নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিষাক্ত এক পৃথিবীতে

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

মানুষের শরীরে ক্রোমিয়ামের সহনীয় মাত্রা ২৬-৩৫ মাইক্রোগ্রাম সেখানে ব্রয়লার মুরগির মাংসে ২০০০ মাক্রোগ্রাম, কলিজায়-৬১২ মাইক্রোগ্রাম, এবং মগজে- ৪০০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যান্সার সৃষ্টকারী বিষাক্ত ক্রোমিয়াম পাওয়া গেছে,
.
ডিমেও ক্রোমিয়াম সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক গুণ বেশী ।
.
চাষ করা মাছেও ক্রোমিয়ামের পরিমাণ দিন দিন মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে,
.
মূলতো ট্যানারি বর্জ্য দিয়ে তৈরি সস্তার পোলট্রি খাদ্য খাওয়ানোর কারণে ক্রোমিয়াম খাদ্যের মাধ্যমে পোল্ট্রির মাছ মাংসে প্রবেশ করছে ।
.
খাবেন কি ভাই! যাবেন কই!
.
গরুকে যেসব খাওয়ার খাওয়ানো হয় তার ফলস্বরূপ গরুর গোস্ত এবং দুধে ক্রোমিয়ামসহ আরো ক্ষতিকর উপাদান ক্রমে আমাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে
.
আর্সেনিকের মতো ক্রোমিয়ামও নীরব ঘাতক যা আমাদের কিডনি তিলে তিলে বিকল ও যকৃৎ নষ্ট করে,
.
কে কখন কিভাবে খামারের পশু পাখিকে কি খাওয়াচ্ছে তা মনিটরিং করাটা আসলে অনেকটা কঠিন কাজ! রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার নেশা মানুষকে দিন থেকে দিন উন্মাদ পাগল করে তুলছে ।
.
আবার অনেক পোলট্রি ফার্মের মালিক জানেও না ক্রোমিয়াম কি জিনিস! মুরগীর খাদ্যটা কি দিয়ে তৈরী কিংবা ট্যানারি শিল্পের বর্জ্য চূর্ণ করা খাবার নাকি ইত্যাদি ইত্যাদি ।
.
ট্যানারি শিল্পের আশে পাশের জমিতে পর্যন্ত স্বভাবিকের চেয়ে কয়েকশত গুণ বেশী মাত্রার ক্রোমিয়াম পাওয়া যাচ্ছে ।
.
ফলস্বরূপ তা জমির মধ্য দিয়ে ফসলে ছড়িয়ে পড়ছে,
.
মাত্রার বেশী ক্রোমিয়াম শরীরের জন্য কঠিন বিষ মাইরি, তার চেয়ে বড় বেপার ক্রোমিয়াম আগুনে পোড়ে না, মাটিতেও মিশে না ।
.
এগুলো কখনো ভাইরাল হবে না! লেখার মাধ্যমে তুলে ধরলেও টাইম লাইন থেকে হারিয়ে যাবে ।
.
শরীরে ক্রমান্বয়ে বিষাক্ত সীসা, ক্রোমিয়াম, ফর্মালিনসহ কত কিছু ঢুকে চলছে, বেঁচে থেকে দুর্বল, রোগাক্রান্ত হয়ে পঙ্গু প্রায় হয়ে বেঁচে আছে অনেকে,
.
স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে টাকা পয়সা ধনদৌলত ক্ষমতা দিয়ে কি হবে রে ভাই ।
.
কি হবে এমন এক পৃথিবীতে বেঁচে থেকে! যেখানে নিঃশ্বাসে বিষ! বিশ্বাসে বিষ! প্রশ্বাসে বিষ! আশ্বাসে বিষ!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কিছুদিন আগে ব্রয়লার মুরগির উপর করা এক্সপেরিমেন্টের একটা ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছিল, যাতে ব্লয়লার মুরগি খাওয়া নিরাপদ হিসাবে দেখানো হয়েছিল। ঐ গবেষণার ফল থেকেই মনে হয়েছিল, ওটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ফলাফল ছিল।

মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার সরবরাহের প্রয়োজন। সেই পরিমাণ খাবার প্রস্তুতের জন্য দ্রুততম সময়ে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উৎপাদনই মূল লক্ষ থাকে প্রস্তুতকারকগণের। এতে বিষ, নাকি বর্জ্য মেশানো হলো, তা দেখার সময় নেই। মানুষের মধ্যে এত দুরারোগ্য ব্যাধি, বিশেষ করে কিডনি ডিজিজ, ক্যান্সার, ইত্যাদির মূল কারণই হলো ভেজাল খাদ্য খাওয়া।

এর আগে একবার গুঁড়া দুধে প্লাস্টিক মেশানোর দায়ে কিছু দুধ ব্যান করা হয়েছিল, কিছুদিন বোধহয় গুঁড়াদুধ বন্ধও ছিল। তখন দেখা গিয়েছিল, এই প্লাস্টিক মেশানো খাবারের জন্যও কিছু মানুষ হাহাকার করছে। কারণ, শিশুর খাবার নাই, তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কিছু একটা মুখে দিতে পারলেই হলো।

আমাদের করার কিছু নাই, সাধারণ, গরীব ভোক্তারা অসহায়। মরতে তো একদিন হবেই, বিষ ও বর্জ্য খেয়ে হলেও কিছুদিন তো বেঁচে থাকা গেল, তারপর না হয় মরা হলো

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:১৮

আমি সাজিদ বলেছেন: বাংলাদেশে আমাদের মতোন গরীবের প্রোটিন ব্রয়লারে যে বিষ লুকিয়ে আছে এবং তা আমাদের যে ক্ষতিগুলো করছে সেগুলো নিয়ে খুব কম লোকে কথা বলেন। কিছুদিন আগে আমার এক গরুর ফার্মে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল, সেখানেও দেখলাম ইচ্ছা মতোন এন্টিবায়োটিক ও কৃত্রিমভাবে তৈরি খাদ্য খাওয়ানো হয়। গরুর দুধের কোয়ালিটি নিয়েও আমার সন্দেহ হয় মাঝে মাঝে।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮

বুনোগান বলেছেন: বিষয়টা অন্যভাবে দেখতে হবে। ঢাকা শহরে ২কোটি ৩০ লক্ষ লোকের বসবাস। এরা নিজেদের খাদ্য নিজেরা উৎপাদন করে না। এদের খাদ্য উৎপাদন করতে হলে স্বল্প ব্যয়ে বেশী উৎপাদন করতে হবে।উৎপাদন ব্যবস্থা হোল পুঁজিবাদী। পুঁজিপতিরা চায় মুনাফা। তাই ক্যামিকেল ও কীটনাশক দিয়ে তারা বেশী উৎপাদন করে শহরবাসীদের চাহীদা পুরন করে। এর বিকল্প হোল আপনাকে গ্রামে চলে যেতে হবে এবং প্রাকৃতিক উপায়ে চাষবাস করে নিজের খাদ্য নিজেই উৎপাদন করতে হবে। এটা এখন অবাস্তব কিছু নয়। পৃথিবীর অনেক দেশের নগরবাসীরা এখন শহর থেকে গ্রামে চলে যাচ্ছে। সেখানে তারা অফ-গ্রীড কমিউনিটি গঠন করে নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন করছে।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কোথায় যাব আমরা। কী ই বা খাবো
ভয়ংকর পরিস্থিতি সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। অসুস্থতা ছাড়ছে না

আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ছোটকাল থেকেই শুনে আসছি খাদ্যে ভেজাল।
মাংস ও দুধে ক্ষতিকর মেটাল। এন্টিবায়োটিক। ফলমূল শাকসবজিতে ফরমালিন।

আমার মনে হয় এসব অপসংবাদিকতা এবং ভিত্তিহীন বৈজ্ঞানিক তথ্য। কারণ পরে জানা যায় যে কথিত ফরমালিন। ফল মূল শাক-সবজিতে ফরমালিন কার্যকর হয় না। দেওয়াও হয় না।

ব্রয়লার মুরগিতে ক্ষতিকর ধাতব ও এন্টিবায়োটিক।
এর সহনীয় মাত্রা কত? এটা কোন পরীক্ষাগারে ও ফিল্ড ট্রায়াল করে মানব দেহের উপর দীর্ঘদিন পরীক্ষা করা হয়েছে কিনা?
আর মুরগির মাংসে পরীক্ষাগারে কোন পদ্ধতিতে ক্রোমিয়াম মাত্রা বের করা হয়েছে, যন্ত্রপাতি নির্ভরযোগ্য কিনা?

গত বছরের আগের বছর আমেরিকার শিশু খাদ্যে তুছ্য সামান্য অনিয়ম পাওয়ায় অমানবিক ভাবে লাখ লাখ টন শিশু খাদ্য ধ্বংস করে ফেলা হয়। এরপর দেখা দেয় ভয়াবহ শিশু খাদ্য সংকট। সেটা এখনও দুই বছরেও সামাল দেওয়া সম্ভব হয়নি।

এভাবে জোর জবরদস্তি করে খাদ্য ধ্বংস করা সমর্থন করি না।
সরকারের ফুড সেফটি বিভাগ ব্রয়লার মুরগী ফার্ম কে নিরাপদ খাদ্য পরামর্শ শিক্ষা দিতে পারে। নমুনা সংগ্রহ করতে পারে কিন্তু জোরজবস্তি নয়।

আমেরিকার জনসংখ্যা বাংলাদেশের চেয়ে কিছুটা বেশি
অতি সচেতন আমেরিকায় ক্যান্সার মৃত্যুর হার বছরে ৬.০৮ লাখ।
বাংলাদেশে ক্যান্সারে মৃত্যুর হার সে তুলনায় অনেক কম। বছরে ১.৫ লাখ

বাংলাদেশের শিশু মৃত্যু হার খুব দ্রুত হারে কমছে, গড় আয়ু দিন দিন বাড়ছে।
যা খাদ্যে ভেজাল প্রমাণ করে না।




৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

শামসুল হক চাঁটগাঁইয়া বলেছেন: ভয়াবহ অবস্থা

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীটা সুন্দর। মোটেও বিষাক্ত ছিলো না। পৃথিবীর ক্ষতি করেছে মানুষ। মানুষ খুব লোভী। মানুষের কপালে দুঃখ আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.