![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘উহারা প্রচার করুক হিংসা বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ;/ আমরা বলিব সাম্য শান্তি এক আল্লাহ জিন্দাবাদ।/ উহারা চাহুক সংকীর্ণতা, পায়রার খোপ, ডোবার ক্লেদ,/ আমরা চাহিব উদার আকাশ, নিত্য আলোক, প্রেম অভেদ।_কাজী নজরুল ইসলাম
আহারে জীবন…
তিনি ছিলেন একজন বিস্ময়কর মেধাবী মানুষ। সাব-রেজিস্টার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সহকারী পুলিশ সুপার (ASP)—প্রতিযোগিতামূলক প্রথম শ্রেণির একের পর এক চাকরিতে সফল হয়েছিলেন। জীবনের তথাকথিত সাফল্যের কোনো ঘাটতি ছিল না। সম্মান, পদ, আর্থিক নিরাপত্তা—সবই ছিল তাঁর করায়ত্ত।
তবুও একটি জিনিসের অভাব তাঁকে প্রতিনিয়ত গ্রাস করছিল—পারিবারিক শান্তি।
এই অভাবটাই হয়তো একসময় তাঁকে ভেতর থেকে নিঃশেষ করে দিয়েছিল। একসময় সেই অভাবই তাঁকে এমন এক সিদ্ধান্তে পৌঁছে দিলো, যেখানে নিজের নামে ইস্যু করা সার্ভিস পিস্তলই হয়ে উঠল নিজের শেষ যাত্রার সঙ্গী। RAB-এ কর্মরত সেই মেধাবী এএসপি পলাশ শাহা আর নেই।
মানুষ বাহিরের শত্রুর সঙ্গে লড়তে পারে, পরিশ্রম করে পাহাড়ও টলাতে পারে। কিন্তু নিজের পরিবারের অশান্তি, আপনজনের তুচ্ছতাচ্ছিল্য, অবহেলা আর অপমান—এসব তাকে ধীরে ধীরে গুঁড়িয়ে দেয়। একজন পুরুষ সারাদিন বাইরে হাড়ভাঙা খাটুনির পর মাস শেষে স্যালারি এনে দেয় পরিবারের জন্য, কিন্তু সেই স্যালারির বিনিময়ে সে কিনে নেয় কেবল অভিযোগ আর দ্বন্দ্ব?
সব দিয়ে দেয়ার পরেও শান্তি মেলে না কেন?
এএসপি পলাশ শাহার করুণ পরিণতি কেবল একটি মৃত্যু নয়, এটি সমাজের প্রতি একটি নীরব আর্তনাদ—একজন পরিশ্রমী, দায়িত্বশীল পুরুষও একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে, ভেঙে পড়ে। বুঝতে হবে, পরিবার শুধু অর্থের চাহিদা মেটানোর জায়গা নয়, এটি হওয়া উচিত শান্তি ও ভালোবাসার আশ্রয়।
২| ০৭ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:০৯
শায়মা বলেছেন: কি কষ্ট লাগছে!
বউ আর মায়ের দ্বন্দ ছিলো বুঝাই যায়।
এই মৃত্যুর জন্য আসলে তারাই দায়ী।
৩| ০৭ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:৪৩
যামিনী সুধা বলেছেন:
মনে হয়, চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করেছিলো; আপনার ক্লাশমেট?
৪| ০৭ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:২১
অপলক বলেছেন: আমার ধারনা এটা সাজানো ঘটনা। তাকে হয়ত খুন করা হয়েছে বা সুইসাইড করতে বাধ্য করা হয়েছে। পলাশ সাহার মত আর এক প্রতিভাবান পুলিশের ডিএমপির এডিসি জ্যোতির্ময় তপু কে মৃত অবস্থায় নিজ কার্যালয়ে পাওয়া যায়। মাত্র ৭ ঘন্টার ব্যবধানে কোন ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ পোড়ানো হয়। আমরা সাধারন মানুষরা তো আসল ঘটনা কখনই জানি না। চায়ের দোকানে কয়েকদিন আলোচনা হবে। তারপর ভুলে যাব।
ডিএমপির এডিসি জ্যোতির্ময় তপুর হঠাৎ মৃত্যুতে কাঁদছেন সহকর্মীরা
৫| ০৮ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:৫১
নাহল তরকারি বলেছেন: ঘটনা বুঝতে পারছি। কম বেতনে স্ত্রীর চাহিদা পূরন করতে পারছিল না। বড় অফিসারের বউ। ঢাকায় বাড়ি চাই। ভোগ বিলাশে জীবন কাটাতে চায়। উনি মনে হয় সৎ ছিলেন। তাই বউ কে খুসি করতে পারে নাই। আবার এমনও হতে পারে বউ তার শাশুড়িকে দেথতে পারতেন না।