় ভুলে যাবেন। মাঠ ছাড়া যাবে না!!

আমার মনে হয় উনি চিত্র নায়ক বাপ্পারাজের ফ্যান ছিলেন। সিনেমায় চিত্র নায়ক বাপ্পারাজ প্রায় প্রেমিকার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করত।

১৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:১৪

ইলি বলেছেন: ভাল ছেলেরা এমনি হয়।

১৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: আল্লাহ ছেলেটিকে ক্ষমা করুক কিন্তু না বলে পারছি না, এই ছেলে গাধা কিসিমের ষ্টুপিড। সর‍্যি।

১৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:১৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বিয়ের পর প্রত্যেক মেয়ের মা'দের একটু দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। এক ধরনের তথাকথিত মা আছেন যারা প্রকৃত অর্থে মেয়ের ভালো করতে গিয়ে তার সংসারে সমস্যার তৈরী করে ফেলেন তার অজান্তে। এই ধরনের মা'দের প্রতি আমার কোন সম্মানবোধ নেই। আত্মহত্যা কোন সমস্যার সমাধান বলে মনে করি না, তবে মানসিকভাবে কতটা আঘাত পেলে একটা ছেলে এমন করতে পারে সেটা বোধ করতে পারি কিছুটা হলেও। উচিত ছিলো ঐ মেয়েকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, প্রমাণ করে দেয়া যে তাকে ছাড়াও আপনি নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারেন, জীবনযুদ্ধে এভাবে হেরে যাওয়া আর একটা মূল্যবান জীবন বিকিয়ে দেয়া সমান কথা।

১৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:২২

আমি রাছেল খান বলেছেন: বর্তমানে আমার উনার থেকে খারাপ অবস্থা, যদি মারা যাই তখন সবাই বুঝবে আমার সাথে অন্যায় হয়েছে। জীবিত থাকতে কেউ বুঝার চেষ্টা করে না। টাকা না থাকলে সমাজের মানুষ আপন হয় না, স্ত্রী আপন হয় না। খারাপ হতে হয় মা বাবার কাছে। আত্মহত্যা পাপ না হলে অনেক আগেই আত্মহত্যা করতাম।

১৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৩২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ফেসবুকে পড়লাম, সত্যি মর্মান্তিক ঘটনা, আল্লাহ তাকে মাফ করুন।

১৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: !

১৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মৃত্যুর পরে কারো 'সুইসাইডাল নোট' এভাবে
প্রকাশ কনা সমীচীন নয়। এতে পক্ষে বিপক্ষে
অনেক অবান্তর কথাবার্তা জমা হতে থাকবে
যা মৃতের জন্য কোন সুফল বয়ে আনে না।
আত্মহত্যা কোন সমস্যার সমাধান নয়।

আপনি শিরোনামে বলেছেন তিনি
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর।
একজন শিক্ষিত ডিজিটাল দেশ গড়ার
কারিগরের এমন হাল হবার কথা নয়;
অর্থনৈতিক ও মানসিক কোন ভাবেই নয়।

অনেক প্রশ্ন আসে মনে !! কেন তিনি ডিভোর্সের
পরেও তার সাথে, তার কাজে তার সাহায্যে ছিলেন?

যাহোক ঘটনাটি স্পর্শকাতর ও দুঃখজনক। আমরা
মৃতের আত্মার শান্তি কামনা করছি।

২০| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩১

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: প্রতি চল্লিশ সেকেন্ডে বিশ্বের কোথাও না কোথাও, কেউ না কেউ আত্মহত্যা করছেন। বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ৩২ জন মানুষ আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন তার চেয়েও দশগুণ বেশি মানুষ। এবং নানা ধরনের মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে দেশের আড়াই কোটি মানুষ আত্মহত্যার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

প্রাণিজগতে তিমির মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে বেশি ঘটে নিউজিল্যান্ডের সমুদ্র সৈকতে। ২০১১ সালে ৬১ টি তিমি সেখানে আত্মহত্যা করে। ১৮ সালে ১৪৫ টি তিমি আত্মহত্যা করে আবারও। জাপানের সমুদ্র সৈকতে ১৫ সালে ১৬০ চি তিমি আত্মহত্যা করে। এসব তিমিকে কিছুতেই গভীর পানিতে ফেরত পাঠানো যায় না। পাঠালে আবার চলে আসে অগভীর পানিতে।

গ্রিক সভ্যতার প্রারম্ভে হেমলকের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে আত্মহত্যাকে মানুষ নমনীয় দৃষ্টিতে দেখতো। আত্মহননকে রোমেও আইনের চোখে অপরাধ বলে বিবেচনা করা হতো না। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি, সৈনিক, কৃতদাস আত্মহত্যা করতে পারতোনা। অন্যরা চাইলে সিনেট থেকে অনুমতি নিতে হতো। এদের হেমলক দেওয়া হতো বিনামূল্যে।

বিশ্বসাহিত্যের তিন মহারথী- ম্যক্সিম গোর্কি, লেভ তলস্তয় ও মোপাসাঁ। বিষাদে আক্রান্ত হয়ে বুকে গুলি করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন গোর্কি। তলস্তয় আনা কারেনিনা লেখার সময় তীব্র বিষাদে আক্রান্ত হয়েছিলেন, যা তাঁকে আত্মহত্যা ভাবনায় প্ররোচিত করেছিল। শারীরিক ও মানসিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ফরাসি ছোট গল্পকার, দ্য মোপাসাঁও।

ভারতের মহারাষ্ট্র, অন্ধ প্রদেশ, ও উত্তর প্রদেশে খরায়, ফসলহানী, ও কৃষিঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে প্রতিবছর হাজার হাজার কৃষক আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। ২০১৩ সালে কেবল উত্তর প্রদেশে ১১ হাজার ৭৭২ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।

আত্মহত্যার অন্যতম একটি কারণ, বিষণ্ণতা। বর্তমান বিশ্বে ১২১ মিলিয়ন মানুষ মাত্রাতিরিক্ত বিষণ্ণতার শিকার। ২০২০ সালের পর হৃদরোগের পর বিষণ্ণতা হবে অন্যতম কারণ বিপন্নতার। বর্তমান বিশ্বে ৩০০ মিলিয়ন ডিপ্রেশনের রোগী রয়েছেন।

বই: আত্মহত্যা
লেখক: এ. এন. এম. নূরুল হক

২১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৪

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: কিছু অভিমত,

'জিরো' নাম দিয়ে শুরু করা একটি ব্যান্ড পরবর্তিতে 'লিংকিং পার্ক' নামে পৃথিবীর রক ব্যান্ডের ইতিহাস পাল্টে দিয়েছিলো,
.
২০০০ সালে প্রকাশিত তাদের প্রথম অ্যালবাম 'হাইব্রিড থিওরি' পরের বছরে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী বিক্রী হওয়া অ্যালবামের নাম!
.
দু দুইবার গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ড জিতে নেওয়া এই ব্যান্ডের লীড্ ভোকাল চেস্টার বেনিংটন ২০১৭ সালে আত্মহত্যার পর জীবনের হিসেব নিকেশ অনেক পাল্টে গেছে,
.
২০০৮ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছিলেন তার বাল্য জীবনের কষ্ট সে এখনো ভুলতে পারছেন না যখন থেকে তার বাবা মায়ের ডিভোর্স হয়েছিলো!
.
কষ্টগুলো তাকে তরুণ বয়স থেকে একজন মাদকসেবী হিসেবে গড়ে তুলেছিলো,
.
চেস্টার বেনিংটন তার ব্যান্ডদলকে অনুপ্রেরণা দিতেন এই বলে যে 'আমি যখন ১৯৯৯ সালে লস এঞ্জেলসে এসেছি এবং জিরো ব্যান্ডের সাথে কাজ শুরু করছিলাম তখন আমার গাড়ির দুটো লাইট নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো, টাকার অভাবে মেরামত করতে পারিনি তাই আমার গাড়ি ঘন্টায় ৩৫ মাইলের কম বেগে চলতো'
.
দারুণভাবে অনুপ্রেরণা দিতে পারা সে মানুষটাও কষ্ট ভুলতে পারতেন না! পারেননি!
.
পৃথিবীর যাবতীয় খ্যাতি, মর্যাদা, টাকা, উন্মাদনা সব পেয়েও তার মনে হয়েছে, না না না, আমাদের সব থাকলেও প্রিয় মানুষদের অবহেলা কিংবা পাশে না থাকা সহ্য করার ক্ষমতা নেই!
.
যার মোটিবেশনে, পৃথিবীর সেরা ব্যান্ড দল সৃষ্টি হয়েছিলো, সে ও একদিন নিঃশেষ হওয়ার সিন্ধান্ত নিয়ে নিলো,
.
তার মাত্র দুই মাস আগে,
.
চেস্টারের প্রিয় বন্ধু, যুক্তরাষ্ট্রের সাউন্ডগার্ডেন ও অডিওস্লেভ ব্যান্ডের জনপ্রিয় গায়ক ক্রিস কর্নেল আত্মহত্যা করেছিলেন!
.
প্রিয় বন্ধুর অকালে চলে যাওয়া সে কখনো মেনে নিতে পারেনি! প্রচুর ভেঙ্গে পড়েছিলো!
.
বন্ধুর উদ্দশ্যে লিখেছিলেন 'তুমি যে আমাকে কতভাবে অনুপ্রাণিত করছো তা আর বলা হবে না কখনো আর!'
.
আরো লিখেছিলেন 'তোমাকে ছাড়া এই গ্রহ আমি কল্পনায় আঁকতে পারছি না' আসলে প্রিয় মানুষগুলো এমনি,
.
দুমাস পরে, চেস্টারও বিদায় নিলেন! এমন মৃত্যু কাম্য ছিলো না কিন্তু প্রিয় মানুষগুলো ছাড়া এমন বেঁচে থাকাটাও তো বড্ড কষ্টের, বেদনার!
.
শুনো ভাই, তুমি যখন আত্মহত্যার সিন্ধান্ত নাও তখন একটু ভেবে দেখো তাোমাকে ছাড়া জীবন কল্পনা করতে পারবে না এমন মানুষও পৃথিবীতে বেঁচে আছে,
.
নিজে চলে গিয়ে তাদের মেরে ফেলার মতো এতো স্বার্থপর কাজ কখনো করোনা!
.
এ জীবন শুধু তোমার একার না!!!
.
© Abdur Rob Sharif

২২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: ভালবাসা হলো প্রাইভেট চাকরির মতো নগদ যা পাও তা ই লাভ, পরেও পাবে, সারা জীবন পাবে, পেতে থাকবে, এমন না ও হতে পারে এটা ধরে নিয়ে ভালবাসতে হবে!
.
যদি সারা জীবন পেতে থাকো তা হলো ভাগ্য কিংবা বোনাস,
.
প্রিয় মানুষ সব সময় কাছে থাকবে এটা কখনো ভেবো না, যতক্ষণ কাছে থাকে ততক্ষণ ই লাভ,
.
কিছুক্ষণ আগে যে মানুষটা মারা গেলো সে ও কারো প্রিয় ছিলো! এক মুহুর্তে নিশ্চুপ,
.
আজ তোমার মাথার উপ্রে বাবা বটছায়া দিয়ে দিচ্ছে, তুমি ভাবছো এভাবে জীবন কেটে যাবে, নো নো , হঠাৎ দেখবে সবকিছু চেঞ্জ, মাথার উপ্রে ছায়া নেই কেবলি খোলা আকাশ!
.
কোন একদিন ঘরে ফিরে দেখবে মা নেই! পুরো ঘর জুড়ে খোঁজ নিয়ে দেখো, সে আর আসবে না!
.
একদিন দেখবে বউও নেই, সে তথাকথিত বাপের বাড়ি,
.
তুমি বড় হবে, হতে থাকবে, এক এক করে প্রিয় মানুষগুলো হারাতে শিখবে!!!
.
কেউ তোমাকে ইচ্ছে করে ছেড়ে যাবে, কেউবা ভাগ্যের পরিহাসে অদৃশ্য হবে!
.
সদ্য ডিভোর্স হওয়া মা কিন্তু তার ছেলে মেয়েকে ইচ্ছে করে ছেড়ে চলে যায় না! আইনের মারপ্যাঁচও থাকে
.
আমি শুধু বলবো, প্রিয় মানুষ যতক্ষণ পাশে থাকে ততক্ষণ ই লাভ!
.
দূরত্বের কারণেও অনেক কাছের মানুষ পর হয়ে যাবে কেউ কেউ স্বামী সন্দেহ করবে ভেবে তোমাকে পর করবে
.
কেউ কেউ হারিয়ে গেলে তোমার মন খারাপ হবে, তুমি হারিয়ে গেলেও কারো কারো
.
যত বড় হতে থাকবে এভাবে হারানোর লিস্টগুলো বাড়তে থাকবে, নতুন প্রিয় মুখের আবির্ভাব হবে,
.
আসলে, নতুন কিংবা পুরাতন বলে কিছু নেই, প্রিয় মানুষ সব সময় প্রিয় মুখ!!!
.
কোন এক লোডশেডিংয়ে যখন দেখবে অনেক সাধনার প্রিয়া কারো সাথে ক্যান্ডেল নাইট ডিনার করছে ভেবো না সে অপ্রিয় হয়ে গেছে,
.
পৃথিবীর নিয়মটি এমন! কেউ যাবে কেউ আসবে!
.
বিশ্বে প্রতি পাঁচ সেকেন্ড একজন শিশু এবং প্রতি ছয় সেকেন্ডে একজন ধূমপায়ী মারা যায়, কেউ কারণে কেউবা অকারণে,
.
সব সময় কারণেই যে কেউ ছেড়ে যাবে তা কিন্তু নয় অকারণে ভাল্লাগে খুশিতে ঠেলায় হেলায় অনেকে চলে যাবে,
.
তুমি থাকবে, তোমার বুকেও একদিন কারো নিঃশ্বাসের শব্দ শুনবে! নতুন প্রিয়মুখ বলে তাকে অবহেলা করোনা,
.
জীবন এমনি! যার জন্য সব ছেড়েছো সে যদি একদিন তোমাকে ছেড়ে দেয় ভয় পাবে না! ভয়ের কিছু নেই, যতটুকু সময় থেকেছিলো ততটুকু লাভ!
.
নিজেকে ভালবাসা দরকার, সে তোমার সাথে সারা জীবন থাকবে! হয়তো মৃত্যুর পরও যখন সবাই তোমাকে কবরে একা রেখে চলে আসতে থাকবে, তখনো,
.
তুমি কেনো নিজেকে হত্যা করবে ভাবছো! তুমি চলে গেলে সে কি করবে শুনি! শুনেছি আত্মহত্যার পর আত্মারা সেই জায়গায় ঘুরে ফিরে, হয়তো ছেড়ে যেতে পারে না বলে! তুমি কিভাবে নিজেকে ছেড়ে দিলে?
.
© Abdur Rob Sharif

২৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৬

আশাবাদী মানব বলেছেন: মানব জীবন একটা বিয়োগান্তক আশাবাদ। জীবনের চলার পথ মাঝে মাঝে এত দুর্গম হয়ে উঠে যে মৃত্যুই মনে হয় সকল সমস্যার সমাধান। কিন্তু আসলেই কি সমাধান পাওয়া যায়? জীবন সকলের কাছেই পরম আরাধ্য। একজন মানুষ কতটা কষ্টে থাকলে আত্নহত্যার পথ বেঁচে নিতে পারেন, ভাবলেই ব্যথিত হতে হয়। এই ভাইয়ের মৃত্যু আমাদের একটি শিক্ষা দিয়ে গেলঃ যান্ত্রিক সভ্যতা আমাদের অনুধাবণ শক্তি, একে অপরকে বোঝার শক্তি ভোতা করে দিয়েছে। এই ভাইয়ের পাশে থাকা একটা মানুষও উনার ভিতরের এই কষ্টের পারদকে নামিয়ে দিতে পারল না, চিন্তা করা যায়। আল্লাহ এই ভাইকে মাফ করে দিক আর আমাদেরকেও পাশের মানুষদেরকে বুঝতে সাহায্য করুক।

২৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৪

বিড়ি বলেছেন: মৃত দেহের ছবিটা না দিয়ে উনাকে সম্মান দেখানো যায়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.